গোড়ালি মচকানো কি?
গোড়ালি মচকে যাওয়া একটি প্রচলিত ঘটনা যা পায়ের গোড়ালির আশেপাশের লিগামেন্ট বা শক্ত টিস্যুর ব্যান্ড যা পায়ের হাড়গুলিকে জোড়া লাগিয়ে রাখে, তাদের আঘাত পাওয়ার কারণে ঘটে। এই চোট সাধারণত তখন লাগে যখন কেউ অসাবধানতাবশত গোড়ালি মোচড়ানো বা অস্বাভাবিকভাবে ঘোরানোর ফলে লিগামেন্টগুলি তাদের স্বাভাবিক গতির পরিসীমা ও সীমানা ছাড়িয়ে যায়। এই লিগামেন্টগুলির অতিরিক্ত প্রসারণের ফলে ছিঁড়ে যায় এতে করে গোড়ালির হাড় এবং জয়েন্টগুলি স্থিতিশীল থাকার ক্ষমতা হারাতে পারে।
যখন গোড়ালির চারপাশের লিগামেন্টগুলি তাদের সীমানার বাইরে চলে যায় এবং মচকে যায়, তখন এর ফলে সাধারণত গোড়ালির বাইরের দিকের লিগামেন্টে আঘাত লাগে। এমন পরিস্থিতিতে রোগীকে দ্রুত হাসপাতেলে নিয়ে যাওয়া পরামর্শ উচিত, কারণ একজন চিকিৎসক আঘাতের গভীরতা নির্ধারণ করতে এবং চিকিৎসার উপযুক্ত পদ্ধতি নির্দেশ করতে পারেন। গোড়ালি মচকে যাওয়া আঘাতের পূর্ণ পুনর্বাসনে কয়েক সপ্তাহ থেকে মাস সময় লাগতে পারে, এবং এই সময়ে সঠিক চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অত্যন্ত জরুরি।
গোড়ালি মচকানোর লক্ষণ?
গোড়ালি মচকানো একটি সাধারণ আঘাত যা খেলাধুলা, অসতর্কভাবে পা পিছলে যাওয়া, বা অসমতল পৃষ্ঠে হাঁটাচলার সময় ঘটতে পারে। এটি গোড়ালির লিগামেন্টে সামান্য থেকে গুরুতর স্ট্রেইন বা টান পড়ার ফলে ঘটে। যদি গোড়ালিতে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি পেয়ে থাকেন, তাহলে বুঝবেন গোড়ালি মচকে গেছেঃ
ব্যথা এবং অস্বস্তিঃ গোড়ালিতে ব্যথা অনুভূত হয়, যা চলাফেরার করলে বাড়তে পারে। ব্যথা চোটের মাত্রার উপর নির্ভর করে হালকা থেকে তীব্র পর্যায়ে হতে পারে।
স্ফীতি এবং ফুলে যাওয়াঃ চোট লাগার স্থানে ফোলা দেখা দিতে পারে, যা তরল জমাট বাঁধার ফলে ঘটে। এটি আঘাতপ্রাপ্ত অঞ্চলে রক্ত ও অন্যান্য তরলের সঞ্চয়ের কারণে হয়।
ত্বকের বিবর্ণতাঃ গোড়ালি মচকানোর ফলে আক্রান্ত স্থানে রক্তক্ষরণ ঘটতে পারে যা ত্বকের নিচে সঞ্চিত হয়ে নীল বা বেগুনি রঙের চিহ্ন তৈরি করতে পারে।
কোমলতাঃগোড়ালির যে অংশে মচকে গেছে সেখানে স্পর্শ করলে কোমলতা অনুভূত হয়। এই কোমলতা চোটের স্থানে টিস্যুর ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়।
দৃঢ়তাঃ চোট লাগার পরে, আঘাতপ্রাপ্ত অঞ্চল দৃঢ় বা শক্ত হয়ে উঠতে পারে, যা স্থায়ী বা অস্থায়ী হতে পারে।
গোড়ালির নড়াচড়ার সীমাবদ্ধতাঃ মচকে যাওয়া গোড়ালি পুরোপুরি নড়াচড়া করতে বা ওজন বহন করতে সক্ষম নাও হতে পারে। ব্যথার কারণে গোড়ালির নড়াচড়া কমে যায়।
শ্রবণীয় শব্দঃ মচকে যাওয়ার সময়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি পপিং বা স্ন্যাপিং শব্দ শোনা যেতে পারে, যা লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
ওজন বহনে অক্ষমতাঃ মচকানো গোড়ালিতে ওজন বহন করতে গেলে অসুবিধা হয়, এমনকি অসম্ভবও হতে পারে। এটি চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করে।
গোড়ালি বিভিন্ন ধরনের আঘাত সহ্য করতে পারে। আপনি যখন আপনার গোড়ালিতে সমস্যা অনুভব করছেন তখন ডাক্তারকে দেখানো গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার নির্ধারণ করতে পারবেন আঘাতটি মচকে যাওয়ার কারণে হয়েছে কিংবা মচকে যাওয়া ছাড়াও আরও গুরুতর কিছু হয়েছে কিনা।
গোড়ালি মচকে যাবার কারণ?
গোড়ালি মচকে যাওয়া একটি সাধারণ কিন্তু বেদনাদায়ক আঘাত, যা সাধারণত ঘটে যখন পায়ে আচমকা মোচড় লাগে বা রোল করে, এতে গোড়ালির জয়েন্টকে এর স্বাভাবিক অবস্থান থেকে বেশি চাপ লাগে। দৈনন্দিন কাজকর্মের সময়, হঠাৎ বা অপ্রত্যাশিত নড়াচড়ার কারণে গোড়ালি অন্তর্মুখী বা বহির্মুখী মোচড় পেতে পারে। এটি গোড়ালির চারপাশের লিগামেন্টগুলির অতিরিক্ত প্রসারণ বা ছিঁড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
গোড়ালি মচকে যাওয়ার কারণগুলি হলো:
গর্তে পড়ে যাওয়াঃ অসমতল পৃষ্ঠে হাঁটাচলা করার সময় গর্তে পা আটকে যাওয়া বা পড়ে যাওয়া গোড়ালি মচকে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ।
পরিবহন থেকে নামতে গিয়েঃ রিক্সা বা বাস থেকে নামার সময় অসমতল পৃষ্ঠে পা রাখলে বা ভুল ভাবে পা রাখলে গোড়ালি মচকে যেতে পারে।
সিঁড়ি থেকে নামার সময়ঃ সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুলভাবে পা রাখলে গোড়ালি মচকে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
খেলাধুলার সময়ঃ বাস্কেটবল, টেনিস, ফুটবল এবং অন্যান্য দ্রুত গতির খেলাগুলোতে, বিশেষ করে যেখানে দ্রুত দিক পরিবর্তন এবং জাম্পিং জড়িত, গোড়ালি মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
জুতার সমস্যাঃ অনুপযুক্ত বা এলোমেলো আকৃতির, অতিরিক্ত শক্ত জুতা পরিধান করলে গোড়ালি সহজে মচকে যেতে পারে।
বিছানা থেকে উঠতে গিয়েঃ দীর্ঘক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে হঠাৎ বিছানা থেকে উঠে ভুল ভাবে পা রাখলে গোড়ালি মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
উঁচু হিলের জুতা পরিধানঃ নারীরা উঁচু হিলের জুতা পরিধানের ফলে গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা মচকে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
ফিটনেস লেভেল:যাদের শারীরিক ফিটনেস কম বা যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করেন না, তাদের মধ্যে গোড়ালি মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অত্যধিক ওজন বহন: যারা আমরা অত্যধিক ওজন বহনের কাজ করি ও শরীরের অতিরিক্ত ওজনের ফলেও গোড়ালির উপর চাপ বেশি পড়ে, যা মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
গোড়ালি মচকে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সঠিক ফুটওয়্যার ব্যবহার, অসমতল পৃষ্ঠে সতর্কতার সাথে চলাফেরা এবং শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী খেলাধুলা বা কার্যকলাপ করা জরুরি।
গোড়ালি মচকে গেলে করনীয়?
গোড়ালি যদি সামান্য মচকায় তাহলে ঘরোয়া চিকিৎসা দ্বারা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে অবস্থা যদি গুরুতর হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে হয়তো সার্জারির প্রয়োজন পড়তে পারে। গোড়ালি মচকানোর সন্দেহ হলে হাসপাতালে এসে এক্স-রে করে নিশ্চিত হতে হবে। মচকানো গোড়ালি ফুলে যেতে পারে এবং জয়েন্টের আশপাশে ব্যথা হতে পারে। এমনকি কালশিটে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তীব্রভাবে মচকালে, পা ভর দেয়া অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। এখানে গোড়ালি মচকানোর প্রাথমিক চিকিৎসার বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়া হলো:
- পা বিশ্রামে রাখুন: গোড়ালি মচকানোর পর, অবিলম্বে আক্রান্ত পা বিশ্রামে রাখতে হবে। যে কাজ বা দুর্ঘটনায় এই চোট লেগেছে, সেটি বন্ধ করে দিতে হবে। পা ওপর ভার দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে, নতুবা আরও ক্ষতি হতে পারে।
- বরফের সেঁক: ব্যথা ও ফোলা কমাতে ঠান্ডা সেঁক খুবই কার্যকর। বরফের টুকরো একটি ব্যাগে নিয়ে অথবা একটি কাপড়ে মুড়ে আক্রান্ত জায়গায় প্রায় ২০ মিনিটের জন্য রাখুন। সরাসরি বরফ ব্যবহার না করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন যাতে ত্বকে কোল্ড বার্ন না হয়।
- কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ: মচকানো গোড়ালিতে ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পর, ফোলা কমাতে এবং সুস্থতা ত্বরান্বিত করতে কম্প্রেশন ব্যান্ডেজের ব্যবহার খুবই কার্যকর। এর জন্য, আক্রান্ত গোড়ালি চারপাশে নরম তুলার রোল বা একটি কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ সঠিকভাবে বেঁধে দিন। ব্যান্ডেজের চাপ ফোলা কমানো এবং আক্রান্ত অংশের স্থিরতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পায়ের আঙুল থেকে হাঁটু পর্যন্ত কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে নেওয়া ভালো।
- গোড়ালি উঁচুতে রাখুন: ফোলা কমাতে গোড়ালিটিকে হিপের চেয়ে উঁচুতে রাখুন। বালিশের সাহায্যে এটি করা যায়। যদি ফোলা বাড়তে থাকে, তাহলে চিকিৎসা পরামর্শের জন্য হাসপাতালে যেতে হবে।
- রক্তপ্রবাহের ব্যাপারে সচেতন থাকুন: আহত গোড়ালির ফোলা মোকাবিলায় যখন কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ বা তুলার রোল ব্যবহার করবেন, সেই সময় রক্তপ্রবাহের বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। খুব বেশি চেপে বাঁধা উচিত নয়, কারণ অতিরিক্ত চাপ রক্তচলাচল ব্যাহত করতে পারে। রক্তপ্রবাহ যাচাই করার একটি পদ্ধতি হলো, পায়ের নখে চাপ দিয়ে তার রঙ পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা। নখ চেপে ধরার পর ছেড়ে দিলে, যদি নখের রঙ দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, তাহলে বুঝতে হবে ব্যান্ডেজের চাপ সঠিক আছে। যদি রঙ ফিরে আসতে বেশি সময় নেয়, তবে বুঝবেন ব্যান্ডেজটি খুব টাইট হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় ব্যান্ডেজটি খুলে আবার সঠিকভাবে বেঁধে নিন। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর অন্তর এই পরীক্ষা করে দেখুন যাতে রক্তপ্রবাহ সঠিকভাবে বজায় থাকে।
- পুনরায় ঠান্ডা সেঁক দিন: প্রাথমিক ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পর, প্রতি ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর আবার ঠান্ডা সেঁক দিন। এই প্রক্রিয়া ব্যান্ডেজের ওপরেই করা যাবে। রাতে ব্যান্ডেজটি খুলে ফেলুন এবং আক্রান্ত স্থানে আইস প্যাক রেখে ঘুমানো যাবে না।
আরও পড়ুনঃ পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
ঝুঁকির কারণ
আপনার গোড়ালি মচকে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় এমন কারণগুলির মধ্যে রয়েছেঃ
- খেলাধুলায় অংশগ্রহণঃ খেলার কারনে পায়ের গোড়ালি মচকে যেতে পারে।বিশেষ করে খেলাধুলায় যার জন্য লাফ দেওয়া,কাটার অ্যাকশন বা পা ঘোরা বা মোচড়ানো যেমন,বাস্কেটবল,টেনিস,ফুটবল,সকার এবং ট্রেইল দৌড়ের প্রয়োজন হয়।
- অসম পৃষ্ঠতলঃ অসম পৃষ্ঠে হাঁটা বা দৌড়ানো বা মাঠের খারাপ অবস্থা গোড়ালি মচকে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
- গোড়ালির পূর্বে আঘাতঃ একবার আপনার গোড়ালি মচকে গেলে বা অন্য ধরনের গোড়ালিতে আঘাত পেলে,আপনার আবার মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেঃ গোড়ালিতে দুর্বল শক্তি বা নমনীয়তা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করার সময় মচকে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
- অনুপযুক্ত জুতাঃ যে জুতোগুলি সঠিকভাবে ফিট নয় বা কোনও কাজের জন্য উপযুক্ত নয়,সেইসাথে সাধারণভাবে উচ্চ হিলের জুতাগুলি গোড়ালিগুলিকে আঘাতের জন্য আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
চিকিৎসা
মচকে যাওয়া গোড়ালির চিকিৎসা আপনার আঘাতের তীব্রতার উপর নির্ভর করে।চিকিত্সার লক্ষ্যগুলি হল ব্যথা এবং ফোলা কমানো,লিগামেন্টের নিরাময়কে উন্নীত করা এবং গোড়ালির কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করা।গুরুতর আঘাতের জন্য,আপনাকে পেশীবহুল আঘাতের বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করা যেতে পারে, যেমন একজন অর্থোপেডিক সার্জন বা শারীরিক ওষুধ এবং পুনর্বাসনে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক।
নিম্নলিখিত চিকিৎসা গুলো দিয়ে থাকেনঃ
- মেডিসিন।
- ডিভাইসেস।
- থেরাপি।
- সার্জারি।
ফিজিওথেরাপিচিকিৎসা
গোড়ালি মচকে যাওয়ার তীব্রতার উপর নির্ভর করে,ফিজিওথেরাপিস্ট নিরাময় প্রক্রিয়া বাড়ানোর জন্য একটি চিকিৎসা প্রোগ্রাম ডিজাইন করেন এবং ক্রিয়াকলাপ খেলাধুলায় ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে আইস প্যাক, হিট প্যাক, টেন্স ,আল্ট্রাসাউন্ড মতো পদ্ধতি এবং এক্সারসাইজ রয়েছে যেমনঃ
রেঞ্জ-অফ-মোশন ব্যায়ামঃ জয়েন্টটি যতদূর যেতে পারে ততো দূর সরাতে হবে।
- গোড়ালি বর্ণমালাঃ একটি চেয়ারে বসুন,পা প্রসারিত করে বুড়ো আঙুল দিয়ে বাতাসে বর্ণমালার অক্ষরগুলি ট্রেস করুন।এটি ২ বা ৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন,গোড়ালিটি সমস্ত দিকে সরান।
- হাঁটু গতিঃ একটি চেয়ারে বসুন অথবা পা মেঝেতে সমান ভাবে রাখুন,তারপর ধীরে ধীরে হাঁটু দু-পাশে ২ থেকে ৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন।
স্ট্রেচিং ব্যায়ামঃ গোড়ালি নিরাময় করার সময় অ্যাকিলিস টেন্ডনকে নমনীয় রাখতে।
- স্থায়ী ভাবে পায়ের গোড়ালি প্ররালিঃ সামনের দিকে মুখ করে একটি দেয়ালের সামনে দাঁড়ান, দেয়ালে হাত রাখুন। আহত গোড়ালি এক ধাপ পিছনে রাখুন এবং আঘাতহীন পা সামনে রাখুন। পিছনের গোড়ালি মেঝেতে সমতল রাখুন।আঘাত না করা পায়ের হাঁটু ধীরে ধীরে বাকান যতক্ষণ না আহত পাশের বাছুরের মধ্যে একটি প্রসারিত অনুভূত হয়।৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন, ৩০সেকেন্ড ধরে রাখুন।
- গোড়ালি সামনে দিকে বাড়্নেঃ দেয়ালের সামনে হাত দিয়ে দাঁড়ান,যেন সহজ হয় তার জন্য চেয়ার পিছনে রাখুন।পায়ের গোড়ালি কাঁধ-প্রস্থ আলাদা রাখুন,ধীরে ধীরে পায়ের আঙ্গুলের উপর উঠুন এবং নীচে ফিরে আসুন। ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন তারপর ২০ এ অগ্রগতি করুন।
শক্তিশালীকরণ ব্যায়ামঃ পেশী শক্তিশালী এবং গোড়ালি নড়াচড়া বাড়ানো।
- ইলাস্টিক ব্যান্ড পুশঃ মেঝেতে বসে পাটি প্রসারিত করুন এবং হিলটি মেঝে থেকে দূরে রাখতে এটিকে ২০ ডিগ্রিতে কিছুটা বাড়িয়ে দিন।পায়ের বলের চারপাশে ইলাস্টিক ব্যান্ড রাখুন এবং দুই প্রান্ত ধরে রাখুন।পায়ের আঙুল নির্দেশ করে ধীরে ধীরে গোড়ালিকে সামনের দিকে ঠেলে দিন।তারপর ধীরে ধীরে ফিরিয়ে আনুন।এটি ১০বার পুনরাবৃত্তি করুন।
- ইলাস্টিক ব্যান্ড টানঃ মেঝেতে বসুন, উপরের পা এবং পায়ের আঙ্গুলগুলিকে ব্যান্ডে আটকে দিন। ধীরে ধীরে পা শরীরের দিকে পিছনে টানুন এবং একটি উল্লম্ব অবস্থানে ফিরে যান।১০বার পুনরাবৃত্তি করুন।
অগ্রণী স্পেশালাইড মেনুয়েল ও ম্যানিপুলেটিভ ফিজিওথেরাপি সেন্টারে আপনি গোড়ালি মচকানোর পরিপূর্ণ চিকিৎসা পাবেন।এখানে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক আপনার সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা পরিকল্পনা করবেন,তারপর দক্ষ একদল চিকিৎসক তা প্রয়োগ করবেন।এখানে রয়েছে নিয়মিত চিকিতসার মুল্যায়ন ও প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা নির্ধারণ।ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করলে আপনি গোড়ালি মচকানোর একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত,ব্যথাহীন সচল জীবন যাপন করতে পারবেন।
তথ্যসূত্রঃ
- Hubbard, T.J. and Hicks-Little, C.A., 2008. Ankle ligament healing after an acute ankle sprain: an evidence-based approach. Journal of athletic training, 43(5), pp.523-529. https://meridian.allenpress.com/jat/article-abstract/43/5/523/191143
- Bleakley, C., McDonough, S. and MacAuley, D., 2004. The use of ice in the treatment of acute soft-tissue injury: a systematic review of randomized controlled trials. The American journal of sports medicine, 32(1), pp.251-261. https://journals.sagepub.com/doi/abs/10.1177/0363546503260757
- Kerkhoffs, G.M., Struijs, P.A., Marti, R.K., Assendelft, W.J., Blankevoort, L., Van Dijk, C.N. and Cochrane Bone, Joint and Muscle Trauma Group, 1996. Different functional treatment strategies for acute lateral ankle ligament injuries in adults. Cochrane Database of Systematic Reviews, 2010(1). https://www.cochranelibrary.com/cdsr/doi/10.1002/14651858.CD002938/abstract
- Fong, D.T.P., Hong, Y., Chan, L.K., Yung, P.S.H. and Chan, K.M., 2007. A systematic review on ankle injury and ankle sprain in sports. Sports medicine, 37, pp.73-94. https://link.springer.com/article/10.2165/00007256-200737010-00006
- Kerkhoffs, G.M., van den Bekerom, M., Elders, L.A., van Beek, P.A., Hullegie, W.A., Bloemers, G.M., de Heus, E.M., Loogman, M.C., Rosenbrand, K.C., Kuipers, T. and Hoogstraten, J.W.A.P., 2012. Diagnosis, treatment and prevention of ankle sprains: an evidence-based clinical guideline. British journal of sports medicine. https://bjsm.bmj.com/content/bjsports/early/2012/04/19/bjsports-2011-090490.full.pdf
- Martin RL, Davenport TE, Paulseth S, Wukich DK, Godges JJ, Altman RD, Delitto A, DeWitt J, Ferland A, Fearon H, MacDermid J. Ankle stability and movement coordination impairments: ankle ligament sprains: clinical practice guidelines linked to the international classification of functioning, disability and health from the orthopaedic section of the American Physical Therapy Association. Journal of Orthopaedic & Sports Physical Therapy. 2013 Sep;43(9):A1-40. https://www.jospt.org/doi/abs/10.2519/jospt.2013.0305
- ডেঙ্গু জ্বরের ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ ২০২৪ | ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - November 28, 2024
- হাঁটু ব্যথার জন্য কার্যকারী ব্যায়াম গুলো জেনে নিন - November 28, 2024
- লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস কমানোর উপায়? ও স্পন্ডাইলোসিস কি? - November 5, 2024