ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা একটি প্রচলিত সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হলো পেশির টান, যা অতিরিক্ত শারীরিক শ্রম, ভুল অবস্থানে বসা বা ঘুমানোর কারণে ঘটে। এছাড়া, আর্থ্রাইটিসের কারণে ঘাড় বা কাঁধের জয়েন্টে প্রদাহ হলে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা

অনেক সময়, ঘাড়ের নার্ভগুলোতে চাপ পড়লে হাত, কাঁধ বা ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। ডিস্কজনিত সমস্যাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যা স্নায়ুতে চাপ দিয়ে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগও শারীরিক ব্যথার কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে। পিঠে ব্যথার কারণ ও করণীয়

ঘাড় ব্যথার কারণ

পেশির টান: ঘাড়ের পেশির অতিরিক্ত ব্যবহারে বা ভুল ভঙ্গিতে বসা ও ঘুমানোর ফলে পেশিতে টান লাগতে পারে, যা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এছাড়াও যখন ব্যক্তি অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করে। পেশির টান লাগলে ঘাড়ের পেশিগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হয়, যা ব্যথা ও অস্বস্তির সৃষ্টি করে। এই অবস্থায় ঘাড়ের নড়াচড়া কমে যায় এবং কোনও দিকে মাথা ঘুড়ালে বা ঘাড়ে চাপ পড়লে ব্যথা বাড়তে পারে। পেশির টান এর জন্য সাময়িক ব্যথা হয় এবং বিশ্রাম, ফিজিওথেরাপি এবং কিছু সাধারণ ব্যায়ামের মাধ্যমে উন্নতি হয়।

ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ

আর্থ্রাইটিস: আর্থ্রাইটিস, বিশেষ করে অস্টিওআর্থারাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ঘাড়ের রগের ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। অস্টিওআর্থ্রাইটিস মূলত বয়স, স্থূলতা, বা ঘাড়ের জয়েন্ট ও পেশীর অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ঘটে, যেখানে জয়েন্টের কার্টিলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস একটি স্বয়ংক্রিয় রোগ, যেখানে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিজের টিস্যুকে আক্রমণ করে। এই অবস্থায় ঘাড়ের জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ঘাড়ের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘাড়ের জয়েন্টের প্রদাহের কারণে আর্থ্রাইটিস রোগীদের মধ্যে প্রায় ৭০% ক্ষেত্রে ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা দেখা দেয় ()।

ডিস্ক সমস্যা: যখন ঘাড়ের মেরুদণ্ডের ডিস্কের বাইরের স্তর দুর্বল হয়ে যায় বা ফেটে যায়, তখন ডিস্কের অভ্যন্তরীণ জেলিযুক্ত উপাদান বাইরে বেরিয়ে আসে। এই অবস্থাটি স্নায়ুতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা ব্যথা, যন্ত্রণা এবং অস্বস্তির সৃষ্টি করে। হার্নিয়েটেড ডিস্কের ফলে ঘাড়ে ও হাতে ঝিঁঝি অনুভূতি, দুর্বলতা এবং চলাচলে অসুবিধা হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা সাধারণত অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, দুর্ঘটনা বা বয়সজনিত কারণে ঘটে।

নার্ভের চাপ: যখন ঘাড়ের স্নায়ুগুলোতে চাপ পড়ে, তখন এটি ব্যথা ও অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে। নার্ভের চাপ সাধারণত বিভিন্ন কারণে ঘটে, যেমন ভুলভাবে বসা, দীর্ঘ সময় একই অবস্থানে থাকার ফলে স্নায়ুতে চাপ পড়া, বা ঘাড়ের উপর অতিরিক্ত চাপ লাগা প্রভৃতি। এই চাপের কারণে ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে এবং ঘাড়ে এবং কাঁধে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। পাশাপাশি, এটি হাত এবং হাতে ঝিঁঝির অনুভূতি, দুর্বলতা এবং চলাচলে অসুবিধা তৈরি করতে পারে।

মানসিক চাপ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগ পেশিতে টান সৃষ্টি করতে পারে, যা ঘাড়ে ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যখন মানুষ মানসিক চাপে থাকে, তখন তার শরীরের পেশিগুলো সংকুচিত হতে শুরু করে এবং ঘাড়ের পেশিগুলো বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়। এ অবস্থায়, ঘাড়ের চারপাশে ব্যথা, অস্বস্তি এবং শক্তভাব অনুভূত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ থাকলে এই সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে এবং সাধারণ দৈনন্দিন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

মাইগ্রেন: মাইগ্রেন একটি নিউরোলজিক্যাল রোগ, যা সাধারণত মাথার একপাশে তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে। মাইগ্রেনের সময় ঘাড়ের পেছনে এবং কাঁধে ব্যথা অনুভূত হতে পারে, কারণ মাইগ্রেনের সাথে সম্পর্কিত পেশির টান এবং স্নায়ুর চাপ ঘাড়ে প্রভাব ফেলতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইগ্রেন রোগীদের প্রায় ৩০-৪০% ক্ষেত্রে ঘাড়ে এবং কাঁধে ব্যথা অনুভূত হয়, যা মাইগ্রেনের উপসর্গগুলোর সাথে সম্পর্কিত ()।

মানসিক চাপ: মানসিক চাপ বা উদ্বেগের সময় শরীরের পেশিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়, যা ঘাড়ের পেশিতে টান সৃষ্টি করতে পারে। এই অবস্থায়, ঘাড়ের চারপাশের পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায় এবং রগে ব্যথা অনুভূত হয়। মানসিক চাপের ফলে স্নায়ুতে চাপও পড়তে পারে, যা ব্যথার অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ থাকলে ঘাড়ের ব্যথা আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে, এবং এটি সাধারণ দৈনন্দিন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

আঘাত: ঘাড়ে আঘাত লাগলে, যেমন দুর্ঘটনা, খেলাধুলার সময় বা পড়ে যাওয়ার ফলে পেশি, লিগামেন্ট এবং স্নায়ুর উপর চাপ পড়তে পারে। এই ধরনের আঘাতের ফলে ঘাড়ের পেশিতে টান, রগের প্রদাহ এবং স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে “হুইপল্যাশ” (Whiplash) নামক ইঞ্জুরির ক্ষেত্রে, ঘাড় দ্রুত সামনে বা পেছনে নড়ে গেলে ঘাড়ের পেশি ও লিগামেন্টে ক্ষতি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, হুইপল্যাশের কারণে ঘাড়ের পেশি ও স্নায়ুর সমস্যা বৃদ্ধি পায় এবং এটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার কারণ হতে পারে ()।

ঘাড় ব্যথা হলে করণীয়

বিশ্রাম: যখন ঘাড়ে ব্যথা হয়, তখন পেশিগুলো সাধারণত সংকুচিত হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত চাপের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি, যাতে ঘাড়ের পেশিগুলো আরাম পায় এবং তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সুযোগ পায়।

ঘাড় ব্যথার প্রতিকার

বিশ্রামের সময়, ঘাড়ের সঠিক পজিশন বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ; সোজাভাবে বসা বা শোয়া, এবং মাথাকে অতিরিক্ত ঝুঁকে না রেখে অবস্থান করা। বিশেষ করে, ঘুমানোর সময় একটি সাপোর্টিভ গদি এবং বালিশ ব্যবহার করা, ঘাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিছু সময়ের জন্য ঘাড়কে বিশ্রাম দিলে ব্যথার তীব্রতা কমে যায় এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করে।

ঘাড়ের রগ ব্যথা হলে করণীয়

আইস এবং গরম: ব্যথার প্রাথমিক পর্যায়ে ঠান্ডা সেঁক বা আইস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে, যা প্রদাহ এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। আইস প্রয়োগের ফলে রক্তনালী সংকুচিত হয়, যা ব্যথার অনুভূতি হ্রাস করে এবং আরাম দেয়। আঘাত লাগার প্রথম ২৪-৪৮ ঘণ্টা পরে গরম সেঁক দেওয়া শুরু করা উচিত, কারণ এটি পেশি শিথিল করতে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে ()। হট প্যাক ১৫-২০ মিনিটের জন্য ব্যবহার করা উচিৎ এবং এটি পেশির টান কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়

ব্যথানাশক ওষুধ: ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক, যেমন আইবুপ্রোফেন বা এসিটামিনোফেন, ঘাড়ের ব্যথা উপশমে দ্রুত কার্যকর হতে পারে। এই ওষুধগুলো প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথার তীব্রতা হ্রাস করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, NSAIDs (non-steroidal anti-inflammatory drugs) ব্যথার তীব্রতা কমাতে এবং ঘাড়ের নড়াচড়া উন্নত করতে কার্যকরী ()। তবে, দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপি ঘাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি কার্যকর পদ্ধতি। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ এবং থেরাপি অন্তর্ভুক্ত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ঘাড়ের পেশির শক্তি ও নমনীয়তা বাড়াতে এবং ব্যথা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ()। ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে বিশেষ ধরনের স্ট্রেচিং এবং শক্তিবর্ধক ব্যায়াম করা হয়, যা ঘাড়ের পেশিগুলোকে শিথিল করে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়ায়।

বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, প্রাইভেট চেম্বার ও ক্লিনিক সহ ছোট-বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপি বা ম্যানুয়াল থেরাপি চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই একজন গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কাছে সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা নেয়া উচিৎ। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একমাত্র ASPC ম্যানু্পুলেশন থেরাপি সেন্টার (House #U64, Noorjahan Road Mohammadpur, Dhaka-1207) এ শুধুই ম্যানুয়াল থেরাপির মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। Structural Diagnosis & Management (SDM) টেকনিকের ভিত্তিতে রোগীর অবস্থা অনু্যায়ি কারেকশন থেরাপির চিকিৎসা  প্রদান করে থাকে যার ফলে রোগীরা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে সর্বোচ্চ সুস্থতা পায়।

মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা: মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ ঘাড়ের ব্যথার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে, কারণ এটি পেশিতে টান সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মেডিটেশন এবং ডীপ ব্রেদিং এক্সারসাইজ কৌশল মানসিক চাপ কমাতে এবং পেশি শিথিল করতে সহায়ক ()। প্রতিদিনের কিছু সময় মেডিটেশন এবং রিল্যাক্সেশন কৌশল অনুসরণ করা মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

সঠিক বসার অভ্যাস: ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য সঠিকভাবে বসার অভ্যাস মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ সময়, ভুলভাবে বসার ফলে ঘাড়ের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা ব্যথার কারণ হয়। সঠিক ভংগিতে বসার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রথমে আপনার কোমর সোজা করে বসতে হবে এবং কোমরে সাপোর্ট থাকতে হবে।

চেয়ারটি এমন হওয়া উচিত যাতে আপনি সোজা বসতে পারেন এবং আপনার পা মাটিতে সোজাভাবে রাখা যায়। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় স্ক্রিনের উচ্চতা এমনভাবে সেট করুন যাতে আপনার চোখ স্ক্রিনের মাঝখানে থাকে। এর ফলে ঘাড়কে খুব বেশি উপরে বা নিচে ঝুঁকতে হবে না। বসার সময় কাঁধগুলোকে শিথিল রাখতে হবে এবং হাতগুলোকে ঘাড়ের উচ্চতার নিচে রাখতে হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম : শরীরের পেশি শক্তিশালী এবং নমনীয় রাখতে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা ঘাড়ের স্থিতিশীলতা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। বিশেষ করে, ঘাড়ের জন্য নির্দিষ্ট স্ট্রেচিং এবং শক্তিবর্ধক ব্যায়াম করা উচিত, যা পেশিকে শিথিল করে এবং রক্ত প্রবাহ বাড়ায়।

তবে ব্যায়ামের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে পেশিতে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। প্রথমে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করা এবং ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়ানো ভাল। নিয়মিত ব্যায়াম ঘাড়ের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।

তথ্যসূত্র

  1. Kalichman, L. and Hunter, D.J., 2008. Diagnosis and conservative management of degenerative lumbar spondylolisthesis.European Spine Journal17, pp.327-335. https://link.springer.com/article/10.1007/s00586-007-0543-3
  2. Ashina, S., Bendtsen, L. and Ashina, M., 2005. Pathophysiology of tension-type headache.Current pain and headache reports9, pp.415-422. https://link.springer.com/article/10.1007/s11916-005-0021-8
  3. Carroll, L.J., Holm, L.W., Hogg-Johnson, S., Côté, P., Cassidy, J.D., Haldeman, S., Nordin, M., Hurwitz, E.L., Carragee, E.J., Van Der Velde, G. and Peloso, P.M., 2008. Course and prognostic factors for neck pain in whiplash-associated disorders (WAD): results of the Bone and Joint Decade 2000–2010 Task Force on Neck Pain and Its Associated Disorders.Spine33(4S), pp.S83-S92. https://journals.lww.com/spinejournal/fulltext/2008/02151/Course_and_Prognostic_Factors_for_Neck_Pain_in.13.aspx
  4. French, S.D., Cameron, M., Walker, B.F., Reggars, J.W. and Esterman, A.J., 2006. Superficial heat or cold for low back pain.Cochrane Database of Systematic Reviews, (1). https://www.cochranelibrary.com/cdsr/doi/10.1002/14651858.CD004750.pub2/abstract
  5. Roelofs, P.D., Deyo, R.A., Koes, B.W., Scholten, R.J. and van Tulder, M.W., 2008. Non‐steroidal anti‐inflammatory drugs for low back pain.Cochrane database of systematic reviews, (1). https://www.cochranelibrary.com/cdsr/doi/10.1002/14651858.CD000396.pub3/abstract
  6. Gross, A., Miller, J., D’Sylva, J., Burnie, S.J., Goldsmith, C.H., Graham, N., Haines, T., Brønfort, G. and Hoving, J.L., 2010. Manipulation or mobilisation for neck pain.Cochrane database of systematic reviews, (1). https://www.cochranelibrary.com/cdsr/doi/10.1002/14651858.CD004249.pub3/abstract
  7. Chong, C.S., Tsunaka, M. and Chan, E.P., 2011. Effects of yoga on stress management in healthy adults: a systematic review.Alternative therapies in health and medicine17(1), p.32. https://search.proquest.com/openview/25de198b92bec3b56b7f6e9f60630ea5/1?pq-origsite=gscholar&cbl=32528
Dr. M Shahadat Hossain
Follow me

Physiotherapist, Pain, Paralysis & Manipulative Therapy Specialist, Assistant Professor Dhaka College of Physiotherapy, Secretary-General(BPA), Secretary(CARD), Chief Consultant(ASPC), Conceptual Inventor(SDM), Faculty Member(CRP), Member-Bangladesh Rehabilitation Council

পরামর্শ নিতে 01877733322