শ্বাসকষ্ট হলে করনীয় ও প্রতিকার. যখন একজন ব্যক্তির শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিকের তুলনায় কঠিন হয়ে পরে তখন এই সমস্যাটি শ্বাসকষ্ট বলে আখ্যায়িত হয়। এটি সাধারণত ফুসফুস, হৃদপিণ্ড বা শ্বাসনালীর বিভিন্ন সমস্যার (অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হার্ট ফেইলিউর, অ্যালার্জি ইত্যাদি) কারণে হয়, এমনকি মানসিক চাপের মতোও বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।
শ্বাসকষ্ট হলে করনীয় ও প্রতিকার
শ্বাসকষ্টের সমস্যাটি অনেক সময় শারীরিক পরিশ্রম বা মানসিক উদ্বেগের সময় দেখা দিতে পারে যা অল্প সময়ে্র জন্য স্থায়ী হতে পারে,তবে যদি এটি দীর্ঘমেয়াদী বা ক্রমাগত হয়ে থাকে, তাহলে এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে গণ্য হয়।
শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার উপায়
শ্বাসকষ্ট হলে তা বোঝার জন্য কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ এবং উপসর্গ রয়েছে যা প্রায়ই দেখা যায়। যেমন:
শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া: শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার প্রধান উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট বোধ করেন এবং শ্বাস নিতে গেলে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। এই অবস্থায় ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, যার ফলে শরীরের অন্যান্য অংশেও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এই ধরনের শ্বাসকষ্টের ফলে প্রায়ই অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস বা হার্ট ফেইলিউরের মতো শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে (1)।
বুকে চাপ অনুভব করা: শ্বাসকষ্ট হলে রোগী বুক ভাড়ী লাগে বা চাপ অনুভব করে যা শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে কঠিন করে তোলে। বুকে চাপ অনুভব করা বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন হৃদরোগ, অ্যাজমা, বা ফুসফুসের সংক্রমণ। এই চাপ অনুভব করার মানে হল হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুস সঠিকভাবে কাজ করছে না, যারা শ্বাস নেওয়ায় প্রভাব ফেলে।
হাঁপানি বা শ্বাসপ্রশ্বাসে শোঁ শোঁ শব্দ: শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার একটি সাধারণ উপায় হলো হাঁপানি বা শ্বাসপ্রশ্বাসে শোঁ শোঁ শব্দ শোনা। এই শব্দটি সাধারণত তখন শোনা যায় যখন শ্বাসনালী সংকুচিত হয় বা শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং বাতাস শ্বাসনালী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ তৈরি হয়। এই ধরনের শব্দ প্রায়ই অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, অথবা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) এর মতো রোগের সাথে সম্পর্কিত (2)।
অক্সিজেনের ঘাটতি: শ্বাসকষ্ট হলে বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতির লক্ষণ দেখা দেয়া। অক্সিজেনের ঘাটতি হলে ত্বক, ঠোঁট, এবং নখ ফ্যাকাশে বা নীলচে রঙ ধারণ করতে পারে, যাকে সায়ানোসিস (cyanosis) বলা হয়। এটি একটি সংকেত যার দ্বারা রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি নির্দেশ করে । অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে ব্যক্তি দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, এবং ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস: যখন শরীর তার পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পায়, তখন অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করার জন্য শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বাড়িয়ে দেয়। এই অবস্থায়, ব্যক্তি স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত এবং গভীর শ্বাস নিতে শুরু করে, যা হাইপারভেন্টিলেশন নামে পরিচিত।
শরীরের অস্থিরতা বা উদ্বেগ: শ্বাস নিতে কষ্ট হলে শরীরিক এবং মানসিক প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে, যার ফলে উদ্বেগ বা অস্থিরতার অনুভূতি দেখা দেয়। শ্বাসকষ্টের কারণে অক্সিজেনের ঘাটতি বা শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়লে, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যায়, যা উদ্বেগের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। (3)
এই লক্ষণগুলি দেখা গেলে শ্বাসকষ্টের প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া যায় এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।
শ্বাসকষ্ট হলে করনীয়
শ্বাসকষ্ট হলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, যাতে শ্বাসকষ্টের উপশম হয় এবং অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। নিচে শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কিছু পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো:
শান্ত থাকা এবং বিশ্রাম নেওয়া: শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো শান্ত থাকা এবং বিশ্রাম নেওয়া। শ্বাসকষ্টের সময় আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক, তবে এ ধরনের মানসিক অবস্থা শ্বাসকষ্টকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া এবং মানসিকভাবে শান্ত থাকার মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থেকে শ্বাসকষ্টের সময় শরীরকে আরাম দেওয়া প্রয়োজন। (4)
সঠিক শারীরিক অবস্থান গ্রহণ করা: সাধারণত সোজা হয়ে বসা বা দাঁড়ানো শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে, কারণ এতে ফুসফুসের উপর চাপ কমে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া সহজ হয়। যখন একজন ব্যক্তি শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, তখন ফুসফুসকে পূর্ণভাবে প্রসারিত করতে দেওয়া উচিত, যা সঠিক ভাবে শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে সম্ভব হয়। শুয়ে থাকা অবস্থায় শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, তাই বসে শ্বাসগ্রহণ করা উচিত। (5)
বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা: শ্বাসকষ্ট হলে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যখন শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তখন ঘরের জানালা খুলে দেয়া বা পাখা চালানো উচিত যা বাতাসের প্রবাহকে বাড়িয়ে দেয়। শ্বাসকষ্টের সময় পর্যাপ্ত অক্সিজেন গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বন্ধ ঘরে বা দূষিত বাতাসের মধ্যে থাকলে শ্বাসকষ্টের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে যদি ঘরে ধুলাবালি, ধোঁয়া বা অন্যান্য অ্যালার্জেন থাকে, তবে বাতাসের প্রবাহ শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে পারে।
দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমানোর উপায়
ধীরে শ্বাস নেওয়া: শ্বাসকষ্টের সময় দ্রুত শ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়, যা শ্বাসপ্রশ্বাসকে আরও কঠিন করে এই পরিস্থিতিতে, ধীরে ধীরে এবং গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নাক দিয়ে ধীরে শ্বাস গ্রহণ করা এবং মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ার মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এটি শরীরকে শিথিল করতে এবং শ্বাসকষ্ট কমায়। ধীরে শ্বাস নেওয়া শ্বাসকষ্টের মানসিক ও শারীরিক প্রভাব কমাতে কার্যকর একটি কৌশল। এলার্জি দূর করার উপায় এবং সমাধান
ইনহেলার বা ওষুধ ব্যবহার করাঃ শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার বা ওষুধ ব্যবহার করা তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অ্যাজমা বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) এর মতো অবস্থার কারণে যদি শ্বাসকষ্ট হয়, তবে ডাক্তার কর্তৃক প্রস্তাবিত ইনহেলার বা ওষুধ দ্রুত ব্যবহার করা উচিত। ইনহেলারের মাধ্যমে সরাসরি ফুসফুসে ওষুধ পৌঁছায়, যা শ্বাসনালীগুলিকে প্রসারিত করে এবং শ্বাস নেওয়া সহজ করে। হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার | হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ
চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া: শ্বাসকষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। শ্বাসকষ্ট অনেক সময় একটি গুরুতর শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যেমন হৃদরোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ, বা ক্রনিক শ্বাসজনিত সমস্যা। যদি শ্বাসকষ্ট দীর্ঘস্থায়ী হয়, অথবা অন্যান্য উপসর্গ যেমন বুকের ব্যথা, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, বা অজ্ঞান হওয়ার অনুভূতি দেখা দেয়, তবে এটি দ্রুত চিকিৎসা সাহায্য প্রয়োজনীয় হতে পারে।
ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট হলে করনীয়
ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট হলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে যা শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় শ্বাসকষ্ট প্রায়ই অ্যাজমা বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার জন্য হতে পারে। ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট হলে যা করা উচিতঃ
উষ্ণ থাকুন: ঠান্ডা আবহাওয়ায় শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই শরীরকে উষ্ণ রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে, নাক ও মুখ স্কার্ফ বা মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত, যাতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি শ্বাসনালীতে প্রবেশ না করে। এছাড়াও, হাত-মোজা ও সঠিক পোশাক পরিধান করে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবে। (6)
আর্দ্র বাতাসে থাকুন: ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে শুষ্ক করে তোলে, যা শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই সমস্যাটি কমানোর জন্য, ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। হিউমিডিফায়ার বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করে, যা শ্বাসপ্রশ্বাসকে সহজ করে এবং শ্বাসনালীর শুষ্কতা কমায়। এছাড়া, গরম পানির বাষ্প গ্রহণ করাও শ্বাসনালীগুলিকে আর্দ্র রাখতে এবং শ্বাসকষ্ট উপশমে সহায়ক হতে পারে।
ধীরে শ্বাস নিন: ঠান্ডা আবহাওয়ায় শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসনালী সংকুচিত হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সময় ধীরে ধীরে এবং গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। নাক দিয়ে ধীরে শ্বাস গ্রহণ করা এবং মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ার মাধ্যমে শ্বাসনালীর চাপ কমানো যায়, যা শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং শরীরকে শিথিল করতে সহায়ক হয়, যা ঠান্ডায় শ্বাসকষ্টের উপশমে কার্যকরী হতে পারে। (7)
ইনহেলার ব্যবহার করুন: ঠান্ডায় শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার ব্যবহার করা দ্রুত উপশমের একটি কার্যকরী উপায়। ঠান্ডা আবহাওয়া শ্বাসনালীগুলিকে সংকুচিত করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাসকে কঠিন করে তুলতে পারে, বিশেষ করে যাদের অ্যাজমা বা অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যা রয়েছে।
বাইরে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি নিন: ঠান্ডায় শ্বাসকষ্টের সমস্যা এড়াতে বাইরে যাওয়ার আগে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাইরে বের হওয়ার আগে উষ্ণ পোশাক পরা উচিত, যেমন স্কার্ফ, টুপি, এবং গ্লাভস, যা শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক। বিশেষ করে নাক ও মুখ স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত, যাতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি শ্বাসনালীতে প্রবেশ না করে। এটি শ্বাসনালীর সংবেদনশীলতা কমায় এবং শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়াও, শ্বাসকষ্টের জন্য প্রয়োজনীয় ইনহেলার বা ওষুধ সঙ্গে রাখা উচিত, যাতে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করা যায়।
শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে?
শ্বাসকষ্টের জন্য কোন ওষুধ গ্রহণ করা উচিত তা নির্ভর করে শ্বাসকষ্টের মূল কারণ এবং রোগীর নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থার উপর। সাধারণত, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় নিম্নলিখিত ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়:
ব্রঙ্কোডাইলেটরস (Bronchodilators): এই ওষুধগুলি শ্বাসনালীকে প্রসারিত করে এবং শ্বাস নেওয়া সহজ করে। এগুলি সাধারণত অ্যাজমা বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) এর রোগীদের জন্য নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, সালবুটামল (Salbutamol) এবং ইপ্রাট্রোপিয়াম (Ipratropium)।
স্টেরয়েড (Steroids): স্টেরয়েড ইনহেলার বা ট্যাবলেট ফর্মে শ্বাসনালীর প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, যা শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, বিডেসোনাইড (Budesonide) বা ফ্লুটিকাসোন (Fluticasone)।
অ্যান্টিহিস্টামিনস (Antihistamines): যদি শ্বাসকষ্ট অ্যালার্জির কারণে হয়, তবে অ্যান্টিহিস্টামিনস ব্যবহার করা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লোরাটাডিন (Loratadine) বা সিটিরিজিন (Cetirizine)।
অ্যান্টিবায়োটিকস (Antibiotics): যদি শ্বাসকষ্ট ফুসফুস বা শ্বাসনালীর সংক্রমণের কারণে হয়, তবে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করতে পারেন।
অক্সিজেন থেরাপি: গুরুতর শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে অক্সিজেন থেরাপি দেওয়া হতে পারে, বিশেষত যদি রোগীর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে।
যে কোনো ওষুধ গ্রহণ করার আগে অবশ্যই ডাক্তার বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ ওষুধের প্রকার এবং ডোজ রোগীর নির্দিষ্ট অবস্থার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। নিজে থেকে কোনো ওষুধ গ্রহণ করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র
- Simon, P.M., Schwartzstein, R.M., Weiss, J.W., Fencl, V., Teghtsoonian, M. and Weinberger, S.E., 1990. Distinguishable types of dyspnea in patients with shortness of Breath1-3.Am Rev Respir Dis, 142(5), pp.1009-1014. https://www.atsjournals.org/doi/pdf/10.1164/ajrccm/142.5.1009
- Subbarao, P., Mandhane, P.J. and Sears, M.R., 2009. Asthma: epidemiology, etiology and risk factors.Cmaj, 181(9), pp.E181-E190. https://www.cmaj.ca/content/181/9/E181.short
- Wahls, S.A., 2012. Causes and evaluation of chronic dyspnea.American family physician, 86(2), pp.173-180. https://www.aafp.org/pubs/afp/issues/2012/0715/p173.html
- Hale, Z.E., Singhal, A. and Hsia, R.Y., 2018. Causes of shortness of breath in the acute patient: a national study.Academic Emergency Medicine, 25(11), pp.1227-1234. https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1111/acem.13448
- Fried, R.L., 2007.Breathe well, be well: a program to relieve stress, anxiety, asthma, hypertension, migraine, and other disorders for better health. Turner Publishing Company. https://books.google.com/books?hl=en&lr=&id=DnruEAAAQBAJ&oi=fnd&pg=PT10&dq=How+to+Breathe+Better.&ots=nqyjGbWDMb&sig=WSKqWH32Tr4w-QhVaIM_hCm8X48
- D’Amato, M., Molino, A., Calabrese, G., Cecchi, L., Annesi-Maesano, I. and D’Amato, G., 2018. The impact of cold on the respiratory tract and its consequences to respiratory health.Clinical and translational allergy, 8, pp.1-8. https://link.springer.com/article/10.1186/s13601-018-0208-9
- Holland, A.E., Hill, C.J., Jones, A.Y. and McDonald, C.F., 2012. Breathing exercises for chronic obstructive pulmonary disease.Cochrane Database of Systematic Reviews, (10). https://www.cochranelibrary.com/cdsr/doi/10.1002/14651858.CD008250.pub2/abstract
- ডেঙ্গু জ্বরের ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ ২০২৪ | ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - November 28, 2024
- হাঁটু ব্যথার জন্য কার্যকারী ব্যায়াম গুলো জেনে নিন - November 28, 2024
- লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস কমানোর উপায়? ও স্পন্ডাইলোসিস কি? - November 5, 2024