মাথার পেছনের ব্যথা বা “অক্সিপিটাল পেইন” হলো ঘাড়ের উপরের দিক, কানের নিচে বা মাথার পিছনের অংশে অনুভব হওয়া ব্যথা। সাধারণত ঘাড়ের পেশী টান, স্নায়ু বা রগে চাপ পড়া, বা ঘাড়ের হাড়ে ক্ষয়জনিত কারণে এই ব্যথা দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে, বিশ্বের প্রায় ৫০% প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে মাথাব্যথায় ভোগেন, যার মধ্যে একটি বড় অংশের ব্যথা মাথার পেছনে হয় (WHO, 2022) । অনেক সময় এই ব্যথা সাধারণ পেশীর টান থেকে শুরু হয়ে সারভাইকাল স্পনডাইলোসিস, অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া বা উচ্চ রক্তচাপের মতো জটিল সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।

পেশীজনিত কারণ (Muscle-related Causes)

ঘাড়ের পেশীর টান (Neck Muscle Strain)

ঘাড়ের পেশীর টান মাথার পেছনের ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি। দীর্ঘসময় কম্পিউটারের সামনে নিচু হয়ে বসা, মোবাইল ব্যবহার, ভারি বস্তু তোলা বা অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে ঘুমানোর ফলে ঘাড়ের ট্রাপিজিয়াস এবং অক্সিপিটাল পেশীগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এতে পেশী স্পাজম বা শক্ত হয়, যার ফলে মাথার পেছন ও ঘাড়ের ওপরের দিকে ব্যথা ছড়িয়ে দেয়। এই ধরনের পেশীজনিত ব্যথা সাধারণত “Tension-type headache” নামেও পরিচিত।

মানসিক চাপ (Stress-induced Tension)

মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা ঘুমের অভাবের কারনেও মাথার পিছনে ব্যথা হতে পারে। কারণ স্ট্রেসের সময় শরীরে কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোন বৃদ্ধি পায়, যা পেশীতে টান তৈরি করে এবং ঘাড়ের দুই পাশের টিস্যু শক্ত করে দেয়। ফলে ব্যথা ঘাড় থেকে মাথার পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

স্নায়ুজনিত কারণ (Nerve-related Causes)

অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া (Occipital Neuralgia)

অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া হলো এক ধরনের স্নায়ুজনিত ব্যথা, যা সাধারণত মাথার পেছনের অংশে বিদ্যুৎ চমকের মতো তীব্র ও হঠাৎ ব্যথা সৃষ্টি করে। এটি ঘটে যখন গ্রেটার অক্সিপিটাল নার্ভ (Greater Occipital Nerve) বা লেসার অক্সিপিটাল নার্ভ (Lesser Occipital Nerve) কোনোভাবে চাপে পড়ে, প্রদাহ হয়, বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এই স্নায়ুগুলো ঘাড়ের ওপরের দিক থেকে মাথার পেছনের ত্বক পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে; তাই নার্ভে চাপ পড়লে ব্যথা মাথার পেছন, কান বরাবর, এমনকি কপাল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া সাধারণত একপাশে হয় এবং ব্যথা মিনিট থেকে ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে (Vanelderen et al., 2011)।

সারভাইকাল স্পনডাইলোসিস (Cervical Spondylosis)

সারভাইকাল স্পনডাইলোসিস হলো ঘাড়ের হাড় ও ডিস্কের বয়সজনিত ক্ষয়প্রক্রিয়া, যা মেরুদণ্ডের জয়েন্ট ও স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারভারটেব্রাল ডিস্ক ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় এবং হাড়ে অস্টিওফাইট (হাড়ের অতিবৃদ্ধি) তৈরি হয়, ফলে স্নায়ু বা রগে চাপে পড়ে। এর ফলে ব্যথা শুধু ঘাড়েই নয়, বরং মাথার পেছন, কাঁধ, বাহু ও হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। একটি ক্লিনিক্যাল রিভিউতে দেখা গেছে, সারভাইকাল স্পনডাইলোসিস রোগীদের প্রায় ৬০–৭০% ক্ষেত্রে মাথার পেছনের দিকে ব্যথা বা মাথা ভার লাগার উপসর্গ থাকে (Binder, 2007)।

রক্তনালিজনিত কারণ (Vascular Causes)

মাইগ্রেন (Migraine)

মাইগ্রেন সাধারণত মাথার একপাশে তীব্র ব্যথা হিসেবে দেখা দেয়, তবে অনেক সময় এই ব্যথা মাথার পেছনের দিকেও ছড়িয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যখন ঘাড়ের রক্তনালি ও স্নায়ু বা রগ জনিত সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি নিউরোভাসকুলার (neurovascular) রোগ, যেখানে মস্তিষ্কের রক্তনালির অস্বাভাবিক প্রসারণ ও স্নায়ুর অতিসংবেদনশীলতা মিলিতভাবে ব্যথা সৃষ্টি করে। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা (photophobia), বমি বমি ভাব (nausea), শব্দে অস্বস্তি ও ক্লান্তি। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, হরমোনের পরিবর্তন (বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে), অতিরিক্ত ক্যাফেইন, ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস মাইগ্রেনের প্রধান কারন গুলোর মধ্যে অন্যতম (Ashina, M et al.,2022)।

হাইপারটেনশন হেডেক (High Blood Pressure Headache)

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন দীর্ঘ সময় নিয়ন্ত্রণে না থাকলে রক্তনালির চাপ বেড়ে গিয়ে মাথার পেছনের অংশে ভারি ধরনের ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশি অনুভূত হয়, কারণ রক্তচাপ ভোরবেলা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়। যদি রক্তচাপ ১৬০/১০০ mmHg বা তার বেশি হয়, তখন এই ধরনের ব্যথার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

জয়েন্ট বা হাড়ের সমস্যা (Joint & Bone Causes)

সারভাইকাল ফ্যাসেট জয়েন্ট ডিসফাংশন

ঘাড়ের মেরুদণ্ডে প্রতিটি হাড়ের (vertebra) মধ্যে দুটি ছোট জয়েন্ট থাকে,যেগুলোকে বলা হয় ফ্যাসেট জয়েন্ট (Facet Joints)। এই জয়েন্টগুলো ঘাড়ের নড়াচড়া যেমন ঘাড় বাঁকানো, ঘোরানো ও সোজা রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন এসব জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ, প্রদাহ বা ক্ষয় (degeneration) দেখা দেয়, তখন তা থেকে ব্যথা ঘাড়ের উপরের অংশ থেকে শুরু হয়ে মাথার পেছন (occipital region) পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় Cervicogenic Headache। এতে ব্যথা সাধারণত একপাশে হয় এবং মাথা ঘোরানো বা উঁচু-নিচু করার সময় ব্যথা বেড়ে যায়।

জীবনযাপন ও অন্যান্য কারণ (Lifestyle & Other Factors)

মাথার পেছনের ব্যথা অনেক সময় কোনো জটিল রোগ নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের কিছু ভুল অভ্যাস ও পরিবেশগত প্রভাব থেকেই সৃষ্টি হয়।

ঘুমের ভুল ভঙ্গি বা উঁচু বালিশ ব্যবহার

আমাদের ঘাড়ের মেরুদণ্ড সাধারণত ইংরেজি “C” অক্ষরের মত বাঁকা থাকে অতিরিক্ত উঁচু বা শক্ত বালিশে ঘুমালে ঘাড়ের স্বাভাবিক এই বাঁক (cervical curvature) নষ্ট হয়, ফলে পেশী ও জয়েন্টে চাপ পড়ে। এতে ঘাড় শক্ত হয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথার পেছনে ব্যথা অনুভূত হয়।

দীর্ঘ সময় মোবাইল বা ল্যাপটপ নিচু করে দেখা

দীর্ঘ সময় নিচু হয়ে স্ক্রিন বা মনিটর দেখলে “টেক্সট নেক সিন্ড্রোম (Text Neck Syndrome)” তৈরি হয়, যেখানে ঘাড়ের পেশী ও ডিস্কে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে পেশী টান ও মাথার পেছনের দিকে ব্যথা সৃষ্টি হয়।

ঠান্ডা আবহাওয়া বা এসিতে দীর্ঘ সময় থাকা

অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাসে বা এসিতে ঘাড়ের পেশী সংকুচিত হয়ে যায়, ফলে রক্ত চলাচল কমে ও ব্যথা সৃষ্টি হয়। ঠান্ডা পরিবেশে থাকা কর্মীদের মধ্যে মাংসপেশি জনিত ব্যথা সাধারণত বেশি দেখা যায়।

দৃষ্টিজনিত সমস্যা বা চোখের ক্লান্তি

দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থাকলেও অনেকে চোখ অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কাজ করে, যার ফলে মাথা ও ঘাড়ের পেছনের অংশে পেশী টান পড়ে। দীর্ঘ সময় মনোযোগ দিয়ে স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে “ocular strain headache” হতে পারে, যা প্রায়ই মাথার পেছন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

কানের সংক্রমণ বা দাঁতের ব্যথা থেকে রেফার্ড পেইন

কান, গলা ও দাঁতের স্নায়ুসমূহ মাথা ও ঘাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত, ফলে কানের সংক্রমণ, সাইনাসাইটিস বা দাঁতের প্রদাহ থেকেও ব্যথামাথার পেছনে অনুভূত হতে পারে।

চিকিৎসকের কাছে যাবেন? (When to See a Doctor)

মাথার পেছনের ব্যথা অনেক সময় সাধারণ কারণে হলেও, কিছু লক্ষণ দেখা দিলে তা গুরুতর স্নায়ুবিক বা রক্তনালিজনিত রোগেরকারন হতে পারে। তাই নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি—

ব্যথা যদি নিয়মিত ফিরে আসে বা তীব্র হয়:পুনরাবৃত্তি হওয়া বা ক্রমাগত তীব্র মাথাব্যথা কখনো Cervicogenic Headache, Occipital Neuralgia বা মস্তিষ্কের ভাসকুলার রোগের সূচক হতে পারে। বিশেষত ব্যথা ঘাড় থেকে মাথায় ছড়ালে তা অবহেলা করা উচিত নয়।

চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাবের সঙ্গে থাকলে:এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেন, রক্তচাপ বৃদ্ধি বা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। বিশেষ করে হঠাৎ দৃষ্টিবিভ্রাট বা মাথা ঘোরা দেখা দিলে তা ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (TIA)–এর লক্ষণও হতে পারে।

ঘাড় শক্ত হয়ে গেলে বা হাত-পায়ে ঝিনঝিন ভাব দেখা দিলে:এটি সারভাইকাল স্পনডাইলোসিস, ডিস্ক প্রলাপ্স বা নার্ভ কমপ্রেশন–এর ইঙ্গিত হতে পারে। ঘাড় নড়াতে ব্যথা বা হাতের আঙুলে অসাড়তা দেখা দিলে ফিজিওথেরাপিস্ট বা নিউরোলজিস্টের পরামর্শ জরুরি ।

হঠাৎ ব্যথা শুরু হলে, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে:হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা, বিশেষ করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে, এটি Hypertensive Crisis বা Subarachnoid Hemorrhage–এর মতো বিপজ্জনক অবস্থার পূর্বাভাস হতে পারে। এমন সময় দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

চিকিৎসা

প্রাথমিকভাবে মাথার পেছনের ব্যথা দেখা দিলে প্রথম ধাপে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বা নিউরোলজিস্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ সঠিক রোগ নির্ণয় ছাড়া চিকিৎসা শুরু করলে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রদাহনাশক (NSAIDs), মাংসপেশি শিথিলকারী (muscle relaxant), বা স্নায়ুবিক ব্যথানাশক (neuropathic pain medication) ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ব্যথা অনেকাংশে কমানো যায়। তবে শুধু ওষুধে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও ব্যথার মূল কারণ যেমন—ঘাড়ের পেশী টান, নার্ভে চাপ, বা জয়েন্টের অস্বাভাবিকতা—দূর হয় না।

এই কারণেই একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যথার মূল উৎস নির্ণয় করে ম্যানুয়াল থেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। বাংলাদেশে ASPC Manipulation Therapy Center (U-64, Nurjahan Road, Mohammadpur, Dhaka-1207) দীর্ঘদিন ধরে মাথার পেছনের ব্যথা ও ঘাড়জনিত সমস্যা অ্যাসেসমেন্ট (clinical assessment) করে থাকে এবং রোগীর অবস্থার ওপর ভিত্তি করে evidence-based manual physiotherapy প্রয়োগ করে। এই পদ্ধতিতে অনেক রোগী ওষুধের ওপর নির্ভরতা ছাড়াই দ্রুত ব্যথামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যান।

তবে কিছু জটিল ক্ষেত্রে, যেমন সারভাইকাল ডিস্ক প্রলাপ্স, নার্ভ রুট কমপ্রেশন বা ফ্যাসেট জয়েন্টের ক্ষতি, সেখানে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। এই অবস্থায় ফিজিওথেরাপি ও ওষুধের পাশাপাশি নিউরোসার্জন বা অর্থোপেডিক সার্জনের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

করণীয় ও প্রতিরোধ (Prevention & Self-care)

মাথার পেছনের ব্যথা প্রায়ই জীবনযাপন পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। নিচের পদক্ষেপগুলো নিয়মিত মেনে চললে ব্যথা প্রতিরোধ ও পুনরাবৃত্তি কমানো সম্ভব—

সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও ঘুমানো

দীর্ঘ সময় মোবাইল বা কম্পিউটারের সামনে নিচু হয়ে না বসে, চোখের সমতলে স্ক্রিন রাখা উচিত। ঘুমের সময় মাঝারি উচ্চতার বালিশ ব্যবহার করা এবং পিঠ সোজা রেখে শোয়া ঘাড়ের উপর চাপ কমায়।

পর্যাপ্ত পানি পান ও ঘুম

শরীরের পানির ঘাটতি রক্তপ্রবাহে প্রভাব ফেলে, যা মাথাব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে স্নায়ু উত্তেজনা বেড়ে পেশীতে টান সৃষ্টি হয়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম মাথার পিছনে ব্যথার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমাতে পারে।

দীর্ঘ সময় এক ভঙ্গিতে না থাকা

প্রতি ৩০–৪৫ মিনিট পর পর অবস্থান পরিবর্তন করা উচিত — দাঁড়িয়ে হালকা নড়াচড়া করা বা হাত-পা ছড়িয়ে নেওয়া ঘাড় ও মেরুদণ্ডের চাপ কমায়।

মাথার পেছনের ব্যথা অনেক সময় সাধারণ বিষয় মনে হলেও এর পেছনে থাকতে পারে নানা জৈবিক, স্নায়ুবিক ও জীবনযাপনজনিত কারণ। ঘাড়ের পেশী টান, ভুল ভঙ্গিতে কাজ করা, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব কিংবা সারভাইকাল হাড়ের ক্ষয়ের মতো কারণগুলো ধীরে ধীরে এই ব্যথাকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। তবে সুখবর হলো—সচেতন জীবনধারা, সঠিক বসা ও ঘুমানোর ভঙ্গি বজায় রাখা এবং নিয়মিত ঘাড়-কাঁধের হালকা ব্যায়াম করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবুও যদি ব্যথা ঘন ঘন ফিরে আসে, ঝিনঝিন ভাব বা মাথা ঘোরা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে ফিজিওথেরাপিস্ট বা নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর পদক্ষেপ।

অপারেশনের আগে ও পরে অর্থাৎ সার্জিক্যাল কন্ডিশনে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা

অপারেশনের আগে ও পরে অর্থাৎ সার্জিক্যাল কন্ডিশনে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা. যে সমস্ত রোগ…