দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়. ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক রোগ। সময় মত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে এবং সঠিক সময়ে ডায়াবেটিস কমানো না গেলে অথবা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানা না থাকলে এটি নানাবিধ শারীরিক জটিলতার কারন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারন হয়েও দাড়াতে পারে।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় জানার আগে আমদের অবশ্যই ডায়াবেটিস সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস সম্পর্কে আপনাকে যা জানতে হবে তা হল-ডায়াবেটিস কি? ডায়াবেটিসের ধরনঃ টাইপ-১ ডায়াবেটিস, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, প্রিডায়াবেটিস,  জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।

শারীরিক লক্ষণ যা দেখে বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অর্থাৎ ডায়াবেটিসের লক্ষন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কাদের সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ডায়াবেটিসের ঝুকি, ডায়াবেটিস আমাদের জীবনে যে সকল জটিলতা বয়ে আনে অর্থাৎ ডায়াবেটিসের জটিলতা।

এই সকল সামগ্রিক বিষয় জানা থাকলে আপনি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা বা ডায়াবেটিস কমানোর উপায় সম্পর্কে অবগত হবেন এবং ডায়াবেটিস কমাতে সক্ষম হবেন। সর্বপরী আপনি কখন  চিকিৎসকের শরনাপন্ন্য হবেন সে বিষয়টিও বুঝতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ গুলো জেনে নিন

ডায়াবেটিস কি?

ডায়াবেটিস বর্তমান বিশ্বের নীরব ঘাতক নামে পরিচিত একটি রোগ, সাধারনত শরীরে গ্লূকোজ (শরীরের প্রধান শর্করা) এর তারতম্যের কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামক এক হরমোন রক্তে গ্লূকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়( পাকস্থলির পিছনে অবস্থিত অঙ্গ) থেকে উৎপন্ন হয় ।

গ্লূকোজ আমাদের দেহের প্রধান জ্বালানী হিসেবে কাজ করে থাকে, আমাদের দেহ  দৈনন্দিন খাবার থেকেই সাধারণত গ্লূকোজ সংগ্রহ করে। এই গ্লূকোজ ব্যবহারের জন্য দেহের ইনসুলিন এর প্রয়োজন। কিন্তু ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে স্বভাবতই ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না নতুবা ইনসুলিন ঠিকঠাক কাজ করে না। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মারাত্তক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে যেমন বিভিন্ন প্রধান অঙ্গের ( হার্ট, কিডনী, চোখ, নার্ভ) ক্ষতিসাধন।

ডায়াবেটিসের ধরন

গবেষণা থেকে তথ্য মতে ডায়াবেটিস এর অনেক প্রকার ভেদ থাকলেও বর্তমান বিশ্বের আঙ্গিকে ডায়াবেটিস কে প্রধান দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় (টাইপ-১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস)। এছাড়াও প্রিডায়াবেটিক ডায়াবেটিস , জেস্টেশনাল ডায়াবেটিক ডায়াবেটিস( গর্ভকালীন ডায়াবেটিক) ঊল্লেখ যোগ্য।

টাইপ ডায়াবেটিস

টাইপ-১ ডায়াবেইস ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস নামে অধিক পরিচিত, যা সাধারনত অটোইমুঊন কন্ডিশন।যখন আমাদের শরীরের নিজস্ব এন্টিবডি অগ্ন্যাশয় কে আক্রমন করে ঠিক তখনি টাইপ-১ ডায়াবেটিস কন্ডিশন টি দেখা দেয়। অগ্ন্যাশয় তখন ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পরে।

এছাড়াও আমাদের জীন ( বংশগতির নিয়ন্ত্রক) এই ধরনের ডায়াবেটিস এর জন্য দায়ী। এইধরনের ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে শরীরে গ্লূকোজ মাত্রা অনেক বেশী থাকে। অন্যান্য ডায়াবেটিস এর তুলনায় এটি কম লক্ষণীয় এবং প্রতিরোধ যোগ্য নয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের এই ধরনটি সাধারনত শিশু( জুভেনাইল) এবং যুবক( ইয়াং এডাল্ট) দের মধ্যে  দেখা গেলেও যে কোন বয়সে হতে পারে।

টাইপ ডায়াবেটিস

টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর এই ধরন টি সাধারনত সব থেকে বেশী লক্ষণীয়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে আমাদের শরীর যথেষ্ট পরিমানে ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না নতুবা ইনসুলিন তৈরি করলেও তা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়। ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত ৯৫ ভাগ রোগী টাইপ ২ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত।

অতিরিক্ত অলসতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন টাইপ-২ ডায়াবেটিসের এই ধরনটির প্রধান কারণ হিসেবে গণ্য। প্রতিরোধ যোগ্য ডায়াবেটিস এর এই ধরন টি সাধারনত মধ্য বয়স্ক এবং বয়স্ক লোকদের মাঝেই বেশি দেখা যায়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস এডাল্ট অনসেট ডায়াবেটিস এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট ডায়াবেটিস নামেও পরিচিত।

প্রি ডায়াবেটিস

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর প্রাক্কালে প্রিডায়াবেটিসের এই ধরন টি সাধারনত দেখা যায়। যখন রক্তে গ্লূকোজ এর মাত্রা স্বাভাবিক( ১০০ মিগ্রা/ডেলি,  ফাস্টিং)) এর তুলনায় বেশি কিন্তু তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস নির্দেশ করে না তখন আমরা প্রিডায়াবেটিস বলে থাকি।

জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

গর্ভকালীন সময়  ইনসুলিন রেজিস্টেন্স সাধারনত জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের এই ধরনটির জন্য দায়ী। সাধারনত গরভকালীন সময়ের মাঝে অথবা শেষের দিকে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস দেখা যায়। শতকরা ২ থেকে ১০ ভাগ গর্ভধারণের সয়য় জেস্টেশনাল ডায়াবেটিসের এই ধরনটি ধরা পড়ে এবং শিশুর জন্মের পর তা আর দেখা যায় না। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে করনীয়

কিন্তু ১০% মহিলা যারা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হয় তারা কিছু সপ্তাহ অথবা বছর নাগাদ টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর ঝুঁকিতে থাকে।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

  • ঘন ঘন  প্রসাব, সাধারনত রাতে সবচেয়ে বেশি
  • অতিরিক্ত তৃষ্ণার্ত
  • অকারনে ওজন কমে যাওয়া
  • ক্ষুধা বৃদ্ধি
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • হাত ও পায়ের অনুভূতি কমে যাওয়া
  • ক্লান্ত অনুভব করা
  • ত্বক শুষ্ক অনুভব করা
  • ঘা দেরিতে শুখানো
  • অতিরিক্ত রোগাক্রান্ত হওয়া , ইত্যাদি।

এছাড়াও টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, পেট ব্যাথা ইত্যাদি লক্ষণীয়।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

পরিবারে পিতা মাতার ডায়াবেটিস থাকলে তা সন্তানের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ওজন, অলসতা, পোলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (মহিলাদের ক্ষেত্রে) ,অতিরিক্ত রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক , ৪৫ বছর অথবা তার বেশী বয়স্ক ব্যক্তি, ধূমপানে আসক্ত, মদপানে আসক্ত, শারীরিক ও মানসিক চাপ, অগ্ন্যাশয় এ ক্ষত, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

ডায়াবেটিসের জটিলতা

কারডিয়োভাস্কুলার ডিজিজ, নার্ভ ডেমেজ (নিউরোপ্যাথি), কিডনি ডিজিজ (নেফ্রোপ্যাথি),রেটিনোপ্যাথি, চর্মরোগ, ইরেক্টাইল ডিস্ফাংশন, বধিরতা, ডিপ্রেশন, দাঁতের সমস্যা ইত্যাদি জটিলতা ডায়াবেটিস আমাদের জীবনে বয়ে আনে।

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় অথবা ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

টাইপ-১ ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ইনসুলিন নিয়মিত গ্রহন করা টাইপ-১ ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে নির্ভর যোগ্য চিকিৎসা, এছাড়াও নিয়মিত ফলোআপ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন এ সহায়তা করে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

জীবন ধারার পরিবর্তন, মুখে খাবার ওষুধ (সালফোনেলইউরিয়াস, গ্লিনাইডস, বিগুনাইডস ইত্যাদি), ইনসুলিন, নিয়মিত শারীরিক কসরত টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত।

প্রি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ঝুঁকিতে থাকা কারণ দুরী করন, খ্যাদাভ্যাসে পরিবর্তন, শারীরিক কসরত ইত্যাদি প্রিডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে প্রচলিত চিকিৎসা।

জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

সুষম খাবার নির্বাচন, ওরাল মেডিকেশন, ইনসুলিন ইত্যাদি জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত।

ডায়াবেটিস কমানোর জন্য করনীয়

জীবন ধারার পরিবর্তন ডায়াবেটিস কমাতে এক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারনত টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিরাময় যোগ্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু ছোট ছোট পরিবর্তন আমাদের জটিল স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পারে, তাই যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এই সকল ছোট পদক্ষেপ অনুসরন করা উচিৎ।

১। অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলুন যা আপনার ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য কারীঃ শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলা ডায়াবেটিস অনেকাংশেই কমিয়ে আনে। আমেরিকান ডায়াবেটিস এসোসিয়েশন এর তথ্য মতে, ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হবার পূর্বে যদি অন্তত শতকরা ৭-১০ ভাগ বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলা যায় তবে তা ডায়াবেটিস এর সংক্রমন এর মাত্রা কমিয়ে দেয়।

অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে কার্যকরী পরিকল্পনা ও দৃঢ় মনোবল থাকা অতন্ত্য প্রয়োজনীয়। শরীরের অতিরিক্ত ওজন অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করা উচিৎ। সপ্তাহে অন্তত ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কিলোগ্রাম ওজন কমানোর পরিকল্পনা আপনার চিকিৎসক অথবা ফিজিওথেরাপিস্ট কনসালটেন্সি নিয়ে তৈরি করুন।

২। শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ান যা আপনার ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্যকারীঃ শরীর চর্চা আমাদের ওজন কমাতে, রক্তে গ্লূকোজ এর মাত্রা কমাতে এবং ইনসুলিন এর প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। মধ্যবয়স্ক ও বয়স্ক ব্যক্তিদের কিছু শরীরচর্চা যা কার্যকর ভূমিকা রাখে সাধারণত ওজন কমাতে ও স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখতে তা নিচে ঊল্লেখ করা হলোঃ

  • এরোবিক এক্সারসাইজ যা আপনার ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্যকারীঃ অন্তত দিনে ৩০ মিনিট বা সপ্তাহে ১৫০ মিনিট দ্রুত হাটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, দৌড়ানো ডায়াবেটিস কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • রেজিস্টেন্স এক্সারসাইজ যা আপনার ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্যকারীঃ প্রতি সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার শক্তি, ভারসাম্য, দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এগুলো কার্যকরী,  যেমনঃ ভারোত্তোলন, ইয়োগা ইত্যাদি। অলসতা পরিহার করুন, ইনেক্টিভিটি লিমিট করুন, দীর্ঘসময় ধরে কাজ না করে ৩০ মিনিট এর বিরতি নিন, এই সময় টা তে দাঁড়ান, হাঁটুন, ছোট খাটো এক্সারসাইজ করুন।

৩। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন যা আপনার ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্যকারীঃ তেল জাতীয় খাবার পরিহার করুন, শাক সবজি , মাছ, ফল বেশি রাখুন আপনার খাদ্য তালিকায়। উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্য ভিটামিন, খনিজ ও শর্করার ঊত্তম উৎস। ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার, আঁশ যুক্ত খাবার ডায়াবেটিস কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

  • ডায়াবেটিস কমাতে যে সকল খাদ্য খেতে পারবঃ বিন বা শিম জাতীয় খাবার,ব্রুক্লি, ডিম, টক দই, এস্পারগাস,  ফুলকপি, বাঁধাকপি,চামড়া ছাড়া পোলট্রি মুরগী, টফু,  টুনা মাছ, সারডিন মাছ,সালমন মাছ, কড মাছ,  বেরি জাতীয় ফল,আপেল, লেবু, এভোক্যাডো,  কলা, কমলা, বাদাম, অটস, বার্লি, অলিভ অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল,ব্ল্যাক কফি ইত্যাদি ডায়াবেটিস কমানোর জন্য খেতে পারবো।
  • ডায়াবেটিস কমাতে যে সকল খাদ্য খাওয়া বারনঃ বোতল জাতীয় পানীয়, তরমুজ, প্রক্রিয়া জাত চিনি, পাকা আম, পেঁপে, আনারস, ক্যান্ড ফিশ, সাদা রুটি, আলু, ফ্রিজিং ফুড ইত্যাদি ডায়াবেটিস কমানোর জন্য খাওয়া বারন।

৪। ডায়াবেটিস কমাতে ধূমপান ও মদপান পরিত্যাগ করুনঃ ধূমপান ও মদপান ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, এটি ইনসুলিন রেজিস্টেন্সে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই ডায়াবেটিস কমাতে ধুমপান ও মদপান ত্যাগ করুন যত দ্রুত সম্ভব।

৫। ডায়াবেটিস কমাতে পানি পান করুনঃ পানি পান অন্যান্য পানীয় এর তুলনায় ডায়াবেটিস কমাতে ও প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৬। মানসিক চাপ কমানঃ অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপ ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, তাই মানসিক চাপ কমানো কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কিছু রিলাক্সেশন পদ্ধতি এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে যেমনঃ মেডিটেশন, গান শোনা, পছন্দের কাজ করা ইত্যাদি।

কখন চিকিৎসকের শরনা পন্য হবেন

ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান এর তথ্য মতে, রক্তে গ্লূকোজ এর মাত্রা ৩০০ মিগ্রা/ ডেলি অথবা তার বেশি থাকলে তা ঝুঁকিপূর্ণ । যদি পরপর দুইবার গ্লূকোজ রিডিং ৩০০ মিগ্রা/ ডেলি অথবা তার বেশি আসে তবে যতশীঘ্রই সম্ভব চিকিৎসকের নিকট যাওয়া উচিৎ।

তথ্যসূত্র

Care, D., 2019. Standards of medical care in diabetes 2019. Diabetes Care, 42(Suppl 1), pp.S124-38. https://www.sochob.cl/web1/wp-content/uploads/2019/12/Obesity-Management-for-the-Treatment-of-Type-2-Diabetes-Standards-of-Medical-Care-in-Diabetes%E2%80%942019.pdf

Selph, S., Dana, T., Blazina, I., Bougatsos, C., Patel, H. and Chou, R., 2015. Screening for type 2 diabetes mellitus: a systematic review for the US Preventive Services Task Force. Annals of internal medicine, 162(11), pp.765-776. https://www.acpjournals.org/doi/abs/10.7326/m14-2221

Forbes, Josephine M., and Mark E. Cooper. “Mechanisms of diabetic complications.” Physiological reviews 93, no. 1 (2013): 137-188. https://journals.physiology.org/doi/abs/10.1152/physrev.00045.2011

Knowler, W.C., Barrett-Connor, E., Fowler, S.E., Hamman, R.F., Lachin, J.M., Walker, E.A., Nathan, D.M., Watson, P.G., Mendoza, J.T., Smith, K.A. and Caro, J., 2002. Reduction in the incidence of type 2 diabetes with lifestyle intervention or metformin. https://jdc.jefferson.edu/medfp/322/

Colberg, S.R., Sigal, R.J., Fernhall, B., Regensteiner, J.G., Blissmer, B.J., Rubin, R.R., Chasan-Taber, L., Albright, A.L. and Braun, B., 2010. Exercise and type 2 diabetes: the American College of Sports Medicine and the American Diabetes Association: joint position statement. Diabetes care, 33(12), pp.e147-e167. https://diabetesjournals.org/care/article-abstract/33/12/e147/39268

Evert, A.B., Boucher, J.L., Cypress, M., Dunbar, S.A., Franz, M.J., Mayer-Davis, E.J., Neumiller, J.J., Nwankwo, R., Verdi, C.L., Urbanski, P. and Yancy Jr, W.S., 2014. Nutrition therapy recommendations for the management of adults with diabetes. Diabetes care, 37(Supplement_1), pp.S120-S143. https://diabetesjournals.org/care/article-abstract/37/Supplement_1/S120/37774

Dr. M Shahadat Hossain
Follow me

Physiotherapist, Pain, Paralysis & Manipulative Therapy Specialist, Assistant Professor Dhaka College of Physiotherapy, Secretary-General(BPA), Secretary(CARD), Chief Consultant(ASPC), Conceptual Inventor(SDM), Faculty Member(CRP), Member-Bangladesh Rehabilitation Council

পরামর্শ নিতে 01877733322