হঠাৎ মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়। ঘোরানো (ভার্টিগো)। ভার্টিগো হলো এক ধরনের মাথা ঘোরার অনুভূতি, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি মনে করেন যে তাদের আশেপাশের পরিবেশ ঘুরছে বা তিনি নিজেই ঘুরছেন। এটি সাধারণত কানের ভেতরে থাকা ভেস্টিবুলার সিস্টেমে যা আমাদের দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে, সেটার বিভিন্ন সমস্যার কারণে হতে পারে।

ভার্টিগোর প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে বিনাইন পারক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো (BPPV), মেনিয়ের ডিজিজ, ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস, ল্যাবিরিনথাইটিস এবং ভেস্টিবুলার মাইগ্রেন। এসব সমস্যার কারণে হঠাৎ করে মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং কখনো কখনো চোখে ঝাপসা দেখার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

হঠাৎ মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়

হঠাৎ মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ, ভার্টিগো একটি ধরনের মাথা ঘোরা বা ঘূর্ণায়মান অনুভূতি যা সাধারণত ভারসাম্য জনিত সমস্যার কারণে হয়। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি অনুভব করতে পারেন যে তাদের আশেপাশের পরিবেশ ঘুরছে বা তারা নিজেরাই ঘুরছেন। এটি বেশ কয়েকটি কারণে হতে পারে, যার মধ্যে কয়েকটি হলো

ভেস্টিবুলার সিস্টেমের সমস্যা ভেস্টিবুলার সিস্টেমটি আমাদের কানের ভেতরে অবস্থিত এবং এটি শরীরের অবস্থান ও গতি সম্পর্কে মস্তিষ্ক কে তথ্য প্রদান করে। যখন এই সিস্টেমে কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তখন মস্তিষ্ক ভুল সংকেত পায়, ফলে মাথা ঘোরার অনুভূতি হয়। বিনাইন পারক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো (BPPV) হলো একটি সাধারণ ভেস্টিবুলার সমস্যা, যেখানে কানের ভেতরের ক্যালসিয়ামের কণা স্থানচ্যুত হয় এবং মাথার নির্দিষ্ট অবস্থান গত পরিবর্তন হলে মাথা ঘোরা শুরু হয় (1)।

বিনাইন পারক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো (BPPV) আমাদের কানের ভেতরে “অটোকোনিয়া” নামক ক্ষুদ্র ক্যালসিয়ামের কণা গুলো ভেস্টিবুলার সিস্টেমের নির্দিষ্ট একটি অংশে থাকে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু কখনো কখনো এই কণা গুলো ভেস্টিবুলার সিস্টেমের অন্য একটি অংশে চলে গেলে, মস্তিষ্কে ভুল সংকেত প্রেরিত হয়, ফলে মাথা ঘোরা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। BPPV-তে মাথা ঘোরার অনুভূতি সাধারণত মাথার অবস্থান পরিবর্তনের সময় হয়, যেমন শোয়া থেকে ওঠা, শোয়ার সময় কাত হওয়া বা উপরের দিকে তাকানো।

 

মেনিয়ের ডিজিজ মেনিয়ের ডিজিজ একটি দীর্ঘস্থায়ী কানের সমস্যা, যা মাথা ঘোরার অন্যতম কারণ হতে পারে। এই রোগে কানের ভেতরের অংশে অতিরিক্ত তরল জমা হয়, যা কানের অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়িয়ে দেয় এবং ভেস্টিবুলার সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে মস্তিষ্কে সঠিক ভাবে সংকেত পৌঁছায় না, যা ভারসাম্য হীনতা এবং ঘূর্ণায় মান মাথা ঘোরা (ভার্টিগো) তৈরি করে। মেনিয়ের ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হঠাৎ করে মাথা ঘোরা, কানে শব্দ হওয়া (টিনিটাস), কানের ভেতরে চাপ অনুভব করা এবং সাময়িক বা স্থায়ী ভাবে শ্রবণ শক্তি হ্রাস পাওয়ার মতো উপসর্গ অনুভব করতে পারেন।

ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস বা ল্যাবিরিনথাইটিস ভেস্টিবুলার নিউরাইটিস বা ল্যাবিরিনথাইটিসের মূল কারণ সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণ, যা সর্দি লাগা, ফ্লু বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের পর দেখা দিতে পারে। ভেস্টিবুলার নিউরাইটিসে কেবল ভারসাম্য রক্ষাকারী স্নায়ুতে প্রদাহ হয়, ফলে মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হীনতা এবং বমি বমি ভাব দেখা যায়, কিন্তু শ্রবণ শক্তির কোনো সমস্যা হয় না। অন্যদিকে, ল্যাবিরিনথাইটিসে কানের ভেতরের ল্যাবিরিনথের প্রদাহের কারণে ভারসাম্যহীনতার পাশাপাশি শ্রবণ শক্তি হ্রাস এবং কানের ভিতরে শব্দ (টিনিটাস) হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত আকস্মিক ভাবে তীব্র মাথা ঘোরার অনুভূতি বোধ করেন, যা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

আরও পড়ুন
পিঠে ব্যথার ব্যায়াম | ৯ টি সেরা ব্যায়াম যা পিঠে ব্যথা দূর করে

মাইগ্রেন: মাইগ্রেনের সমস্যায় সাধারণ মাথা ব্যথার পাশাপাশি তীব্র মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হীনতা এবং কখনো কখনো বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ভেস্টিবুলার মাইগ্রেনের সময় মাথা ঘোরার অনুভূতি কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেনের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং ভেস্টিবুলার সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে, যা মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে।

মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ

মাথা ঘোরা বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে, যা গুরুতর বা সাময়িক উভয়ই হতে পারে। নিচে কিছু সম্ভাব্য কারণ ও লক্ষণ হলো

ভেস্টিবুলার সিস্টেমের সমস্যা কানের ভেতরের ভেস্টিবুলার সিস্টেমে সমস্যা, যেমন বিনাইন পারক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো (BPPV), মেনিয়ের ডিজিজ বা ভেস্টিবুলার নিউরাইটিসের কারণে মাথা ঘুরাতে পারে। এতে ঘূর্ণায় মান অনুভূতি, ভারসাম্য হীনতা, এবং কখনো কখনো কানে শব্দ হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

রক্ত চাপের পরিবর্তন হঠাৎ করে শোয়া বা বসা থেকে দাঁড়ানোর সময় রক্ত দ্রুত পায়ের দিকে চলে যায়, ফলে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগে। এর ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি সৃষ্টি হয়, যা মাথা ঘোরা, চোখে অন্ধকার দেখা, এবং কখনো কখনো অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ তৈরি করে। এছাড়া, রক্তচাপ কমে গেলে, যেমন দীর্ঘ সময় না খাওয়া বা ডিহাইড্রেশনের কারণে, মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে যায় এবং মাথা ঘোরার অনুভূতি হয়।

লো ব্লাড সুগার (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে রক্তে পর্যাপ্ত শর্করার প্রয়োজন হয়, যা মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। যখন রক্তে শর্করার মাত্রা খুব কমে যায়, তখন মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত জ্বালানি পায় না, ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে, যদি তারা ইনসুলিন বা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ গ্রহণ করেন এবং সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ না করেন, তবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত কায়িক শ্রম, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, বা অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেও রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে। মাথা ঘোরা ছাড়াও হাইপোগ্লাইসেমিয়ার অন্যান্য লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত ঘাম, দুর্বলতা, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ব্যথা, এবং মেজাজের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।

ডিহাইড্রেশন শরীরের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে পানি অপরিহার্য, কারণ এটি রক্ত প্রবাহ, কোষের কার্যকারিতা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করি না, অতিরিক্ত ঘামি, ডায়রিয়া বা বমির কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের হয়ে যায়, তখন শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায় এবং রক্তচাপ ও নিচে নেমে আসে। ফলে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হয়, যা মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, চোখে ঝাপসা দেখা এবং কখনো কখনো অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে।

আরও পড়ুন
শোল্ডার ইম্পিঞ্জমেন্ট সিন্ড্রোম

অ্যানিমিয়া হিমোগ্লোবিন লোহিত রক্ত কণিকা গুলির একটি উপাদান, যা মস্তিষ্ক সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন পরিবহন করে। যখন শরীরে পর্যাপ্ত লোহিত রক্ত কণিকা বা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি হয়, তখন শরীরের টিস্যু গুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, এবং মাথা ঘোরা অনুভূত হয়।

মাইগ্রেন মাইগ্রেন মূলত একটি নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, যা তীব্র মাথা ব্যথার পাশাপাশি বিভিন্ন সংবেদনশীল উপসর্গ সৃষ্টি করে। ভেস্টিবুলার মাইগ্রেনের সময় মস্তিষ্কের ভেস্টিবুলার সিস্টেমে প্রভাব পড়ে, ফলে মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হীনতা, এবং কখনো কখনো বমি বমি ভাবের মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ

হার্টের সমস্যা হৃদপিণ্ডের প্রধান কাজ হলো শরীরের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা। কিন্তু যখন হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যায়, যেমন হার্ট ফেইলিউর, কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া (অনিয়মিত হৃদস্পন্দন), বা হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা গুলো দেখা দেয়, তখন মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহিত হয় না। এর ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, এবং কখনো কখনো অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

মানসিক চাপ বা উদ্বেগ মানসিক চাপ বা উদ্বেগের সময় শরীরে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয়, যা হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। এর ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে এবং মাথা ঘোরা, ঝাপসা দৃষ্টি, শ্বাসকষ্ট, হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা, এবং ঘাম হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। উদ্বেগের সময় মানুষের প্রায়ই শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি পায়, যাকে হাইপারভেন্টিলেশন বলা হয়। এর ফলে রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমে যায়, যা মাথা ঘোরা এবং মাথায় হালকা অনুভূতি সৃষ্টি করে।

ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিছু ওষুধ সরাসরি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে, যা মাথা ঘোরা, ঝাপসা দৃষ্টি, এবং ভারসাম্য হীনতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, বিশেষ করে বিটা-ব্লকার এবং ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, রক্ত চাপ কমানোর সময় মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে। একই ভাবে, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ও অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ স্নায়ুর কার্য কলাপ হ্রাস করে মাথা হালকা অনুভব করার কারণ হতে পারে।

নিউরোলজিক্যাল সমস্যা নিউরোলজিক্যাল সমস্যার মধ্যে স্ট্রোক, মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ, মস্তিষ্কের টিউমার, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, এবং পারকিনসনস ডিজিজের মতো রোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি তে মাথা ঘোরা ছাড়াও অন্যান্য গুরুতর উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন তীব্র মাথা ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, কথা বলায় অসুবিধা, শরীরের এক পাশে দুর্বলতা বা অসাড়তা, ভারসাম্য হীনতা, হাঁটতে সমস্যা, এবং চোখে ঝাপসা দেখা।

কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে

মাথা ঘোরা কমানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার কার্যকরী হতে পারে। এর মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বিশেষ ভাবে কার্যকর। ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং পেশী শিথিল করতে সহায়ক, যা মাথা ঘোরা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে বাদাম ও বীজ, যেমন: আমন্ড, কাজু, সূর্যমুখীর বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড এবং চিয়া সিড। এছাড়া কালো মটরশুঁটি, এডামে শীম, স্পিনাচ এবং অন্যান্য ডার্ক লিফি গ্রিনসও ভালো ম্যাগনেশিয়ামের উৎস। মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার | মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

আরও পড়ুন
ফুট ড্রপের কারণ এবং এর প্রতিকার

অন্যদিকে, শরীরের পানি শূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) মাথা ঘোরার একটি সাধারণ কারণ হতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনে ২ লিটার বা এর বেশি পানি পান করা উচিত, যা শরীরের ম্যাগনেশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ উপাদানের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া, দই, কম চর্বিযুক্ত দুধ, এবং কলা ও অ্যাভোকাডোর মতো ফল খাওয়া মাথা ঘোরা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

শুয়ে থাকলে মাথা ঘোরে কেন

শুয়ে থাকলে মাথা ঘোরার প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো Benign Paroxysmal Positional Vertigo (BPPV)। এটি কানের অভ্যন্তরীণ একটি সমস্যা, যেখানে কানের ভেতরের ক্ষুদ্র ক্যালসিয়াম কণা গুলি স্থানচ্যুত হয়ে সেমিসারকুলার ক্যানেলে চলে যায়। এর ফলে মাথার অবস্থান পরিবর্তনের সময় ঘূর্ণায় মান অনুভূতি বা মাথা ঘুরে, বিশেষ করে শুয়ে থাকা, শোয়া থেকে ওঠা, বা ঘাড় কাত হয়ে শোয়ার সময় বেশি হয়।

এই সমস্যা সাধারণত ক্ষণ স্থায়ী, তবে এটি বারংবার হতে পারে এবং জীবন যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এছাড়া, কানের অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন, যেমন ল্যাবিরিনথাইটিস বা ভেস্টিবুলার নিউরাইটিসের কারণে শুয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘোরার অনুভূতি হতে পারে। এ ধরনের অবস্থায় ভেস্টিবুলার সিস্টেমের কার্যক্রম ব্যাহত হয়, ফলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সমস্যা হয় এবং মাথা ঘোরে​। মাথা ব্যথা কমানোর উপায় এবং ঘরোয়া চিকিৎসা

তথ্যসূত্র

  1. Kim, J.S. and Zee, D.S., 2014. Benign paroxysmal positional vertigo.New England Journal of Medicine370(12), pp.1138-1147. https://www.nejm.org/doi/abs/10.1056/NEJMcp1309481
Dr. M Shahadat Hossain
পরামর্শ নিতে 01877733322