পিঠের রগে টান লাগলে করণীয়. ছোট বড় প্রায় সকল বয়সেই কম-বেশি পিঠের রগে টান লাগার মত সমস্যা হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে আমাদের পিঠের রগে টান লাগতে পারে। যেমন ধরুন পেশীতে ক্র্যাম্প, লিগামেন্ট স্প্রেইন, মাংসপেশীর স্ট্রেইন অথবা পিঠের অন্য যেকোনো রোগ কিংবা অসুবিধার জন্য সচরাচর পিঠের রগে টান লাগে।
পিঠের রগে টান লাগলে করণীয়
উল্লেখিত যে কারণেই পিঠের রোগে টান লাগুক না কেন যখন এটা হয় তখন সেখানে তীব্র ব্যথা হতে পারে এবং এমনও হতে পারে আপনাকে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার দেখানো জরুরী হয়ে পড়ে। এই আর্টিকেল এ পিঠের রগে টান লাগার কারণগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব এবং পিঠের রগে টান লাগলে কি করা উচিত এবং কি করা উচিত নয় সে সম্পর্কে জানব।
পিঠের গঠন
মানুষের পিঠের অংশটি ঘাড়ের শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে কোমরের আগ পর্যন্ত সমাদৃত। এটি ১২টি কশেরুকা এবং পাঁজরের হার দিয়ে সাজানো থাকে। মেরুদন্ড এবং পাঁজরের হার মিলে যে আকৃতি গঠন হয় এটিকে বক্ষপিঞ্জর বলা হয়। আমাদের হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস বক্ষপিঞ্জর দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। কশেরুকাগুলো একে অপরের সাথে ছোট ছোট লিগামেন্ট বা তরুনস্থি এবং মাংসপেশী দ্বারা আবৃত থাকে। কশেরুকাগুলোর মাঝে ইন্টারভারটিব্রাল ডিস্ক থাকে। রগে টান লাগা বলতে এই ছোট ছোট তরুণস্থি বা লিগামেন্ট এবং মাংসপেশিগুলোতে টান লাগা বোঝায়।
পিঠের মাসল ক্র্যাম্প অথবা মাংসপেশিতে খিল ধরা
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যেদিন আমাদের একটু বেশি পরিশ্রম হয়, দৌড়াদৌড়ি বা খেলাধুলা বেশি হওয়ার পাশাপাশি পানি একটু কম খাওয়া হয় এরপর আমরা যখন বিশ্রাম নেই বা শুয়ে থাকি তখন হঠাৎ করেই দেখা যায় আমাদের হাঁটুর নিচের পেশীতে খিল ধরে ওঠে এবং পেশীটি শক্ত হয়ে যায়,একই সাথে অসহনীয় ব্যথা হয়। এটিই মাসেল ক্র্যাম্প বা পেশীতে খিল ধরা নামে পরিচিত।
হঠাৎ করে যদি আপনার শরীরের মাংসপেশি অনিয়ন্ত্রিতভাবে শক্ত হয়ে যায় তীব্র ব্যথা হয়, টাইট হয়ে যায়, এবং এই অবস্থা কিছু সময় ধরে থাকে পরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় এটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মাসল ক্র্যাম্প বলা হয়। শরীরের ছোট বড় যে কোন মাংসপেশীতেই মাসলক্র্যাম্প হতে পারে। একইভাবে আমাদের পিঠের পেশীগুলোতে ও ক্র্যাম্প করতে পারে। পিঠের লগে খিল ধরার পরবর্তীতে পেশী শিথিল হয়ে গেলেও ব্যথাটি বেশ কিছু সময় স্থায়ী হয়। সারাক্ষণই পিঠে রগে টান লাগার মত একটি জমাট বাধা ব্যথা অনুভব হয়।
আরও পড়ুনঃ পিঠে ব্যথা হলে করণীয় । মুহূর্তেই পিঠের ব্যথা কমানোর ৬ উপায়
পিঠের মাংসপেশিতে টান লাগার কারণ ও লক্ষণ
- গ্রীষ্মকালে আমরা যারা রোদে কাজ করি, যারা ভারী কাজকর্ম করি, প্রতিনিয়ত খেলাধুলা কিংবা শরীরচর্চা করি তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় শরীর প্রচন্ড ঘামে এবং শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। তখন যদি আমরা পর্যাপ্ত পানি পান না করি তাহলে মাসল ক্র্যাম্প করতে পারে।
- রক্তে পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম অথবা ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজ উপাদান এর অসামঞ্জস্যতা কিংবা ঘাটতি হলে পেশীতে খিল ধরতে পারে।
- পিঠের মাংসপেশী যদি অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে দুর্বল হয়ে যায় তাহলেও মাসল ক্র্যাম্পজনিত কারণে পিঠের রগে টান লাগতে পারে।
- মাংসপেশীতে যদি রক্ত চলাচল কমে যায় তাহলেও এ সমস্যাটি হতে পারে।
- পিঠের স্পাইনাল নার্ভে যদি চাপ লেগে থাকে তাহলেও পিঠের মাংসপেশিতে খিল ধরতে পারে কিংবা পিঠের রগে টান লাগতে পারে।
- আমাদের মধ্যে যারা ডায়াবেটিস, থাইরয়েড অথবা কিডনি সমস্যায় ভুগছি তাদের মাসল ক্র্যাম্প করার ঝুঁকি অনেক বেশি।
মাংসপেশীতে খিল ধরলে বা টান লাগলে প্রাথমিকভাবে প্রচন্ড ব্যথা হবে এবং চামড়ার নিচে পেশী শক্ত হয়ে দলা বেঁধে যাবে, পেশী ফুলে যেতে পারে যেটা আপনি হাত দিলেই ধরতে ও বুঝতে পারবেন।
পিঠের মাংসপেশিতে খিল ধরলে করণীয়
- তাৎখনিকভাবে যে কাজটি করতে গিয়ে রগের টান লেগেছে বা পেশিতে খিল ধরেছে সে কাজটি বন্ধ করে দিতে হবে।
- যে অংশের পেশীতে খিল ধরেছে এই অংশে খুবই আলতোভাবে ম্যাসাজ কিংবা স্ট্রেচিং করতে পারেন।
- শক্ত হয়ে যাওয়া পেশীটিকে শিথিল করার জন্য গরম সেক দিতে পারেন, এছাড়াও যদি পেশীটি ফুলে যায় তাহলে ঠাণ্ডা সেক দিলে আরামবোধ করবেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। আমরা যারা খেলাধুলার সাথে জড়িত তারা স্যালাইন কিংবা ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক পান করতে পারি। এ ধরনের পানীয়গুলো আমাদের শরীরে খনিজ উপাদান গুলোর ভারসাম্য ধরে রাখে।
আরও পড়ুনঃ পিঠে ব্যথার ব্যায়াম
মাসল ক্র্যাম্পিং প্রতিরোধ করার উপায়
- নিয়মিতভাবে স্ট্রেচিং ব্যায়াম করা উচিত বিশেষ করে যে সকল মাংস পেশীতে ক্র্যাম্পিং বেশি হয়ে থাকে। পিঠের রগে টান লাগার ক্ষেত্রে ব্যাক স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ গুলো করা যেতে পারে।
- শরীর চর্চা বা খেলাধুলা করার আগে এবং পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম এর মত খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন রঙিন ফলমূল এবং সবুজ শাকসবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
- একসাথে শরীরকে চাপ দিয়ে অতিরিক্ত ব্যায়াম করা পরিহার করতে হবে এবং ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রা বাড়াতে হবে। একইসাথে আমরা যারা ভারী কাজকর্ম করি তাদের সতর্কতার সহিত কাজকর্ম করতে হবে।
- অতিরিক্ত শক্ত জুতা পরিহার করে কোমল এবং আরামদায়ক জুতা পরা উচিত।
- আমরা যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করি তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করা উচিত যে এ সকল ওষুধ সেবনে ক্র্যাম্পিং জনিত কোন অসুবিধা হতে পারে কিনা।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
স্প্রেইন ও স্ট্রেইন জনিত কারণে পিঠের রগে টান লাগা
স্প্রেইনঃ যে লিগামেন্ট গুলো দিয়ে দুইটি হাড় একত্রে আবদ্ধ থাকে সেই লিগামেন্টে বা রগে টান লাগলে তাকে স্প্রেইন বলা হয়। পিঠের মেরুদন্ডের ছোট ছোট জয়েন্ট গুলিতেও লিগামেন্ট থাকে। যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক অথবা দ্রুত গতির নড়াচড়ার ফলে এই লিগামেন্ট গুলিতে টান লাগতে পারে। লিগামেন্ট বা রগে টান লাগলে এটি পুরোপুরি ছিড়ে যেতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে আংশিক ছিড়ে যায়।
স্ট্রেইনঃ যদি মাংসপেশী কিংবা টেন্ডনে টান লাগে তাহলে সেটিকে স্ট্রেইন বলা হয়। স্ট্রেইন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেশীর যেই অংশটুকু হারের সাথে লাগানো থাকে অর্থাৎ মাস্কুলোটেন্ডিনাস জাংশনে হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ পিঠে জ্বালাপোড়া করার কারণ
পিঠের লিগামেন্ট বা রগে টান লাগার কারণ
স্প্রেইনজনিত কারণ
- হঠাৎ করে পড়ে গেলে, জয়েন্টে মোচড় লাগলে অথবা জোরে আঘাত লাগলে লিগামেন্টের স্প্রেইন হতে পারে।
- উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, দৌড়ানো, ফুটবল ইত্যাদি যে সকল খেলাধুলায় বিভিন্ন জয়েন্টের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে সে সকল ক্ষেত্রে লিগামেন্টে টান লেগে রগ ছিড়ে যেতে পারে।
- স্ট্রেচিং ব্যায়াম করার সময় মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়লে
- পুরনো কোন আঘাত বা অন্য যেকোনো কারণে যদি মাংসপেশী দুর্বল থাকে তাহলেও লিগামেন্ট স্প্রেইন হতে পারে।
স্ট্রেইনজনিত কারণ
- হুট করে ভারী বস্তু তুলতে গেলে
- দীর্ঘদিন ধরে একই কাজ করলে, অর্থাৎ একই পেশীর অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে সেই পেশীতে স্ট্রেইন হতে পারে।
- মাংসপেশি অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে গেলে এটি লোড নিতে পারে না এবং পেশীতে টান পড়ে।
- ওয়ার্ম আপ ছাড়াই খেলাধূলায় অংশগ্রহণ করলে
স্প্রেইন ও স্ট্রেইন জনিত কারণে পিঠের রগে টান লাগার লক্ষণসমূহ
স্প্রেইন ও স্ট্রেইনজনিত রগে টান লাগার লক্ষণসমূহ প্রায় একই রকম। সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো
- স্প্রেইন বা স্ট্রেইন হওয়ার সাথে সাথেই প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং নড়াচড়ায় ব্যথা বেড়ে যায়
- আক্রান্ত স্থানটি দ্রুত ফুলে যায়
- আক্রান্ত স্থানটি নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়
আরও পড়ুনঃ পিঠে ব্যথা হওয়ার কারণ
পিঠের রগে টান লাগলে করণীয়
পিঠের রগে টান লাগলে সেটা স্প্রেইন জনিত হোক অথবা স্ট্রেইনজনিত হোক উভয় ক্ষেত্রেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাপনা প্রায় একই রকম। চলুন জেনে নেই পিঠের রগে টান লাগলে করণীয়ঃ
- প্রথমত আমাদের হাতে, পায়ে কিংবা পিঠের যেই অংশের রগে টান লেগেছে সেই অংশকে ব্যবহার করা কমিয়ে দিতে হবে অর্থাৎ বিশ্রাম নিতে হবে।
- আক্রান্ত স্থানে প্রতি দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে বরফ দিতে হবে এতে করে ফুলে যাওয়া ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
- আক্রান্ত স্থানে সাপোর্টের জন্য প্রাথমিকভাবে ক্রেপ ব্যান্ডেজ প্যাচানো যেতে পারে। পিঠের রগে টান লাগার ক্ষেত্রে ব্যাক ব্রেইস ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়।
- পিঠের যে অংশের রগে টান লেগেছে তার বিপরীত পাশে ভর দিয়ে শোয়া।
- কিছু খুবই সাধারণ ব্যথার ওষুধ খাওয়া যেতে পারে যেই ধরনের ব্যথার ওষুধ কোন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সেবন করা যায় যেমন ন্যাপ্রোক্সেন, আইবুপ্রোফেন ইত্যাদি। এদেরকে ওটিসি মেডিসিনও বলা হয়।
- রগে টান লাগার মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের সরণাপন্ন হতে হবে। কারণ গুরুতর আঘাতের কারণে রগে টান লাগলে অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হতে পারে।
পিঠের রগে টান লাগলে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
পিঠে ব্যথা হলে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন ধরনের স্পেশালাইজড টেকনিক প্রয়োগ করেন। যার মাধ্যমে আক্রান্ত স্থানের ব্যাথা কমে, হিলিং প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
বিশ্রাম নেয়া এবং বরফ দেয়াঃ পিঠের রগে টান লাগার সঙ্গে সঙ্গেই কাজে বিরতি দিয়ে বিশ্রাম নেয়া উত্তম এবং প্রথম ২-৩ দিন কিছুক্ষণ পর পর আক্রান্ত স্থানে বরফ দিতে হবে। বরফ আক্রান্ত স্থানের প্রদাহ ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
গরম সেকঃ আক্রান্ত স্থানের ফুলে থাকা ভাব কমে গেলে গরম সেক দেয়া যেতে পারে। গরম সেক আক্রান্ত স্থানে রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং অতিরিক্ত টাইট পেশীগুলোকে নমনীয় করে তোলে।
স্ট্রেচিং এক্সারসাইজঃ রগে টান লাগার সাথে সাথেই যে কাঁচা ব্যথাটি হয় সেটি কমে গেলে আপনাকে ফিজিওথেরাপী চিকিৎসক খুবই আলতোভাবে কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করাতে পারেন।এতে করে আপনার রেঞ্জ এবং নমনীয়তা উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।
শক্তি বর্ধক এক্সারসাইজঃ আক্রান্ত স্থানটিকে কাজের উপযোগী করে তোলার জন্য পিঠের এবং কোর মাসেল এর শক্তিবর্ধক এক্সারসাইজ করানো হয়। এই এক্সারসাইজ গুলো পিঠ কে স্থিতিশীলতা দান করে এবং ভবিষ্যতে আঘাত লাগা থেকে রক্ষা করে।
ম্যানুয়াল থেরাপিঃ একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপী চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের ম্যানুয়াল বা এক্সারসাইজিং থেরাপির মাধ্যমে আপনার পিঠের রগে টান লাগার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সফট টিস্যু ম্যানিপুলেশন, মোবিলাইজেশন, একটিভেশন, স্ট্রেচিং। চিকিৎসক প্রথমত আপনার রোগের লক্ষণ অনুযায়ী ফিজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার রোগ সনাক্ত করেন এবং সেই প্রেক্ষিতে একটি সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন। পিঠের রগে টান লাগার ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়ার পরও যদি না কমে তাহলে দেরি না করে সরাসরি একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে দেখাতে পারেন।
বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় সব জায়গাতেই এক্সারসাইজিং থেরাপী চিকিৎসা এখন হাতের নাগালে। তবে আমার জানামতে ভালমানের সেবা পেতে আপনারা অগ্রণী স্পেশালাইজড ম্যানিপুলেশন থেরাপী সেন্টারে (ASPC) যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে এক্সপার্ট চিকিৎকগণ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ম্যানুয়ালথেরাপী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
যোগাযোগের ঠিকানাঃ ASPC ম্যানুপুলেশন থেরাপি, ইউ-64, নুরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-1207। মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দক্ষিন পাশে, সিঙ্গার শো-রুম এর উপরে।
আরও পড়ুনঃ পিঠে ব্যথার অন্যতম কারণ অ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসঃ রোগের ধরণ এবং প্রতিকার
পিঠের রগে টান লাগা প্রতিরোধের উপায়
- ব্যথার তীব্রতা কমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ধীরে ধীরে কাজে ফিরে যেতে হবে।
- খেলাধুলার আগে ওয়ার্ম আপ করতে হবে
- খেলাধুলা করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে চলতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এবং ভারী কাজকর্ম বা বস্তু তোলার সময় মেরুদন্ড সোজা রেখে তুলতে হবে।
- আমরা যারা দীর্ঘ সময় বসে কাজ করই তাদের মেরুদন্ড সোজা রেখে বসতে হবে।
উপসংহার
পিঠ কিংবা শরীরের যে কোন অংশের রগে টান লাগলে আমাদের অবশ্যই সেটিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। পিঠের রগে টান লাগলে আমরা যদি অবহেলা করি এবং চিকিৎসা না নিয়ে বসে থাকি হলে তাহলে দেখা যাবে ব্যথাটি স্থায়িত্বতা লাভ করতে পারে এবং ব্যথার জন্য নাড়াচড়া কষ্টকর হয়ে যায়। লিগামেন্ট বা টেন্ডন যদি সম্পূর্ণ রূপে ছিড়ে যায় তখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এটি জোড়া লাগানো জরুরী হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে যদি অপারেশন না করা হয় তাহলে আক্রান্ত স্থানটির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এমনকি এটি সারাজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সমস্যা ছোট হোক কিংবা বড় আমরা অবশ্যই এটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখব এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিবো।
তথ্যসূত্র
- Garrett Jr, W.E., 1996. Muscle strain injuries. The American journal of sports medicine, 24(6_suppl), pp.S2-S8. https://journals.sagepub.com/doi/abs/10.1177/036354659602406S02
- Garrison, S.R., Korownyk, C.S., Kolber, M.R., Allan, G.M., Musini, V.M., Sekhon, R.K. and Dugré, N., 2020. Magnesium for skeletal muscle cramps. Cochrane Database of Systematic Reviews, (9). https://www.cochranelibrary.com/cdsr/doi/10.1002/14651858.CD009402.pub3/abstract
- Järvinen, T.A., Järvinen, T.L., Kääriäinen, M., Kalimo, H. and Järvinen, M., 2005. Muscle injuries: biology and treatment. The American journal of sports medicine, 33(5), pp.745-764. https://journals.sagepub.com/doi/abs/10.1177/0363546505274714
- Kibler, W.B. and Safran, M.R., 2000. Musculoskeletal injuries in the young tennis player. Clinics in sports medicine, 19(4), pp.781-792. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0278591905702374
- Minetto, M.A., Holobar, A., Botter, A. and Farina, D., 2013. Origin and development of muscle cramps. Exercise and Sport Sciences Reviews, 41(1), pp.3-10. https://journals.lww.com/acsm-essr/fulltext/2013/01000/origin_and_Develop_of_muscle_cramps.3.aspx
- Willard, F.H., Vleeming, A., Schuenke, M.D., Danneels, L. and Schleip, R., 2012. The thoracolumbar fascia: anatomy, function and clinical considerations. Journal of anatomy, 221(6), pp.507-536. https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1111/j.1469-7580.2012.01511.x
- সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস কি স্থায়ীভাবে নিরাময় করা যায় - August 1, 2024
- স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি কী এবং সহজ সমাধান - June 13, 2024
- Sports Physical Therapy - May 9, 2024