নিচের অংশে কোমরের নিচের দিকে ব্যথা একটি খুব সাধারণ শারীরিক সমস্যা, যা কোমর, নিতম্ব, পা এবং পেলভিক অংশে ব্যথা বা অস্বস্তির মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই ব্যথা শুধুমাত্র কোমরেই সীমাবদ্ধ থাকে না—অনেক সময় এটি নিচের দিকে পায়ে বা পেলভিক অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। কারো ক্ষেত্রে এটি হঠাৎ শুরু হতে পারে (তীব্র ব্যথা), আবার কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হয়ে থাকতে পারে (দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা)। এর তীব্রতা ও প্রকৃতি ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হয় এবং এটি অনেক সময় আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম, চলাফেরা এবং জীবনের মানকে ব্যাপকভাবে ব্যাহত করে।

কোমরের নিচে ব্যথার কার্যকর চিকিৎসা করতে হলে এর আসল কারণ নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ব্যথার উৎস বিভিন্ন হতে পারে—যেমন সায়াটিকা, ডিস্ক স্লিপ, স্পন্ডিলোলিস্থেসিস, এমনকি কিডনির সমস্যাও কোমরে ব্যথা তৈরি করতে পারে। যদি প্রকৃত কারণ না জেনে শুধুমাত্র ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়, তাহলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি নার্ভে চাপ লেগে থাকে।

Hart, Deyo & Cherkin (1995) দেখিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া রোগীদের মধ্যে একটি বড় অংশই কোমরের নিচের দিকে ব্যথার কারণে যান। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক রোগ নির্ণয় না হওয়ায় অকার্যকর চিকিৎসা হয়, যা রোগীর দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা এবং চিকিৎসা খরচ উভয়ই বাড়িয়ে তোলে।

সুতরাং, কোমরের ব্যথার ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর ইতিহাস, এসেসমেন্ট এবং প্রয়োজনে এক্স-রে বা এমআরআই-এর মতো আধুনিক ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। এতে সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা করা সহজ হয় এবং রোগী অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসা থেকে বাঁচেন।

Table of Contents hide

মাস্কুলোস্কেলেটাল কারণ (Musculoskeletal Causes)

মাস্কুলোস্কেলেটাল কারণ
মাস্কুলোস্কেলেটাল কারণ

কোমরের নিচে ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে হাড়, পেশি, লিগামেন্ট, টেন্ডন এবং জয়েন্টে সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা। এসব সমস্যা শুধু কোমরে নয়, বরং নিতম্ব এবং পায়ের দিকেও ব্যথা ছড়িয়ে দিতে পারে।

কোমরের ব্যথা

. পেশির টান (Muscle Strain): যখন কোনো পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে বা হঠাৎ টান লাগে, তখন সেটি টান খেয়ে ব্যথা তৈরি করে। এটি সাধারণত ভুলভাবে ভারী কিছু তোলা, হঠাৎ মোচড় দেওয়া বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করার ফলে হয়ে থাকে। এতে কোমরের পেছনে তীব্র ব্যথা হয় এবং পেশি শক্ত হয়ে যায়(Deyo & Weinstein, 2001)।

. ডিস্ক থেকে জেল বেরিয়ে আসা (Herniated Disc): মেরুদণ্ডের হাড়ের মাঝে থাকা ডিস্ক যখন তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে গিয়ে স্নায়ুর ওপর চাপ দেয়, তখন কোমরের ব্যথা তৈরি হয় এবং তা পায়ের নিচ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। একে সায়াটিকা ব্যথাও বলা হয় (Ropper & Zafonte, 2015; Jordan et al., 2011)।

. স্পাইনাল স্টেনোসিস (Spinal Stenosis): বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক সময় মেরুদণ্ডের ছিদ্র সরু হয়ে যায়, ফলে স্নায়ুর ওপর চাপ লাগতে পারে এবং কোমর ও পায়ে ব্যথা, অবশভাব বা দুর্বলতা দেখা দেয়। হাঁটলে ব্যথা বেড়ে যায়, আর বসলে বা একটু ঝুঁকে দাঁড়ালে কমে যায় (Katz & Harris, 2008)।

নিতম্বের ব্যথা

. অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis): নিতম্বের জয়েন্টের কার্টিলেজ ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে গেলে ব্যথা শুরু হয়। এটি সাধারণত ধীরে ধীরে বাড়ে এবং হাঁটা বা দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা বেশি অনুভূত হয় (Murphy & Helmick, 2012)।

. বার্সাইটিস (Bursitis): জয়েন্টের চারপাশে থাকা তরল-ভরা ছোট থলি (বার্সা) যদি প্রদাহিত হয়, তাহলে তাতে ব্যথা হয়। এটি বিশেষ করে নিতম্বের বাইরের দিকে হয় এবং বেশি হাঁটা, দৌড়ানো বা সিঁড়ি উঠা-নামার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত (Lievense et al., 2005)।

পায়ের ব্যথা

. হাড় ভাঙা (Fracture): পায়ের হাড় যদি ভেঙে যায়, তখন তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব এবং হেঁটতে সমস্যা হয়। বয়স্কদের মধ্যে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার (অস্টিওপোরোসিস) কারণে এই সমস্যা বেশি দেখা যায় (Kanis et al., 2008)

. পেশি খিঁচ দেওয়া (Muscle Cramp): হঠাৎ করে পেশি শক্ত হয়ে গেলে তাতে তীব্র ব্যথা হয়, যাকে খিঁচুনি বলা হয়। এটি সাধারণত পানিশূন্যতা, লবণ-পানির ভারসাম্য হারানো বা অতিরিক্ত শারীরিক শ্রমের কারণে হয়ে থাকে।

স্নায়বিক কারণ (Neurological Causes)

কোমরের নিচে ব্যথা অনেক সময় নার্ভের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে। এই ব্যথা তখনই হয় যখন নার্ভে চাপ পড়ে, নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথবা নার্ভের রোগ দেখা দেয়। এতে কোমর, নিতম্ব কিংবা পায়ে ব্যথা, ঝিনঝিন বা দুর্বল অনুভব হতে পারে। নিচে দুটি প্রধান স্নায়বিক কারণ নিয়ে সহজ ভাষায় আলোচনা করা হলো: “সায়াটিকা” এবং “পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি”।

সায়াটিকা (Sciatica)

সায়াটিকা হল এমন এক রোগ, যেখানে কোমর থেকে শুরু হয়ে পায়ের পেছন দিয়ে নিচের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথার মূল কারণ হলো “সায়াটিক নার্ভে চাপ” পড়া, যেটি আমাদের শরীরের সবচেয়ে লম্বা নার্ভ এবং কোমরের নিচ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত বিস্তৃত।

সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো “ডিস্ক স্লিপ (হার্নিয়েটেড ডিস্ক)”, যেখানে মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরে গিয়ে নার্ভের ওপর চাপ দেয়। এছাড়াও মেরুদণ্ডের গঠনগত সমস্যা যেমন “স্পাইনাল স্টেনোসিস”, “স্পন্ডিলোলিস্থেসিস” এবং “পাইরিফর্মিস সিন্ড্রোম” থেকেও সায়াটিকার সমস্যা হতে পারে (Stafford et al., 2007)।

সাধারণ লক্ষণ

  • কোমর থেকে পায়ের পেছন দিকে ছড়ানো তীব্র ব্যথা
  • পায়ে অবশ বা ঝিনঝিন অনুভূতি
  • দাঁড়াতে বা হাঁটতে পেশি দুর্বলতা ও অসুবিধা

এই ব্যথা সাধারণত শরীরের এক পাশেই হয় এবং বসে থাকা বা অনেকক্ষণ হাঁটার পর বেড়ে যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে “অস্ত্রোপচার ছাড়াই” সায়াটিকার চিকিৎসা সম্ভব—যেমন ফিজিওথেরাপি, ব্যথার ওষুধ অথবা স্টেরয়েড ইনজেকশন। তবে যদি নার্ভে অতিরিক্ত চাপ পড়ে বা প্রস্রাব-পায়খানা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে (Chou et al., 2007)।

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি (Peripheral Neuropathy)

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি এমন একটি সমস্যা যেখানে হাত ও পায়ের নার্ভ (মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ড বাদে) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই নার্ভগুলো শরীরের অনুভূতি (যেমন স্পর্শ, ব্যথা) এবং মাংসপেশির নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে।

এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো “ডায়াবেটিস”, যেখানে রক্তে অতিরিক্ত শর্করার কারণে নার্ভ ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একে “ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি” বলা হয় (Callaghan et al., 2012)।

সাধারণ লক্ষণ

  • পায়ের আঙুল বা পায়ে অবশ ও অনুভূতির কমে যাওয়া
  • পুড়ে যাওয়া বা ছুরির আঘাতের মতো ব্যথা
  • হাঁটার সময় ভারসাম্য হারানো বা দুর্বলতা

এছাড়াও এই সমস্যার অন্য কিছু কারণ হলো:

  • ভাইরাসজনিত সংক্রমণ (যেমন: এইচআইভি, হেপাটাইটিস)
  • অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন বা কেমোথেরাপির ওষুধ
  • ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি বা অটোইমিউন রোগ

এই সমস্যাগুলো হাঁটা, জুতো পরা বা দৈনন্দিন কাজকর্মে বড় বাধা সৃষ্টি করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিক অবস্থায় যদি ঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে স্নায়ুর ক্ষতি অনেকটাই ঠেকানো যায়—বিশেষ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে (Vinik et al., 2013)।

ভাস্কুলার কারণ (Vascular Causes)

কোমরের নিচে বা পায়ের ব্যথা সবসময় হাড়-পেশির কারণে হয় না। অনেক সময় এটি “রক্তনালির সমস্যা” থেকেও হতে পারে, যাকে বলা হয় ভাস্কুলার কারণ। রক্ত জমাট বাঁধা বা রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে এমন ব্যথা হয়। এর ফলে পায়ে ব্যথা, ফোলা, জ্বালাভাব ও হাঁটার সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো: “ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (DVT)” এবং “পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (PAD)”।

ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (Deep Vein Thrombosis – DVT)

“ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস” হলে শরীরের গভীর শিরায়—বিশেষ করে “পায়ের ভিতরের শিরায়—রক্ত জমাট বাঁধে”। এর ফলে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এবং পায়ে ব্যথা, ফোলা ও লালচে ভাব দেখা দেয়। এই জমাট রক্ত যদি ভেঙে গিয়ে ফুসফুসে চলে যায়, তখন “পালমোনারি এমবোলিজম” হতে পারে, যা খুবই বিপজ্জনক (Kearon et al., 2016)।

সাধারণ কারণ

  • দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা (যেমন বিমান ভ্রমণ)
  • বড় ধরনের অস্ত্রোপচার
  • ক্যান্সার, গর্ভাবস্থা বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ব্যবহার

লক্ষণ

  • এক পায়ে হঠাৎ ফোলাভাব, বিশেষ করে পায়ের পেছনের অংশে
  • ব্যথা বা টান ধরার মতো অনুভূতি যা হাঁটলে বেড়ে যায়
  • ত্বকে লালচে বা নীলচে ভাব এবং গরম অনুভব

অনেক সময় DVT-এর কোনো লক্ষণই বোঝা যায় না, তাই এটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে “নিয়মিত হাঁটা”, “জলপান”, বা প্রয়োজনে “রক্ত পাতলাকারী ওষুধ” ব্যবহার করা প্রয়োজন।

পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ (Peripheral Artery Disease – PAD)

PAD এমন একটি সমস্যা যেখানে “পায়ের ধমনীগুলো সরু হয়ে যায়”, ফলে পেশিতে রক্ত ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে না। এই অবস্থার পেছনে মূল কারণ হলো “এথেরোস্ক্লেরোসিস”, যেখানে ধমনীর ভেতর চর্বি জমে রক্ত চলাচলে বাধা দেয়।

লক্ষণ

  • হাঁটার সময় “কাফ মাসেল, উরু বা নিতম্বে ব্যথা বা টান লাগা”, যা বিশ্রাম নিলে কমে যায় (Intermittent Claudication)
  • পায়ে ঠান্ডা অনুভব হওয়া বা ত্বকের রঙ ফ্যাকাসে হওয়া
  • পায়ের পালস দুর্বল বা অনুপস্থিত থাকা
  • গুরুতর ক্ষেত্রে, পায়ে ঘা বা পচন (গ্যাংগ্রিন) ধরা

ঝুঁকির কারণ

  • ধূমপান
  • ডায়াবেটিস
  • উচ্চ রক্তচাপ
  • উচ্চ কোলেস্টেরল

গবেষণায় দেখা গেছে, PAD শুধু পায়ের সমস্যার কারণই নয়, এটি “হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ায়”। ধূমপান বন্ধ করা, রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং “নিয়মিত ব্যায়াম” করার মাধ্যমে PAD অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব (Fowkes et al., 2013)। চিকিৎসার জন্য সাধারণত “অ্যান্টিপ্লেটলেট ওষুধ” ব্যবহার করা হয় এবং গুরুতর ক্ষেত্রে “অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা সার্জারি” প্রয়োজন হতে পারে।

অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যায় কোমরের নিচে ব্যথা

অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যায় কোমরের নিচে ব্যথা
অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যায় কোমরের নিচে ব্যথা

কখনও কখনও কোমরের নিচে ব্যথা হাড়, পেশি বা নার্ভের কারণে নয় “অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যার” কারণেও হয়ে থাকে। এসব সমস্যা সাধারণত “কিডনি, মূত্রতন্ত্র, প্রজনন অঙ্গ” বা “প্রোস্টেট”-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ধরণের ব্যথা সাধারণত কোমর, তলপেট বা পেলভিক অঞ্চলে অনুভূত হয় এবং প্রায়শই অন্য কিছু লক্ষণও একসঙ্গে দেখা যায়। নিচে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আলোচনা করা হলো: “কিডনি স্টোন”, “নারীদের গাইনোকোলজিকাল সমস্যা”, এবং “পুরুষদের প্রোস্টেট সমস্যা”।

কিডনি স্টোন (Kidney Stones)

“কিডনি স্টোন” হচ্ছে কিডনিতে বা মূত্রনালীতে খনিজ পদার্থ জমে ছোট ছোট পাথরের মতো তৈরি হওয়া। এই পাথরগুলো কিডনি থেকে যখন নীচে নামতে থাকে, তখন তীব্র ব্যথা হয়—বিশেষ করে কোমরের এক পাশে বা তলপেটে, এবং অনেক সময় পায়ে ছড়িয়ে পড়ে (Curhan, 2013)।

সাধারণ লক্ষণ

  • কোমর বা তলপেটে হঠাৎ তীব্র ব্যথা (রেনাল কলিক)
  • প্রস্রাবে রক্ত আসা বা জ্বালাপোড়া
  • বমি বমি ভাব, বমি এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ

“ছোট পাথর” সাধারণত পানি বেশি খাওয়ার মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু যদি পাথর বড় হয়, তাহলে “লিথোট্রিপসি (পাথর গুঁড়িয়ে ফেলা)” বা “অস্ত্রোপচার” করতে হতে পারে। নিয়মিত পানি পান ও খাবারে সতর্কতা এই সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক (Pearle et al., 2014)।

গাইনোকোলজিকাল সমস্যা (নারীদের ক্ষেত্রে)

১। ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cyst): ডিম্বাশয়ে তরল-ভরা থলি তৈরি হলে তাকে ওভারিয়ান সিস্ট বলা হয়। এগুলো সাধারণত নিজে থেকেই চলে যায়। তবে যদি সিস্ট বড় হয়ে যায় বা ফেটে যায়, তাহলে তলপেট ও কোমরে ব্যথা শুরু হয়।

লক্ষণ

  • অনিয়মিত মাসিক
  • পেলভিক ব্যথা বা অস্বস্তি
  • যৌনমিলনের সময় ব্যথা

এন্ডোমেট্রিওসিস (Endometriosis): এই অবস্থায় জরায়ুর আস্তরণের মতো টিস্যু জরায়ুর বাইরে বেড়ে যায়—যেমন ডিম্বাশয়ে বা পেলভিক অঞ্চলে। এটি মাসিক চলাকালীন সময়ে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে এবং অনেক সময় বন্ধ্যাত্বের কারণও হতে পারে (Bulun, 2009)।

লক্ষণ

  • তীব্র মাসিক ব্যথা
  • ক্লান্তি বা দুর্বলতা
  • যৌনমিলনে ব্যথা

চিকিৎসায় সাধারণত “হরমোন থেরাপি” বা “সার্জারি” করা হয়।

প্রোস্টেট সমস্যা (পুরুষদের ক্ষেত্রে)

প্রোস্টাটাইটিস (Prostatitis): প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ—যেটা জীবাণুর কারণে বা অজানা কারণে হতে পারে। এতে কোমর, তলপেট, বা অণ্ডকোষে ব্যথা হতে পারে।

লক্ষণ

  • প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
  • ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন
  • যৌন দুর্বলতা বা অস্বস্তি

“ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক”, আর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে “ব্যথা ব্যবস্থাপনা ও ফিজিওথেরাপি” দরকার হতে পারে।

BPH (Benign Prostatic Hyperplasia): বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যায়। তখন প্রস্রাবের পথ সংকুচিত হয়, ফলে প্রস্রাবে সমস্যা ও কোমরে অস্বস্তি হয় (Roehrborn, 2008)।

লক্ষণ

  • প্রস্রাবের গতি কমে যাওয়া
  • মাঝরাতে ঘন ঘন প্রস্রাব
  • প্রস্রাব শুরু করতে দেরি হওয়া

চিকিৎসায় “ওষুধ” ব্যবহৃত হয় (যেমন আলফা-ব্লকার) অথবা “অস্ত্রোপচার” করা হয়।

সংক্রমণজনিত কারণে কোমরের নিচে ব্যথা: সেলুলাইটিস ও অস্টিওমাইলাইটিস

সংক্রমণজনিত কারণে কোমরের নিচে ব্যথা সেলুলাইটিস ও অস্টিওমাইলাইটিস
সংক্রমণজনিত কারণে কোমরের নিচে ব্যথা সেলুলাইটিস ও অস্টিওমাইলাইটিস

সেলুলাইটিস এবং অস্টিওমাইলাইটিস — দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংক্রমণ যা কোমরের নিচে বা শরীরের যেকোনো অংশে ব্যথার কারণ হতে পারে।

  • সেলুলাইটিস হয় ত্বকের গভীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, যার ফলে লালচে ভাব, ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা দেখা দেয়।
  • অন্যদিকে, অস্টিওমাইলাইটিস হলো হাড়ে সংক্রমণ, যা আরও গভীর এবং জটিল; এতে হাড়ে ব্যথা, ফোলা ও জ্বর হতে পারে।

এই সংক্রমণগুলোর চিকিৎসা সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে শুরু করা হয়, এবং গুরুতর হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।

সেলুলাইটিস (Cellulitis)

সেলুলাইটিস হল একটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়াল ত্বক সংক্রমণ, যা ত্বকের গভীর স্তর এবং নিচের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত এটি ত্বকে কাটা-ছেঁড়া, ফাটল বা ছোট আঘাতের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে ঘটে।

📚 প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১.৪ কোটি মানুষ এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয় এবং এর চিকিৎসা খরচ কয়েক বিলিয়ন ডলার ছুঁয়ে যায়।

সাধারণ কারণ

  • স্ট্রেপ্টোকক্কাস পাইওজেনেস এবং স্ট্যাফাইলোকক্কাস অ্যারিয়াস
  • ত্বকের সমস্যা (যেমন: একজিমা, অ্যাথলেটস ফুট), ডায়াবেটিস, এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম

লক্ষণ

  • ত্বকে লালচে ভাব, ফোলা ও ব্যথা
  • সংক্রমিত স্থানে গরম ভাব
  • কখনও কখনও জ্বর, কাঁপুনি, ক্লান্তি
  • ফোসকা বা পুঁজভর্তি ফোড়া দেখা দিতে পারে

চিকিৎসা

  • অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন: পেনিসিলিন বা সেফালোস্পোরিন)
  • বিশ্রাম, সংক্রমিত অংশ উঁচু রাখা, ব্যথানাশক ওষুধ
  • ত্বক পরিষ্কার রাখা এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ

অস্টিওমাইলাইটিস (Osteomyelitis)

অস্টিওমাইলাইটিস হলো হাড়ের সংক্রমণ। এটি তুলনামূলকভাবে জটিল এবং যেকোনো বয়সেই হতে পারে। এটি সাধারণত স্ট্যাফাইলোকক্কাস অ্যারিয়াস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়, তবে অন্য জীবাণু যেমন ইশেরিশিয়া কোলাই বা ফাংগাস থেকেও হতে পারে।

📚 এই রোগের অস্তিত্ব হাজার বছর ধরে রয়েছে—প্রাচীন কঙ্কালেও হাড়ে সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

সংক্রমণ ছড়ায়

  • রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে
  • অন্যান্য সংক্রমণ থেকে
  • আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পর হাড়ে সরাসরি সংক্রমণ

লক্ষণ

  • হাড়ে ব্যথা ও ফুলা (বিশেষ করে নড়াচড়ায় ব্যথা বেড়ে যায়)
  • সংক্রমিত জায়গায় ত্বক লাল হয়ে ওঠা
  • জ্বর, ক্লান্তি ও চলাচলে অসুবিধা
  • দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে পুঁজ বের হওয়া (সাইনাস ট্র্যাক্ট)

চিকিৎসা

  • দীর্ঘমেয়াদি অ্যান্টিবায়োটিক (৪–৬ সপ্তাহ বা তার বেশি)
  • শল্যচিকিৎসা: সংক্রমিত হাড়ের অংশ কেটে ফেলা, পুঁজ বের করে দেওয়া
  • গুরুতর ক্ষেত্রে হাড়ে বোন গ্রাফ্ট বা নতুন হাড় গঠনের চিকিৎসা
  • প্রাথমিক চিকিৎসা না করলে সেপসিস বা হাড়ের ধ্বংস হতে পারে

অন্যান্য কারণ (Other Causes)

ভ্যারিকোজ ভেইন (Varicose Veins): শরীরের যেকোন অংশে ভ্যারিকোজ ভেইন হতে পারে। যদি কোন কারণে পায়ের শিরাগুলো মোটা হয়ে পেচিয়ে যায় তাহলে তাকে ভ্যারিকোজ ভেইন বলা হয়। এগুলো সাধারণত পা এবং পায়ের নিচের অংশে দেখা যায় এবং ব্যথা, কষ্ট বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত দাঁড়িয়ে থাকার বা বসে থাকার পরে আরও তীব্র হয়। ভ্যারিকোজ ভেইনের কারণ হলো শিরার ভিতরের ভাল্বগুলো দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, যার ফলে রক্ত পিছন দিকে ফিরে যায় এবং শিরায় চাপ সৃষ্টি হয়। এই চাপই পায়ে ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে।

লক্ষণ

  • পায়ে অস্বস্তি, যন্ত্রণা বা ভারভার অনুভূতি।
  • পায়ে জ্বালাপোড়া, স্পন্দন, পেশীর ক্র্যাম্প এবং ফোলা।
  • দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকার পরে ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়া।
  • শিরার চারপাশে চুলকানি বা ত্বকের রং পরিবর্তন।

জটিলতা

  • চর্মরোগ (skin changes), যেমন ত্বকের বর্ণ পরিবর্তন, ফাটল বা সংক্রমণ।
  • পায়ের নিচে ঘা (ulcers)।
  • রক্তপাত (bleeding) বা রক্তের জমাট (blood clots)।

প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা

  • নিয়মিত এক্সারসাইজ, পা উঁচু করে রাখা, এবং কম্প্রেশন স্টকিংস ব্যবহার করা।
  • গুরুতর ক্ষেত্রে, এন্ডোথার্মাল অ্যাবলেশন বা ফোম স্ক্লেরোথেরাপি প্রয়োজন হতে পারে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Medication Side Effects)

কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কোমরের নিচে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত পেশী বা নার্ভে ক্ষতিকারক প্রভাবের কারণে হয়। সবচেয়ে সাধারণ ওষুধ যা এই ধরনের ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে হলো স্ট্যাটিন (statins), যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্ট্যাটিন পেশীর ক্ষতি (myopathy) করতে পারে, যা পায়ে ব্যথা এবং দুর্বলতার কারণে হয়।

স্ট্যাটিন এবং পেশী ব্যথা

  • স্ট্যাটিন পেশীর কোষগুলোর ক্ষতি করতে পারে, যা মায়ালজিয়া (myalgia) নামে পরিচিত।
  • গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্ট্যাটিন ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় 7-29% পেশী সম্পর্কিত লক্ষণ অনুভব করে, যেমন পায়ে ব্যথা, ক্র্যাম্প বা দুর্বলতা।
  • এই ব্যথা সাধারণত ওষুধ শুরু করার প্রথম কয়েক মাসে দেখা দেয় এবং পায়ের নিচের অংশ, যেমন কাফ মাসেল, উরু বা নিতম্বে অনুভূত হয়।

অন্যান্য ওষুধ

  • নারকোটিক (opioids) ব্যবহারের ফলে পেটে গন্ডগোল (constipation) হতে পারে, যা পরোক্ষভাবে কোমরের নিচে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
  • কিছু অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট (antidepressants) এবং নার্ভ পেইন মেডিসিন (nerve pain medications)ও পেশী বা স্নায়ুতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা

  • স্ট্যাটিনের ডোজ কমানো বা ভিন্ন স্ট্যাটিনে সুইচ করা পেশী ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ বন্ধ করা বা বিকল্প চিকিৎসা বিবেচনা করা যেতে পারে।

সিস্টেমিক রোগ (Systemic Diseases)

সিস্টেমিক রোগগুলো সারা শরীরে প্রভাব ফেলে এবং কোমরের নিচে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের রোগগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম, যা নিউরোপ্যাথি (neuropathy) সৃষ্টি করে এবং পায়ে ব্যথা, অবশ বা জ্বালাপোড়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে।

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি

  • ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ জটিলতা হলো নিউরোপ্যাথি, যা স্নায়ুতে ক্ষতি সৃষ্টি করে।
  • এই অবস্থায় পায়ে এবং পায়ের আঙুলে ব্যথা, অবশ, টিংলিং (tingling) বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি হয়।
  • ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি সাধারণত পায়ে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • এটি পায়ের চোট বা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়, যা আরও গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অন্যান্য সিস্টেমিক রোগ

  • ফাইব্রোমায়ালজিয়া (Fibromyalgia): এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা সারা শরীরে ব্যথা, ক্লান্তি এবং ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে। এই ব্যথা কোমরের নিচেও অনুভূত হতে পারে।
  • পলিমায়ালজিয়া রিউমাটিকা (Polymyalgia Rheumatica): এটি একটি ইনফ্লামেটরি রোগ যা কাঁধ, গ্রীবা এবং নিতম্বের পেশীতে ব্যথা এবং কাঠিন্য সৃষ্টি করে।

প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা

  • ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, রক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত চিকিৎসা নিউরোপ্যাথি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • ফাইব্রোমায়ালজিয়ার জন্য, ব্যথা ব্যবস্থাপনা এবং ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন হতে পারে।

উপসংহার

কোমরের নিচে ব্যথা একটি খুবই সাধারণ সমস্যা, যা শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে হতে পারে। এই ব্যথা মেরুদণ্ড, পেশি, স্নায়ু, হাড়, বা এমনকি কিডনি বা প্রজনন অঙ্গের মতো অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যার কারণে দেখা দিতে পারে। যেমন, মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরে যাওয়া, পেশিতে টান পড়া, সায়াটিকা, বা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থা এই ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে। এছাড়া, কিডনিতে সংক্রমণ, মূত্রথলির সমস্যা, বা গর্ভাবস্থার জটিলতাও এই অঞ্চলে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। জীবনযাপনের কিছু অভ্যাস, যেমন দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে থাকা, ভুল ভঙ্গিতে কাজ করা, বা শরীরচর্চার অভাব, এই ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা খুব তীব্র মনে হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ব্যথার আসল কারণ খুঁজে বের করতে শরীর পরীক্ষা, ইমেজিং টেস্ট (যেমন এক্স-রে, এমআরআই), বা রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। সময়মতো চিকিৎসা না করলে এই সমস্যা আরও জটিল হয়ে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হতে পারে। চিকিৎসার মধ্যে ওষুধ, ফিজিওথেরাপি, নির্দিষ্ট এক্সারসাইজ, বা কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত শরীরচর্চা, এবং সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা ব্যথা প্রতিরোধে অনেক সাহায্য করে। তাই, কোমরের ব্যথাকে হালকাভাবে না নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত।

পরামর্শ নিতে 01877733322