- ব্যথা অসহ্য হলে সম্পূর্ণ বিশ্রামে যেতে হবে।
- ব্যথার তীব্রতা রক্ষা করে এমন স্বাভাবিক ফোম বিছানা ব্যবহার করতে হবে।
- অনেক সময় বেল্ট পরলে ভালো লাগতে পারে। তবে পরীক্ষা করতে হবে।
- সামনে ঝুঁকে কাজ কিছুদিন করা যাবে না।
- বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে অতিসত্তর যোগাযোগ করতে হবে।
- প্রথম প্রথম মাটিতে নিচু না হয়ে বসাই ভালো।
- ভারী জিনিস উত্তোলন নিষেধ।
- এ অবস্থায় অবশ্যই নরম খাবার খেতে হবে। যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।
- অন্যান্য শারীরিক ব্যায়াম অবশ্যই বন্ধ থাকবে।
চিকিৎসা
- ব্যথা পাওয়ার সাথে সাথে পুরোপুরি বিশ্রাম এ যেতে হবে।
- প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ পত্র খেতে হবে।
- ওষুধের পাশাপাশি অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শসহ চিকিৎসা নিতে হবে।
- প্রয়োজন হলে অপারেশন করাতে হবে।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা :
“গবেষণা করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ডিস্ক প্রলাপ্সের রোগী ফিজিওথেরাপি নিয়ে ভালো আছে। তবে বুঝতে হবে কি ধরনের ফিজিওথেরাপি দরকার। কারণ, আমাদের দেশে বেশিরভাগ ডাক্তার ও সাধারণ মানুষ জানেন যে, ফিজিওথেরাপি মানে হচ্ছে আলট্রাসাউন্ড, ইনফ্রারেড রেডিয়েশন, সর্টওয়েভ ডায়াথার্মি,টেনস, ট্রাকশন সহ বিভিন্ন ধরনের মেশিন পত্র।”
আসলে ডিস্ক প্রলাপসের চিকিৎসায় এসব মেশিনপত্র কতটুকু কাজে আসে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন চলে আসে। কোমর ব্যথা, ডিস্কের সমস্যা এগুলোর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি।
ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি দ্বারা রোগী তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। সারাবিশ্বে অপারেশনের বিকল্প হিসেবে ম্যানুয়াল ও ম্যানুপুলেশন থেরাপি ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
যেখানে থেরাপি কাজ করে :
ম্যানুয়াল থেরাপি-প্রথমেই দরকার অবস্থান গত পরিবর্তন বা সঠিকীকরণ। যে অবস্থানে রোগীর ব্যথা কম থাকে বা, পায়ের ব্যথা কমে কোমরে আসে একেই বলে সেন্ট্রালাইজেশন বা ব্যথা কেন্দ্রীভূতকরণ।
আর রোগীকে অ্যাসেসমেন্ট এর মাধ্যমে পর্যালোচনা করে শুধুমাত্র একটি ব্যায়াম নির্ধারণ করতে হবে যে ব্যায়াম রোগীর সমস্যাটিকে সঠিকীকরণের দিকে অর্থাৎ ডিস্কের অবস্থানটাকে সঠিক করে ফলে ব্যথা কমে যায়।
এভাবেই যদি রোগী ১০-১৫ দিন প্রতিদিন ৪-৫ বার করে তাহলে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে এবং রোগী সাধারণ কাজে ফিরে যেতে পারবে। তবে রোগীকে ব্যায়ামটি সারাদিনে ২-৩ বার করে বেশ কিছুদিন করতে হবে। এই পদ্ধতির নাম ম্যাকেঞ্জি- যা বিশেষভাবে সমাদৃত ।
ম্যানুপুলেশন : এই প্রক্রিয়াটিও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই প্রক্রিয়ায় রোগীকে প্রথমে ব্যথাযুক্ত পাশকে উপরের দিকে রেখে ঐ পাশ করেই শোয়াতে হবে এবং রোটেশন করে উপরের পা ভাঁজ অবস্থায় থ্রাস্ট বা জোরে চাপ দিতে হবে, যাতে ডিস্কের অবস্থান সঠিক জায়গায় এসে পরে।
ফলে নার্ভের উপর চাপ কমে এবং ব্যথা সাথে সাথে চলে যায়। ডিস্ক প্রলাপ্স রোগীর ক্ষেত্রে অনেক সময় ট্রাকশন ভালো কাজ করে।
- পিঠে জ্বালাপোড়া করার কারণ - November 25, 2023
- পিঠে ব্যথা হওয়ার কারণ - November 23, 2023
- পিঠে ব্যথার অন্যতম কারণ অ্যাঙ্কাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিসঃ রোগের ধরণ এবং প্রতিকার - November 18, 2023