স্ট্রোক এমন একটি গুরুতর রোগ, যেখানে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ হঠাৎ ব্যহত হয় বা কোনো রক্তনালী ফেটে গিয়ে ক্ষতি সাধিত হয়, যার ফলে নানা ধরণের শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে মস্তিষ্কের একটি অংশ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সেখানে স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। যদি দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না নেওয়া হয়, তাহলে এই ক্ষতির প্রভাব স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে এবং অনেক সময় প্রাণনাশের আশঙ্কাও তৈরি হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA)-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী নারীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক (Bushnell et al., 2014)। মহিলাদের শরীরে হরমোনজনিত পরিবর্তন (যেমন: গর্ভাবস্থা, মেনোপজ এবং জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ গ্রহণ) স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তদুপরি, নারীদের মধ্যে স্ট্রোক-পরবর্তী মৃত্যুহার ও অক্ষমতা পুরুষদের তুলনায় বেশি দেখা যায়।

মহিলাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকিপূর্ণ কারণ

মহিলাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকিপূর্ণ কারণ
মহিলাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকিপূর্ণ কারণ

উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন):মহিলাদের স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি হলো উচ্চ রক্তচাপ। এটি রক্তনালীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রক্তনালীর প্রাচীর দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিশেষ করে গর্ভকালীন রক্তচাপ বৃদ্ধি (প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া) পরবর্তীকালে স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়াতে পারে (Bushnell et al., 2014)।

ডায়াবেটিস (সুগার):ডায়াবেটিস নারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। রক্তে চিনি অনিয়ন্ত্রিত থাকলে রক্তনালীর ক্ষতি হয় এবং রক্তপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, যা স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। নারীরা ডায়াবেটিসজনিত হৃদরোগ ও স্নায়বিক জটিলতায় তুলনামূলকভাবে বেশি ভোগেন (American Diabetes Association, 2021)।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অতিরক্ত ওজন:ফাস্টফুড, অতিরিক্ত চর্বি, লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ এবং দৈহিক পরিশ্রমের অভাব নারীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ সৃষ্টি করে, যা স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয় (WHO, 2021)।

গর্ভাবস্থা ও প্রসবপরবর্তী জটিলতা:গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন, উচ্চ রক্তচাপ বা রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। গর্ভকালীন প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া বা হেল্প সিনড্রোম স্ট্রোকের কারণ হতে পারে, যা প্রসবের পরও কিছু সময় স্থায়ী হতে পারে (James et al., 2017)।

স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ ও সতর্ক সংকেত

স্ট্রোকের সময় শরীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংকেত দিয়ে থাকে, যেগুলো শুরুতেই চিনে নিতে পারলে জীবন রক্ষা করা সম্ভব। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো শরীরের এক পাশে হঠাৎ দুর্বলতা বা অবশ, বিশেষ করে মুখমণ্ডল, হাত বা পায়ে এবং একদিকে বেশি অনুভূত হয়। অনেকে হঠাৎ করে কথা বলতে সমস্যা অনুভব করেন, বাক্য ঠিকমতো গঠন করতে পারেন না বা অন্যের কথা বুঝতে অসুবিধা হয়। দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, যেমন হঠাৎ ঝাপসা দেখা, দ্বৈত দেখা বা চোখে দৃষ্টিশক্তিও চলে যেতে পারে। মাথা ঘোরা, ভারসাম্যহীনতা কিংবা চলাফেরায় সমন্বয়ের অভাব দেখা দিতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে হঠাৎ করে তীব্র মাথাব্যথা হয়, যা আগে কখনো হয়নি এমন ধরনের হতে পারে, এবং এর সঙ্গে বিভ্রান্তি বা জ্ঞান হারানোও দেখা যায়।

স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়

স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতনতা এবং সঠিক জীবনধারা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে স্ট্রোক প্রতিরোধের কিছু কার্যকর উপায় ব্যাখ্যা করা হলো:

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা (রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল): রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা (ডায়াবেটিস), এবং কোলেস্টেরল নিয়মিত পরীক্ষা করা খুব জরুরি। এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে না থাকলে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত চেকআপ করলে এই ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রক্তনালীকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, এবং নিয়মিত এক্সারসাইজ এই সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা: প্রতিদিন ফল, সবজি, এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। অতিরিক্ত লবণ, চিনি, এবং চর্বিযুক্ত খাবার (যেমন, ফাস্ট ফুড) এড়িয়ে চলুন। লবণ কম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, আর ফল-সবজি শরীরকে সুস্থ রাখে।

নিয়মিত এক্সারসাইজ: প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা, সাঁতার কাটা, বা হালকা এক্সারসাইজ করলে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রক্তনালীকে শক্তিশালী করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এক্সারসাইজ শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন, বিশেষ করে যদি আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে।

ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়, যা স্ট্রোকের একটি বড় কারণ। অতিরিক্ত মদ খেলে রক্তচাপ বাড়ে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা বাড়ায়। ধূমপান এবং মদ্যপান পুরোপুরি বন্ধ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ : দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ বা স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়ায়, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ধ্যান, যোগব্যায়াম, বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো বা শখের কাজ করাও মানসিক চাপ কমায়।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পরামর্শ

পরিমিত খাবার ও ওজন নিয়ন্ত্রণ: সুস্থ থাকতে হলে পরিমিত আহার এবং সঠিক ওজন বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার ও চর্বি-জাতীয় খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে স্থূলতা ও নানা ধরনের বিপাকীয় রোগ যেমন ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ও হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। WHO-এর মতে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল, সবজি, আঁশযুক্ত খাবার এবং পরিমিত প্রোটিন রাখা উচিত যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক (WHO, 2020)।

পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম: ঘুম দেহের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া এবং মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭–৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুমের অভাব দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, উদ্বেগ এবং ইমিউনিটির দুর্বলতার জন্য দায়ী। “Why We Sleep” বইতে ম্যাথিউ ওয়াকার বলেন, ঘুম শরীরের হরমোন নিয়ন্ত্রণ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং ব্যথা সহনশীলতার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত (Walker, 2017)।

নিয়মিত এক্সারসাইজ (হাঁটা, সাইক্লিং, যোগব্যায়াম): প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট মাঝারি মাত্রার এক্সারসাইজ যেমন brisk walking, সাইক্লিং বা যোগব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, মেদ ঝরে, ও হজমশক্তি ভালো হয়। এছাড়া, এক্সারসাইজ মানসিক চাপ কমায় ও ঘুমের গুণগত মান বাড়ায়।

মানসিক শান্তি বজায় রাখা: মন শান্ত থাকলে শরীরও ভালো থাকে। মানসিক চাপ থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা, হজমে সমস্যা, এবং অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। ধ্যান, শ্বাস প্রশ্বাস এর এক্সারসাইজ ও পরিবার-বন্ধুদের সহানুভূতিমূলক আচরণ মানসিক প্রশান্তি আনে।

সামাজিক সম্পর্ক ও পরিবারবন্ধুদের সহায়তা: সামাজিক সম্পর্ক ও পরিবারের সহানুভূতি জীবনের জন্য একধরনের শক্তি। একা থাকলে শুধু মন খারাপ-ই হয় না, দেহেও তার প্রভাব পড়ে। প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানো, হাসি-আড্ডা, আর মন খুলে কথা বলার সুযোগ মানসিক প্রশান্তি আনে এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে। Holt-Lunstad-এর গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক সম্পর্ক রক্ষাকারীদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে (Holt-Lunstad et al., 2010)।

স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন ও ফিজিওথেরাপি

স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন ও ফিজিওথেরাপি
স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন ও ফিজিওথেরাপি

স্ট্রোকের পর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাই রোগীর সুস্থতার প্রথম ধাপ। স্ট্রোকের ধরণ বুঝে চিকিৎসক তাৎক্ষণিক থ্রম্বোলাইটিক থেরাপি বা অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

ফিজিওথেরাপি: স্ট্রোকের ফলে পেশি দুর্বলতা, পক্ষাঘাত বা চলাফেরার সমস্যা দেখা দেয়। ফিজিওথেরাপি রোগীর ভারসাম্য, হাঁটা, দাঁড়ানো, হাত-পা নাড়ানো ইত্যাদি ক্রিয়া পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন নিয়মিত ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে স্ট্রোক-পরবর্তী কার্যক্ষমতা দ্রুত উন্নতি লাভ করে (Langhorne et al., 2011)।

স্ট্রোকের পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে যে দুর্বলতা, অবশভাব বা চলাফেরার সমস্যা দেখা দেয়, তা কাটিয়ে উঠতে ASPC Manipulation Therapy Centre (U64, Nurjahan road, Mohammadpur, Dhaka-1207) অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই কেন্দ্রে রোগীর শারীরিক কাঠামো ও স্নায়বিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধি, মায়োফেশিয়াল রিলিজ ও নিউরোডাইনামিক মোবিলাইজেশন ইত্যাদি চিকিৎসা করা হয়। প্রতিটি রোগীর অবস্থান বুঝে তার জন্য উপযোগী রোবোটিক্স ডিভাইজ ব্যবহার করা হয়, যা ধাপে ধাপে শরীরকে সক্রিয় করে তোলে এবং রোগীকে আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়।

অকুপেশনাল থেরাপি: স্ট্রোক-পরবর্তী রোগীরা প্রাত্যহিক কাজ যেমন খাওয়া, পোশাক পরা, টয়লেট ব্যবহার—এইসব করতে সমস্যায় পড়েন। অকুপেশনাল থেরাপিস্টরা ব্যক্তিকে এই কার্যকলাপগুলো শেখাতে সহায়তা করেন।

মানসিক ও সামাজিক পুনর্বাসন: স্ট্রোকের পর অনেক রোগী বিষণ্নতা, আত্মবিশ্বাসহীনতা, অথবা সামাজিকভাবে একা হয়ে পড়ার মতো মানসিক সমস্যায় ভোগেন। কগনিটিভ থেরাপি, কাউন্সেলিং এবং সামাজিক পুনর্বাসনের মাধ্যমে রোগীদের মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

পারিবারিক সহায়তা ও যত্ন: পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা, সহানুভূতি ও ধৈর্য একজন স্ট্রোক রোগীর পুনর্বাসনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। পরিবার যদি রোগীর এক্সারসাইজ, ওষুধ, এবং মানসিক সমর্থনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে, তবে রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারেন।

পুনর্বাসন কেন্দ্র ও সহায়ক সেবা: স্ট্রোকের পর রোগীদের শরীর ও মনের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কেন্দ্রগুলোতে ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ থেরাপি এবং মানসিক সহায়তার মতো বিভিন্ন চিকিৎসা একসঙ্গে দেওয়া হয়। ফিজিওথেরাপি হাত-পা শক্ত করতে এবং হাঁটাচলায় সাহায্য করে, অকুপেশনাল থেরাপি দৈনন্দিন কাজ যেমন খাওয়া বা কাপড় পরা শেখায়, আর স্পিচ থেরাপি কথা বলা বা বোঝার সমস্যা সমাধানে কাজ করে। মানসিক সহায়তা রোগীদের হতাশা কাটাতে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান, যেমন আগ্রণী স্পেশালাইজড ফিজিওথেরাপি সেন্টার (ASPC) এবং সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (CRP), আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীদের সুস্থ করে তুলতে কাজ করছে।

তথ্যসূত্র

প্যারালাইসিস বা স্নায়ুরোগের বা নার্ভের রোগের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা

প্যারালাইসিস বা স্নায়ুরোগের বা নার্ভের রোগের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা. সঠিক সময়ে চিকিৎসা…
0 0 প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা
পোস্ট রেটিং

0 মন্তব্য
প্রতিক্রিয়া
সমস্ত প্রতিক্রিয়া দেখুন
পরামর্শ নিতে 01877733322