যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। যদি সম্ভব না হয়( কারণ ব্যথার তীব্রতা বেশি থাকে) তবে সাথে সাথে বিশ্রাম নিতে হবে এবং যেভাবে ব্যথা কম থাকে সেভাবে বিশ্রাম নিতে হবে। পরবর্তী দিন থেকে ব্যায়াম করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
তোয়ালে দিয়ে রোল করে কোমরের চারপাশে গোল করে বেঁধে নিতে হবে এবং এটি বিছানার বিশ্রামের সময় ব্যবহার করতে হবে।
নিচে দেখানো ব্যায়াম নং ১,২ ও ৩ যথানিয়মে ২ ঘন্টা পরপর ১০ বার করতে হবে।
যদি ব্যথা একদিকে থাকে এবং না করে তাহলে ব্যথা দিকের গিয়ে ( দেহটা কলার মত হবে) ব্যায়াম নং-২ ও ৩ যথা নিয়মে করতে থাকুন। যতটুকু সম্ভব বিশ্রামে থাকুন এবং কোমরের সাপোট যাতে যথেষ্ট থাকে।
কখনোই আঘাতের পরে ৩-৪ বার দিন সামনে ঝুঁকবেন না।
সব সময় সঠিক ভাবে বসে এবং লাম্বার রোল ব্যবহার করুন। এই অবস্থায় ব্যথার প্রচন্ডতা ( কেমিক্যাল ব্যথা) কাটিয়ে উঠতে ওষুধ খেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্যাথা হলে কয় দিন বিশ্রাম নিবেন:
যখন শুরু হয় তখন থেকে দুই থেকে তিন দিন পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে পারেন। দীর্ঘসময়ের যদি আপনি বিশ্রামে থাকেন তাহলে আপনার পেছনের মাংসপেশি এ্যডহিশন বা জমে যেতে পারে।
এতে যে অসুবিধাটা হবে সেটা হল ব্যথা কমার পরেও আপনার কোমর যেকোনো একদিকে বা দুই দিকে নাড়ানোর সময় ব্যথা অনুভব করবেন এবং কোমর জাম জাম লাগবে। আর যদি স্বাভাবিক বিশ্রাম নেন তাহলে এরকম হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, কিছু লোক ২-৩ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থেকে চিকিৎসা নিয়েছে আবার কিছু লোক ৭-১০ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। দুই দলের মধ্যে যারা ২-৩ দিন বিশ্রামে ছিল তারাই বেশি ফল পেয়েছে। তবে অবশ্যই এমন কাজ করা যাবে না যাতে ব্যথা সমস্যা বাড়তে পারে এবং ব্যথা বেশি অনুভব হয়।
যে কারণে ব্যথা হয়েছে সেগুলো অবশ্যই করা যাবে না। বিশ্রামের সময় বা পরে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। তবে দীর্ঘ সময় যেমন ১-২ মাস বিশ্রামে থাকা অবশ্যই উচিত। তারমানে ভারী কাজ করা যাবে না।