মুখে ব্রণ কমানোর উপায় এর জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে, যা আপনি অনুসরণ করতে পারে, ত্বক পরিষ্কার রাখা – ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন। দিনে দুবার মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর হবে এবং ব্রণ কমে আসবে। অ্যান্টি-অ্যাকনে ক্রিম ব্যবহার | অ্যান্টি-অ্যাকনে ক্রিম বা জেল (যেমন, বেঞ্জয়েল পারক্সাইড, স্যালিসিলিক অ্যাসিড) ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করে এবং ত্বকের ক্ষত কমায়।

মুখে ব্রণ কমানোর উপায়

সঠিক খাদ্যাভ্যাস: খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা জরুরি। চর্বি ও তেলযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত চিনি, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে, শাকসবজি, ফলমূল, এবং জলবাহী খাবার বেশি করে খান।

পানি পান করা: প্রচুর পানি পান করুন। এটি শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, যা ব্রণের সমস্যা কমাতে সহায়ক।

স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস ব্রণের একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। মেডিটেশন, ব্যায়াম বা পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।

ঘরোয়া পদ্ধতি: কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যেমন টমেটোর রস, মধু, অ্যালোভেরা জেল বা চন্দন পেস্ট ব্যবহার করে ব্রণ কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। এগুলো ত্বকের উপর হালকাভাবে ব্যবহার করুন এবং কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন।

ডাক্তারের পরামর্শ: যদি ব্রণ খুব বেশি থাকে বা এই উপায়গুলো কাজ না করে, তবে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তি পেতে পারেন।

মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত ঘরোয়া উপায়

মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত | মুখে ব্রণ হলে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনি ব্রণ কমাতে পারেন | টমেটোর রস – টমেটোর রস ব্রণ কমাতে কার্যকরী। টমেটোতে থাকা লাইকোপেন এবং ভিটামিন C ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমায় ও ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে। টমেটোর রস সরাসরি ব্রণের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল, অ্যালোভেরা জেল ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ব্রণ দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। তাজা অ্যালোভেরা জেল ব্রণের উপর হালকাভাবে লাগিয়ে দিন এবং রাতে রেখে দিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। এলার্জি দূর করার উপায় এবং সমাধান

আরও পড়ুন  টোটাল হিপ রিপ্লেসমেন্ট

মধু ও দারুচিনি – মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এক চামচ মধু এবং আধা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটি ব্রণের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর রস – লেবুর রস ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমায় এবং ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে। একটি লেবু কেটে এর রস ব্রণের উপর সরাসরি লাগান। তবে লেবুর রস সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করার পর রোদে বের হওয়া উচিত নয়, কারণ এতে ত্বক আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে।

চন্দন পেস্ট – চন্দন ত্বককে ঠান্ডা করে এবং ব্রণ কমাতে সহায়ক। চন্দনের গুঁড়ো এবং গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটি ব্রণের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।

গ্রীন টি – গ্রীন টি ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণ সারাতে সহায়ক। ঠান্ডা গ্রীন টি পানিতে একটি তুলা ভিজিয়ে ব্রণের উপর লাগিয়ে দিন, ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই উপায়গুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণ কমতে শুরু করবে। তবে যদি ব্রণ দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বাড়তে থাকে, তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মুখে ব্রণ থাকলে যে ভুলগুলো করবেন না

মুখে ব্রণ থাকলে কিছু সাধারণ ভুল রয়েছে যা করা উচিত নয়, কারণ এগুলো ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে | ব্রণ খোঁচানো বা চেপে ধরার ফলে ত্বকের নিচে থাকা ব্যাকটেরিয়া আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ইনফেকশন হতে পারে, যা ব্রণকে আরও গুরুতর করে তুলতে পারে। এটি ত্বকে স্থায়ী দাগও ফেলতে পারে। মুখ বারবার ধুলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল চলে যায়, যা ত্বককে আরও বেশি তেল উৎপাদন করতে বাধ্য করে।

এটি ব্রণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। মুখে শক্তিশালী সাবান বা ক্ষারীয় পণ্য ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে, যা ব্রণকে আরও খারাপ করতে পারে। এর পরিবর্তে মাইল্ড, ব্রণ-প্রতিরোধী ক্লিনজার ব্যবহার করুন। ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয় এমন মেকআপ ব্যবহার করলে ব্রণ আরও খারাপ হতে পারে। মেকআপ নন-কমেডোজেনিক এবং তেল-মুক্ত (oil-free) হওয়া উচিত। মেকআপ সবসময় পরিষ্কার করে রাতে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। হেডেক বা মাথাব্যথা | মাথাব্যথা | মাইগ্রেন

আরও পড়ুন  মাথা ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার | মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

রোদে অতিরিক্ত থাকা: ব্রণ থাকলে অতিরিক্ত রোদে থাকা উচিত নয়। সূর্যের UV রশ্মি ত্বকের প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং ব্রণকে আরও খারাপ করতে পারে। বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত, তবে সানস্ক্রিনটি তেল-মুক্ত হওয়া উচিত।

চিনি এবং তেলযুক্ত খাবার খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি, ফাস্টফুড, এবং তেলযুক্ত খাবার খেলে ব্রণ বেড়ে যেতে পারে। খাদ্যাভ্যাসে সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার রাখার চেষ্টা করুন।

প্রচণ্ড স্ক্রাব করা: ব্রণের ত্বক খুব সংবেদনশীল থাকে, তাই ত্বকে বেশি ঘষাঘষি বা স্ক্রাব করা উচিত নয়। এটি ত্বকের ওপরের স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং ব্রণ বাড়াতে পারে।

বেশি স্ট্রেস নেওয়া: মানসিক চাপ বা স্ট্রেস ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই নিজেকে রিল্যাক্স করার জন্য যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললে ব্রণ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ত্বক ভালো রাখতে সহায়ক হবে।

Source

  1. Paller AS, Mancini AJ (2015)। হুরউইটজের ক্লিনিকাল পেডিয়াট্রিক ডার্মাটোলজি: শৈশব এবং কৈশোরের ত্বকের ব্যাধিগুলির একটি পাঠ্যপুস্তক । এলসেভিয়ার। আইএসবিএন 978-0-323-24475-6.
  2. Cordain L, Lindeberg S, Hurtado M, Hill K, Eaton SB, Brand-Miller J (ডিসেম্বর 2002)। “ব্রণ ভালগারিস: পশ্চিমা সভ্যতার একটি রোগ”। ডার্মাটোলজির আর্কাইভস
Latest posts by ডাঃ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (see all)
আরও পড়ুন  ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে করনীয়
Jan 26, 2023

কারা মেনিনজাইটিসের ঝুঁকিতে আছেন, বয়স ভেদে মেনিনজাইটিস এর লক্ষণ, প্রতিরোধ এবং ফিজিওথেরাপি ব্যবস্থাপনা

কারা মেনিনজাইটিস হবার ঝুঁকিতে আছেন? মেনিনজাইটিসের ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে: ১. টিকা…
পরামর্শ নিতে 01877733322