গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ
গ্যাস্ট্রিকের (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা) বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে, যা মূলত পেটের এসিডের অতিরিক্ত নিঃসরণ বা হজম প্রক্রিয়ার সমস্যার কারণে হয়। গ্যাস্ট্রিকের কিছু সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো – পেট ব্যথা গ্যাস্ট্রিকের প্রধান লক্ষণ গুলির মধ্যে পেটের উপরের অংশে তীব্র ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। এটি সাধারণত খাবার খাওয়ার পরে বা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর দেখা যায়।
বুক জ্বালা গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত বুকের মাঝখানে বা গলা থেকে পেট পর্যন্ত জ্বালা পোড়া অনুভূতি হিসেবে প্রকাশ পায়। পেট ফাঁপা বা ফুলে যাওয়া পেট ফাঁপা বা ফুলে যাওয়ার অনুভূতি গ্যাস্ট্রিকের একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত অতিরিক্ত গ্যাসের কারণে হয়। বারবার ঢেকুর তোলা খাবার খাওয়ার পর বা খালি পেটে বারবার ঢেকুর তোলা গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ হতে পারে। এটি পাকস্থলীতে অতিরিক্ত বাতাস জমার কারণে হয়।
বমি বমি ভাব বা বমি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় বমি বমি ভাব, এমন কি কখনও কখনও বমি হতে পারে। এটি সাধারণত হজমের গণ্ডগোল বা অ্যাসিডের অতিরিক্ত নিঃসরণের কারণে হয়। ক্ষুধামন্দা
গ্যাস্ট্রিকের কারণে ক্ষুধামন্দা বা খাবারে অরুচি দেখা দিতে পারে। কখনও কখনও খাবারের গন্ধে বা দেখায়ও বমি বমি ভাব হয়। গলার মধ্যে কিছু আটকে থাকার অনুভূতি – গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেক সময় গলার মধ্যে কিছু আটকে থাকার অনুভূতি হয়, যা বেশ অস্বস্তিকর হতে পারে।
গ্যাস ও পেট ফাঁপা অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হওয়া এবং পেট ফাঁপা গ্যাস্ট্রিকের একটি গুরুত্ব পূর্ণ লক্ষণ। এটি অনেক সময় পেট ব্যথার কারণও হতে পারে। পায়খানা করার অভ্যাসের পরিবর্তন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে পায়খানা করার অভ্যাসেও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে, যেমন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য। তীব্র মাথাব্যথা ও ক্লান্তি গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেক সময় মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা বা ক্লান্তি অনুভব হতে পারে, বিশেষ করে যদি দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা হয়।
যদি এই লক্ষণ গুলি নিয়মিত দেখা যায় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। গ্যাস্ট্রিক সমস্যার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, তাই সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
গ্যাসের ব্যথা বুকের কোন পাশে হয়
গ্যাসের কারণে যে ব্যথা হয়, তা সাধারণত বুকের যে কোনো পাশেই হতে পারে, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি বুকের বাম পাশে অনুভূত হয়। এই ব্যথা টি পেটের উপরের অংশে বা বুকের মাঝা মাঝি জায়গায় ও অনুভূত হতে পারে এবং কখনও কখনও এটি হৃদরোগের ব্যথার মতোও মনে হতে পারে।
গ্যাসের ব্যথা সাধারণত বুকের পাঁজরের নিচে বা বুকের মাঝখানে অনুভূত হয়। এটি তীব্র বা চাপের মতো অনুভূত হতে পারে এবং কখনও কখনও বুকে জ্বালা পোড়া বা পেটের উপরের অংশে অস্বস্তির অনুভূতি ও হতে পারে।
যদি বুকের ব্যথা খুব তীব্র হয় বা অন্যান্য লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বা শরীরের এক পাশে দুর্বলতা থাকে, তবে এটি গ্যাসের ব্যথা না-ও হতে পারে এবং তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এটি হৃদরোগ বা অন্য কোনো গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ
বুকে গ্যাস জমার কারণে যে সমস্যা গুলি দেখা যায়, তা বেশ অস্বস্তিকর হতে পারে এবং অনেক সময় এটি হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগের মতো অনুভূত হতে পারে। গ্যাস জমার কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো – বুকে তীব্র ব্যথা বা চাপের অনুভূতি গ্যাস জমার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত বুকের বাম দিকে বা মাঝখানে অনুভূত হয় এবং কখনও কখনও পাঁজরের নিচে বা পিঠের দিকে ছড়াতে পারে।
বুক জ্বালা গ্যাস জমার কারণে বুকের মাঝা মাঝি বা উপরের অংশে জ্বালা পোড়া মতো অনুভূতি হতে পারে। এটি সাধারণত খাবার খাওয়ার পর বা শোয়ার সময় আরও খারাপ হতে পারে। পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি বুকে গ্যাস জমার সঙ্গে পেট ফাঁপা বা পেট ভারী লাগা এবং পেটের উপরের অংশে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। এটি সাধারণত অতিরিক্ত গ্যাস বা বাতাস জমার কারণে হয়।
গ্যাস্ট্রিক পেট ব্যাথা
বারবার ঢেকুর তোলা গ্যাস জমার ফলে বুকের মধ্যে চাপ অনুভূত হলে বারবার ঢেকুর উঠতে পারে, যা অনেক সময় বুকের অস্বস্তি বা ব্যথার উপশম করে। শ্বাসকষ্ট গ্যাস জমার ফলে বুকের মধ্যে চাপ পড়তে পারে, বা শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। এটি বিশেষত শোয়ার সময় বা বেশি খাওয়ার পর হতে পারে। মাথা ঘোরা এবং ক্লান্তি গ্যাস জমার কারণে কখনও কখনও মাথা ঘোরা বা হালকা মাথা ব্যথা হতে পারে। এছাড়া ক্লান্তি বা দুর্বলতাও অনুভব হতে পারে।
গলার মধ্যে কিছু আটকে থাকার অনুভূতি, গ্যাসের কারণে অনেক সময় গলার মধ্যে কিছু আটকে থাকার মতো অনুভূতি হতে পারে, যা অস্বস্তিকর এবং গ্যাস জমার কারণে বমি বমি ভাব, এমনকি কখনও কখনও বমি হতে পারে। এটি সাধারণত হজমের গণ্ডগোল বা পাকস্থলীতে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপের কারণে হয়।
করণীয়
যদি আপনি উপরের লক্ষণ গুলো লক্ষ্য করেন, তবে এটি গ্যাসের কারণে হতে পারে। তবে, বুকের ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ গুলি যদি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে এটি হৃদরোগের লক্ষণও হতে পারে, তাই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা। গ্যাস্ট্রিক, যা সাধারণত গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি বা অ্যাসিডি টির সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত, একটি সাধারণ হজম জনিত সমস্যা। এটি পেটের অ্যাসিড নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়। সাধারণত, আমাদের পেটে প্রাকৃতিক ভাবে অ্যাসিড উৎপন্ন হয় যা খাবার হজমে সহায়ক, কিন্তু যখন এই অ্যাসিডের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে যায় বা অ্যাসিড পেটে বেশি ক্ষণ অবস্থান করে, তখন এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলি (যেমন: গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপা ইত্যাদি) দূর করার জন্য কিছু সাধারণ উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো। এগুলি মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার উপশম পেতে পারেন
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, যার মধ্যে শাক সবজি, ফলমূল, পূর্ণ শস্য, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকবে। মসলা যুক্ত, অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের খাবার পেটে গ্যাস ও অম্বল তৈরি করতে পারে। এক সাথে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প পরিমাণে বার বার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
খাওয়ার পরে পানি পান করুন
খাওয়ার সময় বেশি পানি পান করবেন না খাওয়ার পরে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিয়ে পানি পান করুন। এটি খাবার হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমায়।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করুন
ধূমপান ও অ্যালকোহল গ্রহণ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে। এগুলি হজম প্রক্রিয়া কে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়ায়।
পানি এবং তরল গ্রহণ বাড়ান
গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখুন। এছাড়া আদা বা পুদিনার চা পান করা যেতে পারে, যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় সহায়ক।
খাবার চিবিয়ে খান
খাবার ভালো ভাবে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। দ্রুত খাবার গিলে ফেলা হলে হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম গুলি ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না, যার ফলে গ্যাস তৈরি হতে পারে।
প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার খান
আঁশযুক্ত খাবার (যেমন: শাক সবজি, ফল, এবং পুরো শস্য) পেটের গ্যাস ও ফাঁপা ভাব কমা তে সহায়ক।
শারীরিক ব্যায়াম ও হাঁটা
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা হাঁটি বা হালকা ব্যায়াম করুন। এটি হজম প্রক্রিয়া দ্রুততর করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমায়।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ
যদি গ্যাস্ট্রিক সমস্যা টি গুরুতর হয় বা ঘন ঘন হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এন্টাসিড, প্রোটন পাম্প ইন হিবিটার (যেমন: ওমেপ্রাজল), বা গ্যাসের ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমান
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে। ধ্যান, যোগ ব্যায়াম বা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং খাবারের মধ্যে অনেক সময়ের ব্যবধান না রাখুন। খাবার দেরিতে খেলে বা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়তে পারে।
উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলি মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে, যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত পেটের উপরের অংশে, বিশেষ করে মধ্যস্থলে বা বুকের নীচে অনুভূত হয়। এই ব্যথা কখনও কখনও বুকে বা পিঠে পর্যন্ত ছড়াতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মূল কারণ হল পেটে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপাদন বা এই অ্যাসিডের অনিয়মিত নিঃসরণ। এই সমস্যার কারণ গুলো কে আমরা নিম্ন লিখিত ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি:
পেটের উপরের অংশের ব্যথা (Epigastric Pain): গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সাধারণত পেটের উপরের অংশে (Epigastric region) অনুভূত হয় এবং এটি বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যথা প্রধানত পেটের মধ্যস্থল, যা বুকের নিচে এবং নাভির উপরে অবস্থিত, সেখানে দেখা যায়। ব্যথা কখনও কখনও বাম পাঁজরের নিচে (Left Upper Quadrant) এবং ডান পাঁজরের নিচে (Right Upper Quadrant) অনুভূত হতে পারে, যেখানে পেটের অ্যাসিডের অতিরিক্ত নিঃসরণের কারণে ব্যথা সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও, এই ব্যথা বুকের নিচে (Substernal region) জ্বালা পোড়ার মতো অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, যা সাধারণত গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড খাদ্য নালীতে ওঠার ফলে হয়। কখনও কখনও, পেটের উপরের অংশের গ্যাস্ট্রিক ব্যথা পিঠের দিকে (Referred pain to the back) ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তীব্র হয় (1)।
বুক জ্বালা পোড়া / বুকে ব্যাথা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় প্রায়ই বুক জ্বালা পোড়া (Heartburn) হয়, যা সাধারণত বুকের মাঝ খানে বা নিচে (Substernal region) শুরু হয় এবং খাদ্যনালী ধরে গলার দিকে ছড়াতে পারে। এই ব্যথা এবং জ্বালা পোড়া তখনই হয় যখন পেটের অ্যাসিড খাদ্য নালীতে উঠে আসে, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) নামক রোগের কারণে ঘটে।
দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ
ব্যথা কখনও কখনও বুকের ডান বা বাম দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা হৃৎপিণ্ডের ব্যথার মতো অনুভূত হতে পারে, তবে এটি মূলত গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের কারণে হয় (2)।
বমি ভাব এবং পেট ফাঁপা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার সাথে প্রায়ই বমি ভাব (Nausea) এবং পেট ফেঁপে (Bloating) থাকে, যা সাধারণত পেটের উপরের অংশে (Epigastric region) এবং মধ্য স্থলে অনুভূত হয়। বমি ভাব সাধারণত পেটের অ্যাসিড বা খাবার খাদ্য নালীতে ওঠার কারণে হয়, যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং বমির অনুভূতি জাগায়।
পেট ফাঁপা হয় পেটে গ্যাস জমে যাওয়ার কারণে, যা খাদ্য হজমের সমস্যা বা অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড উৎপাদনের ফলে ঘটে। এই উপসর্গ গুলি সাধারণত অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ, দ্রুত খাবার খাওয়া, বা এমন খাবার খাওয়ার কারণে হয় যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে (3)।
পিঠে ব্যাথা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে যদি গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বা অন্যান্য হজমের সমস্যা গুলি তীব্র হয়। এই ব্যথা সাধারণত পেটের উপরের অংশ থেকে শুরু হয়ে (Epigastric region) পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা রেফার্ড পেইন (Referred pain) হিসেবে পরিচিত।
পেটের অ্যাসিড খাদ্য নালীতে উঠে আসার কারণে বা অতিরিক্ত গ্যাসের চাপের ফলে এই ব্যথা পিঠে অনুভূত হতে পারে। যদিও গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কিত পিঠের ব্যথা তীব্র না হলেও, এটি রোগীর জন্য যথেষ্ট অস্বস্তি কর হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ
বুকে গ্যাস জমার লক্ষণ গুলি সাধারণত বুকের মধ্য স্থলে বা নিচের অংশে অনুভূত হয় এবং এগুলি অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণের সাথে মিল থাকতে পারে, যা রোগী কে বিভ্রান্ত করতে পারে। এই লক্ষণ গুলির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো:
বুক জ্বালা পোড়া (Heartburn) বুকে গ্যাস জমার একটি প্রধান লক্ষণ হলো বুক জ্বালা পোড়া (Heartburn), যা সাধারণত বুকের মাঝখানে বা নিচের অংশে অনুভূত হয়। এই অনুভূতি তখনই হয় যখন পেটের গ্যাস বা অ্যাসিড খাদ্য নালী তে উঠে এসে খাদ্য নালীর নিচের অংশে চাপ সৃষ্টি করে। বুক জ্বালা পোড়ার অনুভূতি সাধারণত খাবার পর বৃদ্ধি পায় এবং শোয়ার সময় আরও তীব্র হয়। এটি কখনও কখনও বুকের উপরের দিকে এবং গলার দিকে ছড়াতে পারে, যা রোগীর জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর হতে পারে। বুক জ্বালা পোড়া গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর একটি সাধারণ লক্ষণ হিসেবেও পরিগণিত হয়, যা দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস্ট্রিকের কারণে হতে পারে (2)।
বুকের মাঝ খানে চাপ বা ব্যথা (Chest Pain or Pressure) বুকে গ্যাস জমার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো বুকের মাঝ খানে চাপ বা ব্যথা (Chest Pressure or Pain), যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বা পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার কারণে ঘটে। এই ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে বা নিচের অংশে অনুভূত হয় এবং কখনও কখনও পিঠ বা কাঁধের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। গ্যাস খাদ্যনালী তে চাপ সৃষ্টি করলে এই ব্যথা অনুভূত হয়, যা অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের ব্যথার সাথে মিল থাকতে পারে, তবে এটি মূলত গ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। এই চাপ বা ব্যথা খাবার পর, বিশেষ করে ভারী বা মশলাদার খাবার খাওয়ার পর, তীব্রতর হতে পারে এবং শোয়ার সময়ও বাড়তে পারে (4)।
ঢেকুর তোলা বা বমি বমি ভাব (Belching or Nausea) বুকে গ্যাস জমার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো ঢেকুর তোলা (Belching) বা বমি বমি ভাব (Nausea)। এই উপসর্গ গুলি সাধারণত পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার কারণে দেখা দেয়, যা খাদ্যনালী তে চাপ সৃষ্টি করে। ঢেকুর তোলার মাধ্যমে শরীর এই অতিরিক্ত গ্যাস বের করার চেষ্টা করে, তবে অনেক সময় এটি বুকের মাঝখানে চাপ বা অস্বস্তির অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
অন্যদিকে, পেটে জমে থাকা গ্যাস হজমের প্রক্রিয়া কে ব্যাহত করে এবং খাদ্যনালী তে অ্যাসিডের প্রবাহ ঘটায়, যার ফলে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। এই উপসর্গ গুলি সাধারণত ভারী বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়ার পর বৃদ্ধি পায় এবং রোগীর জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে (4)।
শ্বাসকষ্ট (Shortness of Breath) বুকে গ্যাস জমার একটি উল্লেখ যোগ্য লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট (Shortness of Breath), যা সাধারণত পেটে অতিরিক্ত গ্যাস বা গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্সের কারণে ঘটে। গ্যাসের চাপ খাদ্যনালী এবং ডায়াফ্রামে প্রভাব ফেলে, ফলে বুকের মধ্যে একটি চাপের অনুভূতি সৃষ্টি হয় যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। এই শ্বাসকষ্ট অনেক সময় হার্টের সমস্যা হিসেবে ভুল বোঝা যেতে পারে, তবে এটি মূলত গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসের সমস্যার কারণে ঘটে। শ্বাসকষ্টের অনুভূতি সাধারণত খাবার পর তীব্রতর হয়, বিশেষ করে শোয়ার সময়, যখন পেটের অ্যাসিড খাদ্যনালী তে ওঠার প্রবণতা বাড়ে (4)।
ফুলে ওঠা অনুভূতি (Bloating) বুকে গ্যাস জমার একটি সাধারণ লক্ষণ হলো বুকের মধ্যে ফুলে ওঠা বা অস্বস্তির অনুভূতি (Bloating or Fullness), যা সাধারণত পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার কারণে ঘটে। এই অনুভূতি তখনই দেখা দেয় যখন পেটের গ্যাস বুকের দিকে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে বুকের মাঝখানে বা নিচে একটি ভারী বা ফোলা ভাবের অনুভূতি তৈরি হয়। এই ফুলে ওঠা অনুভূতি সাধারণত অতিরিক্ত খাবার খাওয়া, দ্রুত খাবার গ্রহণ, বা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে এমন খাবার খাওয়ার পর বৃদ্ধি পায়। এটি রোগীর জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে এবং কখনও কখনও শ্বাসকষ্টের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে (5)।
গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা
গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা দূর করার জন্য কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন
খাবার নিয়ন্ত্রণ গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা দূর করতে খাবার নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথমত, মশলাদার, তেলযুক্ত, এবং চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত, কারণ এগুলো গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয় এবং বুকে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় যেমন কফি, চা, এবং কোমল পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এরা পেটের অ্যাসিড বৃদ্ধি করে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়ায়। এছাড়াও, অত্যন্ত গরম বা ঠান্ডা খাবার পরিহার করতে হবে, কারণ এগুলোও হজমের প্রক্রিয়া কে বাধাগ্রস্ত করে।
খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে অল্প পরিমাণে এবং কিছু সময় পর পর খাবার খাওয়া উচিত, যাতে পেট ভরা না থাকে এবং অ্যাসিডের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রিত থাকে। খাবার খাওয়ার পরপরই শোয়া বা বেঁকে বসা এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি খাদ্যনালীর নিচের অংশে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হয়।
রাতে ঘুমানোর অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত, যাতে খাবার হজম হতে পর্যাপ্ত সময় পায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সম্ভাবনা কমে যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রেখে এবং খাবারের সময় সূচী মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা উল্লেখ যোগ্য ভাবে কমানো সম্ভব। ওজন কমানোর উপায় ডায়েট ভিডিও সহ
অল্প পরিমাণে এবং কিছুক্ষণ পর পর খাওয়া গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা দূর করার জন্য অল্প পরিমাণে এবং কিছু সময় পর পর খাওয়া একটি কার্যকরী পদ্ধতি। একবারে বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়ার পরিবর্তে, অল্প অল্প করে কিছুক্ষণ পর পর খাবার খাওয়া উচিত। এটি পেটের উপর চাপ কমায় এবং অ্যাসিডের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। যখন আমরা বেশি পরিমাণে খাবার খাই, তখন পেট পূর্ণ হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, যা খাদ্যনালী তে উঠে গিয়ে বুকের মধ্যে ব্যথা ও জ্বালা পোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে পেটের গ্যাস ও অ্যাসিডের চাপ কমে যায়, ফলে বুকের ব্যথার সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়া ও, খাবার হজমের প্রক্রিয়াও উন্নত হয় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রিত থাকে, যা গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা এবং অন্যান্য অস্বস্তি কমাতে সহায়ক।
খাবারের পরপর শোয়া থেকে বিরত থাকা গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা দূর করার জন্য খাবারের পরপর শোয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। খাবার খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে, পেটের অ্যাসিড খাদ্যনালী তে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা বুকের মধ্যে জ্বালা পোড়া ও ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। এটি গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর লক্ষণ হতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে আরও গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
খাবারের পর অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত শোয়া বা বেঁকে বসা এড়িয়ে চলা উচিত, যাতে পেটের খাবার হজমের পর্যাপ্ত সময় পায় এবং অ্যাসিড নিচে থাকে। এই সময়ে হালকা হাঁটা হাঁটি বা সোজা হয়ে বসে থাকা হজম প্রক্রিয়া কে উন্নত করে এবং গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের রিফ্লাক্স কমায়। খাবারের পরপর শোয়া থেকে বিরত থাকার অভ্যাস গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে এবং এটি সামগ্রিক হজম প্রক্রিয়ার জন্যও উপকারী। সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিয়মিত ব্যায়াম গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা দূর করার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। ব্যায়াম হজম প্রক্রিয়া কে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হয়। হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম যেমন হাঁটা হাঁটি, যোগ ব্যায়াম, বা সাইক্লিং পেটের গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয় এবং পেটের পেশী গুলোর শক্তি বৃদ্ধি করে, যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমাতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীরের বিপাক ক্রিয়া উন্নত হয় এবং খাবার দ্রুত হজম হয়, ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং বুকের ব্যথার সম্ভাবনা কমে যায়।
এছাড়াও, ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার একটি প্রধান কারণ। তবে, অতিরিক্ত বা অত্যধিক শক্তিশালী ব্যায়াম থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এটি পেটের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আপনার পিঠের ব্যথাটা কি এখানে?
ওষুধ গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যান্টাসিড, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI), এবং H2 ব্লকার জাতীয় ওষুধ সাধারণত ব্যবহৃত হয়। অ্যান্টাসিড দ্রুত কাজ করে এবং পেটের অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সহায়ক হয়, যা তাৎক্ষণিক ভাবে বুকে ব্যথা ও জ্বালা পোড়া কমাতে সাহায্য করে। প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (যেমন ওমেপ্রাজল, এসোমেপ্রাজল) এবং H2 ব্লকার (যেমন রেনিটিডিন, ফ্যামোটিডিন) পেটের অ্যাসিড উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার প্রতিকার করতে সহায়ক হয়।
তবে, ওষুধ গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ এই ওষুধ গুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে। চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে ওষুধ গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয় এবং রোগীর জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়।
স্ট্রেস কমানো মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল সহ বিভিন্ন হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা পেটের অ্যাসিড উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং হজমের প্রক্রিয়া কে ব্যাহত করে। এই অতিরিক্ত অ্যাসিড পেটে জমে থাকা গ্যাসের চাপ বাড়ায়, যা বুকের মধ্যে ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। স্ট্রেস কমানোর জন্য নিয়মিত যোগ ব্যায়াম, ধ্যান, বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।
এই অনুশীলন গুলো শরীর এবং মন কে শিথিল করে, যা অ্যাসিড উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয় এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যার তীব্রতা কমায়। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং শারীরিক কার্যকলাপে ব্যস্ত থাকা স্ট্রেস কমাতে সহায়ক হতে পারে। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথার সমস্যা অনেক টাই দূর করা সম্ভব, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্যও উপকারী।
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক সময় সাধারণ কোন সমস্যা মনে হতে পারে, তবে এটি দীর্ঘ মেয়াদে গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, যেমন গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), পেপটিক আলসার, বা এমনকি ইসোফেজিয়াল ক্যান্সার। চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস, উপসর্গ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে সঠিক কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারেন।
ওষুধ, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, এবং জীবন যাত্রার পরিবর্তন সম্পর্কে সঠিক নির্দেশনা পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কিছু ক্ষেত্রে, এন্ডোস্কপি, পিএইচ মেট্রি বা আল্ট্রাসাউন্ড করতে হতে পারে, যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার প্রকৃত কারণ শনাক্ত করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বুকে ব্যথার সমস্যা টি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব এবং এর পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করা যায়, যা রোগীর জীবন যাত্রার মান উন্নত করে।
তথ্যসূত্র
- Gjeorgjievski, M. and Cappell, M.S., 2016. Portal hypertensive gastropathy: a systematic review of the pathophysiology, clinical presentation, natural history and therapy.World journal of hepatology, 8(4), p.231. https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC4733466/
- Katz, P.O., Gerson, L.B. and Vela, M.F., 2013. Guidelines for the diagnosis and management of gastroesophageal reflux disease.Official journal of the American College of Gastroenterology| ACG, 108(3), pp.308-328. https://journals.lww.com/ajg/fulltext/2013/03000/GuidelinesfortheDiagnosisandManagementof.6.aspx
- Camilleri, M., Zhernakova, A., Bozzarelli, I. and D’Amato, M., 2022. Genetics of irritable bowel syndrome: shifting gear via biobank-scale studies.Nature Reviews Gastroenterology & Hepatology, 19(11), pp.689-702. https://www.nature.com/articles/s41575-022-00662-2
- Locke 3rd, G.R., Talley, N.J., Fett, S.L., Zinsmeister, A.R. and Melton 3rd, L.J., 1997. Prevalence and clinical spectrum of gastroesophageal reflux: a population-based study in Olmsted County, Minnesota.Gastroenterology, 112(5), pp.1448-1456. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0016508597700258
- Enck, P., Azpiroz, F., Boeckxstaens, G., Elsenbruch, S., Feinle-Bisset, C., Holtmann, G., Lackner, J.M., Ronkainen, J., Schemann, M., Stengel, A. and Tack, J., 2017. Functional dyspepsia.Nature Reviews Disease Primers, 3(1), pp.1-20. https://www.nature.com/articles/nrdp201781
- পিঠে ব্যথার কারণ ও করণীয় - September 7, 2024
- ৮ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস – ASPC আয়োজিত ফ্রি হেলথ ক্যাম্প - September 4, 2024
- মাথা ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার | মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ - September 2, 2024