বিরক্তিকর এলার্জি দূর করার উপায় এবং সমাধান. এলার্জি হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক একটি প্রতিক্রিয়া, যা নির্দিষ্ট কোনো পদার্থের (অ্যালার্জেন) সংস্পর্শে গেলে ঘটে। সাধারণত পোলেন, খাদ্য, ধুলা, পোষা প্রাণীর লোম, কীটপতঙ্গের বিষ, এবং কিছু ঔষধ অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে।
এলার্জি দূর করার উপায় এবং সমাধান
এলার্জি শরীরে প্রবেশ করার পর ইমিউন সিস্টেম থেকে ইমিউনোগ্লোবুলিন ই (IgE) নামে একটি অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়, যা মাস্ট সেল এবং বেসোফিল থেকে হিস্টামিন ও অন্যান্য রাসায়নিক নিঃসরণ ঘটায় এবং এর ফলেই এলার্জির লক্ষণগুলো দেখা দেয়, যেমনঃ হাঁচি, চুলকানি, র্যাশ এবং শ্বাসকষ্ট। হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার | হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ
এলার্জি কত ধরনের
এলার্জি মূলত চার ধরনের হতে পারে, যা বিভিন্ন উৎস বা অ্যালার্জেনের কারণে হয়। নিচে এলার্জির প্রধান ধরনের তালিকা দেওয়া হলো:
খাদ্য এলার্জি: যখন নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতি শরীর প্রতিরোধক ব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং প্রতিক্রিয়া জানায় তখন তাকে খাদ্য এলার্জি বলা হয় । সাধারণত চিনা বাদাম, ডিম, দুধ, সীফুড ইত্যাদি খাবারের প্রতি এই ধরনের এলার্জি বেশি দেখা যায়।
ত্বকের এলার্জি (ডার্মাটাইটিস): ত্বকের এলার্জি বা ডার্মাটাইটিস সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক, প্রসাধনী, ধাতু, অথবা পোষা প্রাণীর লোমের সঙ্গে সংস্পর্শে গেলে হয়। এই ধরনের এলার্জি হলে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি, বা লালচে ভাব দেখা দেয়।
শ্বাসযন্ত্রের এলার্জি: শ্বাসযন্ত্রের এলার্জি পলেন, ধুলা, ধোঁয়া, পোষা প্রাণীর লোম, অথবা ছত্রাকের স্পোরের মতো বাতাসে ভাসমান অ্যালার্জেনের কারণে হতে পারে। এর মধ্যে হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, এবং ব্রঙ্কাইটিস অন্যতম। ঔষধজনিত এলার্জি: কারো কারো ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের ক্ষেত্রে এলার্জির প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়। অ্যান্টিবায়োটিকস, পেইনকিলার এবং কিছু বিশেষ ধরনের ওষুধ এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এছাড়াও, কীটপতঙ্গের বিষের প্রতি এলার্জি এবং ঠান্ডা বা তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত এলার্জি এর মতো অন্যান্য ধরনও থাকতে পারে, তবে এগুলো তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। প্রতিটি এলার্জিরই বিভিন্ন ধরণের নির্দিষ্ট অ্যালার্জেন এবং প্রতিক্রিয়া থাকে, যা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির শরীরে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। বাত ব্যাথা থেকে মুক্তির উপায় | বাতজ্বর থেকে মুক্তির উপায় | কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
যে খাবারের কারনে আপনার এলার্জি বাড়তে পারে
কিছু নির্দিষ্ট খাবার এলার্জি সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে যা এলার্জির উপসর্গকে তীব্র করে। এই সব খাবারে মধ্যে অন্যতম হলঃ
বাদাম (Nuts): চিনা বাদাম, আখরোট, কাজু, পেস্তা ইত্যাদি বাদামে অনেকেরই এলার্জি থাকে কারন বাদামে বিদ্যমান প্রোটিন অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে যাকে শরীরের ইমিউন সিস্টেম ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করে এবং অ্যান্টিবডি নিঃসরণ হয়, যার ফলে এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়। এইসব খাবার থেকে এলার্জি প্রতিক্রিয়া বেশ তীব্র হতে পারে। (১)
ডিম (Eggs): ডিম, বিশেষ করে এর সাদা অংশ, অনেকের জন্য একটি সাধারণ এলার্জেন হিসেবে কাজ করে। ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন, যেমন ওভালবুমিন, ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যালার্জেন হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং এর ফলে এলার্জির লক্ষণ সৃষ্টি হতে পারে। এই লক্ষণগুলির মধ্যে চুলকানি, ত্বকে র্যাশ, হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, এবং পেটে ব্যথা, বমি বা ডায়রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। শিশুদের মধ্যে এই এলার্জি বেশি দেখা গেলেও প্রাপ্তবয়স্করাও আক্রান্ত হতে পারেন। গুরুতর ক্ষেত্রে, ডিম এলার্জি অ্যানাফাইল্যাক্সিস নামক একটি তীব্র এবং জীবননাশক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। (২)
দুধ (Milk): দুধ, বিশেষ করে গরুর দুধ, অনেকের জন্য এলার্জীর কারণ হতে পারে। দুধে থাকা প্রোটিন, যেমন কেসিন এবং ওয়ে, শরীরের ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যালার্জেন হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা এলার্জির লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, ত্বকে র্যাশ, পেটে ব্যথা, বমি, এবং ডায়রিয়া অন্যতম। শিশুদের মধ্যে এই এলার্জি বেশি দেখা যায়, তবে প্রাপ্তবয়স্করাও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। গুরুতর ক্ষেত্রে দুধ এলার্জি অ্যানাফাইল্যাক্সিস নামক একটি তীব্র এবং জীবননাশক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। (৩)
সীফুড (Seafood): সীফুড, বিশেষ করে শেলফিশ যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক, এবং ফিনফিশ যেমন স্যামন, টুনা ইত্যাদি খাবার, এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। সীফুডে থাকা প্রোটিন শরীরের ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যালার্জেন হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা এলার্জির লক্ষণ যেমন হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে চুলকানি, মুখ বা গলা ফুলে যাওয়া, বমি, এবং পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে সীফুড খাওয়ার পাশাপাশি রান্না করার সময় সৃষ্ট বাষ্পেও এলার্জি হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে সীফুড এলার্জি অ্যানাফাইল্যাক্সিস নামক একটি জীবননাশক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। (৪)
সয়াবিন (Soybeans): অনেকের ক্ষেত্রে সয়াবিন খেলেও এলার্জী প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। সয়াবিনের প্রোটিন শরীরের ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যালার্জেন হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। (৫)
গম (Wheat): গমে থাকা গ্লুটেন প্রোটিনের কারণে অনেকের জন্য গম একটি অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করতে পারে। গম সাধারণত রুটি, পাস্তা, সেরিয়াল এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া যায়, তাই এই ধরনের খাবারের লেবেল পরীক্ষা করা জরুরি। গুরুতর ক্ষেত্রে, গমের অ্যালার্জি অ্যানাফাইল্যাক্সিসের মতো জীবননাশক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। (৬)
এলার্জি কারণে নানাবিধ সমস্যা ও প্রতিরোধের উপায়
এলার্জির কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে, এবং এর প্রতিকারের জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। নিচে এলার্জি থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার এবং তাদের প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (Allergic Rhinitis): অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হল একটি সাধারণ এলার্জিগত সমস্যা, যা সাধারণত পোলেন, ধুলা, পোষা প্রাণীর লোম, বা ছত্রাকের স্পোরের মতো অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসার ফলে ঘটে। এই অবস্থায় নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন হাঁচি, চোখ চুলকানো এবং কখনও কখনও গলা খুসখুস করার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস মৌসুমী হতে পারে, যেমন বসন্তকালে পোলেনের কারণে অথবা সারা বছরব্যাপী থাকতে পারে, যা ধুলা বা পোষা প্রাণীর লোমের কারণে হয়। নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ | নিউমোনিয়া রোগের কারন কি? নিউমোনিয়া কেন হয়?
অ্যাজমা (Asthma): অ্যাজমা একটি শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, যা প্রায়ই এলার্জির কারণে বৃদ্ধি পায়। এটি ঘটে যখন অ্যালার্জেন, যেমন ধুলা, পোলেন, পোষা প্রাণীর লোম, বা ছত্রাকের স্পোর, শ্বাসনালীগুলিকে উত্তেজিত করে, ফলে শ্বাসনালী সংকুচিত হয় এবং প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা, ঘন ঘন কাশি, এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় সাঁই সাঁই শব্দ হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। অ্যাজমার উপসর্গগুলি হালকা থেকে শুরু করে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
লাইফস্টাইল পরিবর্তন (Lifestyle Changes): ধূমপান বন্ধ করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং এলার্জির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
By: Bousquet, J., Khaltaev, N
ত্বকের সমস্যা (Eczema বা Atopic Dermatitis): এলার্জির কারণে ত্বকের সমস্যা, যেমন একজিমা বা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস, সাধারণত দেখা যায়। ত্বক এলার্জেনের সংস্পর্শে এলে বা কখনও কখনও খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে এই সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের সমস্যাগুলির মধ্যে লালচে ফুসকুড়ি, ত্বকে চুলকানি, শুষ্কতা, এবং ত্বকের ফেটে যাওয়া অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ধরনের ত্বকের সমস্যাগুলো শারীরিক অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং কখনও কখনও তীব্র চুলকানির কারণে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
খাদ্য এলার্জি (Food Allergy): খাদ্য এলার্জি একটি সাধারণ এবং গুরুতর সমস্যা, যা শরীর নির্দিষ্ট খাবারের প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখালে ঘটে। এই প্রতিক্রিয়া সাধারণত চিনা বাদাম, দুধ, ডিম, সীফুড, গম, এবং সয়াবিনের মতো খাবারের কারণে দেখা যায়। খাদ্য এলার্জির লক্ষণগুলো হালকা থেকে তীব্র হতে পারে, যার মধ্যে চুলকানি, ফুসকুড়ি, বমি, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, এবং গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যানাফাইল্যাক্সিস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা জীবননাশক হতে পারে। এলার্জি প্রতিক্রিয়াগুলো খাবার খাওয়ার কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দেখা দিতে পারে।
অ্যানাফাইল্যাক্সিস (Anaphylaxis): অ্যানাফাইল্যাক্সিস একটি তীব্র এবং জীবননাশক এলার্জি প্রতিক্রিয়া, যা সাধারণত খাদ্য, ওষুধ, পোকামাকড়ের বিষ, বা ল্যাটেক্সের মতো অ্যালার্জেনের কারণে ঘটে। এই প্রতিক্রিয়ায় শরীরের ইমিউন সিস্টেম অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে এবং হঠাৎ করেই সারা শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। অ্যানাফাইল্যাক্সিসের লক্ষণগুলির মধ্যে শ্বাসকষ্ট, গলা এবং জিহ্বা ফুলে যাওয়া, তীব্র র্যাশ, বমি, পেটে ব্যথা, রক্তচাপ হ্রাস, এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া অন্তর্ভুক্ত। এই প্রতিক্রিয়ার ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের পথ অবরুদ্ধ হয়ে যেতে পারে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে, যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এলার্জি দূর করার উপায় এবং সমাধান
এলার্জি দূর করার কোনো স্থায়ী উপায় নেই, তবে এলার্জির উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।
অ্যালার্জেন এড়ানো (Avoiding Allergens): এলার্জির সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ হলো অ্যালার্জেন থেকে দূরে থাকা। উদাহরণস্বরূপ, খাদ্য এলার্জি থাকলে সেই নির্দিষ্ট খাবারগুলি এড়িয়ে চলা, ধুলা বা পোলেনের কারণে এলার্জি হলে সেগুলো থেকে দূরে থাকা।
ঔষধ ব্যবহার (Medication): অ্যান্টিহিস্টামিন, ডিকঞ্জেস্ট্যান্ট, এবং স্টেরয়েড স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে এলার্জির লক্ষন গুলোকে কমানোর জন্য। এর পাশাপাশি ইমিউনোথেরাপি বা এলার্জি শটও উপকারী হতে পারে দীর্ঘমেয়াদে। (৭)
ইমিউনোথেরাপি (Immunotherapy): ইমিউনোথেরাপি হলো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে এলার্জেনের প্রতি সংবেদনশীলতা কমানোর জন্য নিয়মিত অ্যালার্জেন ইনজেকশন দেওয়া হয় যা দীর্ঘমেয়াদী উপশম দিতে পারে। (৮)
বায়ু পরিশোধন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা (Air Purification and Hygiene): বাড়ির মধ্যে বায়ু পরিশোধক ব্যবহার করা, বিছানার চাদর ও বালিশের কভার নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং ঘর ধুলামুক্ত রাখা এলার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। (৯)
লাইফস্টাইল পরিবর্তন (Lifestyle Changes): ধূমপান বন্ধ করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে এবং এলার্জির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করতে পারে। (১০)
এলার্জির প্রতিরোধ এবং ব্যবস্থাপনা একেকজন ব্যক্তির জন্য ভিন্ন হতে পারে, তাই একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে নিজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পদ্ধতি নির্বাচন করা উচিত।
এলার্জি ঔষধ এর নাম
এলার্জির চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহৃত হয়, যেগুলো এলার্জির লক্ষণ উপশম করতে সহায়ক। এখানে কিছু সাধারণভাবে ব্যবহৃত এলার্জির ঔষধের নাম দেওয়া হলো:
অ্যান্টিহিস্টামিন (Antihistamines):
লোরাটাডিন (Loratadine): ক্ল্যারিটিন (Claritin) হাইভস, রাইনাইটিস এবং অন্যান্য এলার্জির লক্ষণগুলি উপশম করতে ব্যবহৃত হয়।
সেটিরিজিন (Cetirizine): জিরটেক (Zyrtec) এলার্জির বিভিন্ন লক্ষণ যেমন হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, এবং চুলকানি উপশম করতে কার্যকর।
ডিফেনহাইড্রামিন (Diphenhydramine): বেনাড্রিল (Benadryl) দ্রুত কাজ করে কিন্তু ঘুমের প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে।
ডিকঞ্জেস্ট্যান্টস (Decongestants):
সুডোএফেড্রিন (Pseudoephedrine): সুডাফেড (Sudafed) নাক বন্ধ হওয়া উপশম করতে ব্যবহৃত হয়।
অক্সিমেটাজোলিন (Oxymetazoline): আফ্রিন (Afrin) নাসাল স্প্রে হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং নাসাল কংজেশন কমাতে সাহায্য করে।
স্টেরয়েডস (Steroids):
ফ্লুটিকাসোন (Fluticasone): ফ্লোনাস (Flonase) নাসাল স্প্রে হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের জন্য কার্যকর।
বুডেসোনাইড (Budesonide): রাইনোকোর্ট (Rhinocort) নাসাল ইনহেলার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
লিউকোট্রিন রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট (Leukotriene Receptor Antagonists):
মন্টেলুকাস্ট (Montelukast): সিঙ্গুলেয়ার (Singulair) এলার্জি অ্যাজমা এবং এলার্জিক রাইনাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ইপিনেফ্রিন (Epinephrine):
ইপি-পেন (EpiPen): এটি একটি জরুরি ইনজেকশন যা অ্যানাফাইল্যাক্সিসের মতো গুরুতর এলার্জি প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারী হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
এগুলো সাধারণভাবে ব্যবহৃত এলার্জির ঔষধ, তবে এগুলো ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র
- Sicherer, S.H. and Sampson, H.A., 2007. Peanut allergy: emerging concepts and approaches for an apparent epidemic.Journal of Allergy and Clinical Immunology, 120(3), pp.491-503. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0091674907013887
- Clark, A., Islam, S., King, Y., Deighton, J., Szun, S., Anagnostou, K. and Ewan, P., 2011. A longitudinal study of resolution of allergy to well‐cooked and uncooked egg.Clinical & Experimental Allergy, 41(5), pp.706-712. https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1111/j.1365-2222.2011.03697.x
- Venter, C. and Arshad, S.H., 2011. Epidemiology of food allergy.Pediatric Clinics, 58(2), pp.327-349. https://www.pediatric.theclinics.com/article/S0031-3955(11)00013-7/abstract
- Sicherer, S.H. and Sampson, H.A., 2014. Food allergy: epidemiology, pathogenesis, diagnosis, and treatment.Journal of Allergy and Clinical Immunology, 133(2), pp.291-307. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0091674913018368
- Savage, J.H., Kaeding, A.J., Matsui, E.C. and Wood, R.A., 2010. The natural history of soy allergy.Journal of Allergy and Clinical Immunology, 125(3), pp.683-686. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0091674910000072
- Sapone, A., Bai, J.C., Ciacci, C., Dolinsek, J., Green, P.H., Hadjivassiliou, M., Kaukinen, K., Rostami, K., Sanders, D.S., Schumann, M. and Ullrich, R., 2012. Spectrum of gluten-related disorders: consensus on new nomenclature and classification.BMC medicine, 10, pp.1-12. https://link.springer.com/article/10.1186/1741-7015-10-13
- Canonica, G.W., Bousquet, J., Mullol, J., Scadding, G.K. and Virchow, J.C., 2007. A survey of the burden of allergic rhinitis in Europe.Allergy, 62, pp.17-25. https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1111/j.1398-9995.2007.01549.x
- Abramson, M.J., Puy, R.M. and Weiner, J.M., 2010. Injection allergen immunotherapy for asthma.Cochrane database of systematic reviews, (8).https://www.cochranelibrary.com/cdsr/doi/10.1002/14651858.CD001186.pub2/abstract
- Custovic, A. and van Wijk, R.G., 2005. The effectiveness of measures to change the indoor environment in the treatment of allergic rhinitis and asthma: ARIA update (in collaboration with GA 2 LEN).Allergy, 60(9). https://www.academia.edu/download/53243302/The_effectiveness_of_measures_to_change_20170523-2793-1s0hu1c.pdf
- Bousquet, J., Khaltaev, N., Cruz, A.A., Denburg, J., Fokkens, W.J., Togias, A., Zuberbier, T., Baena‐Cagnani, C.E., Canonica, G.W., Van Weel, C. and Agache, I., 2008. Allergic rhinitis and its impact on asthma (ARIA) 2008.Allergy, 63, pp.8-160. https://onlinelibrary.wiley.com/doi/abs/10.1111/j.1398-9995.2007.01620.x
- পিঠে ব্যথার কারণ ও করণীয় - September 7, 2024
- ৮ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস – ASPC আয়োজিত ফ্রি হেলথ ক্যাম্প - September 4, 2024
- মাথা ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার | মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ - September 2, 2024