মিনিস্কাস ইনজুরি

মিনিস্কাস ইনজুরি. আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম ও চলাফেরার জন্য হাঁটু শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হাঁটুর মাধ্যমে আমাদের শরীরের সমস্ত ভর পা এবং পায়ের পাতার ছড়িয়ে পড়ে। কার্যক্ষমতার দিক দিয়ে হাঁটু যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ তেমনই গঠনগতভাবে এটি অত্যন্ত জটিল কাঠামো দ্বারা গঠিত। সাধারণটা হাঁটু চারটি হাড়,  লিগামেন্ট, মাংসপেশী এবং মিনিস্কাস দ্বারা গঠিত।  বিভিন্ন কারণে আমাদের হাঁটু আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে, তার মধ্যে মিনিস্কাস ইনজুরি অন্যতম।

মিনিস্কাস ইনজুরি.

প্রতি এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ৬১জনের মিনিস্কাস ইনজুরি হয়ে থাকেথেকে, এবং প্রতিবছর সারা বিশ্বে ৮৫০০০০ জন ব্যক্তির মিনিস্কাস ইনজুরি হয়ে থাকে।সাধারণ মানুষের তুলনায় খেলোয়ারদের মধ্যে মিনিস্কাস ইনজুরির প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়, মেয়েদের তুলনায়  ছেলেদের ২.৫ গুণ বেশি মিনিস্কাস ইনজুরিতে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

মিনিস্কাস এবং মিনিস্কাস ইনজুরি কি?

আমাদের হাঁটুতে ইংরেজি বর্ণ C এর আকৃতির শক্ত, রাবারি তরুণাস্থির টুকরো বা ফাইব্রোকার্টিলেজ যা শিনবোন এবং উরুর হাড়ের মধ্যে একটি  কুশনের মতো শক শোষক হিসেবে কাজ করে। আমাদের প্রতিটি হাটুতে দুটি করে মিনিস্কাস থাকে যথাক্রমে হাঁটুর ভিতর দিকে এবং বাহিরের দিকে। মিনিস্কাসের উপরে অংশটি অবতল এবং নিচের অংশটি সমতল, এই সমতল অংশটি টিভি এর সাথে সংযুক্ত থাকে আর অবতল অংশটির উপরে ফিবুলার কনডাইল অবস্থান করে। স্ট্রোকের ঝুঁকিতে কারা আছেন ?

মিনিস্কাস ইঞ্জিরিয়া হাটুর সাধারণ আঘাতগুলোর মধ্যে অন্যতম, আমাদের দৈনন্দিন চলাফেরা এবং কার্যকলাপের হাঁটুতে মোচড় লেগে বা ঘুরে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হলে অথবা অতিরিক্ত ওজন বহন করা এবং হাটু অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মিনিষ্কাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাসায় মিনিষ্কাস ইনজুরি বলে থাকে।

মিনিস্কাস ইনজুরির কারণ সমূহ

যেকোনো কার্যকলাপে যেখানে হাটু অনিচ্ছাকৃত মোচড়ে বা ঘুরে যায় সে ক্ষেত্রে মিনিস্কাস  ইনজুরির সম্ভাবনা বহুল অংশে বৃদ্ধি পায়। সাধারণত মিনিস্কাসে দুই ধরনের ইনজুরির লক্ষ্য করা যায় যথাক্রমে ট্রমাটিক- মিনিস্কাস  ইনজুরি (আঘাতের ফলে হয়ে থাকে) এবং ডিজেনারেটিভ মিনিস্কাস ইনজুর (বয়স্কদের হাঁটুতে ক্ষয়জনিত সমস্যার ফলে হয়ে থাকে) ।

ট্রমাটিকমিনিস্কাসইনজুরি:আক্রমণাত্মক পৃন্টিং হাটু গেড়ে বসে থাকা, হঠাৎ দূর থেকে থেমে যাওয়া, দৌড়ানোর সময় হঠাৎ দিক পরিবর্তন করা, অতিরিক্ত স্কোয়াটিং বা ভারী কিছু তোলা, ড্রাইভ বাল লাফ দেওয়া এবং হাঁটু গেড়ে পড়ে যাওয়া ফলে মিনিস্কাস ইনজুরি হতে পারে।

ডিজেনারেটিভ মিনিস্কাস ইনজুর: আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের হাঁটুর শক্তি ও কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, এতে করে সামান্য আঘাতে মিনিস্কাসে ইনজুরি হতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত ওজন এবং অতিরিক্ত হাঁটাচলা সিঁড়ি ব্যবহার ফলে আস্তে আস্তে হাঁটুর মিনিস্কাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছেঁড়ে যেতে পারে।

যে সকল ঝুঁকিপূর্ণ কাজে মিনিস্কাস ইনজুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়

  • স্পোর্টস ইনজুরি: ক্রিয়াবিদদের সাধারণ মানুষের তুলনায় মিনিস্কাস ইনজুরির প্রবণতা বেশি থাকে, বিশেষ করে ফুটবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, রাগবি, টেনিস, দৌড়, দীর্ঘলাফ ও উচ্চলাফ এবং হকি খেলোয়ারদের মধ্যে মিনিস্কাস ইনজুরির প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।
  • এস সি এল এবং পিসিএল ইনজুরির পরবর্তী যেকোনো ভারি কাজে মিনিস্কাস ইনজুরির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • দীর্ঘমেয়াদী শরীরের অতিরিক্ত ওজনের ফলে মিনিস্কাস ইনজুরির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • দীর্ঘমেয়াদি অস্ট্রিওআর্থাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মিনিস্কাস ইনজুরির ঝুঁকি সাধারণ মানুষের তুলনায় বেশি থাকে।
  • হাটু অতিরিক্ত ব্যবহার করা বিশেষ করে অনেক বেশি সিঁড়িতে উঠানামা করা অথবা অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে কাজ করার ফলে মিনিস্কাস ইনজুরি ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • পায়ের মাংসপেশির শক্তি কমে গেলে মিনিস্কাস ইনজুরির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • জন্মগত পা বাঁকা জনিত সমস্যার কারণেও মিনিস্কাস ইনজুরির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

মিনিস্কাস ইনজুরি কত প্রকার ও কি কি?

চিকিৎসকরা মিনিস্কার ইনজুরি এর আকৃতি এবং অবস্থান অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে  ভাগ করে থাকেন।

হরিজনটাল (অনুভূতিক) বা ক্লিভেজ মিনিস্কাস টিয়ার: হরিজনটাল (অনুভূতিক) এর ক্ষেত্রে ছিঁড়ে বা টিয়ার অংশটি টিভিয়ার  সমতল শীর্ষের সাথে সমান্তরাল  ভাবে অবস্থান করে। সাধারণত ৪০ বছর বেশি বয়সী মানুষের হাঁটুর ক্ষয় জনিত কারণে এই ধরনের টিয়ার হয়ে থাকে, এবং এর চিকিৎসা হিসেবে অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে মিনিস্কাসর দুইটি পার পরস্পরের সাথে সেলাই করে দেয়া হয় এতে করে মিনিস্কাস পরিবর্তনের বা সেটে ফেলা দেওয়া প্রয়োজন পড়ে না।

লঙ্গীটিওডেনাল (অনুদৈর্ঘ্য), বা উল্লম্ব মিনিস্কাস টিয়ার: লঙ্গীটিওডেনাল (অনুদৈর্ঘ্য) এই ধরনের মিনিস্কাস ইনজুরিতে ছেঁড়া অংশটি টিভিয়ার সমতল শীর্ষের সাথে লম্বালম্বি ভাবে অবস্থান করে এবং র মিনিস্কাসের দৈর্ঘ্যের অক্ষের সমান্তরালে অবস্থান করে।

কমপ্লেক্স বা জটিল মিনিস্কাস টিয়ার:এটি সাধারণত অনুদৈর্ঘ্য এবং অনুভূমিক মিনিস্কাস ইনজুরির সমন্বয়ে বা সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়ে থাকে।

রেডিয়াল টিয়ার:মেনিস্কাসের রেডিয়াল টিয়ার হল সবচেয়ে সাধারণ ধরনের মেনিস্কাস টিয়ার।সাধারণত এই ধরনের মিনিস্কাস ছেঁড়া অ্যাভাসকুলার বা রক্ত সরবাহন নেই এমন স্থানে হয়ে থাকে।যেহেতু এই ছেঁড়া অংশে রক্তসরবাহ নেই সেক্ষেত্রে অস্ত্রপচার মাধ্যমে ছেঁড়া অংশটি সেটে ফেলা দেওয়া হয়।

বাকেটহ্যান্ডেল টিয়ার: বাকেট-হ্যান্ডেল টিয়ারহল মেনিস্কাসের একটি বিশিষ্ট প্রকারের অনুভূমিক টিয়ারএই ক্ষেত্রে : মেনিস্কাসের ছেঁড়া অংশটি অংশ হাঁটুতে আটকে যায়, এবং হাটুর স্বাভাবিক নড়াচড়া ব্যাহত হয়।অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাঁটুর স্বাভাবিক নড়াচড়া ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

ফ্ল্যাপ বা স্থানচ্যুত মিনিস্কাস টিয়ার: এই ধরনের মিনিস্কাস ইনজুরির ক্ষেত্রে মিনিস্কাসের  দুটি অংল ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন বা আলাদা হয়ে যায়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

মিনিস্কাস ইনজুরির লক্ষণ গুলি কি কি?

সাধারণত মিনিস্কাস ইনজুরির লক্ষণগুলি সর্বদাই প্রকাশ পাবে এরকম নয় তবে আঘাতের ফলে মিনিস্কাস ইনজুরি হলে সেক্ষেত্রের ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ব্যথা এবং ফুলে থাকার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। আস্তে আস্তে আরো কিছু উপসর্গ মিনিস্কাস ইনজুরির পরবর্তী বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়।

  • ব্যথা ও ফুলার সাথে সাথে প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
  • সাধারণত হাঁটু ভাঁজ এবং সোজা করতে ব্যথা অনুভব হয়
  • হাটু ঘুরানোর সময় তীব্র ব্যথা অনুভব হয়া।
  • পপিং সেন্সেশন হওয়া।
  • হাঁটু শক্ত হয়ে যাওয়া।
  • বেশিক্ষণ হাঁটা বা দৌড়ানোর সাথে ব্যথা অনুভব হওয়া।
  • হাঁটা চলার সময় হাঁটু ভাঁজ করতে বা সোজা করতে ব্লক হওয়ার মত অসুবিধা অনুভব হওয়া।
  • অসমতল জায়গা হাটতে ব্যথা অনুভব করা।

যে সকল পরীক্ষার মাধ্যমে মিনিস্কাস ইনচজুরি নির্ণয় করা হয়

শারীরিক পরীক্ষা: একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা (যেমন-ম্যাকমুরেস টেস্ট, অ্যাপলির টেস্ট)  মাধ্যমে মিনিস্কাস ইনজুরির নির্ণয় করে থাকেন।

এক্সরে: সাধারণ মিনিস্কাস তরুণাস্থি দিয়ে গঠিত তাই এক্স-রে  মাধ্যমে দেখা সম্ভব নয় কিন্তু হাঁটুর অন্যান্য সমস্যার থেকে মিনিস্কাস ইনজুরি আলাদা করতে চিকিৎসকেরা এক্স-রে সাহায্য নিয়ে থাকেন।

এমআরআই: মিনিস্কাস ইনজুরি নির্ণয়ের জন্য এমআরআই সর্বাধিক উপযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ ইমেজিং টেকনোলজি। এমআরআই এর মাধ্যমে হাঁটুর শক্ত এবং নরম উভয় অংশের সস্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়।

আথ্রোস্কপি: এক্ষেত্রে হাঁটুতে ছোট্ট ছিদ্র করে তার মাধ্যে একটু যন্ত্র হাটুতে প্রবেশ করানো হয় যাতে শক্তিশালী ক্যামেরা ও লাইট লাগানো থাকে যাতে করে হাঁটুর বিতরের বাস্তবিক চিত্র দেখা যায়। এটি সাধারণত অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি রোগ  নির্ণয় পদ্ধতি।

মিনিস্কাস ইনজুরি চিকিৎসা পদ্ধতি

মিনিস্কাস ইনজুরির প্রাথমিক চিকিৎসা: মিনিস্কাস ইনজুরির পর যত দ্রুত সম্ভব একজন অভিজ্ঞ  চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

বিশ্রাম: সকল প্রকার কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে বিশেষ করে ওই সকল কাজ যেখানে হাঁটু জড়িত। আঘাতপ্রাপ্ত হাঁটু যেন পুনরায় আঘাতপ্রাপ্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। হাঁটাচলা সময় এক্সিলারি ক্যাচ ব্যবহার করতে হবে। যাতে করে পায়ের ওপর অতিরিক্ত ভর না পড়ে।

বরফ সেক: ব্যথা ও ফোলা কমানোর জন্য প্রতিদিন চার থেকে ছয় ঘন্টা অন্তর অন্তর ১৫ মিনিট করে বরফ সেক দিতে হবে।

ঔষধ: যদি তীব্র ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে ব্যথা নাশক ওষধ সেবন করা যায়।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা:

মিনিস্কাস ইন্সুরেন্স পরবর্তী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শে হাঁটুর জয়েন্টের চারপাশের মাংসপেশী গুলি শক্তি বৃদ্ধি, হাটুর স্থিতিশীলতা, হাটুর কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি পুনরায় মিনিস্কাস ইনজুরি প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটু ব্যথা কমানোর উপায়: সহজ ও কার্যকরী পরামর্শ

অস্ত্রোপচার:

যদি রোগীর মেডিসিন এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেওয়ার পরেও মিনিস্কাস ইনজুরির উপসর্গগুলি বহাল থাকে এবং দৈনন্দিন চলাফেরায় অসুবিধা সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অস্ত্রোপ্চারের মাধ্যমে ছেড়া মিনিস্কাস পুনর্গঠন করতে হয়। সাধারণত পুনর্গঠন শিশুদের পাশাপাশি অল্পবয়স্কদের মধ্যেই সম্ভব। বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে মিনিস্কাস ছাটাই করে সেখানে কৃত্রিম মিনিস্কাস প্রতিস্থাপন করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরবর্তী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর পূর্ণবাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা না হলে রোগী পুনরায় মিনিস্কাস ইনজুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

তথ্যসূত্রঃ

  1. Majewski, M., Susanne, H. and Klaus, S., 2006. Epidemiology of athletic knee injuries: A 10-year study. The knee, 13(3), pp.184-188. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0968016006000032
  2. Anderson, A.F., Irrgang, J.J., Dunn, W., Beaufils, P., Cohen, M., Cole, B.J., Coolican, M., Ferretti, M., Glenn Jr, R.E., Johnson, R. and Neyret, P., 2011. Interobserver reliability of the International Society of Arthroscopy, Knee Surgery and Orthopaedic Sports Medicine (ISAKOS) classification of meniscal tears. The American journal of sports medicine, 39(5), pp.926-932. https://journals.sagepub.com/doi/abs/10.1177/0363546511400533
  3. Major, N.M. and Helms, C.A., 2002. MR imaging of the knee: findings in asymptomatic collegiate basketball players. American Journal of Roentgenology, 179(3), pp.641-644. https://ajronline.org/doi/abs/10.2214/ajr.179.3.1790641
  4. Logerstedt, D.S., Snyder-Mackler, L., Ritter, R.C., Axe, M.J. and Godges, J.J., 2010. Knee stability and movement coordination impairments: knee ligament sprain: clinical practice guidelines linked to the international classification of functioning, disability, and health from the Orthopaedic Section of the American Physical Therapy Association. Journal of Orthopaedic & Sports Physical Therapy, 40(4), pp.A1-A37. https://www.jospt.org/doi/abs/10.2519/jospt.2010.0303
  5. Kopf, S., Beaufils, P., Hirschmann, M.T., Rotigliano, N., Ollivier, M., Pereira, H., Verdonk, R., Darabos, N., Ntagiopoulos, P., Dejour, D. and Seil, R., 2020. Management of traumatic meniscus tears: the 2019 ESSKA meniscus consensus. Knee Surgery, Sports Traumatology, Arthroscopy, 28, pp.1177-1194. https://link.springer.com/article/10.1007/s00167-020-05847-3
  6. Makris, E.A., Hadidi, P. and Athanasiou, K.A., 2011. The knee meniscus: structure–function, pathophysiology, current repair techniques, and prospects for regeneration. Biomaterials, 32(30), pp.7411-7431. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0142961211007022
  7. Seil, R. and Becker, R., 2016. Time for a paradigm change in meniscal repair: save the meniscus!. Knee Surgery, Sports Traumatology, Arthroscopy, 24, pp.1421-1423. https://link.springer.com/article/10.1007/S00167-016-4127-9
Dr. Sapia Akter
পরামর্শ নিতে 01877733322