কাঁধে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, যা বর্তমানে প্রায় ১৬% শতাংশ থেকে ২৬% শতাংশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে হতে দেখা যায় এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে কাধে ব্যথা হবার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় (1)। বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে কাঁধের ব্যথার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি দেখা যায় যা কিনা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন পেশীতে আঘাত লাগা, টেন্ডনের প্রদাহ, জয়েন্টের সমস্যা, বা আঘাতজনিত ট্রমা ইত্যাদি।
রোটেটর কাফ ইনজুরি, ফ্রোজেন শোল্ডার, বারসাইটিস, আথ্রাইটিস বা ডিজলোকেশনের কারনেও কাঁধের ব্যথা হতে পারে। ব্যথার মাত্রা মৃদু থেকে তীব্রতর হতে পারে এবং এটি নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত হাত উপরে তোলার সময় ব্যথা হয়। কাঁধে ব্যথা অনেক সময় দৈনন্দিন কাজ যেমন হাত উপরে তুলে কিছু ধরা, মাথার উপরে হাত তোলা, বা ভারী কিছু তোলার সময় অসুবিধা সৃষ্টি করে।
কাধে টান লাগা
কাঁধে টান লাগা সাধারণত মাংসপেশী বা টেন্ডনে আঘাত বা অতিরিক্ত চাপের কারণে ঘটে থাকে। এটি সাধারণত ভারী কোনো জিনিস তোলা, হঠাৎ তাড়াহুরো করে নড়াচড়া করা বা ভুল অঙ্গবিন্যাসে কাঁধের ওপর চাপ পড়ার কারণে হতে পারে। কাঁধে টান লাগার ফলে কাঁধে ব্যথা, জড়তা, নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা এবং হাত তোলার সময় বা কাঁধ ঘোরানোর সময় অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। পিঠে ব্যথার কারণ ও করণীয়
অতিরিক্ত চাপ বা ভারী কাজ: ভারী কোনো জিনিস তোলার সময়, বিশেষ করে যদি সঠিক অঙ্গবিন্যাস না মেনে তোলা হয়, তখন কাঁধের পেশী ও টেন্ডনের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এ ধরনের ভুল অঙ্গভঙ্গিতে কাজ করলে বা শারীরিক পরিশ্রম করার সময় কাঁধের পেশীগুলোতে অপ্রত্যাশিতভাবে টান লাগতে পারে।
অনেক সময় একটানা ভারী কাজ করার ফলে পেশীগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, যা পরবর্তীতে সহজেই আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। বিশেষ করে যেসব পেশায় নিয়মিত ভারী কাজ করতে হয় বা খেলাধুলায় নিয়মিতভাবে কাঁধের উপর চাপ পড়ে, সেখানে এই ধরনের টান লাগার ঝুঁকি বেশি থাকে (2)।
হঠাৎ নড়াচড়া: যখন কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া বা কাঁধের পেশীগুলোকে সঠিকভাবে প্রস্তুত না করে হঠাৎ তীব্র গতিতে হাত বা কাঁধ ঘোরানো হয়, তখন পেশীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং টান লাগতে পারে। যেমন হঠাৎ করে ভারী কিছু তোলার চেষ্টা করা, দ্রুতগতিতে কোনো কাজ করা, বা খেলাধুলার সময় দ্রুত দিক পরিবর্তন করা।
এই ধরনের আচমকা নড়াচড়া কাঁধের পেশী এবং টেন্ডনের উপর অতিরিক্ত টান সৃষ্টি করে, যা আঘাতের কারণ হতে পারে। এছাড়াও, যদি পেশীগুলো দুর্বল বা প্রস্তুত না থাকে, তাহলে হঠাৎ নড়াচড়ার ফলে কাঁধে টান লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
কাঁধে ব্যথা
পুনরাবৃত্তিমূলক নড়াচড়া: যখন একই ধরনের নড়াচড়া বা কাজ বারবার করতে হয়, তখন কাঁধের পেশীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং তা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে।
এই ধরনের কাজ, যেমন যেসকল খেলাধুলায় নিয়মিত কাঁধের ব্যবহার হয় (ক্রিকেট, টেনিস, সাঁতার), নির্মাণ কাজ, বা দৈনন্দিন ভারী কাজ করতে হলে, কাঁধের পেশী ও টেন্ডনগুলো পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। দীর্ঘমেয়াদী পুনরাবৃত্তিমূলক নড়াচড়া পেশীগুলোর স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে এবং টান লাগার ঝুঁকি বাড়ায়।
পেশীর দুর্বলতা: যখন কাঁধের পেশীগুলো দুর্বল থাকে বা নিয়মিতভাবে ব্যবহৃত হয় না, তখন তারা সহজেই আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। কাঁধের পেশীগুলো দুর্বল হওয়ার ফলে কাধ সঠিকভাবে নড়াচড়া করানো যায় না, ফলে হাত তোলার সময় বা কাঁধ ঘোরানোর সময় পেশীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং টান লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আঘাত বা আঘাতজনিত ট্রমা: যখন কাঁধে সরাসরি আঘাত লাগে, যেমন হঠাৎ পড়ে যাওয়া, স্লিপ করা, বা কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তখন কাঁধের পেশী, টেন্ডন এবং জয়েন্টের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়। এ ধরনের আঘাত কাঁধের পেশীগুলোর উপর তাৎক্ষণিক টান সৃষ্টি করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে পেশী ছিঁড়েও যেতে পারে বা টেন্ডন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
খেলাধুলায় বা দৈনন্দিন কাজের সময় কাঁধে ট্রমা লাগার সম্ভাবনা বেশি, বিশেষ করে যারা ভারী কাজ করেন বা খেলাধুলায় অংশ নেন। আঘাতের কারণে কাঁধে ব্যথা, দুর্বলতা এবং নড়াচড়ার সীমাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী আঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ভুল অঙ্গবিন্যাস: বসা, দাঁড়ানো বা ঘুমানোর সময়, কাঁধের পেশী এবং টেন্ডনের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। বিশেষ করে অফিসে বা ডেস্কে কাজ করার সময় কাঁধের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়লে পেশীগুলো দুর্বল হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে টান লাগার ঝুঁকি তৈরি হয়।
এ ধরনের ভুল অঙ্গবিন্যাসে পেশীগুলোর পর্যাপ্ত দৃড়তা না থাকার কারণে কাঁধের নড়াচড়ার ক্ষমতা কমে যায় এবং পেশীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা পরে টান লাগার কারণ হতে পারে।
ঠান্ডা বা মাংসপেশীর স্টিফনেস: শীতল তাপমাত্রার কারণে মাংসপেশীগুলো শক্ত বা স্টিফ হয়ে যায়, ফলে পেশীগুলোর নমনীয়তা কমে যায়। যখন মাংসপেশী শক্ত থাকে, তখন হঠাৎ নড়াচড়া বা কাজের সময় পেশীগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা টান লাগার কারণ হতে পারে।
বিশেষ করে শীতের সময় বা শীতল পরিবেশে কাজ করার সময় কাঁধের পেশী ঠিকভাবে উষ্ণ না হলে এ ধরনের স্টিফনেস দেখা দেয়। পেশীগুলোর পর্যাপ্ত উষ্ণতা না থাকলে এবং সঠিকভাবে প্রস্তুত না থাকলে হঠাৎ যে কোনো নড়াচড়ায় কাঁধের পেশীগুলো সহজেই আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে।
কাধে তীব্র ব্যথা
কাঁধে তীব্র ব্যথা সাধারণত কাঁধের পেশী, টেন্ডন বা জয়েন্টের আঘাত, প্রদাহ, বা আঘাতজনিত অন্যান্য সমস্যা থেকে হতে পারে। এটি দৈনন্দিন কাজকর্মে সীমাবদ্ধতা তৈরি করতে পারে এবং ব্যথা মাঝে মাঝে এতটাই তীব্র হতে পারে যে, কাঁধ নড়াতে কষ্ট হয়।
কাঁধে তীব্র ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন রোটেটর কাফের আঘাত, ফ্রোজেন শোল্ডার, কাঁধের জয়েন্টে প্রদাহ (বারসাইটিস), আথ্রাইটিস, টেন্ডোনাইটিস বা আঘাতজনিত আঘাত।
রোটেটর কাফ ইঞ্জুরি: রোটেটর কাফ হল চারটি প্রধান পেশীর (সুপ্রাস্পিনেটাস, ইনফ্রাস্পিনেটাস, টেরেস মাইনর, সাবস্ক্যাপুলারিস) সমষ্টি যা কাঁধের জয়েন্টকে স্থিতিশীল রাখে এবং হাতকে বিভিন্ন দিকে ঘোরাতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত কাজ বা আঘাতের কারণে টেন্ডন ছিঁড়ে গেলে বা পেশীগুলোর ক্ষতি হলে রোটেটর কাফ ইঞ্জুরি ঘটে এবং এর প্রধান লক্ষণ হলো কাঁধে ব্যথা, বিশেষ করে হাত তোলার সময় বা ঘোরানোর সময় এবং কাঁধের দুর্বলতা, যা দৈনন্দিন কাজ যেমন হাতের উপর কিছু ধরা বা তুলতে সমস্যা তৈরি করে।
ফ্রোজেন শোল্ডার: যখন কাঁধের জয়েন্টের চারপাশের টিস্যুগুলো শক্ত হয়ে যায় এবং কাঁধের নড়াচড়া সীমিত হয়ে পড়ে, তখন ফ্রোজেন শোল্ডার হয়। সাধারণত ফ্রোজেন শোল্ডার ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং যত দিন যায় ব্যথা তীব্রতর হয়।
এই রোগটি বেশি দেখা যায় ডায়াবেটিস বা দীর্ঘ সময় ধরে কাঁধের ব্যবহার না করার কারণে। কাঁধের জয়েন্টের আশপাশের টিস্যুগুলোতে প্রদাহ দেখা দিলে এবং টিস্যুগুলো সংকুচিত হয়ে গেলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আথ্রাইটিস: কাঁধের জয়েন্টের ক্ষয়জনিত একটি রোগ, যেখানে হাড়ের মধ্যে থাকা কার্টিলেজ ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। কার্টিলেজ ক্ষয় হয়ে গেলে হাড়ের সাথে হাড় ঘষা লাগে, যার ফলে তীব্র ব্যথা এবং জয়েন্টের স্ফীতি হয়।
আথ্রাইটিসের কারণে কাঁধের নড়াচড়া সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং দৈনন্দিন কাজ করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অস্টিওআথ্রাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তবে আঘাত বা অতিরিক্ত ব্যবহারও এই রোগের কারণ হতে পারে।
বারসাইটিস: কাঁধের জয়েন্টের আশপাশে থাকা বারসা (bursa) নামক ছোট তরল পুর্ণ থলের প্রদাহজনিত সমস্যা। বারসা হলো একটি ছোট স্যাক যা জয়েন্টের হাড়, পেশী, এবং টেন্ডনের মধ্যে ঘর্ষণ কমিয়ে দেয়।
অতিরিক্ত ব্যবহার, আঘাত, বা পুনরাবৃত্তিমূলক নড়াচড়ার কারণে বারসায় প্রদাহ দেখা দিলে, এটি তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে। কাঁধে বারসাইটিস হলে নড়াচড়ায় সীমাবদ্ধতা দেখা দেয় এবং হাত উপরে তোলার সময় ব্যথা আরও তীব্র হয়।
আঘাত বা দুর্ঘটনা: কাঁধে সরাসরি আঘাত লাগে, যেমন পড়ে যাওয়া, স্লিপ করা, বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হওয়া, তখন কাঁধের পেশী, টেন্ডন, বা হাড়ের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে।
এতে পেশী ছিঁড়ে যাওয়া, হাড় ভেঙে যাওয়া, বা জয়েন্টের স্থানচ্যুতি (ডিজলোকেশন) ঘটতে পারে, যা তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে। আঘাতের ফলে কাঁধের স্বাভাবিক নড়াচড়া সীমিত হয়ে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথার পাশাপাশি জয়েন্টে ফোলা এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
কাধে ব্যথার চিকিৎসা
কাঁধে ব্যথার প্রতিকার ও চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যথার প্রকৃতি, কারণ এবং এর তীব্রতার উপর। সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়। সেগুলো নিম্নে বর্নণা করা হলো:
বিশ্রাম: ব্যথা শুরু হলে কাঁধের উপর অতিরিক্ত চাপ বা কার্যকলাপ এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো ব্যথাকে আরও তীব্র করতে পারে। বিশ্রাম কাঁধের টিস্যু এবং পেশীকে পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দেয় এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁধের ব্যথা হলে ভারী কাজ, খেলাধুলা, বা হাত উপরে তোলার কার্যকলাপ বন্ধ রাখা জরুরি, কারণ এগুলো রোটেটর কাফ বা টেন্ডনের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে (3)।
ঠান্ডা ও গরম সেক: প্রথম ৪৮-৭২ ঘণ্টায় বরফের সেক (আইস প্যাক) প্রদাহ এবং ফোলা কমাতে সহায়ক, যা রক্তপ্রবাহ হ্রাস করে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। প্রতি ১৫-২০ মিনিট ধরে দিনে কয়েকবার ঠান্ডা সেক দেয়া যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী ব্যথার ক্ষেত্রে গরম সেক (হট প্যাক) পেশী শিথিল করতে এবং রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করতে সহায়ক (4)।
ব্যথানাশক ও প্রদাহনাশক ওষুধ: কাঁধের ব্যথা উপশমে নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (NSAIDs) যেমন আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেন প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে ব্যবহৃত হয়। তবে, দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। আপনার কনুই ব্যথায় কী করবেন
ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে কাঁধের পেশী ও জয়েন্টকে শক্তিশালী করা হয়। এতে স্ট্রেচিং এবং স্ট্রেংথেনিং এক্সারসাইজ ব্যবহার করা হয়, যা কাঁধের পেশী ও টেন্ডনের চাপ কমায় এবং পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এই থেরাপি রোটেটর কাফ ইনজুরি, ফ্রোজেন শোল্ডার, বা আরথ্রাইটিসের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফিজিওথেরাপি ও ম্যানুয়াল থেরাপি সেবা প্রদান করে থাকে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ASPC ম্যানিপুলেশন থেরাপি সেন্টার এদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
এখানে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে কারেকশন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়, যা রোগীদের সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ASPC সেন্টারে রোগ নির্ণয়ের জন্য Structural Diagnosis & Management (SDM) পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা রোগীর শারীরিক গঠন ও সমস্যার উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করে। এই পদ্ধতিটি রোগ নিরাময়ে কার্যকর এবং পুনর্বাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপারেশন: যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং অন্য চিকিৎসায় উন্নতি না হয়, তবে আর্থ্রোস্কোপি বা অন্যান্য অপারেশন করা হতে পারে। এটি সাধারণত ফ্রোজেন শোল্ডার, রোটেটর কাফ ইনজুরি বা ডিসলোকেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
তথ্যসূত্র
- Mitchell, C., Adebajo, A., Hay, E. and Carr, A., 2005. Shoulder pain: diagnosis and management in primary care. Bmj, 331(7525), pp.1124-1128. https://www.bmj.com/content/331/7525/1124.short
- American Academy of Orthopaedic Surgeons, 2008. American Academy of Orthopaedic Surgeons-AAOS. https://pesquisa.bvsalud.org/portal/resource/pt/lis-LISBR1.1-21425
- Zernicke, R.F. and Whiting, W.C., 2000. Mechanisms of musculoskeletal injury. Biomechanics in Sport: Performance Enhancement and Injury Prevention, pp.507-522. https://onlinelibrary.wiley.com/doi/pdf/10.1002/9780470693797#page=512
- Nadler, S.F., Weingand, K. and Kruse, R.J., 2004. The physiologic basis and clinical applications of cryotherapy and thermotherapy for the pain practitioner. Pain physician, 7(3), p.395. https://www.researchgate.net/profile/Kurt-Weingand/publication/6928434_The_Physiologic_Basis_and_Clinical_Applications_of_Cryotherapy_and_Thermotherapy_for_the_Pain_Practitioner/links/5de9271e92851c8364654b91/The-Physiologic-Basis-and-Clinical-Applications-of-Cryotherapy-and-Thermotherapy-for-the-Pain-Practitioner.pdf
- ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ - February 9, 2025
- সায়াটিকা সারানোর উপায় - January 30, 2025
- ডেঙ্গু জ্বরের ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ ২০২৪ | ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - November 28, 2024