কি কি উপসর্গ দেখে বুঝবেন যে এ সমস্ত রোগীর ফিজিওথেরাপি লাগবে-
- শ্বাস কষ্ট হলে
- বকে কফ জমা হলে
- অল্প কাজে অস্থির হলে
- কায়িক শ্রমের প্রতি ভয় থাকলে
- হৃৎপিন্ডের অপারেশন সহ সাধারণ কিছু রোগ
কিভাবে শ্বাস কষ্ট কমবে :
প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে রোগী কোনো অবস্থায় বিছানায় অবস্থান করছে। চিৎ বা উপর হয়ে থাকলে অবশ্যই তাকে ডান বা বাম কাত করতে হবে। যাতে করে ফুসফুসে সহজেই বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
নেবুলাইজেশনের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট কমানো সম্ভব।
বিভিন্ন পজিশনে অর্ধশয়ন পদ্ধতি (হাফলায়িং), বসে বিভিন্ন ধরনের বুকের ব্যায়াম করে শ্বাস কষ্ট কমানো সম্ভব।
যে সমস্ত অংশ শ্বাস-প্রশ্বাসে সাহায্য করে, সেগুলো যদি প্যারালাইসিস হয় তাহলে শ্বাস কষ্ট হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে রোগীর শ্বাস কষ্ট কমানো সম্ভব।
বুকের জমানো কফ কিভাবে বের করা যায় :
বুকের কফ বের করার পদ্ধতিকে আমরা চেস্ট থেরাপি বলি। এই চেস্ট থেরাপি কখন দরকার-
- এ্যাজমা হলে
- ব্রংকাইটিস হলে
- অপারেশনের আগে ও পরে
- ঠান্ডা জনিত কারণে বুকে ইনফেকশন হলে
কিভাবে দেয়া হয়-
সুন্দর পজিশনে রোগীকে বসানো
রোগীকে বলা মুখ বন্ধ করে নাক দিয়ে লম্বা লম্বা শ্বাস নেয়া এবং ৩-৫ সেঃ ধরে রাখা। তারপর মুখ দিয়ে লম্বা হাঁ করে প্রশ্বাস ছেড়ে দেয়া এবং তিন থেকে পাঁচ বার করে জোরে কাশি দিলে শ্বাসনালীর বায়ু পথের মাধ্যমে কফ বের হয়ে আসে এবং রোগীর শ্বাসকষ্ট দূর হয় এবং রোগী বুকটাক হালকা মনে করে।
আরও চিকিৎসা পদ্ধতি-হাইড্রেশন, হিউমিডিফিকেশন, পশ্চারাল ড্রইনেজ, ক্লাপিং, পারকিশন, ভাইব্রেশন, শেকিং, রিবস্প্রিগিং, পজিটিভ রেসপিরেটরি প্রেসার , মেকানিক্যাল পারকিশন এবং ভাইব্রেশন, সাকশন ইত্যাদি।
ফুসফুসে অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা :
অনেক সময় দেখা যায় রোগী অপারেশন পরবর্তী সময় গভীরভাবে শ্বাস নিতে পারে না (হতে পারে ব্যথার কারণে) এতে ফুসফুসে নিচের অংশে সহজে বাতাস যেতে পারে না। হৃৎপিন্ড থেকে ফুসফুসে আসা রক্ত পুরোপুরি বিশুদ্ধ না হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এ অবস্থায় রোগীর অস্থিরতা বেড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা হতে পারে। এই রকম জরুরী অবস্থায় একজন ফিজিওথেরাপিস্ট কার্ডিওরেসপিরেটরি থেরাপির মাধ্যমে ফুসফুসের নিচের অংশে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে।
হৃৎপিন্ডের যে কোন রোগ বা সমস্যার জন্য ঔষধ অথবা অপারেশন হচ্ছে আমাদের দেশে নিয়মিত চিকিৎসা পদ্ধতি। কিন্তু এর পরও সে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক রোগীর জন্য বাদ পরে যায় সেটি হল কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশন। হৃৎপিন্ড যখন কোন কারণে আক্রান্ত হয় তখন এর মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়ে রোগী চিকিৎসা পায় ঠিকই কিন্তু আগের মত পুরোপুরি স্ট্রেংথ ফিরে পায় না । কারণ একটাই, রোগীর কার্ডিয়াক পুর্নবাসন করা হয়নি। এই ব্যাপারে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীকে পুরোপুরি সাহায্য করতে পারে। তাই কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশনে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের মাধ্যমে উপযুক্ত ফিজিওথেরাপি একজন কার্ডিয়াক রোগীর জন্য অতীব জরুরী।
- Treating Rotator Cuff Tears Without Surgery - September 27, 2023
- Shoulder Pain: Could It Be Avascular Necrosis? - September 24, 2023
- Understanding Brachial Plexus Neuropathy: An Overview of Parsonage-Turner Syndrome - September 20, 2023