মানবদেহ পরিচালনার জন্য অনেকগুলো তন্ত্রের মধ্যে স্নায়ুতন্ত্র অন্যতম। আর এই স্নায়ুতন্ত্র দুইটি ভাগে ভাগ হয়ে আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে, যথাক্রমে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র) এবং পেরিফেরালস নার্ভাস সিস্টেম (প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র)। মূলত মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ট এর বাইরে অবস্থিত সমস্ত স্নায়ুই পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমের অংশ।

এর মূল কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম অর্থাৎ মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের যোগাযোগ স্থাপন করা এবং মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত উদ্দীপনা শরীরের ছড়িয়ে দেওয়া। বিভিন্ন কারণে এই নার্ভাস সিস্টেম (স্নায়ুতন্ত্র)  ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।আর নার্ভাস সিস্টেমে যেকোনো সমস্যাকে নিউরোপ্যাথি বলে।

নিউরোপ্যাথি কি

নিউরোপ্যাতথি হলো এক বা একাধিক স্নায়ুর ক্ষতি বা কর্মহীনতা যার ফলে হাত পায়ে অসাড়তা, ঝিঁ ঝিঁ, মাংসপেশী দুর্বলতা এবং ব্যথা অনুভব হয়। সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে নিউরোপ্যাথি গুলি আমাদের হাত ও পায়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় এবং পরবর্তীতে শরীরে অন্যান্য অংশে এর প্রভাব প্রতিফলিত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে নিউরোপ্যাথি কে অনেক সময় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি নামেও অভিহিত করে থাকে সেক্ষেত্রে পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম আক্রান্ত হয়।

নিউরোপ্যাথিক কত প্রকার ও কি কি

নিউরোপ্যাথিক কত প্রকার ও কি কি

সাধারণত নিউরোপ্যাথি একটি নির্দিষ্ট প্যাটানে শরীরের সমস্ত স্নায়ুকে প্রবাহিত করতে পারে এবং একই সাথে একাধিক ধরনের নিউরোপ্যাথি হতে পারে।

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথ: পেরিফেরার নিউরোপ্যাথিতে শরীরের পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম অর্থাৎ ওই সকল স্নায়ু যারা আমাদের হাত পায়ের নড়াচড়া এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে তার আক্রান্ত হয়। এই ধরনের নিউরোপ্যাথিক এ “স্টকিং গ্লোভ”প্যাটার্ন হিসেবে অভিহিত করা হয় কারণ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনা হাত ও পায়ের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে শরীরের উভয় পাশেপাশের সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারে।

অটোনমিক নিউরোপ্যাথি: অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম আমাদের দেহের অন্ত্রের গতিবিধি হৃদস্পন্দন, হৃদপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণ, প্রস্রাব পায়খানার এবং রক্তা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।অটোনমিক নিউরোপ্যাথি ক্ষেত্রে এই অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম (অনৈচ্ছিক স্নায়ুগুলি) আক্রান্ত হয়ে থাকে। সাধারণত গুরুতর ডায়াবেটিক্স, কিডনি ফেইলর এবং ক্যান্সারের ফলে অটোনমিক নিউরোপ্যাথি হয়ে থাকে।

প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি: প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথিতে ধড়ের কাছাকাছি অঙ্গগুলির স্নায়ু সমূহ আক্রান্ত হয়। যেমন- উপরের বাহু কাঁধ  এবং উরুস স্নায়ুগুলি। এটি সাধারণত অন্যান্য নিউরোপ্যাথি তুলনায় খুব কম সংখ্যক নিউরোপ্যাথি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত প্রক্সিমাল নিউরোপ্যাথি একক ভাবে অথবা পেরিফেরার নিউরোপ্যাথির সাথে রোগীর শরীরে বিদ্যমান থাকতে পারে। এই ধরনের নিউরোপ্যাথি সাধারণত শরীরের উভয়দিকে সমানভাবে প্রভাবিত করে না। বিভিন্ন কারণে এই প্রক্সিমেল নিউরোপ্যাথি হতে পারে, তার মধ্যে ক্যান্সার, এবং প্রদাহজনিত রোগ যেমন গুইলেন-বারে সিনড্রোম (একুইট ডিমাইলিনেটিং পলিনিউরোপ্যাথি) এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ডিমাইলিনেটিং পলিনিউরোপ্যাথি।

ফোকাল নিউরোপ্যাথি:

ফোকাল নিউরোপ্যাথি এক ধরনের নিউরোপ্যাথি যেখানে সংকোচন ও প্রদাহের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্নায়ু আক্রান্ত হয়। সাধারণত এটি পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি এবং অটোনমটিক নিউরোপ্যাথির তুলনায় কম লক্ষ্য করা যায়। যেমন- কারপাল টানেল সিন্ড্রোম, উলনার নিউরোপ্যাথি, ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া এবং বেলস পালসি ।

যে সকল কারণে হতে পারে নিউরোপ্যাথি

যে সকল কারণে হতে পারে নিউরোপ্যাথি

নিউরোপ্যাথি কোনো একক রোগের কারণে হয় না। স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এমন অনেক অবস্থা এবং ঘটনা নিউরোপ্যাথির কারণ হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:-

ডায়াবেটিস: একটি গবেষণায় দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউরোপ্যাথি অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস। ৬০% থেকে ৭০% ডায়াবেটিকস রোগী নিউরোপ্যাথিতে ভোগেন। ডায়াবেটিসের ছোট ফাইবার নিউরোপ্যাথি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায় এবং এক্ষেত্রে হাত ও পায়ের ব্যথা ও জ্বালাপোড়া মতো অনুভূতি সৃষ্টি হয়।

আঘাত: পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া, গাড়ি দুর্ঘটনা, হাড় ভেঙে যায়, বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া, বারবার চাপের কারণে স্নায়ু সংকোচন বাস নাইও সঞ্চালিত স্থানে সংকুচিত হওয়া ইউরোপ্যাথির অন্যতম প্রধান কারণ।

অটোইমিউন ডিসঅর্ডার: জিবিএস, লোপাস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, সেজাগ্রেনের সিনড্রোম, এবং ক্রনিক ইনফ্ল্যামেটরি পলিনিউরোপ্যাথি ইত্যাদি অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের ফলে নিউরোপ্যাথি হতে পারে।

অনুজীব দ্বারা গঠিত সংক্রমণ রোগ: চিকেনপক্স, শিংলস, হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি), হারপিস, সিফিলিস, লাইম ডিজিজ, কুষ্ঠ, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, এপস্টাইন-বার ভাইরাস এবং হেপাটাইটিস সি ইত্যাদি অণুজীবের সংক্রমনের ফলে নিউরোপ্যাথি হতে পারে।

অন্যান্য স্বাস্থ্যের অবস্থা: নিউরোপ্যাথি কিডনি রোগ, লিভারের ব্যাধি, হাইপোথাইরয়েডিজম, টিউমার (ক্যান্সার-সৃষ্টিকারী বা সৌম্য) যা স্নায়ুর উপর চাপ দেয় বা তাদের স্থান আক্রমণ করে, মাইলোমা, লিম্ফোমা এবং মনোক্লোনাল গ্যামোপ্যাথির ফলে হতে পারে।

ওষুধ এবং বিষ: কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, কিছু অ্যান্টি-সিজার ওষুধ, কিছু এইচআইভি ওষুধ, ক্যান্সার কেমোথেরাপি এবং বিকিরণ সহ কিছু চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে পেরিফেরাল স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে।এছাড়াও বিষাক্ত পদার্থ যেমন সীসা এবং পারদ, শিল্প রাসায়নিক, রাসায়নিক দ্রবণ এবং রাসায়নিক গ্যাস ইত্যাদি আমাদের স্নায়ুর কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে যার ফলে নিউরোপ্যাথি হতে পারে।

ভাস্কুলার ডিসঅর্ডার: রক্তে পদাহ, রক্ত জমাট বা অন্যান্য রক্তনালী ব্যাধি দ্বারা হাত এবং পায়ের রক্ত প্রবাহ কমে গেলে বা ধীর হয়ে গেলে নিউরোপ্যাথি হতে পারে।

ভিটামিনের অভাব এবং মধ্যপান: শরীরে ভিটামিন ই, বি ১, বি ৩, বি ৬ এবং নায়সিন অভাবে নিউরোপ্যাথি হতে পারে। তাছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি মধ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং বেপরোয়া জীবন যাপনের ফলে নিউরোপ্যাথি হতে পারে।

বংশগত ব্যাধি: চারকোর্-মেরি-টুথ রোগ, বংশগত অ্যামাইলয়েডোসিস, ফ্যাব্রি ডিজিজ এবং মেটাক্রোমোটিক লেকোডিস্টোফিন ইত্যাদি বংশধর্থ্য ব্যাধির ফলে নিউরোপ্যাথি হতে পারে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিউরো প্রাচীর কোন কারণ জানা যায় নাই।

নিউরোপ্যাথিতে যে সকল লক্ষণ উপসর্গ দেখা দেয়:

  • হাত এবং পায়ে অসরতা এবং টিংলিং (পিন এবং সুইচ ফুড়ানো) অনুভূতি হওয়া।
  • তীক্ষ্ণ, জ্বলন্ত, ঝাঁকুনি, ছুরিকাঘাত বা বৈদ্যুতিক শখ লাগার মত ব্যথা অনুভব হয়।
  • রাতে তীব্র ব্যথা হওয়া, সংবেদন পরিবর্তন, অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা, চাপ, তাপমাত্রা এবং স্পর্শের অনুভব করার অক্ষমতা।
  • স্পর্শ চরম সংবেদনশীলতা অনুভব করা।
  • ভারসাম্য এবং সমন্বয়হীনতা।
  • পেশির দুর্বলতা, হাঁটাচলা এবং কাজ কর্মের হাত পা নাড়াতে অসুবিধা হওয়া।
  • মাংসপেশির খিঁচুনি এবং ক্র্যাম্প হওয়া।
  • শরীরে নির্দিষ্ট একটি অংশ নড়াচাড়া করতে অক্ষমতা।
  • নিম্ন রক্তচাপ, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, দাঁড়ানো বা হাঁটার সময় মাথা ঘুরানো, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
  • প্রস্রাব পায়খানার নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতা, খাদ্য পরিপাকের সমস্যা হওয়া, বমি বমি ভাব, ঘন ঘন ডায়রিয়া হওয়া এবং অনেক সময় কষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেওয়া।
  • অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস পাওয়া।
  • যৌন মিলনের সমস্যা হওয়া।

সাধারণত নিউরোপ্যাথির ক্ষেত্রে এই সকল উপসর্গগুলি লক্ষ্য করা যায়।

নিউরোপ্যাথি নির্ণয়ের যে সকল টেস্টর প্রয়োজন:

শারীরিক পরীক্ষা রোগের ইতিহাস: একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ গুলির উপর ভিত্তি করে এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা বিশেষ করে নিউরোলজিক্যাল পরীক্ষা যেমন- রিফ্লেক্স, মাংসপেশীর শক্তি, অনুভূতি, ভারসাম্য এবং রোগীর অবস্থানের সমন্বয় ইত্যাদির মাধ্যমে নিউরোপ্যাথি জনিত সমস্যা নির্ণয় করে থাকেন।

ল্যাবরেটরি টেস্ট: বিভিন্ন ধরনের রক্ত পরীক্ষা যেমন-রক্তে চিনির পরিমাণ, ভিটামিন বি এর অভাব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার পরীক্ষার মাধ্যমে নিউরোপ্যাথি নির্ণয় করা যায়।

ইমেজিং টেস্ট: সিটি স্ক্যান এবং ম্যাগনেটিক রিজনান্স ইমেজ (এম আর আই) সাহায্যে নিউরোপ্যাথি নির্ণয় করা যায়।

ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি টেস্ট: নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি ও ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফির মাধ্যমে মাংসপেশির এবং নার্ভের তড়িৎ কার্যক্ষমতা নির্ণয় করা হয়। সাধারণত এই দুইটি পরীক্ষার মাধ্যমে মাংসপেশি এবং নার্ভের কোন সমস্যা, সুনির্দিষ্ট অবস্থার নির্ণয় করা যায়।

নিউরোপ্যাথির চিকিৎসা পদ্ধতি:

নিউরোপ্যাথির চিকিৎসা পদ্ধতি:

নিউরোপ্যাথি চিকিৎসার ক্ষেত্রে দ্রুত রোগ নির্ণয়, এর কারণ সমূহ উপর বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিউরোপ্যাথি রোগীকে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

ঔষধ: একজন অভিজ্ঞ নিউরোলজিস্ট এর পরামর্শে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যথা নাশক ওষুধ, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিসিজার, প্রিগাবালিন এবং লিডোক্রাইন এর মত ওষুধ নিউরোপ্যাথি চিকিৎসায় অধিক ব্যবহৃত হয়।

ফিজিওথেরাপ: নিউরোপ্যাথিক চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি। একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দুর্বলতা নির্ণয় করে থাকেন এবং একই সাথে দুর্বল মাংসপেশীর শক্তি বৃদ্ধি, ভারসাম্য এবং গতির পরিধি বাড়ানো, ব্যথা নিরাময় এবং দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ কর্মের ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন।

অকুপেশনাল থেরাপি: অকুপেশনাল থেরাপি দৈনন্দিনকাজের দক্ষতাগুলি আবার নতুন কর শিখতে সাহায্য করে। যেমন পোশাক পড়া, চলাফেরা করা, খাবার খাওয়া, ব্রাশ করা এবং টয়লেট ব্যবহার করা ইত্যাদি।

অস্ত্র পাচার: যদি রোগীর চাপ জনিত নিউরোপ্যাথি থাকে যেমন- টিউমার, ক্যান্সার, ইনফেকশন এবং তীব্র ডিক্স হার্নিয়েসন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে নার্ভের উপর চাপ কমানো সম্ভব।

সুষম খাদ্য: নিউর-পাঁচের রোগীর ক্ষেত্রে সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন শাকসবজি ও ফলমূল রাখা বাঞ্ছনীয়।

নিউরোপ্যাথি যেভাবে প্রতিরোধ করা যায়:

  • ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ রাখা।
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ।
  • শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমানো।
  • ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা।

তথ্যসূত্রঃ

https://my.clevelandclinic.org/health/diseases/14737neuropathy#:~:text=Neuropathy%20is%20damage%20or%20dysfunction,body%20can%20be%20affected%20too.

https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/peripheral neuropathy/symptoms-causes/syc-20352061

https://www.nhs.uk/conditions/peripheral-neuropathy/

https://www.ninds.nih.gov/peripheral-neuropathy-fact-sheet

https://www.medicalnewstoday.com/articles/147963

https://www.quicklyseek.com/web?q=neuropathy%20treatment&o=1563789&rch=intl13&gclid=Cj0KCQjw1bqZBhDXARIsANTjCPLYTDEvFyl8U

https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3329218/

https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC1122393/

https://jamanetwork.com/journals/jama/fullarticle/185714

https://link.springer.com/article/10.1007/s11940-019-0552-7

Follow me

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This field is required.

This field is required.

পরামর্শ নিতে 01975451525