বর্তমান সময়ে মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ খুবই পরিচিত একটি সমস্যা হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর গড়ে প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন মাথা ব্যথায় ভুগে থাকেন (1)। যারা প্রতি নিয়ত মাথা ব্যথায় ভুগছেন তাদের মধ্যে অনেকেই জানে না যে তার মাথা ব্যথা কি কারনে হচ্ছে।

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

বাংলাদেশের প্রায় ১১.২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী মাইগ্রেনের সমস্যার কারনে, ২০% টেনশন হেডেক এ ভোগেন (2)। এছাড়াও সাইনাস ইনফেকশন, মস্তিষ্কের টিউমার, হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ), ক্লাস্টার হেডেক, দৃষ্টিজনিত সমস্যা, ভাইরাস সংক্রমণ, ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া, মেনিনজাইটিস, সার্ভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস, সার্ভাইকাল রিব জনিত কারনেও মাথা ব্যথা হতে পারে।

মাথার তালুতে ব্যথা কারণ

মাথার তালু বলতে আমরা সধারনত মাথার উপরের অংশে বা চুলের নিচে থাকা ত্বককে বোঝাই। মাথার তালুতে ব্যথা হবার বিভিন্ন কারন গুলো নিম্নে বর্ণিত হলোঃ

মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ: আমরা যখন অনেক সময় বা অনেক দিন ধরে মানসিক চাপ, টেনশন বা স্ট্রেস এ থাকি, তখন এই মানসিক চাপ শরীরের বিভিন্ন স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে, যা মাথা ব্যথার অন্যতম একটি কারন যাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে টেনশন-টাইপ মাথা ব্যাথা বলা হয়, যা মাথার চারপাশে চাপের মতো অনুভূতি সৃষ্টি করে।

ঘুমের অভাব: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন কিন্তু কোন কারনে যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তখন শরীরের কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা স্নায়ুতন্ত্র কে উত্তেজিত করে এবং এর ফলে মাথা ব্যথাও বেড়ে যায় (3)।

চোখের সমস্যা: আমরা যারা বিভিন্ন অফিসে চাকুরী করি তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার ব্যবহার করতে হচ্ছে, আবার ইদানীং দেখা যাচ্ছে আমাদের বাসা বাড়িতে ছোট বাচ্চারা মোবাইল বা টিভির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পরছে। দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল বা টিভির দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে তখন মাথা ব্যাথা হয় যাকে “এস্থেনোপিয়া” বা চোখের ক্লান্তি বলে থাকে, যা মাথার সামনের অংশে চাপের মতো ব্যাথার সৃষ্টি করে।

ডিহাইড্রেশন: ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং, এন্ড মেডিসিন (NASEM) এর একটি গবেষনা মতে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩.৭ লিটার (১৫.৫ কাপ) এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের জন্য প্রতিদিন প্রায় ২.৭ লিটার (১১.৫ কাপ) পানি প্রয়োজন (4)। কিন্তু আমরা অনেকেই এই পরিমান পানি পান করি না তখন আমাদের শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা দেখা দেয় এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ব্যাহত হয়। অনেক সময় এই ডিহাইড্রেশনের ফলেও মাথা ব্যথা হতে পারে কিন্তু সাধারণত ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানি শূন্যতার কারনে মাথা ব্যথার হাড় খুবই নগণ্য।

স্ক্যাল্পের ইনফেকশন বা প্রদাহ: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমাদের মাথার তালুতে লালচে র‍্যাশ, ফুসকুড়ি এবং চুলকানি হচ্ছে যা সাধারণত ত্বকের ফাংগাল বা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারনে হয়ে থাকে। এর ফলে মাথার ত্বক সংবেদনশীল হয়ে ওঠে যার ফলে সামান্য স্পর্শেও মাথা ব্যথা হয়।

আরও পড়ুন
আপনি কী এসিএল (ACL) গ্রেড ১ ইনজুরীতে ভূগছেন?

রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা: আমরা যখন অনেক দিন ধরে মানসিক চাপে থাকি, হাইপারটেনশনে আক্রান্ত থাকি এমন কি দীর্ঘ সময় ধরে চুল টান টান করে বেঁধে রাখি এর ফলে স্ক্যাল্পে বা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ার ফলে স্ক্যাল্পের টিস্যুগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং পুষ্টি পায় না, যা পেশীর টান ও ব্যথার সৃষ্টি করে।

ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি

আপনার মাথা ব্যথার সময় লক্ষ্য করেছেন যে, ব্যথা সাধারণত মাথার সামনের দিকে এবং কপালের চার পাশে বেশি অনুভূত হয়। ব্যথার সময় আপনি আলোর দিকে তাকাতে পারছেন না এমনকি মাঝে মাঝে বমি ভাবও অনুভব করেন। ব্যথা সাধারণত কয়েক ঘণ্টা থেকে শুরু করে একদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সমস্যা গুলো বিভিন্ন কারনে হতে পারে যেমনঃ

সাইনাস ইনফেকশন: আপনার যদি সাইনাস ইনফেকশন বা সাইনোসাইটিস থাকে তবে আপনার মাথার হাড়ের মধ্যে থাকা বায়ুভর্তি ফাঁকা স্থানে ইনফেকশন হয় যার ফলে আপনার নাক বন্ধ, কাশি, ঘ্রাণের পরিবর্তন এবং মুখের ভিতরে চাপ অনুভূব হতে পারে এর পাশাপাশি আপনার সাইনাসের চারপাশে চাপ এবং ব্যথা হতে পারে এমন কি মাথার সামনের অংশে, কপালের চারপাশে বা মাথার দুই পাশে ঘন ঘন ব্যথা হতে পারে।

হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ): দীর্ঘ দিন ধরে যদি কেউ উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনে ভোগে তাহলে তার মাথার ভেইন বা রগের উপর অতিরিক্ত চাপ পরে অনেক ক্ষেত্রে এই চাপ এতটাই বেশি হয়ে থাকে যে মাথার পেছনে, পুরো মাথার চারপাশ বা মাথার দুই পাশ পর্যন্ত এই চাপ অনুভব হয় যার ফলে ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয়।

মেডিকেশন ওভারইউজ হেডেক: যখন কোন ব্যক্তি মাসে ১০-১৫ দিনের বেশি ব্যথানাশক ওষুধ খায় কিংবা নিয়মিত মাইগ্রেনের ওষুধ খায় তখন শরীর এই ওষুধের উপর তার নির্ভরশীল বা অভ্যস্ত হয়ে পরে। তখন মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের ভারসাম্য বজায় থাকে না এর ফলে ঘন ঘন মাথা ব্যথা হয় যাকে রিবাউন্ড হেডেক বলে।

হরমোনের পরিবর্তন: মহিলাদের মধ্যে মাসিক চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে, গর্ভাবস্থায়, এবং মেনোপজের সময় হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করে। বিশেষত, মাসিক চক্রের ঠিক আগে এবং পরে স্তর হঠাৎ করে এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলেও, এটি মাইগ্রেনের ব্যথার কারণ হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত মাইগ্রেনের তুলনায় বেশি তীব্র হয় এবং এটি “মেনস্ট্রুয়াল মাইগ্রেন” নামে পরিচিত।  

সার্ভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস: যখন কারো ঘাড়ের মেরুদণ্ডের ক্ষয় হয় যা সাধারণত সার্ভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস নামে পরিচিত, তখন ঘাড়ের মাংশপেশীতে টান ধরে যার ফলে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাঁধাগ্রস্ত হয় এবং এর ফলে মাথার পেছনে এবং কখনও কখনও কপালের দিকে বা মাথার দুই পাশে ব্যথা হয়।

 সার্ভাইক্যাল রিব: সার্ভাইক্যাল রিব হল একটি অতিরিক্ত হাড়, যা সাধারণত জন্মগত ভাবে ঘাড়ের সপ্তম মেরুদণ্ড থেকে বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত হাড় স্নায়ু এবং রক্তনালী, বিশেষত ব্র্যাকিয়াল প্লেক্সাস (যা হাত ও বাহুর স্নায়ুর সমষ্টি) এবং সাবক্ল্যাভিয়ান ধমনী (যা বাহুর রক্ত সরবরাহ করে) এর উপর চাপ ফেলে যার ফলে রগগুলির উপর চাপ পড়লে রক্ত চলাচল কমে যায় ফলে মাথা ব্যথার পাশাপাশি মাথা ঘোরাতেও পারে।

আরও পড়ুন
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাদ্য তালিকা (ভিডিও সহ)

ক্যাফেইন বা অ্যালকোহলের প্রভাব: আমাদের সমাজে অনেকেই অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা অ্যালকোহলে আসক্ত। নিয়মিত ক্যাফেইন সেবনকারী ব্যক্তি মস্তিষ্কে ক্যাফেইনের উপস্থিতির সাথে আসক্ত হয়ে পরে কিন্তু যদি কোন কারনে তার মস্তিষ্কে ক্যাফেইনের উপস্থিতি কমে যায় তাহলে প্রচুর মাথা ব্যথা হয়। আবার অ্যালকোহল সেবনকারী ব্যক্তির শরীরের কেমিক্যাল ভারসাম্য পরিবর্তন ঘটে এবং শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা দেখা দেয় যার ফলে মস্তিষ্কের চারপাশের টিস্যু সংকুচিত হয় এবং তীব্র মাথা ব্যথা হয়।

কি করলে মাথা ব্যথা কমে?

প্রাথমিক অবস্থায় আপনি একজন নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ঔষধ যেমনঃ প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন, এসপিরিন, ট্রিপটানস, এরগোটামিনস, Muscle Relaxants, বেটা-ব্লকারস, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকারস, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্টস গ্রহণ করার পাশাপাশি জীবন যাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে অনেকের ক্ষেত্রেই এই মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

আবার কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় ওষুধ খাওয়ার পরেও ব্যথা পুরোপুরি কমে না, তখন আপনার বুঝে নিতে হবে যে আপনার মাথা ব্যথাটা আপনার ঘাড়ের মেড়ুদন্ডের হাড়ের সাথে সম্পৃক্ত, সেক্ষেত্রে আপনার মাথা ব্যথা কমাতে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরী। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ম্যানুয়াল থেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি বা হাইড্রোথেরাপিও গ্রহণ করতে পারেন।

কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এই সমস্যার সমাধানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেখানে কারেকশন বা ম্যানুয়াল থেরাপি একটি প্রধান উপায় হিসেবে বিবেচিত হয় (5)। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠানে কারেকশন বা ম্যানুয়াল থেরাপি সেবা চালু আছে যেখান থেকে আপনি সহজেই চিকিৎসা গ্রহন করতে পারবেন। কিন্তু একমাত্র ASPC ম্যানু্পুলেশন থেরাপি সেন্টার (House #U64, Noorjahan Road Mohammadpur, Dhaka-1207) Structural Diagnosis & Management (SDM) টেকনিকের ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন।

এখানে সর্বপ্রথম আপনার শারীরিক অবস্থা SDM টেকনিকের মাধ্যমে অ্যাসেসমেন্ট করে আপানর মাথা ব্যথার কারন সম্পর্কে সঠিক ধারনা নিয়ে কারেকশন থেরাপির মাধ্যমে প্রথমে ঘাড়ের মাংশপেশী গুলো (স্টার্নোক্লিডোমাস্টয়েড, ট্র্যাপিজিয়াস, স্কেলিনস, লেভেটর স্ক্যাপুলি, স্প্লেনিয়াস ক্যাপিটিস, স্প্লেনিয়াস সার্ভিসিস, সেমিস্পিনালিস ক্যাপিটিস, সেমিস্পিনালিস সার্ভিসিস, রম্বয়েডস এবং ক্যাপিটিস) প্রথমে রিলিজ করা হয় তারপর স্ট্রেচিং এবং মাংশপেশীর অবস্থা অনুযায়ী স্ট্রেন্থেনিং এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন যার ফলে ঘাড়ের হাঁড় আগের মত বাঁকানো অবস্থা সহ মাথা ব্যথা পুরোপুরি নিরাময় করা হয় যার ফলে রোগী দ্রুত মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পায় এবং পুনরায় মাথা ব্যথার সম্ভাবনাও কমে যায়।

দ্রুত মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

যদি আপনার মাথা ব্যথা সাধারন কোন কারনে হয়ে থাকে তাহলে কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় মেনে দ্রুত আপনি মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাতে পারেন। আপনি মাথায় পানি দিতে পারেন যা মাইগ্রেন বা ক্লাস্টার হেডেক কমাতে সাহায্য করে এবং পর্যাপ্ত পরিমান পানি করতে পারেন। এছাড়াও আদা চা বা দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। কারন আদা বা হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে যা আপনার মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। কিছু এক্সারসাইজ আছে যেমন, ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা শ্বাসের ব্যায়াম, যোগ ব্যায়াম আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে দ্রুত মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে (6)।

আরও পড়ুন
স্ট্রোকের ঝুঁকিতে কারা আছেন?

তথ্যসূত্র

  1. Rafi, A., Islam, S., Hasan, M.T. and Hossain, G., 2022. Prevalence and impact of migraine among university students in Bangladesh: findings from a cross-sectional survey.BMC neurology22(1), p.68. https://link.springer.com/article/10.1186/s12883-022-02594-5
  2. Rahman, A., Ali, Z., Bhattacharjee, M., Chowdhury, R.S., Dey, S.K., Quraishi, F.A. and Saha, U.K., 2020. Frequency and Pattern of Primary Headache Disorders at a Tertiary Health Facility in Dhaka, Bangladesh.JOURNAL OF THE INDIAN MEDICAL ASSOCIATION118(06). https://www.researchgate.net/profile/Aminur-Rahman-6/publication/352749573_Original_Article_Frequency_and_Pattern_of_Primary_Headache_Disorders_at_a_Tertiary_Health_Facility_in_Dhaka_Bangladesh/links/60d6241b92851ca94487e4bb/Original-Article-Frequency-and-Pattern-of-Primary-Headache-Disorders-at-a-Tertiary-Health-Facility-in-Dhaka-Bangladesh.pdf
  3. Spiegel, K., Leproult, R. and Van Cauter, E., 1999. Impact of sleep debt on metabolic and endocrine function.The lancet354(9188), pp.1435-1439. https://www.thelancet.com/journals/lancet/article/PIIS0140-6736(99)01376-8/fulltext?cc=y%3D
  4. Standing Committee on the Scientific Evaluation of Dietary Reference Intakes, Panel on Dietary Reference Intakes for Electrolytes and Water, 2005.Dietary reference intakes for water, potassium, sodium, chloride, and sulfate. National Academies Press. https://books.google.com/books?hl=en&lr=&id=QX9_BZvlItgC&oi=fnd&pg=PP20&dq=+National+Academies+of+Sciences,+Engineering,+and+Medicine.+(2005).+Dietary+Reference+Intakes+for+Water,+Potassium,+Sodium,+Chloride,+and+Sulfate.+The+National+Academies+Press.&ots=waE5Pf45d6&sig=MYiWxSh_C4-OkCzUPsIj_3fH2pg
  5. Bialosky, J.E., Bishop, M.D., Price, D.D., Robinson, M.E. and George, S.Z., 2009. The mechanisms of manual therapy in the treatment of musculoskeletal pain: a comprehensive model.Manual therapy14(5), pp.531-538. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S1356689X08001598
  6. Brown, R.P. and Gerbarg, P.L., 2005. Sudarshan Kriya yogic breathing in the treatment of stress, anxiety, and depression: part I—neurophysiologic model.Journal of Alternative & Complementary Medicine11(1), pp.189-201. https://www.liebertpub.com/doi/abs/10.1089/acm.2005.11.189
Dr. M Shahadat Hossain
0 0 প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা
পোস্ট রেটিং
0 মন্তব্য
প্রতিক্রিয়া
সমস্ত প্রতিক্রিয়া দেখুন
পরামর্শ নিতে 01877733322