সাইনোসাইটিক হেডেক
Table of Contents hide

সাইনোসাইটিক হেডেক

সাইনোসাইটিক হেডেক. ঘন ঘন মাথাব্যথার একটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল কারণ হল সাইনুসাইটিস। ইন্টারন্যাশনাল হেডেক সোসাইটি এবং আমেরিকান একাডেমি অব অটোল্যারিংগোলজি-হেড এন্ড নেক সার্জারি যৌথভাবে মাথাব্যথার রাইনোজেনিক উৎসগুলিকে মাথাব্যথার কারণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।  মাথাব্যথা

সাইনোসাইটিক হেডেক

ইন্টারডিসিপ্লিনারি এডহক কমিটি একাধিক বৈজ্ঞানিক তথ্য পর্যালোচনা করে বলেছেন যে ন্যাসাল প্যাথলজি এবং মাইগ্রেন ও রাইনোজেনিক মাথাব্যথার কারণ বুঝা ও ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট অধ্যয়ন ও গবেষণা প্রয়োজন।

সাইনুসাইটিসের প্রকারভেদঃ

সাইনুসাইটিস হল সাইনাসের প্রদাহ, যা নানা কারণে ঘটতে পারে এবং এর উপসর্গ ও প্রকারভেদ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। সাইনুসাইটিসকে মূলত দুই ভাবে ভাগ করা যায়ঃ

1. আক্রান্ত হওয়ার সময়ের উপর ভিত্তি করেঃ

অ্যাকিউট সাইনুসাইটিস: সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশের ইনফেকশনের ফলে হয় এবং ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

ক্রনিক সাইনুসাইটিস: এই প্রকারের সাইনুসাইটিস তিন মাস বা তার অধিক সময় স্থায়ী থাকে এবং বারবার ফিরে আসতে পারে।

2. আক্রান্ত সাইনাসের অবস্থান অনুসারেঃ

ম্যাক্সিলারি সাইনুসাইটিস: ম্যাক্সিলারি সাইনাস যা গালের পাশে অবস্থিত, যখন আক্রান্ত হয় তখন দাঁত ও গালে ব্যথা হয়।

ফ্রন্টাল সাইনুসাইটিস: কপালের উপরে অবস্থিত ফ্রন্টাল সাইনাস যখন প্রদাহিত হয় তখন কপালে ব্যথা হয়।

ইথময়েড সাইনুসাইটিস: নাকের দুই পাশে অবস্থিত ইথময়েড সাইনাসের প্রদাহে চোখ এবং মাথাব্যথা শুরু হয়।

স্ফেনয়েড সাইনুসাইটিস: মাথার পেছনের দিকে অবস্থিত স্ফেনয়েড সাইনাসের প্রদাহে চোখের পাশে ও মাথার পেছনে ব্যথা হয়।

সাইনুসাইটিসের চিকিৎসা নির্দিষ্ট কারণ এবং প্রকারভেদ অনুযায়ী ভিন্ন হয়। সাধারণত, চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি, নাক স্প্রে, স্টেরয়েড ও অ্যান্টিহিস্টামিনস অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ব্যথাঃ

সাইনোসাইটিসের ব্যথা বিভিন্ন সাইনাসের অবস্থান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং এর উপসর্গগুলি মূলত আক্রান্ত সাইনাসের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। নিম্নলিখিত বিবরণে বিভিন্ন সাইনাসের ব্যথার বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হল:

ম্যাক্সিলারি সাইনাস আক্রান্ত হলে: ম্যাক্সিলারি সাইনাস নাকের পাশে, গালে, দাঁতের কাছে এবং মুখমণ্ডলের আশপাশে অবস্থিত। যখন এই সাইনাস আক্রান্ত হয়, ব্যথা মূলত উক্ত এলাকাগুলিতে অনুভূত হয়। ব্যথা অনেক সময় দাঁত বা গালের মধ্যে রেডিয়েট করতে পারে। মাথাব্যথা

ফ্রন্টাল সাইনাস আক্রান্ত হলে: ফ্রন্টাল সাইনাস কপালে অবস্থিত। যখন এই সাইনাস আক্রান্ত হয়, ব্যথা সাধারণত কপালে, চোখের পেছনে এবং মাথায় অনুভূত হয়। এই ধরনের ব্যথাকে অনেকে “ভ্যাকুয়াম ফ্রন্টাল হেডেক” হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এই ব্যথা শুরু হয় এবং দিনের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন  শ্বাসতন্ত্রের যত্নে ফিজিওথেরাপির ভূমিকা

ইথময়ডাল সাইনাস আক্রান্ত হলে: ইথময়ডাল সাইনাস দুচোখের মাঝে এবং চোখের পেছনে অবস্থিত। এই সাইনাস আক্রান্ত হলে, ব্যথা মূলত এই এলাকাগুলিতে অনুভূত হয় এবং এটি মুখ এবং মুখমণ্ডলেও বিস্তার লাভ করতে পারে।

স্ফেনোইডাল সাইনাস আক্রান্ত হলে: স্ফেনোইডাল সাইনাস মাথার মাঝখানে অবস্থিত। এই সাইনাস আক্রান্ত হলে, ব্যথা মাথার মাঝখানে হয় এবং এটি চোখের পেছনে বা বিভিন্ন দিকে রেডিয়েট করতে পারে।

আরোও পড়ুনঃ মাথা ব্যথার কারণ

নাক বন্ধঃ

সাইনোসাইটিসের কারণে নাক বন্ধ হওয়া একটি সাধারণ উপসর্গ, যা সাইনাসের প্রদাহজনিত পুঁজ নাকের পথে জমা হওয়ার ফলে ঘটে। প্রদাহজনিত এই পুঁজ নাকের মধ্যে এসে নাকের প্রদাহের সৃষ্টি করে এবং ফুলে যায়, যা নাক বন্ধের কারণ হতে পারে। এছাড়াও নাকের স্ট্রাকচারাল বাধা যেমন ডেভিয়েটেড নাসাল সেপ্টাম (DNS) বা নাকের মাংস বেড়ে যাওয়া (টারবিনেট) সাইনোসাইটিসের উপসর্গ বাড়াতে পারে।

নাক থেকে পুঁজ বা নিঃসৃত পদার্থঃ

নাক থেকে পুঁজ বা নিঃসৃত পদার্থের কারণে সাইনাস প্রদাহ হয় এবং সাইনাসের পুঁজে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে ম্যাক্সিলারি সাইনাসের ক্ষেত্রে। এই প্রদাহজনিত পুঁজ নাকের পথ ব্লক করে এবং শ্বাসকষ্ট এবং নাক বন্ধের সৃষ্টি করে।

শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে সাইনোসাইটিসের উপসর্গ আরও প্রকট হতে পারে। চোখ ও চোখের পাতা ফোলা, নাক বন্ধ হওয়া, মুখ হাঁ করে ঘুমানো, নাক ও মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া, নাকডাকা, অত্যধিক লালা পড়া, ঘন ঘন কাশি এবং কখনও কখনও বমি হওয়া সাইনোসাইটিসের কমন উপসর্গ। এসব উপসর্গ যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয় তবে সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমানো সম্ভব এবং পাশাপাশি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। সাইনোসাইটিক হেডেক

সাইনুসাইটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

সাইনুসাইটিসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে নিম্নোক্তভাগে ভাগ করা যায়ঃ

ব্রেইন ও ব্রেইনের খুলির বাইরেঃ

সাইনাস বিশেষ করে ইথময়ড ও স্ফেনোইড সাইনাস মস্তিষ্ক এবং তার আবরণের অতি নিকটে অবস্থিত। প্রদাহজনিত অবস্থা যদি এই অঞ্চলগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে মেনিনজাইটিস (মস্তিষ্কের ঝিল্লির প্রদাহ), এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্ক প্রদাহ), এবং সেরিব্রাল অ্যাবসেস (মস্তিষ্কের ভেতর পুঁজ সঞ্চয়) এর মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। এই ধরনের প্রসারণ মারাত্মক হতে পারে এবং জীবনহানির আশঙ্কা বৃদ্ধি করে।

চোখের জটিলতাঃ

সাইনাসের প্রদাহ চোখের আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে অরবিটাল সেলুলাইটিস, চোখের পাতার সেলুলাইটিস বা চোখের মধ্যে অ্যাবসেস তৈরি হতে পারে। এই অবস্থাগুলি চোখের দৃষ্টিক্ষমতা ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। মাথাব্যথা

খুলির ভেতরে জটিলতাঃ

মস্তিষ্কের ভেতরের শিরা-উপশিরাগুলির রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়া বা ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস এক ধরনের জটিলতা যা রক্ত প্রবাহে বাধা দেয়। সাইনুসাইটিসের প্রদাহ যদি ব্রেইনের ঝিল্লিতে ছড়িয়ে যায় তাহলে এই সমস্যাগুলো হতে পারে।

সাইনুসাইটিস নাকি মাইগ্রেন?

মাইগ্রেন এবং সাইনুসাইটিস জনিত মাথাব্যথার কারণগুলো অনেক সময় সঠিকভাবে আলাদা করা যায় না কারণ এদের লক্ষণগুলো প্রায় একই। উভয় মাথাব্যথার ক্ষেত্রেই মাথা ঝুকালে ব্যথার তীব্রতা বাড়ার লক্ষণ দেখা যায়। অনেকগুলো সমীক্ষায় দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষ যারা সাইনাসের সমস্যার জন্য চিকিৎসা নেন তাদের একইসাথে মাইগ্রেনের সমস্যাও থাকে কারণ দুটি বিষয়ই মাইগ্রেনের সাথে জড়িত অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেমের সাথে যুক্ত।

আরও পড়ুন  হেপাটাইটিস বি নেগেটিভ করার ও উপায় সহজ সমাধান উপায়

সাইনুসাইটিস মূলতঃ

১. ঊর্ধ্বশ্বাসতন্ত্রের ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য হয়।

২. ঘন, স্বচ্ছ ন্যাসাল মিউকাস থাকে।

৩. ঘ্রাণশক্তির হ্রাস ঘটে।

৪. চোয়াল অথবা উপরের দাতের পাটিতে ব্যথা।

আরোও পড়ুনঃ হেডেক বা মাথাব্যথা

সাইনুসাইটিস মাথাব্যথার লক্ষণঃ

সাইনোসাইটিস রোগের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ নিম্নরূপে বর্ণিত হতে পারে:

১. এই রোগে রোগী প্রায়ই মাথাব্যথার অভিযোগ করে। এই ব্যথা সকালের দিকে তুলনামূলকভাবে কম হয়, কিন্তু দুপুরের দিকে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পায় এবং বিকেল নাগাদ আবার কিছুটা হ্রাস পায়।

২. রোগীর মাথা নাড়াচাড়া করলে, হাঁটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যথা আরো প্রকট হয়।

৩. সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রায়শই জ্বরের মতো অনুভূতি হয়, কোনো কিছুতে তাদের মন ভালো থাকে না এবং তারা সহজেই ক্লান্তি অনুভব করে।

৪. নাক বন্ধ থাকা একটি সাধারণ উপসর্গ, এবং পরীক্ষা করলে নাকের ভেতরে পুঁজের উপস্থিতি দেখা যায়।

৫. সাইনাসের এক্স-রে পরীক্ষায় সাইনাস অঞ্চলগুলি অস্বচ্ছ বা ঘোলাটে দেখাতে পারে, যা প্রদাহের ইঙ্গিত দেয়।

সাইনোসাইটিসএর জটিলতাঃ

সাইনাসগুলো চোখ এবং মস্তিষ্কের নিকটবর্তী অবস্থানের কারণে, সাইনাস ইনফেকশন চোখ এবং মস্তিষ্কে গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এই জটিলতাগুলি হল:

  1. অরবিটাল সেলুলাইটিস ও এবসেস: অক্ষি গোলকের আশপাশের টিস্যুতে ইনফেকশন ঘটে যা অত্যন্ত ব্যথাদায়ক এবং দৃষ্টিশক্তি হানির কারণ হতে পারে।
  2. মেনিনজাইটিস: মস্তিষ্কের আবরণের প্রদাহ, যা সিরিয়াস মাথা ব্যথা, জ্বর, এবং ঘাড়ের প্রশীগুলো শক্ত হয়ে যায়।
  3. এক্সট্রাডুরাল এবং সাবডুরাল এবসেস: মস্তিষ্কের আবরণের মধ্যে এবং তার নিচে পুঁজ জমা হয়ে এবসেস সৃষ্টি করে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ব্যাহত করে।
  4. অস্টিওমায়েলাইটিস: মাথার হাড়ের প্রদাহ, যা অত্যন্ত ব্যথাদায়ক এবং মস্তিষ্কের কাছাকাছি অবস্থানের কারণে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
  5. কেভেরনাস সাইনাস থ্রম্বোসিস: মস্তিষ্কের ভেনাস সাইনাসে রক্তের জমাট বাঁধা, যা চোখ এবং মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে বিঘ্ন ঘটায়।

এই জটিলতাগুলির কারণে, সাইনাস ইনফেকশন চোখের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই সাইনোসাইটিসের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

সাইনুসাইটিস মাথাব্যথার কারণঃ

সাইনাসাইটিসের উদ্ভব বিভিন্ন কারণের ফলে হতে পারে, যা নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলোতে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে:

  1. সাধারণ সর্দি: সর্দির ফলে সাইনাসে শ্লেষ্মা জমা হয় এবং এটি সাইনাসাইটিসের প্রধান কারণ।
  2. মৌসুমি এলার্জি: এলার্জি শ্লেষ্মা উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা সাইনাস নালিতে বাধা সৃষ্টি করে।
  3. নাকের পলিপ ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি: নাক বা সাইনাসে পলিপ বা অস্বাভাবিক টিস্যুর বৃদ্ধি শ্লেষ্মা নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে।
  4. দাঁতের সমস্যা: দাঁতের ইনফেকশন থেকে বা দাঁত তোলার প্রক্রিয়ায় সাইনাসে ইনফেকশন হতে পারে।
  5. নাকের আঘাত ও বাঁকানো হাড্ডি: নাকের হাড্ডি বাঁকা বা আঘাতের ফলে শ্লেষ্মা নিষ্কাশন ব্যাহত হতে পারে।
  6. পরিবেশগত কারণ: ময়লা পানিতে ঝাঁপ দেওয়া, আবহাওয়া দূষণ, ঠান্ডা ও স্যাঁতসেতে আবহাওয়া এই রোগের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
  7. অপুষ্টি: অপুষ্টির ফলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, যা সাইনাসাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

এই সমস্যাগুলি যখন সম্মিলিতভাবে কাজ করে, তখন সাইনাসে শ্লেষ্মা জমা হয়, যা ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অণুজীবের বৃদ্ধি ঘটায় এবং সাইনাসের প্রদাহ এবং সংক্রমণ ঘটায়।

আরও পড়ুন  পিঠে ব্যথার কারণ ও করণীয়

সাইনুসাইটিস জনিত মাথাব্যথা যেকোনো ব্যক্তির হতে পারে কিন্তু নিম্নক্ত কারণগুলোর জন্য সাইনুসাইটিস হওয়ার প্রবণতা রয়েছেঃ

  1. মাথাব্যথা অথবা মাইগ্রেনের পূর্ব ইতিহাস।
  2. পরিবারে কারো মাইগ্রেন অথবা মাথাব্যথার পূর্ব ইতিহাস থাকলে।
  3. মাথাব্যথার সাথে জড়িত হরমোনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন।

রোগ নির্ণয়ঃ

প্রথম অবস্থায় এ রোগ ধরা বেশ কষ্টকর । সাইনোসাইটিস নির্ণয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিচের যে কোন পদ্ধতির সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

  • সিটিস্ক্যান
  • ন্যাসাল এন্ডস্কোপি
  • নাকের মাংসের বায়োপ্সি
  • সাইনুস্কপি
  • সুইয়েট কোরাইড টেস্ট

প্রতিকারঃ

সাইনুসাইটিস জনিত মাথাব্যথার জন্য বেশকিছু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা রয়েছে যা নিম্নরূপঃ

  • মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্টঃ সাইনুসাইটিস প্রতিকারে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারেঃ

ক. মুখের ব্যথাযুক্ত স্থানে গরম ভাপ দিতে হবে।

খ. বন্ধ নাক খোলার জন্য ন্যাসাল ড্রপ, ন্যাসাল স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।

গ. শ্লেষ্মা নরম করার জন্য ন্যাসাল স্যালাইন স্প্রে দিতে হবে।

  • ফিজিওথেরাপি ম্যানেজমেন্টঃঅধিকাংশ সাইনাসের সমস্যা আপনাআপনিই সেরে যায়। কিন্তু ক্রনিক সাইনুসাইটিস এবং পুনরাবৃত্তিমূলক মাথাব্যথার চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছেঃ
  • সাবঅক্সিপিটাল রিলিজঃ মাথা ও ঘাড়ের টেইলবোন অঞ্চলে স্ট্রেচ এবং রিলিজিং এক্সারসাইজ করানো হয় তাহলে সাইনাস গহ্বরে জমে থাকা শ্লেষ্মা শরীরে রিডিস্ট্রিবিউট হয় এবং মাথা থেকে বের হয়ে যায়।
  • ঘাড়ের মাসলগুলোর স্ট্রেচ করানোর ফলে মাসলগুলোতে নিউট্রিয়েন্ট সার্কুলেশন বাড়ে ফলে ঘাড়ের আশেপাশের যেসব গ্লান্ড স্ফীত এবং ক্লান্ত অবস্থাপন্ন হয় সেগুলো রিলিজ হয়।
  • মায়োফেসিয়াল রিলিজঃ কপাল এবং মাথায় ট্যাপিং/ স্ট্রোকিং পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে সাইনাসের গহ্বর বড় হয় ফলে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্লুইড বের হয়ে যায়।
  • কাইনেসিও টেপঃ ঘাড়ের পিছনের মাসলে কাইনেসিও টেপের প্রয়োগের ফলে মাসল পেইন কমে যায়, বেশি ব্যবহৃত, ক্লান্ত ও অবসন্ন মাসলগুলো রিলাক্সড হয়।

নাকের ঘন শ্লেষ্মা বের করার জন্য বেশ কিছু ট্রিটমেন্ট টেকনিক প্রয়োগ করা হয়ঃ

  • নেবুলাইজেশন
  • ম্যানুয়াল মেসেজ
  • ড্রেইনেজ থেরাপি

এছাড়াও ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজের মাধ্যমেঃ

  • নাকের বদ্ধভাব দূর করা যায়।
  • সাইনাসের তরল পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
  • ফেসিয়াল পেইন কমায় এবং নাক দিয়ে পুনরায় শ্বাস নিতে সাহায্য করে।

রেফারেন্সঃ

  1. https://www.sciencedirect.com/science/article
  2. https://my.clevelandclinic.org/health/diseases/9641-sinus-headaches
  3. https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/sinus-headaches/symptoms-causes
  4. https://lambertiphysiotherapy.co.za/sinusitis/
  5. https://www.southernminn.com/owatonna_peoples_press/archives/physical-therapy-can-help-treat-sinus-headaches/article
  6. https://mediphysio.com.au/sinusitis-treatment/
Dr. M Shahadat Hossain
Follow me

Physiotherapist, Pain, Paralysis & Manipulative Therapy Specialist, Assistant Professor Dhaka College of Physiotherapy, Secretary-General(BPA), Secretary(CARD), Chief Consultant(ASPC), Conceptual Inventor(SDM), Faculty Member(CRP), Member-Bangladesh Rehabilitation Council

পরামর্শ নিতে 01877733322