ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ?

ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ. ঘাড়ে ব্যথা হয় যেসব কারণে ও প্রতিকার. ঘাড় ব্যথা একেক জনের একেক রকম হতে পারে। ব্যথা প্রথমত শুরু হয় ঘাড়ের নিচের অংশের যেকোন এক দিকে হয় ডান দিকে অথবা বাম দিকে। অনেক সময় ব্যথা শরু হয় মাঝখান থেকে। কিছুদিনের মধ্যে ব্যথা ছড়িয়ে যায় সোলডারের চারপাশে।

নিজেই করুন ঘাড়ের ব্যথার চিকিৎসা

হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয় এবং নিজেই করুন ঘাড়ের ব্যথার চিকিৎসা. খুব কম সংখ্যক রোগীই আছেন যারা আমাদের নিয়ম-কানুন মেনে চললে উপকার পাবেন না। বেশির ভাগ রোগীই যথেষ্ট পরিমানে উপকার পাবেন ও ব্যায়াম গুলো সহজ ভাবে করতে পারবেন। যখন আপনি ব্যায়াম করবেন তখন খেয়াল রাখবেন যদি ব্যথা কমে যায় তাহলে পরবর্তী দিনগুলো একাধারে ব্যায়াম চালু রাখতে পারেন। আর যদি ব্যথা না কমে অথবা বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই একজন ম্যানুপুলেটিভ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। মাথাব্যথা

নিচের যেকোনো সমস্যা থাকলে ম্যানুপুলেটিভ ফিজিওথেরাপিস্ট অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করতে হবে

নিজেই করুন ঘাড়ের ব্যথার চিকিৎসা

  • ব্যথা যদি হাতের কব্জি অথবা হাতের আঙুল মধ্যে থাকে এবং আঙুলের বোধশক্তি কমে যায়।
  • ঘাড়ে যদি আঘাতপ্রাপ্ত প্রচন্ড ব্যথা হয়
  • অল্প কিছুদিন ধরে মাথা শুরু হলে
  • হঠাৎ প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হলে
  • হঠাৎ প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে এবং তা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকলে।
  • নির্দিষ্ট কোন কারণে/ঘটনার জন্য প্রচন্ড মাথা ব্যথা হলে এবং যার জন্য বমি ও বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘুরালে।

হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয়

ঘাড় ব্যথার সাথে মাথার ব্যথারও সর্ম্পক আছে। এই ব্যথা মাথার একপাশে, মাথার পেছনে, কারো কারো মাথার দুই পাশে অনুভব করে। এই ব্যথাকে বলে সারভাইকো জোনিক মাথা ব্যথা। হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয় আর্মে অর্থাৎ কনুইয়ের উপরের অংশ অথবা ছড়িয়ে যেতে পারে হাতের কব্জি ও আঙুল পর্যন্ত হাতে আঙুল ঝিনঝিন ও নাম্বনেস অনেকের মধ্যে হাতের বোধ শক্তি কমে যায়। অনেক রোগী মনে করেন তার হাতের উপর আরও একটি স্তর আছে। কারো কারো হাত দুর্বল হয়ে যায়।

ঘাড় ব্যথার কারণ:

সাধারণত অনেক কারণে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা হালকা থেকে তীব্র হতে পারে এবং এটি দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ঘাড় ব্যথার সাধারণ কারণ গুলো নিম্নরূপ:

  • পেশীর টান: ভুলভাবে শুয়ে বা বসার কারণে পেশীতে টান পড়তে পারে, যা ঘাড় ব্যথার প্রধান কারণ।
  • অস্টিওআর্থ্রাইটিস: ঘাড়ের অস্থির ক্ষয় বা ক্ষুদ্র অস্থিসন্ধি গাঁটে সমস্যা হলে ব্যথা হতে পারে।
  • ডিস্ক সমস্যা: ঘাড়ের ডিস্কে হানি বা ডিস্ক হেরনিয়েশন ঘটলে স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে ব্যথা হতে পারে।
  • ঘাড়ের আঘাত: সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য আঘাতের ফলে ঘাড়ের পেশী ও লিগামেন্টে ক্ষতি হলে ঘাড় ব্যথা হতে পারে।
  • দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে বসে থাকা: একটানা একই স্থানে বসে থাকা, বিশেষ করে কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের সময়, ঘাড়ের পেশীতে চাপ সৃষ্টি করে।

ঘাড় ব্যথার সাধারণ প্রতিকার:

ঘাড় ব্যথার সাধারণ প্রতিকার পদ্ধতিগুলি নিম্নরূপ:

  • সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা: কাজের সময় সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা উচিত, বিশেষ করে বসার সময় মাথা এবং ঘাড় সোজা রাখা জরুরি।
  • পেশী বিশ্রাম ও প্রসারণ: ঘাড়ের পেশীকে বিশ্রাম দেওয়া এবং নিয়মিত প্রসারণের মাধ্যমে পেশীগুলোকে শিথিল রাখা যেতে পারে।
  • ঠান্ডা ও গরম প্যাক ব্যবহার: ব্যথা কমানোর জন্য ঘাড়ে ঠান্ডা প্যাক বা গরম প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ওষুধ: যদি ব্যথা তীব্র হয়, তবে ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ফিজিওথেরাপি: ঘাড়ের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে, ফিজিওথেরাপি করা উপকারী হতে পারে। ফিজিওথেরাপিস্ট ঘাড়ের পেশীর জন্য বিশেষ ব্যায়াম এবং থেরাপি প্রয়োগ করতে পারেন।
  • অতিরিক্ত ভার না তোলা: ভারী ওজন তোলা বা কোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত, যা ঘাড়ের ব্যথা বাড়াতে পারে।

যদি ঘাড়ের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা প্রচণ্ড হয়, তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দীর্ঘ সময় বসা অবস্থায় থাকার কারণে

দৈহিক বা শারীরিক হাঁটার সময় একজন মানুষের অবস্থান সঠিক থাকে বিশেষ করে যখন তাড়াতাড়ি বা ক্ষিপ্র ভাবে হাঁটে। মাথা ও ঘাড়ের অবস্থান থাকে রির্ট্রাক্টেড বা সঠিক ভাবে। যার ফলে ঘাড় যথেষ্ট সাপোটিভ অবস্থায় থাকে। আর যখন চেয়ার বা অন্য জায়গায় রিলাক্স ভাবে বসা হয় তখন মাথা ও ঘাড় প্রোটুটেড বা সামনে জাগানো থাকে। এতে ঘাড়ের মাংসপেশীর উপর চাপ পড়ে। যদি এই অবস্থান দিনের পর দিন চলতে থাকে তাহলে ঘাড়ের অবস্থানগত পরিবর্তন হয়।

এতে লিগামেন্টের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে ফলে ঘাড়ের এই অবস্থান যদি অভ্যাসের পরিণত হয় ভাটিব্রাল জয়েন্টের মধ্যে ডিক্সের অবস্থান বিরূপ আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় রোগী ব্যথা অনুভব করেন।  ঘাড়ের ভুল অবস্থান শুধু ঘাড় ব্যথার কারণে নয়, এটি সমস্ত ঘাড়ের হাড়সহ অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করে।

কিভাবে দীর্ঘ সময় বসে কাজ করবেন

অধিকাংশ মানুষই কাজ করার সময় মনে রাখে না তার বসার সঠিক অবস্থান। আর এই অবস্থানে থেকে যদি সে দীর্ঘ সময় কাজ করে তাহলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে যে দুটি জিনিস লক্ষণীয় তা হল-

  1. সঠিকভাবে বসা এবং
  2. সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করে ঘাড়ের অবস্থান ঠিক রাখা।

এখানে মনে রাখা দরকার যে কোমর যদি সোজা করে কাজ করেন তাহলে কিন্তু কোমর ঘাড় ব্যথা দুটো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যদি কোমরটাকে রিল্যাক্স করে বসে কাজ করেন তাহলে ঘাড় সঠিক অবস্থানে আনা সম্ভব না।

বসে সঠিক ভাবে কাজ করার পদ্ধতি

আপনি হয়তো কোমরের ও ঘাড়কে সামনে ঝুঁকিয়ে অনেক দিন ধরেই কাজ করছেন। হয়তো এতে ব্যথা অনুভব করেন নি। কিন্তু যে কোন সময় আপনি ব্যথা অনুভব করতে পারেন। মনে রাখবেন, যখনই ঘাড় বা কাঁধে ব্যথা শুরু হবে তখন থেকেই আপনার বসার অবস্থান সোজা সঠিক নিয়মে আনতে হবে।

যাকে বলে ইরেক্ট পশ্চার। কারণ বসার অবস্থান সঠিক না হলে দিন দিন ব্যথা আরো বাড়তে থাকবে। যদি আপনি কোমরের রিলাক্স বা সাউন্ড ভাবে দেখিয়ে অনেকক্ষণ বসে কাজ করেন তাহলে কোনোভাবেই ঘাড়কে সঠিক অবস্থানে রাখা সম্ভব না।

তাই ঘাড়ের পশ্চার সঠিক অবস্থানে আনতে হলে অবশ্যই কোমর কে সঠিক অবস্থানে রাখতে হবে। বসার ক্ষেত্রে কোমরটাকে চেয়ারের পেছনে লাগিয়ে বুকটা কে টানটান করে বসতে হবে। প্রয়োজনে লাম্বার রোল/ব্যাক সাপোট ব্যবহার করতে হবে। লাম্বার রোল হবে ৫-৬” গোলাকার এবং ফোমের তৈরি। মাঝে মাঝে দাঁড়িয়ে কোমরটাকে স্বাভাবিক অবস্থানে রাখা যায়। নিদির্ষ্ট কোন কাজের সময় আপনার যদি কোমরে পিছনে কোনো সাপোট না থাকে তাহলে আপনার কোমর সঠিক অবস্থায় রাখা সম্ভব না।

এক্ষেত্রে আপনি আপনার ঘাড় এবং কোমরের চেয়ে কাজের প্রতি মনোযোগ বেশি দেবেন বা থাকবে। উদাহরণ স্বরূপ করো সাথে কথা বলা, বই পড়া, লেখালেখি করা, টেলিভিশন দেখা বা গাড়ি চালানো ইত্যাদি। তাই ঘাড় ও কোমরকে সঠিক ভাবে রাখার জন্য বা ব্যথা যাতে না হয় আপনাকে উপরোক্ত কাজ গুলো করার সময় অবশ্যই একটি লাম্বার রোল/ব্যাক সাপোট লাগাতে হবে বাসার চেয়ারে, গাড়ির সীটে, অফিসের চেয়ারে। এখন আপনার ঘাড়ের অবস্থান  কি হবে বাঁ ঘাড়কে সঠিক অবস্থানে রাখতে হলে কি করতে হবে?

ছোট্ট একটি টিপস মনে রাখবেন, মাঝে মাঝে মাথাটাকে রিট্রাকশন করতে হবে। ছবি দেখে বুঝে নিন কিভাবে রিট্রাকশন করতে হবে। এই ব্যায়ামটি বারবার অনুশীলন করে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। ব্যায়ামটি সারাদিনে ৩ বার করতে হবে। প্রতিবারে ১৫-২০ বার অনুশীলন করতে হবে। রিট্রাকশন ব্যায়াম করা এতটাই সহজ নয়। তাই ব্যায়ামটাতে প্রথমেই দরকার ঘাড় ও মাথার অবস্থান সঠিকভাবে সোজা রাখা। রিট্রাকশন করার সময় ঘাড় যদি কোনো দিকে অতিরিক্ত চাপে থাকে তাহলে ঘাড়ে স্ট্রেচ পড়বে বা মাংসপেশীতে টান লাগতে পারে।

এতে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই মাথাটাকে আস্তে আস্তে রিট্রাকশন করতে হবে এবং একটা জায়গা বের করতে হবে যতদূর পযন্ত রোগী ভাল অনুভব করেন। মোটামুটি ভাবে ১ সপ্তাহ সময় এই ব্যায়ামটি প্রতিদিন করলে পুরোপুরি দখলে আসবে।

যে ব্যায়ামটি (রিট্রাকশন) উপরে  এতক্ষণ আলোচনা করা হইল উক্ত ব্যায়ামটি যদি কেউ সঠিক ভাবে করেও থাকেন তার পরও কিছু কিছু ব্যথা নতুন করে দেখা দিতে পারে। তবে এই ব্যথা আসল ব্যথা নয়। রোগী কোথাও ব্যথা অনুভব করবে। কয়েকদিন স্বাভাবিক ভাবে কোমর ও ঘাড়ের অবস্থান ঠিক রেখে যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে ব্যথা চলে যাবে। মনে রাখবেন যখন দীঘক্ষণ বসে কাজ করবেন অবশ্যই নিজের কোমরের মাঝে ব্যাক সাপোট হিসাবে নাম্বার রোল এবং মাথাটিকে রিট্রাকটেড রাখুন।

বিশ্রাম ও শোয়ার কারণে ঘাড় ব্যথা

বতমানে বড় একটা কারণ শোয়ার কারণে ঘাড় ব্যথা, কারণ অধিকাংশ মানুষই আভিজাত্যের কারণে অতি আরামে স্বাস্থ্য অনুপযোগী বিছানা ব্যবহার করে। যাতে ঘাড়ে পশ্চারাল স্ট্রেচ পড়ে এবং রোগী ব্যথা অনুভব করেন। অনেকেই বলেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ঘাড়ে ব্যথা হয় এবং ঘাড় শক্তের কারণে ঘাড় নাড়াতে পারি না।

অথচ ঘাড়ে রাতে শোয়ার আগে তার ব্যথা ছিল না। এত বুঝা যায় কিছু ঘটনা ঘটেছে যা বিছানা বা শোয়ার কারণে হয়েছে। বিছানা যদি সঠিক থাকে তাহলে অনেক রোগী যাদের ব্যথা আছে তারাও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে বলে তাদের ভাল লাগছে বা ব্যথা কম লাগছে বা ব্যথা কম লাগছে।

বিছানা বা বালিশ কি রকম হওয়া উচিত

সঠিক বিছানা সঠিক বালিশ ব্যবহার করা ঘাড় ব্যথা রোগীর জন্য অপরিহায। বিছানা যদি খুব শক্ত হয় তাহলে আপনার মেরুদন্ডের প্রাকৃতিক যে বাঁক সেটা শোয়ার পর ঠিক থাকবে না, আবার যদি খুব শক্ত ও নরমের মাঝামাঝি একটা অবস্থান নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে নারিকেলের ছোবা ও শিমুল তুলার তোষক একসাথে ব্যবহার করাই ভাল।

তাই মেরুদন্ডের ন্যাচারাল কার্ভ ঠিক রাখার জন্য খুব শক্ত না আবার খুব নরমও না এই রকম বিছানা নির্বাচন করাই শ্রেয়। বালিশ বা বিছানার পরিবর্তনের জন্য দরকার ভিতরের জিনিস (মালামাল বা তুলা) অথবা কতটুকু উঁচু বা ভেদ্যতা।

বালিশের আসল কাজ হচ্ছে মাথা ও ঘাড়কে সাপোট দিয়ে একটি সঠিক অবস্থানে রাখা, যাতে ঘাড় ডান বামে সামনে পিছনে বাঁকা না থাকে। একটা জিনিস অতি সহজে বুঝে নিন-আপনি যদি চিৎ হয়ে ‍ঘুমান বিছানায় বালিশটা বড় না হলেও হবে। কারণ পিঠের উপর অংশের সাথে মাথার পেছনের প্রস্থগত দূরত্ব কম থাকে।

আবার কেউ যদি ডান বা বাম কাৎ হয়ে ঘুমান তাহলে বালিশটা একটু বড় হতে পারে। কারণ মাথা ও ঘাড়ের সাথে কাধের দূরত্ব প্রস্থগত বেশী কয়েক ইঞ্চি। আপনার শোয়ার বালিশের অবস্থান গত ভুলের কারণে ঘাড় যদি অতিরিক্ত ফাঁকা হয় এবং এই অভ্যাস যদি শোয়ার ক্ষেত্রে দীঘদিন অতিবাহিত করেন তাহলে ঘাড় ব্যথা হতে পারে।

বালিশ উঁচু বা বড় হলেও অসুবিধা হয় না যদি তা নরম থাকে সেখানে ঘাড় ও মাথা তার নিদির্ষ্ট স্থানে দখল করে নেয় এবং ঘাড় ব্যথার হওয়া সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বালিশ ঘাড়ে সম্পূণ সাপোট দিতে পারে না সেক্ষেত্রে আমরা অতিরিক্ত সাপোট হিসাব ৩-৪ ইঞ্চি নরম রোল ব্যবহার করতে পারি।

সঠিকভাবে শোয়ার নিয়ম

অধিকাংশ/কিছু কিছু রোগীর ব্যথা শোয়ার অবস্থানহত কারণে হয়ে থাকে আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে একেক জন এককভাবে নিজের ইচ্ছা মত আরামদায়ক ভাবে সারারাত ঘুমায়, অথচ তারা অনেকেই জানেন না তাদের ঘাড় ব্যথার বড় কারণ হচ্ছে বিছানায় শোয়ার অবস্থান।

কিছু কিছু মানুষ উপুড় হয়ে ঘুমায় এবং তাদের অনেকেই মাঝে মাঝে অভিযোগ করেন ঘাড় ও মাথা ব্যথার এবং সারাদিন পর ব্যথা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। যখন আমরা উপুড় হয়ে শুই ঘাড় তখন বাম-ডান যে কোন এক দিকে ঘুরানো থাকে। এ অবস্থায় ঘাড়ের উপরের জয়েন্ট জোড়া মাংসপেশিতে গুলিতে অতিরিক্ত মোচর/ চাপ পড়ে এতে ঘাড় ও মাথার মধ্যবর্তী মাংসপেশী গুলোতে অতিরিক্ত টান পড়ে ফলে মাংসপেশী ইনজুরড হয় এবং রোগী ব্যথা অনুভব করে। হেডেক বা মাথাব্যথাঅভ্যাসগত কারণেই হোক বা সাধারণভাবেই হোক যারা ‍উপুড় হয়ে শয়ন করেন অবশ্যেই তাদের উপর হয়ে শোয়া বাদ দিতে হবে

কঠিন কোন কাজ করার পরে বিশ্রামের কারণে হতে পারে ঘাড় ব্যথা

যখন আমরা কঠিন কোনো কাজ করি, যেমন ফুটবল খেলা, টেনিস খেলা, কাঠ কাটা, মাটি খনন করা ইত্যাদি-এ সময় হয়ত রোগী ব্যথা অনুভব করেন না। এ অবস্থায় রিলাক্স হয়ে কোমর ও ঘাড় সামনে বাঁকিয়ে শয়ন করা বা বসা উচিত না। এতে  মেরুদন্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। অনেকেই হার্ডওর্য়াক বা কঠিন পরিশ্রম করার পর এভাবে রিলাক্স হয়ে শোয়া বা বসার ফলে হঠাৎ ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন। এই ধরনের সমস্যা রোগী নিজেই তৈরি করে থাকেন।

জেনে নিন তাহলে কি করতে হবে

কোনো কঠিন পরিশ্রমের পর মাথাটাকে রিট্রাকশন (ভিতর দিকে থুতনি চাপ দেয়া) এবং ঘাড়টা এক্সটেনশন (মাথাটাকে উপর দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে পিছনের দিকে নেয়া) করতে হবে ৬-৭ বার এবং যদি আপনি বসে বিশ্রাম নেন অবশ্যই আপনাকে মাথাটাকে প্রোটুটেড থাকা থেকে বিরত রাখতে হবে।

এলোমেলো ভাবে বা বিসদৃশ অবস্থানে কাজ করা

কিছু কাজ আছে যা দীঘ সময় একই অবস্থায় এলোমেলোভাবে করলে ঘাড়ের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এ ধরনের কাজ আমরা বসে সুন্দরভাবে করতে পারি। অপর দিকে এই অবস্থায় কাজ করলে ঘাড়ের মাংসপেশীগুলো আকড়িয়ে আসে যা ধরে যদি ঘাড়ের অবস্থান ঠিক রাখা যায় তাহলে দিন দিন ঘাড় ব্যথা বাড়তে থাকবে।

তাহলে কি করতে হবে

যখন ঘাড় ও মাথা একই ভাবে অনেকক্ষণ কাজ করা হয় তখন অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঘাড় ও মাথার অবস্থান সঠিকভাবে থাকে।

তথ্যসূত্র

Childs, J.D., Cleland, J.A., Elliott, J.M., Teyhen, D.S., Wainner, R.S., Whitman, J.M., Sopky, B.J., Godges, J.J., Flynn, T.W., Delitto, A. and Dyriw, G.M., 2011. Neck pain: clinical practice guidelines linked to the International Classification of Functioning, Disability, and Health from the Orthopaedic Section of the American Physical Therapy Association. The Journal of Women’s & Pelvic Health Physical Therapy, 35(2), pp.57-90. https://journals.lww.com/jwphpt/fulltext/2011/05000/neck_pain__clinical_practice_guidelines_linked_to.4.aspx

Muller, S.J., 2022. The Effects of Posture on Health Information Recall: A Randomised Trial (Doctoral dissertation, ResearchSpace@ Auckland). https://researchspace.auckland.ac.nz/handle/2292/61832

“Office ergonomics: Your how-to guide” – Mayo Clinic, accessed 2020.

Kovacs, F.M., Abraira, V., Peña, A., Martín-Rodríguez, J.G., Sánchez-Vera, M., Ferrer, E., Ruano, D., Guillén, P., Gestoso, M., Muriel, A. and Zamora, J., 2003. Effect of firmness of mattress on chronic non-specific low-back pain: randomised, double-blind, controlled, multicentre trial. The Lancet, 362(9396), pp.1599-1604. https://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736(03)14792-7/fulltext?k_clickid=%2Faffiliate-disclosure%2F&k_clickid=%2Faffiliate-disclosure%2F

Gordon, S.J., Grimmer-Somers, K. and Trott, P., 2009. Pillow use: the behaviour of cervical pain, sleep quality and pillow comfort in side sleepers. Manual therapy, 14(6), pp.671-678. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S1356689X09000459

Dr. M Shahadat Hossain
Follow me

Physiotherapist, Pain, Paralysis & Manipulative Therapy Specialist, Assistant Professor Dhaka College of Physiotherapy, Secretary-General(BPA), Secretary(CARD), Chief Consultant(ASPC), Conceptual Inventor(SDM), Faculty Member(CRP), Member-Bangladesh Rehabilitation Council

পরামর্শ নিতে 01877733322