ডিজেনারেটিভ ডিস্ক হলো মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলোর একটি স্বাভাবিক ক্ষয় প্রক্রিয়া, যা সাধারণত বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ে। মেরুদণ্ডের ডিস্ক গুলো মেরুদণ্ডের হাড়ের মাঝে কুশনের মতো কাজ করে, যা মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বজায় রাখে এবং শক শোষণ করে। যখন এই ডিস্ক গুলো তাদের স্থিতিস্থাপকতা এবং জলীয় উপাদান হারাতে শুরু করে, তখন এগুলো শক্ত এবং পাতলা হয়ে যায়, ফলে মেরুদণ্ডের হাড় গুলো একে অপরের সাথে ঘর্ষণে আসে এবং ব্যথার সৃষ্টি করে।

ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগ কি?

ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ হলো মেরুদণ্ডের একটি সমস্যা, যা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলোর ক্ষয় প্রাপ্তির কারণে ঘটে। মেরুদণ্ডের ডিস্ক গুলো আমাদের মেরুদণ্ডের হাড় গুলোর মাঝে একটি কুশনের মতো কাজ করে, যা নড়া চড়ার সময় শক শোষণ করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ডিস্ক গুলো পানি এবং প্রোটিন হারাতে শুরু করে, ফলে এ গুলো শক্ত হয়ে যায় এবং তাদের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়।

এর ফলে ডিস্কে ফাটল ধরতে পারে, ডিস্ক সঙ্কুচিত হয়ে যেতে পারে, এমনকি ডিস্ক প্রল্যাপস বা হার্নিয়েশনও ঘটতে পারে। এই অবস্থায় পিঠের নিচের অংশে বা ঘাড়ে তীব্র ব্যথা হয়, যা কখনো কখনো হাত বা পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে জ্বালা পোড়া বা অসাড়তা অনুভব হয়। ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজের ঝুঁকি বয়সের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়, তবে জীবন যাপনের অভ্যাস, আঘাত এবং জেনেটিক প্রভাবের ফলেও এটি হতে পারে।

ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগ কেন হয়?

ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগ (Degenerative Disc Disease) সাধারণত মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলোর স্বাভাবিক ক্ষয় প্রাপ্তির কারণে ঘটে, যা বয়স বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কৃত। প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে

বয়স বৃদ্ধি বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেরুদণ্ডের ডিস্ক গুলো তাদের জলীয় উপাদান এবং স্থিতিস্থাপকতা হারাতে শুরু করে, ফলে এগুলো শক্ত ও পাতলা হয়ে যায়। এই পরিবর্তনের ফলে ডিস্ক গুলোর শক শোষণ করার ক্ষমতা কমে যায় এবং মেরুদণ্ডের হাড় গুলোর মধ্যে ঘর্ষণ শুরু হয়, যা ব্যথা এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে।

ডিস্ক গুলোর এই প্রক্রিয়ায় ক্রমান্বয়ে ক্ষয় হওয়া কে “ডিজেনারেশন”বলে যা একজন মানুষের ৪০ বছর বয়সের পর থেকে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। গবেষনায় দেখা গেছে, ৬৫ বছর বয়সে প্রায় ২০% মানুষ এবং ৮০ বছর বয়সে প্রায় ৩৫% মানুষ ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজে আক্রান্ত হতে পারেন (1)।

অতিরিক্ত শারীরিক চাপ যখন মেরুদণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যেমন ভারী ওজন বহন করা, মেরুদণ্ডের অবস্থান সঠিক না রেখে বসা বা দাঁড়ানো কিংবা শারীরিক ভারসাম্য ঠিক না রেখে পরিশ্রম করা যার ফলে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো তে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। যারা ভারী জিনিস তোলা, টানাটানি করা বা শারীরিক শ্রমের কাজের সাথে যারা নিয়মিত জড়িত থাকেন, তাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়া, সঠিক ভাবে না বসে দীর্ঘ সময় বসে থাকা, কম্পিউটারের সামনে ঝুঁকে কাজ করা, এবং ভুল ভাবে ব্যায়ামের করা এসব কাজও মেরুদণ্ডের ডিস্ক গুলোর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগ কি

জেনেটিক প্রভাব জেনেটিক ভাবে কিছু মানুষের মেরুদণ্ডের ডিস্ক গুলো ক্ষয়প্রাপ্তির প্রবণ থাকে, যা এই রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যাদের পরিবারে মেরুদণ্ডের সমস্যার ইতিহাস রয়েছে, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। জেনেটিক প্রভাবের কারণে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলোর গঠনগত বৈশিষ্ট্য এবং স্থিতিস্থাপকতা প্রভাবিত হতে পারে, যা ডিস্কগুলো কে দ্রুত ক্ষয় প্রাপ্ত হতে বাধ্য করে। এমন কি এই প্রভাবের কারণে কিছু মানুষ কম বয়সেই ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগের লক্ষণ প্রকাশ করতে পারে। আপনি কি মেরুদন্ড এর সমস্যায় ভুগছেন

ধূমপান ধূমপান ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। ধূমপানের ফলে শরীরের রক্তনালী গুলোর সংকোচন ঘটে, যা মেরুদণ্ডের ডিস্ক গুলোর অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহ কে কমিয়ে দেয়। এতে ডিস্কগুলো শুষ্ক এবং দুর্বল হয়ে যায়, ফলে এগুলোর স্থিতিস্থাপকতা ও শক শোষণ করার ক্ষমতা কমে যায়।

ধূমপানের কারণে ডিস্কের ক্ষয়প্রাপ্তি ত্বরান্বিত হয় এবং রোগের উপসর্গ যেমন পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথা, দ্রুত দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীদের মধ্যে ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং এই রোগের অগ্রগতি ধূমপান না করা ব্যক্তিদের তুলনায় দ্রুত হয় (2)।

ওজন বৃদ্ধি অতিরিক্ত ওজনের কারণে মেরুদণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, যা মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলোর শক শোষণ করার ক্ষমতা কে দুর্বল করে দেয়। এই চাপের ফলে ডিস্ক গুলো দ্রুত ক্ষয় প্রাপ্ত হয় এবং মেরুদণ্ডের হাড়গুলোর মধ্যে ঘর্ষণ শুরু হয়, যা ব্যথা এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন মেরুদণ্ডের নিচের অংশে বেশি চাপ সৃষ্টি করে, কারণ এই অংশ টি ওজনের বেশির ভাগ অংশ বহন করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ওজনের কারণে মেরুদণ্ডের ডিস্ক গুলোর মধ্যে দহন জনিত পরিবর্তন ঘটে, যা তাদের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয় এবং ডিজেনারেটিভ প্রক্রিয়া কে ত্বরান্বিত করে (3)।

ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগের কারণে কি পেট ব্যথা হতে পারে?

ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি সাধারণত মেরুদণ্ডের ব্যথা এবং অস্বস্তিরতায় ভোগে, সাধারত এর ফলে সরাসরি পেট ব্যথা  হয় না। তবে, এই রোগের কারণে মেরুদণ্ডের নিচের অংশে যদি স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে এবং স্নায়ু ক্ষতি গ্রস্ত হয়, তাহলে সেই ব্যথা পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে বা পেটের দিকে রেডিয়েট করতে পারে। এটি সাধারণত লোয়ার ব্যাক পেইন বা সায়াটিকা রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যেখানে ব্যথা কোমর থেকে নিতম্ব, পা এবং কখনো কখনো পেট পর্যন্ত অনুভূত হতে পারে।

ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগের চিকিৎসা কি?

চিকিৎসার পদ্ধতি গুলো সাধারণত রোগের উপসর্গের তীব্রতা এবং রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। নিচে কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো

ঔষধ

  • ব্যথানাশক ঔষধ অ্যাসিটামিনোফেন (প্যারাসিটামল), আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন যা মৃদু থেকে মাঝারি ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
  • মাংসপেশির শিথিলকারক মাংসপেশির খিঁচুনি কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
  • অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) প্রদাহ এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
  • কোর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন প্রদাহ কমাতে মেরুদণ্ডের ডিস্ক বা আশেপাশের স্নায়ু তে ইনজেকশন দেওয়া হয়, যা ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ফিজিওথেরাপি ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলোর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি, ব্যথা উপশম এবং দৈনন্দিন কার্য ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞরা রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ম্যানুয়াল থেরাপির নির্ধারণ করেন, যা মেরুদণ্ডের পেশি ও লিগামেন্ট গুলো কে মজবুত করে এবং ডিস্কের উপর চাপ কমায়।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি তে প্রধানত স্ট্রেচিং এবং স্ট্রেংথেনিং ব্যায়াম গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা মেরুদণ্ডের নমনীয়তা এবং স্থিতিশীলতা বাড়াতে সহায়ক। এছাড়াও, পোস্টারিয়াল এক্সারসাইজের মাধ্যমে রোগীদের সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা শিখানো হয়, যা ডিস্কে অতিরিক্ত চাপ পড়া থেকে রক্ষা করে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, প্রাইভেট চেম্বার এবং ক্লিনিক গুলোতে ফিজিওথেরাপি ও ম্যানুয়াল থেরাপির চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। একজন গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কাছে সঠিক রোগ নির্ণয় এবং পরামর্শ গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র ASPC ম্যানুপুলেশন থেরাপি সেন্টার, যা Mohammadpur, Dhaka-তে অবস্থিত, বিশেষভাবে ম্যানুয়াল থেরাপির মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। এখানে Structural Diagnosis & Management (SDM) টেকনিকের ভিত্তিতে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী কারেকশন থেরাপি প্রদান করা হয়, যা দ্রুত রোগ উপশমে সহায়ক।

সঠিক থেরাপির মাধ্যমে মেরুদণ্ডের কাঠামোগত উন্নতি এবং সংশ্লিষ্ট মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধির ফলে রোগী সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারেন এবং রোগের পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমে যায়। তাই ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে এই রোগের উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য একজন যোগ্য এবং অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডিজেনারেটিভ পরিবর্তন

সার্জারি (ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগের জন্য কি সার্জারি করা যায়?) ডিজেনারেটিভ ডিস্ক রোগের জন্য সার্জারি করা যেতে পারে, তবে এটি সাধারণত তখনই প্রয়োজন হয় যখন অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি, যেমন ঔষধ, ফিজিওথেরাপি এবং ইনজেকশন ব্যথা কমাতে পারে না এবং রোগীর জীবন যাত্রার মান মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হয়। সাধারণত, রোগের উপসর্গ যদি গুরুতর হয় যেমন স্নায়ুর চাপের কারণে পা বা হাতে তীব্র ব্যথা, অসাড়তা বা দুর্বলতা থাকে এবং এই উপসর্গ গুলো ক্রমশ বৃদ্ধি পায় তখন সার্জারি করা হয়।

ল্যামিনেকটমি (Laminectomy) ল্যামিনেকটমি সার্জারি বিশেষ করে তখন প্রয়োজন হয় যখন ডিস্কের ক্ষয় প্রাপ্তি বা হাড়ের অতিরিক্ত বৃদ্ধির (বোন স্পার) কারণে মেরুদণ্ডের স্নায়ুর উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয় এবং এটি স্নায়ুর কার্য ক্ষমতা কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই পদ্ধতি তে ক্ষতিগ্রস্ত ডিস্কের অংশ অপসারণের পাশাপাশি স্নায়ুর চারপাশের স্থান বৃদ্ধি করা হয়, যা ব্যথা ও অসাড়তা কমাতে সহায়ক।

ডিস্কেকটমি (Discectomy) ডিস্কেকটমি সাধারণত সায়াটিকা বা স্নায়ুর ব্যথা উপশমে কার্যকর, যা কোমর থেকে পা পর্যন্ত ছড়ায়। ডিস্কেকটমি করার সময় একজন সার্জন পিঠে ছোট একটি ছিদ্র করে মেরুদণ্ডে প্রবেশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ডিস্কের অংশটি সরিয়ে ফেলেন।

স্পাইনাল ফিউশন (Spinal Fusion) স্পাইনাল ফিউশন সার্জারি তে মেরুদণ্ডের হাড়গুলো কে একত্রিত করতে হাড়ের গ্রাফ্ট বা মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয়। এটি মেরুদণ্ডের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে এবং ব্যথা উপশমে সহায়ক হয়। যদিও এই পদ্ধতি তে মেরুদণ্ডের নমনীয়তা কিছুটা কমে যায়, তবে এটি মেরুদণ্ডের ব্যথা এবং স্নায়ুর চাপে থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

ডিস্ক রিপ্লেসমেন্ট (Disc Replacement) ডিস্ক রিপ্লেসমেন্ট সার্জারির মাধ্যমে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক গতিশীলতা এবং নমনীয়তা বজায় রাখা সম্ভব হয়, যা স্পাইনাল ফিউশনের মতো বিকল্প সার্জারি পদ্ধতিতে সম্ভব হয় না। এই সার্জারি তে ক্ষতিগ্রস্ত ডিস্ক টি সরিয়ে তার জায়গায় কৃত্রিম ডিস্ক প্রতিস্থাপন করা হয়, যা মেরুদণ্ডের হাড়গুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক কুশনিং এবং নড়া চড়ার সুবিধা প্রদান করে। এটি মেরুদণ্ডের অন্য অংশের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র:

  1. Modic, M.T., 1999. Degenerative disc disease and back pain. Magnetic resonance imaging clinics of North America, 7(3), pp.481-491. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S1064968921005705
  2. Rajesh, N., Moudgil-Joshi, J. and Kaliaperumal, C., 2022. Smoking and degenerative spinal disease: A systematic review. Brain and Spine, 2, p.100916. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S2772529422000571
  3. Weber, K.T., Jacobsen, T.D., Maidhof, R., Virojanapa, J., Overby, C., Bloom, O., Quraishi, S., Levine, M. and Chahine, N.O., 2015. Developments in intervertebral disc disease research: pathophysiology, mechanobiology, and therapeutics. Current reviews in musculoskeletal medicine, 8, pp.18-31. https://link.springer.com/article/10.1007/s12178-014-9253-8
Dr. M Shahadat Hossain
Follow me

Physiotherapist, Pain, Paralysis & Manipulative Therapy Specialist, Assistant Professor Dhaka College of Physiotherapy, Secretary-General(BPA), Secretary(CARD), Chief Consultant(ASPC), Conceptual Inventor(SDM), Faculty Member(CRP), Member-Bangladesh Rehabilitation Council

পরামর্শ নিতে 01877733322