বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা. মানুষের জীবনের কিছু কিছু সত্য আছে যা তাকে মোকাবেলা করতেই হবে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে এজিং বা বার্ধক্য। জীবনে এমন এক সময় আসে যখন নিজের একাকীত্ব শুধু্ একার। নিজের অসুস্থতা শুধু নিজের।

ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা

তারপরও মানুষ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবে। কোমর ব্যথা বিভিন্ন কারণ ও তার প্রতিকার. তাই সবার জেনে রাখা ভাল যে, বার্ধক্য জনিত কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে-

  • সাধারণ দুর্বলতা
  • চোখের দৃষ্টি কমে যাবে
  • কানে কম শুনতে পারে
  • হৃদপিন্ড ও ফুসফুসের কাজের গতি কমে যেতে পারে
  • ত্বক বা চামড়া কুঁচকিয়ে বা শুকিয়ে যাবে
  • শরীরের মাংসপেশী শক্ত ও দুর্বল হবে
  • জয়েন্ট বা জোড়গুলো স্বাভাবিকের চেয়ে নমনীয়তা কমে শক্ত হবে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিবে
  • কোমর, হাঁটু ও বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা হতে পারে
  • শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে
  • বিভিন্ন কাজে গতি কমে যাবে
  • সাধারণ ভারসাম্যতা বা ব্যালেন্স কমতি দেখা দিবে
  • সব মিলিয়ে বার্ধক্য জনিত সমস্যায় মানুষের জীবন অনেকটা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ফিজিওথেরাপির উদ্দেশ্য

  • কার্ডিওভাসকুলার ও কার্ডিও রেসপিরেটরী ফংশনের গতি ত্বরানিত করা
  • হাত ও পা সহ শরীরের মাংসপেশীকে স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজের মাধ্যমে শক্তিশালী করা
  • শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টকে ফ্লেক্সিবল করা যাতে জয়েন্টগুলো সহজেই নাড়াচাড়া করা যায়
  • ব্যথা নিরাময় করা
  • শরীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করানো
  • ব্যালেন্স বা ভারসাম্য প্রশিক্ষণ দেয়া
  • সার্বিকভাবে রোগীকে মানসিকভাবে সহযোগিতা করা

বার্ধক্য সবার জীবনে আসবে এ কথা সত্য, তাই সবাইকে পূর্ব থেকে সতর্ক থাকা ‍উচিত যাতে সেই সমস্যাগুলোকে অল্প হলে লাঘব করা। যতটুকু সম্ভব কম বয়সেই নিজেকে সুস্থ রাখেন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ওজন কমিয়ে রাখুন, হিসাব করে খাবার খাওয়া সহ শরীরের যত্ন নিন। পরিষ্কার –পরিচ্ছন্নতা ঈমানে অঙ্গ, যা শরীরকে সুন্দর ও সুখময় করে। মনে রাখবেন, সুস্থ জীবন, রোগমুক্ত জীবন বয়ে আনবে আপনার ও সমাজের সকলের শান্তি।

আরও পড়ুন  হাঁটু ব্যথা কমানোর উপায় | সহজ ও কার্যকরী পরামর্শ

বার্ধক্যে কি খাবেন

  • অবশ্যই খাবারের প্রতি খেয়াল রাখবেন। অল্প খাবারের যাতে বেশি কাজ হয় সে খাবারই খাওয়া ‍উচিত।
  • আঁশ জাতীয় খাবার যেমন ঢেঁড়শ, ডাঁটা বেশি খাবেন।
  • তরল খাবার প্রত্যহ খাবেন যাতে প্রতিদিন পায়খানা প্রস্রাব ভালভাবে হয়।
  • দুধ, ডিম (হলুদ অংশ ছাড়া) খেতে পারেন।
  • ছোট মাছ এই বয়সে বেশি উপকারী।
  • খাবার পরিমাণ মত হওয়াই ভাল।
  • কার্বোহাইড্রট জাতীয় খাবার কম খাবেন।
  • শুকনা খাবার কম খাবেন যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য কম হয়।

তথ্যসূত্র

Seguin, R. and Nelson, M.E., 2003. The benefits of strength training for older adults. American journal of preventive medicine, 25(3), pp.141-149. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0749379703001776

World Health Organization; Ageing

Follow me
পরামর্শ নিতে 01877733322