সঠিক সময়ে চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে Stoke রোগীর মৃত্যুহার সহ প্রতিবন্ধির হার কমানো সম্ভব।
Stoke করার সাথে সাথে দরকার মেডিকলে ম্যানেজমেন্ট এবং ফিজিওথেরাপি ম্যানেজমেন্ট। তবে রোগী মেডিকেল সুস্থতার পর যে চিকিৎসা বেশি দরকার সেটি হলো ফিজিওথেরাপি। আর এই চিকিৎসায় একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরী।
প্যারালাইসিস রোগীর ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপির উদ্দেশ্য-
প্রাথমিক পর্যায়ে :
রোগীর প্যারালাইজড অংশগুলোকে সঠিক স্থানে রাখা এবং যত্ন নেয়া।
রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখা এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ও মাংসপেশী যাতে শক্ত হয়ে না যায় সেদিকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া।
শ্বাস-প্রশ্বাসের যত্ন :
শ্বাস-প্রশ্বাসের কেয়ারের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপির যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন। পোস্চারাল ড্রেইনেজ, সাকসন, ডিপ ব্রেদিং এক্সারসাইজ, মবিলাইজেশন দ্বারা রোগীর ফুসফুস পরিষ্কার হয়, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট থেকে রোগীকে বিরত রাখে। সঠিক সময়ে সঠিক স্থানান্তর-প্যারালাইসিস অংশটিকে দুই ঘন্টা পর পর ডান বা বাম পাশ করে শোয়াতে হবে, যাতে করে প্যারালাইসিস অংশটিতে ঘা না হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো :
- খাবার খাওয়ানোর সময় সতর্কতা।
- ত্বকে যাতে চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা।
- মাংসপেশী শক্ত না হয়ে যায় এদিকে খেয়াল রাখা
- মাংসপেশীর টানকে ঠিক রাখা।
- রোগীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা।
পরবর্তী পর্যায়ে :
- ব্যথা নিরাময় করা
- প্যারালাইসিস অংশের মাংসপেশীর শক্তি ও চলমান সাম্যতা বজায় রাখা।
- শরীরে স্নায়ুবিক অনুভূতির সমস্যা সমাধান
- প্যারালাইসিস অংশের ঝিনঝিন ও বোধশক্তি উন্নতি।
- বিভিন্ন পর্যায়ে শারীরিক অক্ষমতা দূরীকরণ-বিছানায় ডান বাম ঘুরানো, শোয়া থেকে বসা, বসা থেকে উঠা, ওঠা থেকে বসা, দাঁড়ানো অবস্থায় ভারসাম্য প্রশিক্ষণ করানো, যাহা রোগীকে হাঁটা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজে সক্ষম করে তোলা।
- শিশু যেমন হামাগুড়ির আগে বসতে পারে না, বসার আগে হাঁটতে পারে না, তেমনি প্যারালাইসিস হলে রোগী একজন বাচ্চা শিশু মত হয়। ফলে তাকে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়।
সর্বোপরি একজন প্যারালাইসিস রোগীর জন্য দরকার-
- সময় মত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
- রোগীর সহযোগিতা
- রোগীর আত্নীয় বা রিলেটিভদের সহযোগিতা
- সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা
- স্নায়ুতান্ত্রিক রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার
চিকিৎসা পদ্ধতি :
প্যারালাইসিস রোগীর ক্ষেত্রে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মেশিনথেরাপি দিয়ে থাকেন। আসলে এই ধরনের রোগীর জন্য দরকার ম্যানুয়াল থেরাপি।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন মতবাদ যেমন-বোবাথ কনসেপ্ট বায়ন টেকনিক, র্কার এনড সিফার্ট, রড কনসেপ্ট ইত্যাদি বিশ্বে প্যারালাইসিস রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
এই সমস্ত মতবাদ দ্বারা ফিজিওথেরাপিস্টগণ রোগীকে সূ²ভাবে অ্যাসেসমেন্ট করেন এবং ক্লিনিক্যাল রিজোনিং অ্যানালাইসিস করে সমস্যা চিহ্নিত করেন এবং সমস্যার উপর ভিত্তি করে বর্তমান বা ভবিষ্যত চিকিৎসা প্লান তৈরি করেন যাহা রোগীকে পুনর্বাসনে সাহায্য করে।
স্ট্রোক রোগীর ক্ষেত্রে যদি মাথায় রক্তক্ষরণ হয় তাহলে শরীরের একপাশ প্যারালাইসিস হয় কারণ এই অবস্থায় রোগীর মস্তিষ্কের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ অংশ ছাড়া তার চারপাশে কিছু সুস্থ বা ভাল অংশ থাকে যা ক্ষতিগ্রস্থ অংশটিকে কাজ করাতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াকে আমরা বলি নিউরোপ্লাসিটি।
একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে বের করেন কোনো জয়েন্ট কোনো মাংসপেশীতে কতটুকু শক্তি আছে। সঠিক সময় ফিজিওথেরাপি দিয়ে নিউরোপ্লাসিটিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জয়েন্ট ও মাংসপেশী শক্তির উন্নতি করে রোগীকে সক্ষম করে তোলা সম্ভব।
- Pinched Nerve: How Long Will It Persist? - May 21, 2023
- The Best Rehabilitation Exercises After Knee Surgery - May 3, 2023
- A Simple Guide To Back Pain: How To Get Rid Of It In 4 Easy Steps - May 3, 2023