পায়ের গোড়ালি ব্যথা
পায়ের গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার. পায়ের গোড়ালি ব্যথা কারণ ও প্রতিকার আমাদের শরীরের সমস্ত ভার পায়ের গোড়ালি দিয়ে মাটিতে স্থানান্তরিত হয়, যা আমাদেরকে সহজে হাঁটাচলা করতে সাহায্য করে। অনেকেই পায়ের গোড়ালির ব্যথায় ভোগেন, যার মধ্যে প্লান্টার ফ্যাসাইটিস অথবা ক্যালকেনিয়াম স্পার (গোড়ালির হাড়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি) প্রধান কারণ।
এই অবস্থায়, সকালে বিছানা থেকে উঠে প্রথম পা মাটিতে রাখলে গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা হয়। হাঁটার সময়, পায়ের নিচে যেন সুচ বা পিন ফুটছে বা খোঁচা লাগছে এমন অনুভূতি হয়। তবে একটু হাঁটার পরে ব্যথা সামান্য কমে যায়।
যে কারণে হতে পারে গোড়ালি ব্যথা
গোড়ালি ব্যথার সম্ভাব্য কারণ বুঝতে হলে আমাদের পায়ের গঠনতাত্ত্বিক বিবেচনা করা প্রয়োজন। পায়ের সামনের অংশ অনেকগুলো ছোট ছোট হাড় দিয়ে গঠিত এবং পেছনের গোড়ালিতে থাকা বড় হাড়টি ক্যালকানিয়াস নামে পরিচিত। এই হাড়গুলোকে একত্রিত করে রাখে বেশ কিছু লিগামেন্ট।
পায়ের গোড়ালি থেকে পায়ের আঙুলের দিকে যে শক্ত টিস্যু ব্যান্ড প্রসারিত হয়, তাকে প্লান্টার ফ্যাসা বলা হয়, যা শরীরের ওজন সমবন্টন এবং শক শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফুট ড্রপের কারণ এবং এর প্রতিকার
১. প্লান্টার ফাসাইটিস: গোড়ালি ব্যথার এক প্রধান কারণ হলো প্লান্টার ফাসাইটিস, যা পায়ের প্লান্টার ফ্যাসিয়ার প্রদাহ বা ক্ষত হলে ঘটে। পায়ের এই টিস্যু ব্যান্ডটিতে দীর্ঘমেয়াদী চাপের ফলে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। শুরুতে ব্যথা কম থাকলেও সময়ের সাথে সাথে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ব্যথা তীব্র হয়ে উঠতে পারে। এটি বিশেষ করে বেশি লক্ষ্য করা যায় দীর্ঘক্ষণ বিশ্রামের পর বা সকালে প্রথম পা মাটিতে রাখার সময়।
২. ক্যালকেনিয়াম স্পার (গোড়ালির নিচের হাড়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি): গোড়ালির হাড়ে (ক্যালকানিয়াস) অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমা হয়ে এক ধরনের তীক্ষ্ণ, সূচালো প্রবৃদ্ধি তৈরি করতে পারে, যা গোড়ালির নিচের মাংসপেশি, ফাসা, লিগামেন্ট, ও অন্যান্য টিস্যুগুলিতে চাপ প্রয়োগ করে। হাঁটাচলা বা পায়ের পাতায় ভর দেওয়ার সময়, এই চাপ তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে যা গোড়ালি ব্যথার অন্যতম কারণ।
৩. গাটে বাত: যখন রক্তের ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়, তখন পায়ের গোড়ালি, বিশেষ করে বুড়ো আঙুলের গোড়া এবং এর চারপাশের জয়েন্টগুলিতে প্রদাহ হতে পারে, যা গোড়ালির ব্যথার একটি প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে।
৪. সেভার্স ডিজিস: সেভার্স ডিজিজ মূলত বাল্য ও কিশোর বয়সীদের মধ্যে দেখা যায়, যেখানে গোড়ালির গ্রোথ প্লেটে মাইক্রো ট্রমা ঘটে, এতে গোড়ালির ব্যথা সৃষ্টি হয়। এই রোগটি বিশেষত ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
৫. অ্যাকিলিস টেন্ডিনাইটিস: আমাদের কাফ মাসলগুলি অ্যাকিলিস টেন্ডনের মাধ্যমে গোড়ালির সাথে যুক্ত থাকে। যখন এই টেন্ডনটি অত্যধিক ব্যবহার বা চাপের মুখে পড়ে, তখন তাতে প্রদাহ সৃষ্টি হয় যা গোড়ালির ব্যথাকে উদ্দীপিত করে।
৬. টারসাল টানেল সিনড্রোম: টারসাল টানেল সিনড্রোম হল এক ধরনের রোগ যেখানে গোড়ালির মধ্য দিয়ে যাওয়া নার্ভে ট্রমা বা দীর্ঘমেয়াদী চাপ সৃষ্টি হবার ফলে গোড়ালিতে ব্যথা অনুভূত হয়।
৭. পায়ের লিগামেন্ট ইঞ্জুরি (পা মচকানো):পায়ের লিগামেন্ট ইঞ্জুরি বা পা মচকানো হল যখন পায়ের লিগামেন্টগুলি অত্যধিক চাপ বা আঘাতের কারণে প্রসারিত বা ছিঁড়ে যায়। এই ধরনের ইঞ্জুরি প্রায়ই গোড়ালিতে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, এবং যন্ত্রণার সৃষ্টি করে।
৮. হাড় ভাঙ্গা (ফ্র্যাকচার):গোড়ালির হাড়ের ফ্র্যাকচার বা হাড় ভাঙ্গা তখন ঘটে যখন অত্যধিক ব্যায়াম, খেলাধুলা বা হাঁটাচলার ফলে গোড়ালির হাড়ে প্রচুর চাপ পড়ে। এই চাপের কারণে হাড়ে চিড় বা ফাটল পারে। যারা প্রচুর দৌড়ানো বা তীব্র শারীরিক ক্রিয়াকলাপে অংশ নেন, তাদের মধ্যে গোড়ালির ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বেশি এবং এর ফলে গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে।
৯. হাড়ের ক্ষয়:অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয়ের কারণে গোড়ালিতে ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। এই অবস্থায় হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পায় এবং তারা দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, যা গোড়ালির ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ হাঁটু ব্যথার কার্যকরী ব্যায়াম
যারা গোড়ালি ব্যথার ঝুঁকিতে থাকেন
গোড়ালি ব্যথার নানাবিধ ঝুঁকি এবং কিছু ঝুঁকি সম্পর্কিত ফ্যাক্টর আছে যেগুলি এর প্রকোপ বৃদ্ধি করে:
- ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে ব্যক্তিদের মধ্যে গোড়ালি ব্যথা সাধারণত বেশি হয়।
- জন্মগত ফ্ল্যাট ফুট বা উঁচু আর্চের পা থাকলে গোড়ালিতে অধিক চাপ পড়ে।
- দীর্ঘকাল শক্ত সোলের জুতা বা হাই হিল পরলে গোড়ালির উপর চাপ বেড়ে যায়।
- কাফ মাসেলের অতিরিক্ত টাইটনেস গোড়ালি ব্যথা বাড়াতে পারে।
- স্থূলতার কারণে গোড়ালিতে চাপ বেশি পড়ে।
- নারীদের গোড়ালি ব্যথা বেশি হতে পারে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়।
- যারা দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করেন সেসকল পেশাজীবীদের গোড়ালি ব্যথা হতে পারে।
- আর্থাইটিস, এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস, অস্টিওকন্ড্রসিস, এবং ডায়াবেটিসের জন্য গোড়ালি ব্যথা হতে পারে।
- পেলভিস পোস্টেরিয়র টিল্টের কারণে গোড়ালি ব্যথা হতে পারে।
- কোমরের পেশীর ভারসাম্যহীনতা, পেলভিস ডেভিয়েশন, নকনি, পায়ের প্রানেশন এবং সুপাইনেশন, এবং পেশীর ভারসাম্যহীনতা গোড়ালি ব্যথার একটি কারণ হতে পারে।
গোড়ালি ব্যথা থেকে বাঁচতে যেসব বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখা উচিত:
- সঠিক ওজন বজায় রাখতে হবে যাতে পায়ের উপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
- আরামদায়ক, সঠিক মাপের এবং শক্তি শোষণ ক্ষমতাসম্পন্ন জুতো পরিধান করা উচিত। শক্ত চপ্পল বা উচ্চ হিলের জুতো এড়িয়ে চলতে হবে।
- অতিরিক্ত হাঁটা বা দাঁড়ানো থেকে বিরত থাকা এবং অসমতল জমিতে হাঁটাচলা করা এড়ানো উচিত।
- খালি পায়ে কঠিন মেঝেতে চলাচল না করা এবং অতিরিক্ত উঁচু-নিচু পৃষ্ঠে পদচারণা এড়ানো উচিত।
- শরীরে ভিটামিন ডি এবং ই-এর সঠিক মাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।
- ডায়েটে শাক-সবজি, ফলমূল এবং সামুদ্রিক মাছ যুক্ত করে নিয়মিত ও সুষম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
গোড়ালি ব্যথার জন্য কখন ডাক্তার দেখাবেন
যে সকল অবস্থায় গোড়ালি ব্যথার জন্য অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত:
- যদি পায়ের পাতা বা গোড়ালি ফুলে যায়।
- গোড়ালি ব্যথা সহ জ্বর হলে বা গোড়ালি ব্যথার কারণে জ্বর হলে।
- গোড়ালি অবশ বা অনুভূতি হারালে।
- হাঁটাচলার সময় পা ভাঁজ করতে বা মুভ করতে সমস্যা হলে।
- পায়ের পাতায় ভর দিয়ে দাঁড়ানোতে কষ্ট হলে।
- যদি গোড়ালি ব্যথা সাত দিনের বেশি স্থায়ী হয় এবং চলাফেরা ছাড়াও নিয়মিত ব্যথা হয়।
- কাফ মাসেলে প্রচন্ড ব্যথা ও ফোলা ভাব দেখা দিলে।
এই উল্লিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ ফ্রোজেন শোল্ডার এর কারণ ও চিকিৎসা
গোড়ালি ব্যথায় চিকিৎসা পদ্ধতি
গোড়ালি ব্যথার নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি বিদ্যমান, যেমন ট্রিগার পয়েন্ট ইনজেকশন, ইনফিল্ট্রেশন, প্লেটলেট-রিচ প্লাজমা (পিআরপি) থেরাপি এবং ফিজিওথেরাপি। বর্তমানে, ফিজিওথেরাপি গোড়ালি ব্যথা উপশমে একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। একজন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর শারীরিক পরীক্ষা, এক্স-রে, এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করেন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করেন। নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি সেশনের মাধ্যমে গোড়ালি ব্যথা থেকে সাধারণত উল্লেখযোগ্য স্বস্তি পাওয়া যায়। ফুট ড্রপের কারণ এবং এর প্রতিকার
প্রাথমিক চিকিৎসা
- আক্রান্ত পায়ে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন।
- আক্রান্ত অংশে দিনে দুই থেকে তিনবার ১০ মিনিট করে বরফ লাগান।
- ইনজুরির স্থানে কম্প্রেশন ব্যান্ডেজ প্রয়োগ করুন, যা সেই অংশের রক্তপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।
- আক্রান্ত পা উচুঁ করে রাখুন যাতে ফোলা কমে এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
- ব্যথা ও প্রদাহ নিরাময়ে ননস্টেরয়েডাল এন্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগস (যেমন: প্যারাসিটামল) গ্রহণ করুন।
- যে সব জুতা পরলে গোড়ালিতে কম চাপ পড়ে এবং যাতে আরামদায়ক ইনসোল বা হিল প্যাড থাকে, সেগুলি পরিধান করুন।
গোড়ালি ব্যথার কারণ ও প্রতিকার ভিডিও
গোড়ালি ব্যথার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা ও সতর্কতা গ্রহণ করেও যদি ব্যথা কমে না, তাহলে একজন দক্ষ চিকিৎসক বা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুসারে আরও উন্নত চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপি এই ধরনের ব্যথার জন্য খুবই কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, প্যারাফিন ওয়াক্স বাথ, ডিপ ট্রান্সভার্স ফ্রিকশন ম্যাসেজ, স্ট্রেচিং ও স্ট্রেঙ্থেনিং প্রোগ্রাম, এবং টেপিং গোঁড়ালি ব্যথায় সাহায্য করতে পারে।
এছাড়াও, ব্যথা কমাতে এবং গোঁড়ালির স্বাস্থ্য উন্নত করতে নিয়মিত কিছু এক্সারসাইজ অত্যন্ত প্রয়োজন। এই এক্সারসাইজগুলি ঘরে বসেই সহজেই করা যায়। নিচে কিছু এক্সাসাইজের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হল:
- ফিতা বা তোয়ালে দিয়ে পায়ের পাতা টানা: ফ্লোরে বা চেয়ারে বসুন, এক পা সোজা রাখুন এবং হাঁটু লক করুন। এরপর একটি ফিতা অথবা তোয়ালে নিয়ে পায়ের পাতার সামনের অংশে আটকে দুই হাত দিয়ে হালকা চাপে টানুন এবং ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এটি দিনে ৩-৪ বার ১০ বার করে করুন।
- বরফে ভরা বোতল দিয়ে রোলিং: একটি আধা লিটার পানির বোতল বরফে ভরে ফ্রিজে রাখুন যাতে বরফ জমে যায়। তারপর পায়ের নিচে রেখে বোতলটি রোল করুন ৩০ সেকেন্ড ধরে। এটি দিনে ৩-৪ বার করুন।
- টেনিস বল দিয়ে রোলিং: একটি টেনিস বল নিয়ে পায়ের গোঁড়ালি থেকে পাতা পর্যন্ত ১৫-২০ বার রোল করুন। এটি দিনে ৩-৪ বার করুন।
- পায়ের পাতায় ম্যাসেজ: হাত দিয়ে পায়ের পাতায় ম্যাসেজ করুন, কেন্দ্র থেকে বাহিরের দিকে আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে। এটি দিনে ৩-৪ বার করুন।
- সিঁড়িতে বা দেয়ালের কাছে দাঁড়ানো: সিঁড়িতে পায়ের পাতার সামনের দিকের অংশ রেখে বাকি অংশ বাইরে রাখুন এবং যে কোনো এক পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ান ৩০ সেকেন্ড ধরে। অথবা দেয়ালের কাছে দাঁড়িয়ে গোঁড়ালি তুলে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলের উপর ভর করে দাঁড়ান এবং ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এটি ১০ বার করে দিনে ৩-৪ বার করুন।
- মাটি স্পর্শ করে বসা: দুই হাত দুই পাশে মাটিতে স্পর্শ করে এক হাঁটু মুড়ে বসুন এবং যে পায়ের গোঁড়ালিতে ব্যথা অনুভব হয় সেই পায়ের পাতা মাটিতে রেখে গোঁড়ালি কিছুটা উঁচু করে বসুন। এভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকুন এবং আস্তে আস্তে পিছনের অংশ দিয়ে পায়ের উপর চাপ কমাতে হবে। যদি হাটু অথবা কোমরে ব্যথা অনুভব হয়, তাহলে জোর করে এই ব্যায়াম করা উচিত নয়।
ট্রিগার পয়েন্ট ইনজেকশন: যদি গোড়ালির ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে তা দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রমে বাধা দেয়, তবে ট্রিগার পয়েন্ট ইনজেকশনের মাধ্যমে স্টেরয়েড ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে ব্যথা হ্রাস করা সম্ভব। তবে, স্টেরয়েড প্রয়োগের আগে এর সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি।
পিআরপি: পিআরপি, যার পূর্ণ রূপ হল প্লেটলেট-রিচ প্লাজমা, একটি উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতিতে, রোগীর নিজের রক্ত থেকে প্লেটলেটসমৃদ্ধ প্লাজমা পৃথক করা হয় এবং তারপর আক্রান্ত এলাকায় ইনজেক্ট করা হয়। এতে বিদ্যমান গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলি ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর মেরামত এবং পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি প্লান্টার ফ্যাসাইটিস সমস্যায় পিআরপি থেরাপি অত্যন্ত কার্যকরী। এটি একটি স্থায়ী সমাধান প্রদান করে যদিও এর খরচ অন্যান্য চিকিৎসার তুলনায় বেশি হতে পারে।
ব্যথা আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুখ-শান্তির জন্য এক বড় বাধা। এটি আমাদের দৈনিক জীবনের নানান কাজে বিঘ্ন ঘটায়। সুতরাং, ব্যথার মুক্তি পেতে এবং একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে আমাদের আগে থেকেই সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। একটু সচেতনতা ও সতর্কতার মাধ্যমে আমরা ব্যথামুক্ত জীবন যাপন করতে পারি। ফুট ড্রপের কারণ এবং এর প্রতিকার
তথ্যসূত্রঃ
- NHS. “Heel Pain”
- Cleveland Clinic. Heel Pain
- Mayo Clinic. Symptoms-Heel Pain
- Beeson, P., 2014. Plantar fasciopathy: revisiting the risk factors. Foot and Ankle Surgery, 20(3), pp.160-165. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S126877311400040X
- Goff, J.D. and Crawford, R., 2011. Diagnosis and treatment of plantar fasciitis. American family physician, 84(6), pp.676-682. https://www.aafp.org/pubs/afp/issues/2011/0915/p676.html
- Cutts, S., Obi, N., Pasapula, C. and Chan, W., 2012. Plantar fasciitis. The Annals of The Royal College of Surgeons of England, 94(8), pp.539-542. https://publishing.rcseng.ac.uk/doi/abs/10.1308/003588412X13171221592456
- ডেঙ্গু জ্বরের ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ ২০২৪ | ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - November 28, 2024
- হাঁটু ব্যথার জন্য কার্যকারী ব্যায়াম গুলো জেনে নিন - November 28, 2024
- লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস কমানোর উপায়? ও স্পন্ডাইলোসিস কি? - November 5, 2024