
মানুষের শারীরিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি সাধারণ সমস্যা হল হেডেক বা মাথাব্যথা। বাস্তবে মাথাব্যথা কোন রোগ নয় বরং মানসিক চাপ, মাইগ্রেন, স্কেলিটাল মাংসপেশির চাপজনিত হেডেক বা মাথাব্যথা অথবা বিভিন্ন ফ্যাক্টরের মিশ্রণ জনিত উপসর্গ।
হেডেক বা মাথাব্যথার প্রকারভেদঃ
মাথাব্যথাকে মূলত বিভিন্ন কারণ, সময়কাল ও ধরণ অনুযায়ী ৪ভাগে ভাগ করা হয়ঃ
- টেনশন জনিত হেডেক বা মাথাব্যথা
- মাইগ্রেন জনিত হেডেক বা মাথাব্যথা
- ক্লাস্টার হেডেক বা মাথাব্যথা
- অন্যান্য কারণজনিত হেডেক বা মাথাব্যথা( যেমনঃ সাইনুসাইটিস)
১. টেনশন জনিত হেডেক বা মাথাব্যথাঃ
মাথাব্যথার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল টেনশন। এটি মূলত মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় (Mild to moderate intensity).
টেনশন জনিত মাথাব্যথার আবার কিছু সাব-ডিভিশন আছেঃ
- ইনফ্রিকুয়েন্ট এপিসোডিক
- ফ্রিকুয়েন্ট এপিসোডিক
- ক্রনিক
লক্ষণঃ
ক. ক্রমাগত তীব্র থেকে তীব্রতর মাথাব্যথা হয়।
খ. কপালের সামনের দিকে চাপ অনুভূত হয়।
গ. মাথাব্যথার তীব্রতা প্রায় অনেকটা সময় একইরকম থাকে।
ঘ. মাথা, ঘাড় এবং কাঁধের মাংসপেশিতে অসাড়টা অনুভব হয়।
ঙ. ফটোফোবিয়া- যেকোনো ধরনের আলোতে অস্বস্তি অনুভব হয়।
চ. ফোনোফোবিয়া- যেকোনো মাঝারি থেকে তীব্র শব্দের জন্য মাথাব্যথা বাড়তে পারে।
কারণঃ
এই ধরনের মাথাব্যথার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে অতিরিক্ত আবেগ, উত্তেজনা অথবা মানষিক চাপের ফলে মাথার ত্বক,মুখ ও ঘাড়ের মাংসপেশিতে ক্রমাগত সংকোচনের ফলে মাথাব্যথা উৎপন্ন হয়। তবে সর্বসম্মত থিওরি অনুযায়ী স্ট্রেস বা মানসিক চাপ এই ধরনের মাথাব্যথার ট্রিগার হিসেবে কাজ করে।
রোগ নির্ণয়ঃ
- রোগীর হিস্টোরি নেওয়া
- ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন
- ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি(EMG): এই টেস্টের মাধ্যমে মূলত ঘাড়, মুখ এবং মাথার তালুর মাংসপেশির ধারাবাহিক সংকোচনকে চিহ্নিত করে।
২. মাইগ্রেন জনিত হেডেক বা মাথাব্যথাঃ
মাইগ্রেনের মাথাব্যথায় মাথার ১ সাইডে কমাগ্রত ব্যথা হতে থাকে এবং ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং আলো ও শব্দের প্রতি তীব্র সংবেদনশীলতা দেখা যায়। মাইগ্রেনের ব্যথা কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। প্রতি ১৫ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন এবং প্রতি ৫ জন মহিলার মধ্যে ১ জন এই মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন।
মাইগ্রেনের হেডেক বা মাথাব্যথা মূলত কয়েক রকম হয়ে থাকেঃ
- ক্লাসিক মাইগ্রেন(Migraine with Aura): ভিজুয়াল অথবা অন্যান্য সেন্সরি অর্গানের কাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পর মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে তাকে ক্লাসিক মাইগ্রেন বলে। চোখে ঝাপসা দেখা, চোখে আলোর ঝলাকনির মত অনুভব হওয়া, ব্লাইন্ড স্পট, মাথা ও মুখের বিভিন্ন অংশে উত্তেজনাপূর্ণ অনুভুতি হয়। এসব লক্ষণ প্রায় ঘন্টা খানেক স্থায়ী হয় এবং তারপরই মূলত মাইগ্রেনের মাথাব্যথা শুরু হয়। এসব ছাড়াও মুখের পেশিগুলোর অসাড়তা, কথার অস্পষ্টতা, মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার মত ঘটনাও দেখা যায়।
- কমন মাইগ্রেন( Migraine without Aura): এটি মাইগ্রেনের সবচেয়ে সাধারণ রূপ। সাধারণত কোন পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই ব্যথার উৎপত্তি হয়ে থাকে।
- সাইলেন্ট মাইগ্রেন( Migraine Aura without Headache/Acephalgic Migraine): এই ধরনের মাইগ্রেনে পূর্ববর্তী লক্ষণ দেখা দিলেও মাথাব্যথা সাধারণত হয় না বললেই চলে।
- হেমিপ্লেজিক মাইগ্রেন
- রেটিনাল মাইগ্রেন
- এবডোমিনাল মাইগ্রেন
- ক্রনিক মাইগ্রেন
৩. ক্লাস্টার হেডেক বা মাথাব্যথাঃ
মাথাব্যথার প্রসঙ্গে অনেকেই এটিকে মাইগ্রেনের সাথে গুলিয়ে ফেলেন। মাথাব্যথার অনেকগুলো ধরনের মধ্যে একটি হল ক্লাস্টার পেইন যেটির সাথে মাইগ্রেনের ব্যথার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। মাইগেনের ব্যথা এদিক সেদিক ঘুরতে পারে, কিন্তু ক্লাস্টার পেইন মাথার ১দিকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
ক্লাস্টার পেইন সাধারণত Cluster Period ( মূলত অনেকগুলো রোগের কারণ এবং স্থান যখন একই রকম হয় এবং চক্রাকারে রোগাক্রমণ ঘটায়) অথবা একটি Cyclic Pattern অনুযায়ী হয়ে থাকে যা কমপক্ষে ১৫ মিনিট থেকে ৩ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হয়।
ক্লাস্টার পেইনের কিছু ধাঁচ দেখে এর অস্তিত্ব আন্দাজ করা যায়ঃ
- সাধারণভাবে চোখ দিয়ে ব্যথা শুরু হয় এবং পরে ঘাড়, মুখ এবং মাথার অন্যান্য অংশে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
- একদিকে প্রচুর যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
- ঘাড়ে ভারী ভাব এবং অস্থিরতা দেখা যায়।
- কপালে এবং মুখে অতিরিক্ত ঘামের লক্ষণ।
- মুখ এবং ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
- নাকে প্রচুর সর্দি হয়।
- মাথার যেদিকে ব্যথা হয় সেইদিকের
ক. নাক বন্ধ হয়ে যায়।
খ. চোখ ফুলে যায়।
গ. চোখের পাতা লাল হয়ে যায় এবং পাতা কাঁপতে থাকে।
৪. সাইনুসাইটিস জনিত হেডেক বা মাথাব্যথাঃ
এই ধরনের হেডেক বা মাথাব্যথায় অনেকটা সাইনাসে সংক্রমণ (Sinusitis) এর মত ব্যথা অনুভূত হয় তবে এর মূল কারণ হচ্ছে মাইগ্রেনের সংক্রমণ।
নাক ও চোখের চারপাশে হাড়ের ভেতরে কিছু বায়ুকোষ বা কুঠুরিকে সাইনাস বলা হয়। নাকের ও সাইনাসগুলোর আবরণী একই এবং সাইনাসগুলো নাকের আবরণীর সম্প্রসারিত অংশ দিয়ে আবৃত। এজন্য নাকে কোনো প্রদাহ হলে একই সমস্যায় সাধারণত সাইনাসও আক্রান্ত হয় এবং নাক ও সাইনাসের সমস্যাগুলো মূলত পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
উপসর্গঃ
হেডেক বা মাথাব্যথা, মাথা ভার ভার লাগা ও মাথা বদ্ধভাব, নাক বন্ধ, নাক ভারি হয়ে থাকা, নাক দিয়ে অবিরাম বা ঘনঘন পানি পড়া, নাকে গন্ধ না পাওয়া, মাঝে মাঝে বেশ জ্বর ওঠা বা সবসময় হালকা-হালকা জ্বর ভাব থাকা, সবসময় শারীরিক দুর্বলতা, নাক ডাকা ও ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বা দম বন্ধ হয়ে আসা বা স্লিপ এপনিয়া সিনড্রোম এগুলো সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম।
কারণঃ
ভাইরাসজনিত সংক্রমণই প্রধান কারণ। এ ছাড়া অ্যালার্জি এবং নাকের কাঠামোগত কারণে নাক বন্ধ হয়ে থাকে। যেমন— নাকের হাড় বাঁকা (DNS), নাকের পলিপ, নাকের টিউমার ইত্যাদি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ক্রনিক ইনফেকশন টিবি, সিফিলিস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে অনেক ধরনের মাথাব্যথা হয়ে থাকে। যেমনঃ
ক. এলার্জি জনিত মাথাব্যথাঃ সিজনাল এলার্জেন (যেমনঃ পরাগরেণু, ধুলিকণা) এর সংক্রমণে হয়ে থাকে তবে খাবার জনিত কোন এলার্জি এর জন্য দায়ী নয়।
খ. সার্ভিকোজেনিকঃ সার্ভাইক্যাল স্পাইনে আঘাতজনিত কারণে অথবা কশেরুকায় আর্থ্রাইটিস এর জন্য হয়ে থাকে।
গ. আই-স্ট্রেইনঃ এস্টিগমাটিজম, ত্রুটিপূর্ণ দৃষ্টি ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হয়।
ঘ. হাঙ্গার/ ফাস্টিংঃ অনেক্ষণ যাবত না খেয়ে থাকলে, কোন বেলার খাবার বাদ দিলে অথবা রোজা থাকলে অনেক সময় মাথাব্যথা হয়।
ঙ. টেম্পারোমেন্ডিবুলার ক্লেঞ্চিংঃ চোয়ালের হাড়ে মচকানো বা হাড় ডিসলোকেশন এই ব্যথার মূল কারণ।
চ. পোস্ট-ট্রমাটিক পেইনঃ সাধারণত কোনো ট্রমা বা ইনজুরি থেকে সেরে উঠার পর এই ধরনের মাথাব্যথা হতে পারে তবে এর কারণ সম্পূর্ণ অজানা।
ছ. মেন্সট্রুইয়াল পেইনঃ নারীদেহে ইস্ট্রোজেন লেভেলে অনিয়মিত পরিবর্তনের ফলে মাথাব্যথা তৈরি হয় ইত্যাদি।
রোগ নির্ণয়ঃ
সাধারণত মাথাব্যথা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয় এবং পরবর্তীতে সেরে যায়। কিন্তু যদি এটা মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হয় এবং অনেকদিন স্থায়ী হয় তবে দেরী না করে নিকটস্থ ডাক্তার বা হেলথ স্পেশালিষ্ট দেখানো জরুরী।
মাথাব্যথার কারণ ও ধরন অনুসান্ধানে নিম্নোক্ত তথ্যগুলো এনালাইসিস করা হয়ঃ
১. মাথাব্যথার সম্পূর্ণ বর্ণনা
২. মাথাব্যথা কখন শুরু হয় এবং কতক্ষণ স্থায়ী হয়।
৩. কোন খাবার, পানীয় অথবা কোন ঘটনার জন্য ব্যথা শুরু হয় কিনা?
৪. কাজের চাপ অথবা মানসিক কোন সমস্যা আছে কিনা?
৫. ঘুমের অভ্যাস কেমন?
৬. পরিবারে কারো এমন মাথাব্যথার পূর্ব ইতিহাস আছে কিনা ইত্যাদি।
এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রোগীর মাথাব্যথার ধরন কি এবং কোন ট্রিটমেন্ট দরকার।
প্রতিকার ও পরিত্রাণঃ
অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত মাথাব্যথা কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। মাথাব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং রেগুলার ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।
- মেডিক্যাল মেনেজমেন্টঃ মাথাব্যথার জন্য একজন চিকিৎসক যেসব ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকেন তা হল-
- অধিকাংশ টেনশন জনিত মাথাব্যথার জন্য Over the Counter মেডিকেশনের সাহায্য নেওয়া হয়-
- এসপিরিন
- আইবুপ্রোফেন (এডভিল, মট্রিন এলবি, অন্যান্য)
- অ্যাসিটামিনোফেন (টাইলিনল)
- প্রায় সকল ধরনের মাথাব্যথার জন্য কমন কিছু ট্রিটমেন্ট প্রসিডিউর আছে-
- অন্ধকার ও নিস্তব্ধ ঘরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
- মাথা ও ঘাড়ে ‘Hot & Cold Compress’ প্রয়োগ করা।
- Over The Counter মেডিকেশন প্রেসক্রাইব করা।
- ট্রিপট্যান জাতীয় ঔষধ{সুমাট্রিপট্রেন (ইমিট্রেক্স) এবং জোলমিট্রিপট্যান (জোমিগ)} প্রসক্রাইব করা।
- অক্সিজেন থেরাপি (মাস্ক এর সাহায্যে বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণ করা)
- ন্যাসাল স্প্রে প্রয়োগ করা।
- ট্রান্সক্রেনিয়াল ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন (ইলেক্ট্রিক্যাল কারেন্টের মাধ্যমে নার্ভ স্টিমুলেট করা হয়। )
- প্রিভেন্টিভ মেডিকেশন প্রয়োগ করা-
- মেটোপ্রলোল (লোপ্রেসর),
- প্রোপ্রানোলল (ইনোপ্রান, ইন্ডেরাল ,অন্যান্য ),
- এমিট্রিপ্টাইলিন,
- ডিভালপ্রোয়েক্স (ডিপাকোট ),
- টপিরামেট (কিউডেক্সি এক্সআর,ট্রোকেন্ডি এক্সআর,টোপাম্যাক্স)
- ফিজিওথেরাপি ম্যানেজমেন্টঃ
মাথাব্যথার নন-ফারমাকোলজিক ট্রিটমেন্ট হল ফিজিক্যাল থেরাপি। এটি মাথাব্যথার সবচেয়ে কার্যকর এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি। মাথাব্যথার বিভিন্ন লক্ষণ এবং তীব্রতা রোধে কার্যকর কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি হলঃ- সার্ভিক্যাল এক্সারসাইজ, রিলাক্সেশন, ক্রানিও-সার্ভিক্যাল টেকনিক, থার্মোথেরাপি, ভারটিব্রাল মোবিলাইজেশন এবং স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ।
মাথাব্যথার চিকিৎসায় বহু পদ্ধতি থাকলেও ডেলফি স্টাডি অনুযায়ী সাধারণ কিছু পদ্ধতি হলঃ
- এক্টিভ মোবিলাইজেশন এক্সারসাইজ
- আপার সার্ভিক্যাল স্পাইন মোবিলাইজেশন
- প্যাসিভ মোবিলাইজেশন উইথ মুভমেন্ট
- ম্যানুয়াল ট্রিগার পয়েন্ট টেকনিক
- সফট টিস্যু ইন্টারভেনশন
- নিডলিং থেরাপি
- থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ
- জয়েন্ট ম্যানিপুলেশন
একজন ফিজিওথেরাপিস্ট মাথাব্যথার চিকিৎসার জন্য আগে বিভিন্ন কারণ অনুসন্ধান করে থাকেন।
হেডেক বা মাথাব্যথার কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়ঃ
- ঘাড়ের মাসল টাইট হয়ে যাওয়া
- মাসল দুর্বল হয়ে যাওয়া
- মেন্টাল স্ট্রেস
- কাজের জন্য টেবিল ভুল পজিশনে সেটাপ করা হলে
- অনেক্ষণ একনাগাড়ে কাজ করার ফলে ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া।
- সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করা
- ঘুমের সময় বালিশের আকার ঠিক না থাকা অথবা ভুল পজিশনে ঘুমানো ইত্যাদি।
মাথাব্যথার কারণ ঠিকমত অনুসন্ধান করার পরে ফিজিওথেরাপিস্ট পেইন অরিজিন চিহ্নিত করেন এবং সঠিক চিকিৎসা প্রয়োগ করেন । ঘাড়ের ফেসেট জয়েন্টের ম্যানুয়াল মবিলাইজেশন পেশি শিথিল করে এবং স্ট্রেসের জন্য মাথাব্যথার লক্ষণগুলো দূর করে। মাসল স্ট্রেংথ বাড়ায় এবং ঘাড় ও শোল্ডারের রেঞ্জ অফ মোশন(ROM) বাড়ায়।
এছাড়াও রেফারড পেইনের ক্ষেত্রে ঘাড়ের নার্ভরুটে চাপ পরার কারণেও মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ট্রাইজেমিনোসারভিক্যাল রিজিওন খুবই সেন্সিটিভ হয়ে পড়ে যা কিছু খাদ্য, পানীয় অথবা কাজের ক্ষেত্রে ব্যথার ট্রিগার পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও এক্ষেত্রে কিছু হরমোনাল পরিবর্তন মাইগ্রেনের ব্যথার উৎস হিসেবেও কাজ করে থাকে। এসব জায়গায় ফিজিক্যাল এবং ম্যানুয়াল থেরাপি নার্ভরুটে চাপ কমায় এবং যেসব কারণে পেইন সিগনালের উৎপত্তি হয় সেসব কারণের প্রতি নার্ভের অতিসংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয়।
সাইনাস এর ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল ফেসিয়াল ম্যাসেজের মাধ্যমে সাইনাসের গহ্বর বড় ও উন্মুক্ত করা হয়। ফলে সাইনাসে জমে থাকা শ্লেষ্মা বেড়িয়ে যায় এবং মাথা ও মুখের উপর চাপ কমায়।
এভাবে ফিজিওথেরাপি প্রত্যক্ষভাবে মাথাব্যথা ও তার কারণ হ্রাসে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
রেফারেন্সঃ
- https://www.drshehadi.com/4-common-types-of-headaches-symptoms-duration/
- https://www.slideshare.net/headache
- https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/cluster-headache/symptoms-causes/
- https://headaches.org/resources/the-complete-headache-chart/
- https://my.clevelandclinic.org/health/diseases/9639-headaches/
- https://www.physio-pedia.com/Headache
- https://stanfordhealthcare.org/medical-conditions/brain-and-nerves/headache/
- https://www.healthx.ca/conditions-we-treat/headache-physiotherapy/
- পিঠে জ্বালাপোড়া করার কারণ - November 25, 2023
- পিঠে ব্যথা হওয়ার কারণ - November 23, 2023
- পিঠে ব্যথার অন্যতম কারণ অ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসঃ রোগের ধরণ এবং প্রতিকার - November 18, 2023