fbpx

ঘন ঘন মাথাব্যথার একটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল কারণ হল সাইনুসাইটিস। ইন্টারন্যাশনাল হেডেক সোসাইটি এবং আমেরিকান একাডেমি অব অটোল্যারিংগোলজি-হেড এন্ড নেক সার্জারি যৌথভাবে মাথাব্যথার রাইনোজেনিক উৎসগুলিকে মাথাব্যথার কারণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। ইন্টারডিসিপ্লিনারি এডহক কমিটি একাধিক বৈজ্ঞানিক তথ্য পর্যালোচনা করে বলেছেন যে ন্যাসাল প্যাথলজি এবং মাইগ্রেন ও রাইনোজেনিক মাথাব্যথার কারণ বুঝা ও ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট অধ্যয়ন ও গবেষণা প্রয়োজন।

সাইনুসাইটিসের প্রকারভেদঃ

সাইনুসাইটিসকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়ঃ

  1. আক্রান্ত হওয়ার সময়ের উপর ভিত্তি করেঃ
  2. অ্যাকিউট সাইনুসাইটিস (Upper respiratory tract infection): সাধারণত ৭-১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
  3. ক্রনিক সাইনুসাইটিসঃ তিন মাস বা তার অধিক সময় ধরে স্থায়ী থাকে।
  • আক্রান্ত সাইনাসের অবস্থান অনুসারেঃ
  • ম্যাক্সিলারি সাইনুসাইটিসঃ ম্যাক্সিলারি অর্থাৎ গালের পাশের সাইনাসে ইনফেকশন। এর জন্য দাঁত ব্যথা হয়।
  • ফ্রন্টাল সাইনুসাইটিসঃ কোন কারণে চোখের উপরে ফ্রন্টাল সাইনাস আঘাতপ্রাপ্ত হলে এই সাইনুসাইটিস হয়।
  • ইথময়েড সাইনুসাইটিসঃ চোখ ও মাথাব্যথা শুরু হয়।
  • স্ফেনয়েড সাইনুসাইটিসঃ চোখের পাশে ব্যথা শুরু হয়।

ব্যথাঃ

 সাইনোসাইটিসের ব্যথা কোন সাইনাস আক্রান্ত হয়েছে মূলত তার ওপর অনেকাংশ নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে-

 ম্যাক্সিলারি সাইনাসের ব্যথা ও ম্যাক্সিলারি সাইনাসের অবস্থানের ওপর অর্থাৎ নাকের পাশে, গাল, দাঁত কিংবা মুখ বা মুখমণ্ডলের আশপাশে হয়ে থাকে।

ফ্রন্টাল সাইনাসের ব্যথা সাধারণত কপালে, চোখে, চোখের পেছনে কিংবা মাথায় অনুভূত হয়। অনেক সময় এই ধরনের মাথা ব্যথার সঙ্গে মাথার মধ্যে হালকা শূন্যতা বা হালকা অনুভূতি জাগে। যার জন্য এ ধরনের মাথা ব্যথাকে অনেকে ‘ভ্যাকুয়াম ফ্রন্টাল হেডেক’ বলে থাকেন।আর এই ফ্রন্টালহেডেক বা ফ্রন্টাল মাথা ব্যথা প্রায়শ ঘুম থেকে জাগার পর আরম্ভ হয়। আর দিন যতো বাড়তে থাকে, মাথা ব্যথাও সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে।  আবার বিকালের দিকে মাথা ব্যথার তীব্রতা আবার কমতে আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়।

ইথময়ডাল সাইনাসের ব্যথা দুচোখের মাঝে ও চোখের পেছনে সাধারণত হয়ে থাকে। এই ব্যথা মুখ ও মুখমণ্ডলে অনেকে অনুভব করেন।

 স্ফেনোইডাল সাইনোসাইটিসের ব্যথা কিন্তু মাথার মাঝখানে হয়। আর এই ব্যথা অনেক সময় বিভিন্ন  দিকে বা চোখের পেছনে রেডিয়েট করতে পারে।

নাক বন্ধঃ

 সাইনাস যখন প্রদাহে আক্রান্ত হয় তখন তার নিঃসৃত পুঁজজাতীয় প্রদাহ নাকের মধ্যে এসে নাকের  প্রদাহের সৃষ্টি করে এবং তা ফুলে অনেক সময় নাক বন্ধের কারণ হতে পারে। কিন্তু আসলে সাইনোসাইটিসের কারণ হিসেবে যদি নাকের ও সাইনাসের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতার জন্য নাকের মধ্যে কোনো বাধা যেমন-ডিএনএস বা নাকের মাংস বড় হয়ে (টারবিনেট) থাকে সেগুলোর জন্য হতে পারে।

নাক থেকে পুঁজ বা নিঃসৃত পদার্থঃ

 সাইনোসাইটিসের প্রদাহজনিত কারণে নাক থেকে পুঁজ বা পুঁজজাতীয় তরল পদার্থ বেরুতে থাকে আবার যেহেতু ম্যাক্সিলারি সাইনাসকে অন্য সাইনাসগুলোর মাস্টার বলা হয়ে থাকে, তাই এই সাইনাসের আক্রমণ সহসাই হয়ে থাকে। আর ম্যাক্সিলারি সাইনাসের পুঁজ দুর্গন্ধও বটে।এই সমস্ত উপসর্গ ছাড়াও শিশু-কিশোরদের সাইনোসাইটিস রোগের উপসর্গ কিছু বাড়তি ভাবে দেখা যায়। বিশেষ করে এ সময়ে তাদের চোখ ও চোখের পাতা ফোলা-ফোলা থাকে, নাক বন্ধ, মুখ হাঁ করে ঘুমানো, মুখ ও নাক থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া, নাকডাকা, অত্যধিক লালা পড়া যা কিনা বালিশ বা বিছানা ভিজিয়ে রাখে, ঘন কাশি, আবার কোনো সময় বমি করাও তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়।এই স্বাভাবিক উপসর্গগুলো খতিয়ে দেখে এর চিকিৎসা করলে এই রোগের কবল থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যায়, তেমনি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও মুক্ত থাকা যায়।

সাইনুসাইটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

সাইনুসাইটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে নিম্নোক্তভাগে ভাগ করা যায়ঃ

ব্রেইন ও ব্রেইনের খুলির বাইরেঃ

যেহেতু সাইনাসগুলো কাঠামোগত দিক থেকে ব্রেইন, ব্রেইনের আবরণ এবং চোখের অতি সন্নিকটে, তা অতি সহজেই সাইনাসের প্রদাহ ওই সমস্ত জায়গাকে আক্রান্ত করতে পারে। আর এ সমস্ত জায়গাকে আক্রান্ত করলে রোগীর অবস্থা মারাত্মক হয়, এমনকি জীবনহানির আশঙ্কাও থাকে। তাই এ সম্পর্কে সজাগ থাকা দরকার।

চোখের জটিলতাঃ

যেমন অরবিটাল সেলুলাইটিস, চোখের পাতায় সেলুলাইটিস, চোখের মধ্যে অ্যবসেস ইত্যাদি। মুখ ও মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়া।

খুলির ভেতরে জটিলতাঃ

 ব্রেইনের ঝিল্লির প্রদাহ, ব্রেইন প্রদাহ, ব্রেইনের ভেতরে শিরা-উপশিরার রক্ত প্রবাহে বাধাদান করে।

সাইনুসাইটিস নাকি মাইগ্রেন?

মাইগ্রেন এবং সাইনুসাইটিস জনিত মাথাব্যথার কারণগুলো অনেক সময় সঠিকভাবে আলাদা করা যায় না কারণ এদের লক্ষণগুলো প্রায় একই। উভয় মাথাব্যথার ক্ষেত্রেই মাথা ঝুকালে ব্যথার তীব্রতা বাড়ার লক্ষণ দেখা যায়। অনেকগুলো সমীক্ষায় দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষ যারা সাইনাসের সমস্যার জন্য চিকিৎসা নেন তাদের একইসাথে মাইগ্রেনের সমস্যাও থাকে কারণ দুটি বিষয়ই মাইগ্রেনের সাথে জড়িত অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেমের সাথে যুক্ত।

সাইনুসাইটিস মূলতঃ

১. ঊর্ধ্বশ্বাসতন্ত্রের ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য হয়।

২. ঘন, স্বচ্ছ ন্যাসাল মিউকাস থাকে।

৩. ঘ্রাণশক্তির হ্রাস ঘটে।

৪. চোয়াল অথবা উপরের দাতের পাটিতে ব্যথা।

সাইনুসাইটিস মাথাব্যথার লক্ষণঃ

১. সাইনোসাইটিস রোগে প্রচন্ড মাথাব্যথা হয়। সকালে কম থাকে, দুপুরের দিকে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায় আবার বিকেলের দিকে সামান্য কমে যায়।

২. মাথা নাড়াচাড়া করলে, হাঁটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যথার তীব্রতা আরো বেড়ে যায়।

৩. জ্বর জ্বর ভাব থাকে, কোনো কিছুতেই ভালো লাগে না এবং অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায়।

৪. নাক বন্ধ থাকে। পরীক্ষা করলে নাকের ভেতর পুঁজ পাওয়া যেতে পারে।

৫. সাইনাস এক্স-রে করলে তা ঘোলাটে দেখায়।

সাইনোসাইটিস-এর জটিলতাঃ

 সাইনাসগুলো চোখ এবং ব্রেইনের পাশে থাকে বলে সাইনাসের ইনফেকশন হলে তা চোখ এবং মস্তিষ্কেরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

  • অরবিটাল সেলুলাইটিস এবং এবসেস বা চোখের ভেতরের ইনফেকশন।
  • মেনিনজাইটিস বা ব্রেইনের পর্দার প্রদাহ।
  • এক্সট্রাডুরাল এবং সাবডুরাল এবসেস।
  • অস্টিওমায়েলাইটিস (মাথার অস্থির প্রদাহ)।
  • কেভেরনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস প্রভৃতি।

কাজেই দেখা যাচ্ছে, সাইনোসাইটিসের কারণে চোখের ভেতরে ইনফেকশন ঢুকে চোখটি নষ্ট করে দিতে পারে, আবার মাথার ভেতর ইনফেকশন ঢুকে মেনিনজাইটিস এমনকি ব্রেইন এবসেসের মতে মারাত্মক জটিল রোগের জন্ম দিতে পারে।

সাইনুসাইটিস মাথাব্যথার কারণঃ

১. সাধারণ সর্দি সবচেয়ে বেশি দায়ী।

২. মৌসুমি এলারজি শ্লেষ্মা উৎপাদন করে।

৩. নাকের পলিপ, নাক বা সাইনাসে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।

৪. নাকের পলিপ শ্লেষ্মা নিষ্কাশনে বাধা দেয়।

৫. নাকের হাড় বা তরুনাস্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি শ্লেষ্মা নিষ্কাসনে বাধা দেয়।

৬. নাকের এলার্জি থাকলে, নাকের হাড্ডি বাঁকা থাকলে, নাকের ভেতর বাইরের কিছু ঢুকলে এবং এডিনয়েড (নাকের পেছনের টনসিল) বড় হলে।

৭. দাঁতের ইনফেশন থেকে বা দাঁত তুলতে গিয়েও সাইনাসে ইনফেকশন হতে পারে।

৮. সাইনাসের হাড্ডি ফেটে গেলেও এরূপ হতে পারে

৯. ময়লা পানিতে ঝাঁপ দিলে ঐ পানি নাকের ভেতর দিয়ে সাইনাসে ঢুকেও এ ধরণের সমস্যা তৈরি করতে পারে।

১০. এছাড়াও অপুষ্টি, আবহাওয়া দূষণ এবং ঠান্ডা স্যাঁতসেতে আবহাওয়ায় এই রোগ বেশি হয়।

অত্যধিক শ্লেষ্মা অণুজীবের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। অণুজীবের বৃদ্ধি সাইনাসে উত্তেজনা সৃষ্টি করে,সাইনাস তরলে পূর্ণ হয় এবং মুখের ফোলা ভাবের জন্য শ্লেষ্মা নিষ্কাশন ব্যাহত হয়।

সাইনুসাইটিস জনিত মাথাব্যথা যেকোনো ব্যক্তির হতে পারে কিন্তু নিম্নক্ত কারণগুলোর জন্য সাইনুসাইটিস হওয়ার প্রবণতা রয়েছেঃ

  1. মাথাব্যথা অথবা মাইগ্রেনের পূর্ব ইতিহাস।
  2. পরিবারে কারো মাইগ্রেন অথবা মাথাব্যথার পূর্ব ইতিহাস থাকলে।
  3. মাথাব্যথার সাথে জড়িত হরমোনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন।

রোগ নির্ণয়ঃ

প্রথম অবস্থায় এ রোগ ধরা বেশ কষ্টকর । সাইনোসাইটিস নির্ণয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিচের যে কোন পদ্ধতির সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

  • সিটিস্ক্যান
  • ন্যাসাল এন্ডস্কোপি
  • নাকের মাংসের বায়োপ্সি
  • সাইনুস্কপি
  • সুইয়েট কোরাইড টেস্ট

প্রতিকারঃ

সাইনুসাইটিস জনিত মাথাব্যথার জন্য বেশকিছু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা রয়েছে যা নিম্নরূপঃ

  • মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্টঃ সাইনুসাইটিস প্রতিকারে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারেঃ

ক. মুখের ব্যথাযুক্ত স্থানে গরম ভাপ দিতে হবে।

খ. বন্ধ নাক খোলার জন্য ন্যাসাল ড্রপ, ন্যাসাল স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

গ. শ্লেষ্মা নরম করার জন্য ন্যাসাল স্যালাইন স্প্রে দিতে হবে।

  • ফিজিওথেরাপি ম্যানেজমেন্টঃ অধিকাংশ সাইনাসের সমস্যা আপনাআপনিই সেরে যায়। কিন্তু ক্রনিক সাইনুসাইটিস এবং পুনরাবৃত্তিমূলক মাথাব্যথার চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছেঃ
  • সাবঅক্সিপিটাল রিলিজঃ মাথা ও ঘাড়ের টেইলবোন অঞ্চলে স্ট্রেচ এবং রিলিজিং এক্সারসাইজ করানো হয় তাহলে সাইনাস গহ্বরে জমে থাকা শ্লেষ্মা শরীরে রিডিস্ট্রিবিউট হয় এবং মাথা থেকে বের হয়ে যায়।
  • ঘাড়ের মাসলগুলোর স্ট্রেচ করানোর ফলে মাসলগুলোতে নিউট্রিয়েন্ট সার্কুলেশন বাড়ে ফলে ঘাড়ের আশেপাশের যেসব গ্লান্ড স্ফীত এবং ক্লান্ত অবস্থাপন্ন হয় সেগুলো রিলিজ হয়।
  • মায়োফেসিয়াল রিলিজঃ কপাল এবং মাথায় ট্যাপিং/ স্ট্রোকিং পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে সাইনাসের গহ্বর বড় হয় ফলে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্লুইড বের হয়ে যায়।
  • কাইনেসিও টেপঃ ঘাড়ের পিছনের মাসলে কাইনেসিও টেপের প্রয়োগের ফলে মাসল পেইন কমে যায়, বেশি ব্যবহৃত, ক্লান্ত ও অবসন্ন মাসলগুলো রিলাক্সড হয়।

নাকের ঘন শ্লেষ্মা বের করার জন্য বেশ কিছু ট্রিটমেন্ট টেকনিক প্রয়োগ করা হয়ঃ

  • নেবুলাইজেশন
  • ম্যানুয়াল মেসেজ
  • ড্রেইনেজ থেরাপি

এছাড়াও ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজের মাধ্যমেঃ

  • নাকের বদ্ধভাব দূর করা যায়।
  • সাইনাসের তরল পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
  • ফেসিয়াল পেইন কমায় এবং নাক দিয়ে পুনরায় শ্বাস নিতে সাহায্য করে।

রেফারেন্সঃ

  1. https://www.sciencedirect.com/science/article
  2. https://my.clevelandclinic.org/health/diseases/9641-sinus-headaches
  3. https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/sinus-headaches/symptoms-causes
  4. https://lambertiphysiotherapy.co.za/sinusitis/
  5. https://www.southernminn.com/owatonna_peoples_press/archives/physical-therapy-can-help-treat-sinus-headaches/article
  6. https://mediphysio.com.au/sinusitis-treatment/
Follow me
Jan 26, 2023

কারা মেনিনজাইটিসের ঝুঁকিতে আছেন, বয়স ভেদে মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ, প্রতিরোধ এবং ফিজিওথেরাপি ব্যবস্থাপনা

কারা মেনিনজাইটিস হবার ঝুঁকিতে আছেন? মেনিনজাইটিসের ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে: ১. টিকা…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This field is required.

This field is required.

× পরামর্শ নিতে মেসেজ করুন