হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার, হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ. হৃদপিণ্ড ও রক্তনালীজনিত যেকোন সমস্যাকে হার্টের রোগ (Cardiovascular Disease – CVD) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারণত, এই রোগগুলি রক্তচাপ, হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা, এবং রক্তনালীর সুস্থতাকে বিঘ্নিত করে। এখানে কিছু প্রধান ধরনের হার্টের রোগ এবং তাদের বর্ণনা দেওয়া হল:

অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (Atherosclerosis): ধমনীর অভ্যন্তরীণ প্রাচীরে চর্বি, ক্যালসিয়াম, এবং অন্যান্য পদার্থ জমে রক্ত প্রবাহ সংকীর্ণ করে ফেলে। এর ফলে হৃদপিণ্ডে রক্ত পৌঁছাতে সমস্যা হয়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

করোনারি আর্টারি ডিজিজ (Coronary Artery Disease – CAD): হৃদপিণ্ডের রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলি সংকীর্ণ বা বন্ধ হয়ে যায়। হৃদপিণ্ডে রক্ত ও অক্সিজেনের অভাব হয়, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack): যদি হৃদপিণ্ডের কোনো অংশে রক্ত প্রবাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে হৃদপিণ্ডের কোষগুলি মারা যায়। ফলে বুকে তীব্র ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গ যেমন শ্বাসকষ্ট ও ঘাম হতে পারে।

হার্ট ফেইলিউর (Heart Failure): এক্ষেত্রে হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন করতে ব্যর্থ হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ হয় না, যার ফলে শ্বাসকষ্ট, পা ফুলে যাওয়া এবং শারীরিক ক্লান্তির কারণ হতে পারে।

স্ট্রোক (Stroke): মস্তিষ্কে রক্তনালী ব্লক বা ফেটে গিয়ে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে করে মস্তিষ্কের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে দুর্বলতা এবং অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করে।

অ্যারিথমিয়া (Arrhythmia): হৃদ স্পন্দন বা রিদম অস্বাভাবিক হয়ে যায়। হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক বিট, যা প্যালপিটেশন বা দম বন্ধ হওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।

হার্ট ভাল্ব ডিজিজ (Heart Valve Disease): হৃদপিণ্ডের ভাল্বগুলির মধ্যে সমস্যা যেমন স্টেনোসিস (সঙ্কুচিত হওয়া) বা রেজার্জিটেশন (পুনঃনিঃসরণ) হয়। হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা শ্বাসকষ্ট এবং ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ / হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ

হার্ট ব্লক (Heart Block) হচ্ছে হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সংকেতের গতি ধীর হয়ে যাওয়ার বা ব্লক হয়ে যাওয়ার একটি রোগ। এটি হৃদপিণ্ডের রিদম এবং হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করতে পারে। এখানে হার্ট ব্লক হওয়ার কিছু সাধারণ লক্ষণ উল্ল্যেখ করা হলঃ

অস্বস্তি বা ব্যথা: হার্ট ব্লকের কারণে বুকের মাঝখানে চাপ বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হতে পারে এবং এটি হৃদস্পন্দনের ধীরগতির কারণে হতে পারে। হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সংকেত সঠিকভাবে সঞ্চালন না হলে হৃদপিণ্ডের অপারেশন ও রক্ত পাম্পিংয়ের কার্যকারিতা বিঘ্নিত হয়।

মাথা ঘোরানো বা ঝিমঝিম অনুভূতি: হার্ট ব্লক ও হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক স্পন্দনের কারণে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে, যার ফলে মাথা ঘুরাতে পারে। হার্ট ব্লক, বিশেষ করে দ্বিতীয় পর্যায়ের (মোবিট ২) বা তৃতীয় পর্যায়ের (কমপ্লিট) ব্লক, রক্তচাপ এবং হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এর ফলে মাথার মধ্যে বা পুরো শরীরে ঝিমঝিম অনুভূতি হয়, যা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা রক্ত প্রবাহ কম হবার কারণে ঘটে।

শ্বাসকষ্ট: হার্ট ব্লকের কারণে হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে না পারার কারণে, শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত ও অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করতে পারে। গুরুতর হার্ট ব্লক কিংবা রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা কমে যায় এবং এর ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

হৃদস্পন্দন পরিবর্তন: হার্ট ব্লকের কারণে হৃদস্পন্দন ধীর, দ্রুত, বা অনিয়মিত হতে পারে। এটি প্যালপিটেশন বা হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিক অনুভূতির কারণ হতে পারে। হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সংকেত সঠিকভাবে সঞ্চালন না হলে, স্পন্দনের হার ও রিদম পরিবর্তিত হয়, যা বিভিন্ন ধরনের অ্যারিথমিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

  • প্রথম স্তরের হার্ট ব্লক (First-degree heart block): স্পন্দন কিছুটা ধীর হতে পারে, কিন্তু সাধারণত কোনও গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে না।
  • দ্বিতীয় স্তরের হার্ট ব্লক (Second-degree heart block): অনেকক্ষেত্রে হৃদ স্পন্দন হারিয়ে যেতে পারে, আবার কখনও কখনও স্পষ্টভাবে অনুভূত হতে পারে।
  • তৃতীয় স্তরের হার্ট ব্লক (Third-degree or complete heart block): হার্টের স্পন্দন পুরোপুরিভাবে অস্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে, যা গুরুতর অ্যারিথমিয়া সৃষ্টি করে এবং এটি খুব দ্রুত স্পন্দন হারানোর কারণ হতে পারে।

অসুস্থতা: হার্ট ব্লকের কারণে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে, যা শরীরের পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয় যার ফলে দুর্বলতা, ক্লান্তি বা অসুস্থতা অনুভূব হয়। হার্ট ব্লক, বিশেষ করে তৃতীয় স্তরের (সম্পূর্ণ) হার্ট ব্লক হৃদপিণ্ডের সংকোচন প্রসারন ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে, যার ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। স্ট্রোকের ঝুঁকিতে কারা আছেন?

হার্টের বয়স অনুযায়ী পালস রেট

বয়স অনুযায়ী পালস রেট (হৃদস্পন্দন হার) পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারনত, শিশুদের পালস রেট বয়স্কদের তুলনায় বেশি থাকে, এবং বয়স বাড়ার সাথে পালস রেট ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এখানে বয়স অনুযায়ী পালস রেট আলোচনা করা হলো:

বয়সগড় পালস রেটমতামত
১-২ বছর১০০-১২০ বিট/মিনিটশিশুরা সাধারণত উচ্চ পালস রেটের অধিকারী হয় কারণ তাদের হৃদপিণ্ড দ্রুত রক্ত সঞ্চালন করে।
৩-৭ বছর৯০-১০০ বিট/মিনিটবয়স বৃদ্ধির সাথে পালস রেট কিছুটা কমে আসে, তবে এটি তখনও তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
৮-১৪ বছর৮০-৯০ বিট/মিনিট

 

পালস রেট কমে আসে এবং এটি প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকে।
১৫-৬৪ বছর৬০-১০০ বিট/মিনিট

 

প্রাপ্তবয়স্কদের পালস রেট সাধারণত স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার উপর নির্ভর করে এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে।
৬৫ বছরের বেশি৫০-৭০ বিট/মিনিটবয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পালস রেট কমে যেতে পারে এবং এটি বয়সজনিত হৃদরোগের প্রভাব নির্দেশ করতে পারে।

বুকের মাঝখানে ব্যথা হলে করণীয়

বুকের মাঝখানে ব্যথা একটি গুরুতর সমস্যা যার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমনঃ হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা বা মাসল স্পাজম। বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করলে কী করা উচিত, তা জানতে এখানে কিছু সাধারণ করণীয় কাজ উল্লেখ করা হলোঃ

আরও পড়ুন  কারা মেনিনজাইটিসের ঝুঁকিতে আছেন, বয়স ভেদে মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ, প্রতিরোধ এবং ফিজিওথেরাপি ব্যবস্থাপনা

অতিশীঘ্র চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: বুকের মাঝখানে ব্যথা হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে, তাই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। হৃদরোগের সম্ভাবনা বিবেচনায় এনে জরুরি মেডিক্যাল সেবা গ্রহণ করা উচিত।

সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা: বুকের ব্যথার অন্যান্য কারণগুলি যেমনঃ গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), পেপটিক আলসার বা পেশী বা হাড়ের সমস্যা হতে পারে। এ জন্য একটি বিস্তারিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা দরকার (1)।

জরুরি পরীক্ষা ও ইমেজিং: চিকিৎসক বুকের ব্যথার কারণ নির্ধারণ করার জন্য ECG, এক্স-রে, বা অন্যান্য ইমেজিং টেস্ট করতে পারেন (2)।

প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া: যদি ব্যথা মাঝারি ধরনের হয় এবং হৃদরোগের লক্ষণ না থাকে, তবে সাধারণত ওষুধ যেমন অ্যান্টাসিড বা ব্যথানাশক ব্যবহার করা যেতে পারে (3)।

লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করা: যদি বুকের ব্যথা তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় ও পাশাপাশি অন্যান্য লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট, বমি, বা ঘাম হয়, তাহলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন।

হার্টের ব্যথার অবস্থান

হার্টের ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে অনুভূত হয়, তবে এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। হার্টের ব্যথার অবস্থান এবং লক্ষণগুলি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, এবং এটি বিভিন্ন হৃদরোগের সংকেত হতে পারে। এখানে হার্টের ব্যথার সাধারণ স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত বর্নণা প্রদান করা হলো:

হার্টের ব্যথা কোথায় হয়

হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের সময় বুকের মাঝখানে একটি চাপ বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি কিছু সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে। স্ট্রোক কি এবং এর প্রতিকার

বাম হাত, ঘাড় বা পিঠে: এটি সাধারণত বুকের মাঝামাঝি বা বাম দিকে ব্যথা, বুক চেপে ধরা, জ্বালাপোড়া বা ভারী ভারী অনুভূতি হতে পারে। ব্যথা প্রায়ই বাঁম হাতে, কাঁধে, ঘাড়ে, চোয়ালে বা পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হার্টের ব্যথার সাথে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে (4)।

পেটের উপরের অংশ: হার্টের ব্যথা অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যথা কখনো কখনো পেটের উপরের অংশে অনুভূত হতে পারে, যা সাধারণত বুকের ব্যথা এবং অন্য লক্ষণগুলির সাথে সম্পর্কিত। হার্টের নিচের অংশে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে (যেমন, হার্ট অ্যাটাকের সময়), ব্যথা পেটের উপরের অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে, কারণ এই অংশটি ডায়াফ্র্যাগমের কাছাকাছি অবস্থিত। পেটের উপরের অংশে ব্যথা অনেক সময় ভুল করে অ্যাসিডিটির সমস্যা হিসেবে মনে করা হয়, তবে এটি হার্টের সমস্যারও একটি লক্ষণ হতে পারে (4)।

বুকের মধ্যে চাপ অনুভূতি: বেশিরভাগ মানুষ হার্টের ব্যথা অনুভব করেন বুকের মাঝামাঝি অংশে, যা চাপ, ভারী বা চেপে ধরা ব্যথা হিসেবে দেখা দেয়। এটি প্রায়ই এমনভাবে অনুভূত হয় যেন কেউ বুকের উপর ভারী ওজন রেখছে (5)।

মাথার বা সামনের অংশে ব্যথা: হার্টের ব্যথা কখনো কখনো চোয়াল, ঘাড়, বা মাথার এক পাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি প্রায়ই অ্যাঞ্জাইনার কারণে হয়ে থাকে। যদিও হার্টের ব্যথার কারণে সরাসরি মাথার সামনের অংশে ব্যথা হতে দেখা যায় না, তবে যদি মাথার এক পাশে বা ঘাড় ব্যথা দেখা দেয়, তবে এটি হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

হার্টের রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্য নির্বাচন হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এখানে হার্টের রোগীদের জন্য একটি খাদ্য তালিকা দেয়া হলো:

ফল ও সবজি: উচ্চ ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। প্রচুর ফল ও সবজি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যেমনঃ আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, ব্রোকলি, গাজর, পালং শাক।

পুরো শস্য: উচ্চ ফাইবার এবং কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যেমনঃ ব্রাউন রাইস, ওটমিল, কুইনোয়া, পুরানো গমের রুটি।

নমনীয় প্রোটিন উৎস: কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যেমনঃ মাছ (বিশেষ করে স্যালমন ও ট্রাউট), চিকেন ব্রেস্ট, টোফু, শিম।

স্বাস্থ্যকর চর্বি: কম স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খারাব হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যেমনঃ অলিভ অয়েল, আখরোট, অ্যাভোকাডো, চিয়া সিড।

কম লবণযুক্ত খাবার: উচ্চমাত্রায় লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়াতে পারে, তাই পরিমাণে লবণ কম খাওয়া উচিৎ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যেমনঃ লবণহীন বা অল্প লবণযুক্ত খাদ্যপণ্য, তাজা খাবার।

কম চিনি যুক্ত খাবার: যারা অতিরিক্তমাত্রায় চিনি বা চিনিজাতীয় খাবার গ্রহনকরে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই কম চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা যাতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। যেমনঃ সুগার ফ্রি পানীয়, ফলের প্রাকৃতিক চিনি।

হার্টের জন্য উপকারী খাবার / হার্টের ব্লক দূর করার খাবার

হার্টের জন্য উপকারী খাবার আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এখানে কিছু খাবার এবং তাদের হৃদরোগের জন্য উপকারিতা সম্পর্কিত রেফারেন্স প্রদান করা হলো:

মাছ: বিশেষ করে স্যালমন, ট্রাউট এবং সার্ডিনে উচ্চ পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে। যেমনঃ স্যালমন, ট্রাউট, সার্ডিন।

তেল: অলিভ অয়েল, ক্যানোলা অয়েল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তেলগুলো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ তেল স্বল্প পরিমান গ্রহন করলে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। যেমনঃ অলিভ অয়েল, আখরোট তেল।

ফল ও সবজি: এই খাবারগুলি ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যেমনঃ আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি, ব্রোকলি, গাজর, পালং শাক।

শস্য: শস্য ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং এটি রক্তচাপ কমাতে সহায়ক যা হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। যেমনঃ ব্রাউন রাইস, কুইনোয়া, ওটমিল, গমের রুটি।

বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বীজগুলি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবারের ভালো উৎস যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। যেমনঃ আখরোট, আমন্ড, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড।

মটরশুটি: মটরশুটি প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। যেমনঃ লেনটিলস, ছোলা বুট, ব্ল্যাক বীন।

আরও পড়ুন  শিশুদের হাম কেন হয় এবং শিশুদের হাম হলে কি করনীয়

আভোকাডো: আভোকাডোতে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যেমনঃ আভোকাডো।

বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার: বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল, বিশেষ করে ভিটামিন D, ভিটামিন K, এবং ম্যাগনেসিয়াম, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যেমনঃ সবুজ শাকসবজি, সূর্যমুখী বীজ, মাছ।

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এখানে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:

ফ্যাটযুক্ত খাবার: ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং রক্তচাপ বাড়াতে পারে। যেমনঃ ফাস্ট ফুড, বেকড পণ্য (কেক, কুকিজ), মিষ্টি।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে সাধারণত বেশি লবণ, চিনি ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যেমনঃ সসেজ, প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্যাকেজড স্ন্যাকস (6)।

অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যেমনঃ সল্টি স্ন্যাকস, কনসার্ভড খাবার, সস এবং ড্রেসিং (7)।

অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার: অতিরিক্ত চিনি উচ্চ কোলেস্টেরল এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমনঃ সোডা, মিষ্টি পানীয়, ক্যান্ডি (8)।

রেড মিট: অতিরিক্ত রেড মিট খাওয়ার অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে প্রক্রিয়াজাত রেড মিট। যেমনঃ বিফ, পোর্ক, ল্যাম্ব (9)।

অস্বাস্থ্যকর ডেজার্ট: ডেজার্টে অত্যধিক চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

যেমনঃ আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি (10)।

হাইড্রোজেনেটেড তেল: হাইড্রোজেনেটেড তেল ট্রান্স ফ্যাটের উৎস, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমনঃ মার্জারিন, কিছু বেকড পণ্য।

বয়স অনুযায়ী ওজন

বয়স অনুযায়ী ওজন নির্ধারণ করা বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে, যেমনঃ উচ্চতা, লিঙ্গ, জিনগত বৈশিষ্ট্য এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য। তবে, বয়স এবং উচ্চতার ভিত্তিতে একটি স্বাভাবিক ওজন পরিসীমা সাধারণত বিএমআই (বডি মাস ইনডেক্স) ব্যবহার করে নির্ধারণ করা হয়। বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে থাকলে ওজনকে সাধারণত স্বাভাবিক ধরা হয়। নিম্নে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সাধারণত বয়স অনুযায়ী ওজনের ধারণার একটি তালিকা দেয়া হলো:

বয়সপুরুষদের গড় ওজন (কেজি)মহিলাদের গড় ওজন (কেজি)
২০-২৯ বছর৬০-৮১ কেজি৫৩-৭০ কেজি
৩০-৩৯ বছর৬২-৮৩ কেজি৫৫-৭২ কেজি
৪০-৪৯ বছর৬৪-৮৫ কেজি৫৭-৭৫ কেজি
৫০-৫৯ বছর৬৬-৮৭ কেজি৫৯-৭৭ কেজি
৬০ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে৬৮-৮৯ কেজি৬১-৭৯ কেজি

 

এটি একটি সাধারণ পরিসীমা, যা উচ্চতা এবং বডি মাস ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। যদি আপনি আপনার সঠিক ওজন জানতে চান, তাহলে উচ্চতার ভিত্তিতে বিএমআই গণনা করা সবচেয়ে ভালো উপায়। বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে থাকলে, সেটি সাধারণত স্বাস্থ্যকর ওজন হিসাবে বিবেচিত হয়।

বিএমআই গণনা:

বিএমআই = ওজন (কেজি) / (উচ্চতা (মিটার)²)

আপনার উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন জানতে, আপনি উচ্চতা এবং ওজনের সাথে বিএমআই হিসাব করে দেখতে পারেন।

হার্ট ভালো রাখার উপায়

হার্ট সুস্থ রাখার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু কার্যকর উপায় এবং তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত রেফারেন্স দেওয়া হলো যা হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে:

স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ: ফলমূল, সবজি, পূর্ণ শস্য, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যেমনঃ স্যালমন, বাদাম, আভোকাডো, ব্রকলি, আপেল।

নিয়মিত এক্সারসাইজ: সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট হাঁটা বা 75 মিনিটের ব্যায়াম হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যেমনঃ হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা।

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখলে হার্টের উপর চাপ কমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। যেমনঃ BMI 18.5-24.9 বজায় রাখা।

ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। ধূমপান ত্যাগ করলে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য দ্রুত উন্নত হয়।

আলকোহল পরিমিতভাবে গ্রহণ: অতিরিক্ত অ্যালকোহল নেয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তবে পুরুষদের জন্য দিনে ২ গ্লাস (প্রায় ২৮ মি.লি. বিশুদ্ধ অ্যালকোহল) এবং মহিলাদের জন্য দিনে ১ গ্লাস বা ১৪ মি.লি. গ্রহন করা যেতে পারে কিন্তু আলকোহল পুরোপুরি ভাবে ত্যাগ করাই উত্তম।

স্ট্রেস কমানো: দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস হার্টের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম স্ট্রেস কমাতে সহায়ক। যেমনঃ মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, বিনোদনমূলক কার্যক্রম।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রাথমিক স্তরে ধরা পড়তে পারে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেয়া যায়। যেমনঃ রক্তচাপ পরীক্ষা, কোলেস্টেরল পরীক্ষা।

ভালো ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অভাব হার্টের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিরাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে উজ্জীবিত করে এবং হার্টের ওপর চাপ কমায়। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং একই সময়ে জেগে ওঠা শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়িকে স্থির রাখতে সাহায্য করে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়

হার্টের সুস্থতা মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা এবং লক্ষণ রয়েছে যা সুস্থ হৃদরোগের ইঙ্গিত দিতে পারে। এখানে কিছু উপায় এবং তাদের রেফারেন্স দেওয়া হলো যা দ্বারা আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার হার্ট ভালো আছে কিনা:

নিয়মিত হার্ট পরীক্ষা: ইসিজি (EKG/ECG), ইকোকার্ডিওগ্রাম (ECHO), এবং টেস্টিং স্ট্রেস ইসিজি পরীক্ষা করে হার্টের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা হয়।

স্বাস্থ্যকর হৃদরোগের লক্ষণ: আপনি যদি কোনো অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব না করেন, এবং আপনার কোনো অতিরিক্ত ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, বা মাথা ঘোরানো না থাকে তবে এটি সুস্থ হার্টের লক্ষণ হতে পারে।

ব্লাড প্রেশার পরিমাপ: স্বাভাবিক রক্তচাপ (সিস্টোলিক চাপ < 120 mm Hg এবং ডায়াস্টোলিক চাপ < 80 mm Hg) হার্টের সুস্বাস্থ্যকে নির্দেশ করে।

কোলেস্টেরল লেভেল পরীক্ষা: স্বাভাবিক কোলেস্টেরল মাত্রা (Total Cholesterol < 200 mg/dL, LDL < 100 mg/dL, HDL > 60 mg/dL) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

শারীরিক কার্যকলাপ: নিয়মিত শারীরিক এক্সারসাইজ যেমনঃ হাঁটা, দৌড়ানো, বা সাঁতার কাটা আপনার হৃদরোগের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

মানুষিক প্রশান্তি এবং ফিটনেস: আপনি যদি মানুষিক প্রশান্তিতে থাকেন, দৈনন্দিন কাজ করতে সক্ষম হন এবং ক্লান্তি অনুভব না করেন, তবে এটিও আপনার হৃদরোগের সুস্থতা নির্দেশ করতে পারে।

আরও পড়ুন  ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খাদ্য তালিকা (ভিডিও সহ)

হার্টের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ

অ্যান্টিহাইপারটেনসিভস (Blood Pressure Medications)

লেসিনোপ্রিল (Lisinopril)/ এনালাপ্রিল (Enalapril): এগুলো ACE ইনহিবিটর যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

অ্যাটেনলোল (Atenolol): এটি একটি বিটা-ব্লকার যা হৃদস্পন্দন ধীর করে এবং রক্তচাপ কমায়।

স্ট্যাটিনস (Cholesterol Lowering Medications)

টোর্ভাস্ট্যাটিন (Atorvastatin)/ সিমভাস্ট্যাটিন (Simvastatin)/ প্রাভাস্ট্যাটিন (Pravastatin): এই স্ট্যাটিন জাতীয় ওষধগুলো কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস (Blood Thinners)

ওয়ারফারিন (Warfarin): এটি অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট যা রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়।

অ্যাপিক্সাবান (Apixaban)/ রিভারক্সাবান (Rivaroxaban): এই অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

ডায়ুরেটিকস (Diuretics)

হাইড্রোক্লোরোথিয়াজিড (Hydrochlorothiazide)/ ফিউরোসেমাইড (Furosemide)/ বুমেটানাইড (Bumetanide): এই ডায়ুরেটিকগুলো শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল অপসারণ করতে এবং কিডনির সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।

নাইট্রেটস (Nitrates)

নাইট্রোগ্লিসারিন (Nitroglycerin)/ আইসোসোর্বাইড মনোনাইট্রেট (Isosorbide Mononitrate): নাইট্রেট দীর্ঘমেয়াদী অ্যাঞ্জাইনা (বুকে ব্যথা) কমাতে ব্যবহৃত হয়।

ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকারস (Calcium Channel Blockers)

অ্যামলোডিপিন (Amlodipine)/ ডিলটিয়াজেম (Diltiazem) / ভারাপামিল (Verapamil): এই ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকারগুলো রক্তচাপ কমাতে ব্যবহৃত হয়।

বিটা-ব্লকারস (Beta-Blockers)

মেটপ্রোলল (Metoprolol)/ কার্ভিডিওল (Carvedilol)/ বিসোপ্রলোল (Bisoprolol): এগুলো বিটা-ব্লকার যা হার্টস্পন্দন ধীর করে এবং রক্তচাপ কমায়।

উপসংহার

হার্টের রোগের উপসর্গগুলি সময়মতো শনাক্ত করা এবং সঠিকভাবে চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে। বুকের ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি এই রোগের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রাথমিকভাবে এই উপসর্গগুলি শনাক্ত করে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এটি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তথ্যসূত্রঃ

  1. Writing Committee Members, Gulati, M., Levy, P.D., Mukherjee, D., Amsterdam, E., Bhatt, D.L., Birtcher, K.K., Blankstein, R., Boyd, J., Bullock-Palmer, R.P. and Conejo, T., 2021. 2021 AHA/ACC/ASE/CHEST/SAEM/SCCT/SCMR guideline for the evaluation and diagnosis of chest pain: a report of the American College of Cardiology/American Heart Association Joint Committee on Clinical Practice Guidelines. Journal of the American College of Cardiology, 78(22), pp. e187-e285. https://www.jacc.org/doi/abs/10.1016/j.jacc.2021.07.053
  2. Mahler, S.A., Lenoir, K.M., Wells, B.J., Burke, G.L., Duncan, P.W., Case, L.D., Herrington, D.M., Diaz-Garelli, J.F., Futrell, W.M., Hiestand, B.C. and Miller, C.D., 2018. Safely identifying emergency department patients with acute chest pain for early discharge: HEART pathway accelerated diagnostic protocol. Circulation, 138(22), pp.2456-2468. https://www.ahajournals.org/doi/abs/10.1161/CIRCULATIONAHA.118.036528
  3. Goldman, L., Cook, E.F., Johnson, P.A., Brand, D.A., Rouan, G.W. and Lee, T.H., 1996. Prediction of the need for intensive care in patients who come to emergency departments with acute chest pain. New England Journal of Medicine, 334(23), pp.1498-1504. https://www.nejm.org/doi/abs/10.1056/NEJM199606063342303
  4. Goldman, L., Cook, E.F., Johnson, P.A., Brand, D.A., Rouan, G.W. and Lee, T.H., 1996. Prediction of the need for intensive care in patients who come to emergency departments with acute chest pain. New England Journal of Medicine, 334(23), pp.1498-1504. https://www.nejm.org/doi/abs/10.1056/NEJM199606063342303
  5. Virani, S.S., Alonso, A., Benjamin, E.J., Bittencourt, M.S., Callaway, C.W., Carson, A.P., Chamberlain, A.M., Chang, A.R., Cheng, S., Delling, F.N. and Djousse, L., 2020. Heart disease and stroke statistics—2020 update: a report from the American Heart Association. Circulation, 141(9), pp.e139-e596. https://www.ahajournals.org/doi/abs/10.1161/CIR.0000000000000757
  6. Wang, Y., Wang, K., Du, M., Khandpur, N., Rossato, S.L., Lo, C.H., VanEvery, H., Kim, D.Y., Zhang, F.F., Chavarro, J.E. and Sun, Q., 2022. Maternal consumption of ultra-processed foods and subsequent risk of offspring overweight or obesity: results from three prospective cohort studies. Bmj, 379. https://www.bmj.com/content/379/bmj-2022-071767.abstract
  7. Chobanian, A.V. and Hill, M., 2000. National Heart, Lung, and Blood Institute Workshop on Sodium and Blood Pressure: a critical review of current scientific evidence. Hypertension, 35(4), pp.858-863. https://www.ahajournals.org/doi/abs/10.1161/01.HYP.35.4.858
  8. Gardner, C., Wylie-Rosett, J., Gidding, S.S., Steffen, L.M., Johnson, R.K., Reader, D. and Lichtenstein, A.H., 2012. Nonnutritive sweeteners: current use and health perspectives: a scientific statement from the American Heart Association and the American Diabetes Association. Circulation, 126(4), pp.509-519. https://www.ahajournals.org/doi/abs/10.1161/cir.0b013e31825c42ee
  9. Boada, L.D., Henríquez-Hernández, L.A. and Luzardo, O.P., 2016. The impact of red and processed meat consumption on cancer and other health outcomes: Epidemiological evidences. Food and Chemical Toxicology, 92, pp.236-244. https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S0278691516301144
  1. Johnson, R.K., Appel, L.J., Brands, M., Howard, B.V., Lefevre, M., Lustig, R.H., Sacks, F., Steffen, L.M. and Wylie-Rosett, J., 2009. Dietary sugars intake and cardiovascular health: a scientific statement from the American Heart Association. Circulation, 120(11), pp.1011-1020. https://www.ahajournals.org/doi/abs/10.1161/circulationaha.109.192627
পরামর্শ নিতে 01877733322