ফুট ড্রপের কারণ এবং এর প্রতিকার

ফুট ড্রপের কারণ এবং এর প্রতিকার. পা ও পায়ের পাতা আমাদের শরীরের এক অপরিহার্য অংশ যা দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং চলাফেরার জন্য অত্যাবশ্যক। এগুলি আমাদের শরীরের ওজন বহন করে এবং ভারসাম্য নিশ্চিত করে। পায়ের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ফুট ড্রপ অন্যতম, যা মূলত পায়ের সামনের অংশকে উপরে তোলার জন্য দায়ী মাংসপেশীর দুর্বলতা বা পক্ষাঘাতের ফলে ঘটে।

ফুট ড্রপের কারণ এবং এর প্রতিকার

এর ফলে চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং প্রায়শই ভারসাম্যের অভাব দেখা দেয়। বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রতি লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৯ জনের ফুট ড্রপের সমস্যা রয়েছে, এর মধ্যে ৯০% কেবল এক পায়ে এই সমস্যায় ভোগেন। ফুট ড্রপ অস্থায়ী বা স্থায়ী হতে পারে, এবং এর প্রকার ব্যক্তির অবস্থা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

ফুট ড্রপ কি?

ফুট ড্রপ কোনো রোগ নয় বরং এটি একটি স্নায়বিক, মাংসপেশীগত, বা অঙ্গবিন্যাসগত সমস্যার উপসর্গ। এটি চলাচলের অস্বাভাবিকতা যা পায়ের পাতার উপরে উত্থাপনে ব্যর্থতা দ্বারা চিহ্নিত হয়। যখন ব্যক্তি হাঁটার সময় পায়ের পাতাকে ঠিকভাবে উত্থাপিত করতে পারে না, এবং ফলে পায়ের পাতা মাটির সঙ্গে ঘষা খায়, তখন তাকে ফুট ড্রপ বলা হয়। এই অবস্থা মূলত পায়ের পাতা উত্থাপনকারী ডোরসি ফ্লেক্সর পেশীগুচ্ছের দুর্বলতা বা ক্ষতির কারণে ঘটে। সোল্ডার বার্সাইটিস

যে সকল কারণে হতে পারে ফুট ড্রপ:

ফুট ড্রপের কারণ. নার্ভে আঘাত: কমন পেরোনিয়াল নার্ভ আমাদের পায়ের পাতা  উপরে টানার মাংসপেশীগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। ফুট ড্রপের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে এই পেরোনিয়াল নার্ভে কম্প্রেশন বা সংকোচন জনিত আঘাত। এই পেরোনিয়াল নার্ভ ঊরুসন্ধি ও হাঁটুর প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচারের সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুট ড্রপ হতে পারে। তাছাড়া মেরুদন্ড থেকে আসা পায়ের নার্ভে কোন আঘাত বা সংকোচনের ফলে ফুট ড্রপ হতে পারে একে “পিঞ্চড নার্ভ” বলে।যেমন-সাইএটিক নার্ভ কম্প্রেশন, লাম্বার রেডিকোলোপেথি, ডিকস হার্নয়েশন, স্পন্ডাইলিটিস, স্যাক্রো ইলিয়াক লিগামেন্ট এবং লাম্বোসেক্রাল ব্যান্ড কম্প্রেশন ইত্যাদি । ফ্ল্যাট ফুট কী ও ফ্ল্যাট ফুটের কারণ এর প্রতিকার

এছাড়াও হাটু এবং পায়ে বিভিন্ন ধরনের আঘাত যেমন- টিবিয়ার মাথা ভেঙে যাওয়া, পেটালা ডিস লোকেশন, আঙ্কেল ইনভার্শন ইনজুরি, রুট ট্রাফিক এক্সিডেন্ট ইত্যাদি কারণে ফুট ড্রপ হয়ে থাকে।

মাংসপেশী ও স্নায়ুর ব্যাধি:বংশগত বিভিন্ন ধরনের মাসকুলার ডিসট্রফি, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, পোলিও মাইলেটিজ, ক্রনিক কম্পার্টমেন্ট সিন্ড্রোম জিবিএস ও চারকেটি-মেরি-টুথ রোগের ফলে ফুট ড্রপ হয়ে থাকে।

মস্তিষ্কএবংমেরুদণ্ডের ব্যাধি: যে ব্যাধিগুলি মেরুদন্ড বা মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে – যেমন অ্যামিওট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস (ALS), একাধিক স্ক্লেরোসিস বা স্ট্রোক, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, সেরিব্রাল পলসি, বংশগত স্প্যাস্টিক প্যারাপ্লেজিয়া মায়োট্রফিক প্যারাপ্লিজিয়া, মেরুদণ্ডে আঘাত, এবং ব্রেন এবং স্পাইনাল কর্ডে টিউমার এর ফলে ফুট ড্রপ হতে পারে।

ফুট ড্রপের লক্ষণ সমূহ:

ফুট ড্রপে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হাঁটার সময় পায়ের আঙ্গুল গুলি মাটির সাথে টেনে নেওয়া এড়াতে তাদের পা স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচুতে তোলে এবং হাঁটু বাঁকিয়ে রাখে। পা মাটিতে ফেলার সময় পায়ের পাতা নিচের অংশ দ্বারা মাটিতে থাপ্পড় দেওয়ার মতো শব্দ হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে হাই স্টেপেজ গেইট বলে।

তাছাড়াও পায়ের গোড়ালি শক্ত হয়ে যাওয়া, ট্যান্ডন একেলিস সংকুচিত হয়ে যাওয়া, পায়ের গোড়ালি, পায়ের পাতায় ব্যথা অনুভব করা এবং হাইপার এক্সটেন্ট নি অর্থাৎ হাটু পিছনের দিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বেঁকে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ গুলি ফুট ড্রপের সাথে লক্ষ্য করা যায়।

যে সকল ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ফুড ড্রপ হতে পারে:

  • পা ক্রস করে হাঁটা: যারা অভ্যাসগতভাবে পা ক্রস করে হাঁটেন, তাদের পেরোনিয়াল নার্ভে চাপ পড়ে যা ফুট ড্রপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • দীর্ঘক্ষণ হাঁটু গেড়ে বসে থাকা: এ ধরনের অবস্থায় কাজ করা, যেমন কৃষিকাজ বা মেঝেতে কাজ করা, ফুট ড্রপের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • পা ভাঙ্গার পরে প্লাস্টার ব্যবহার: প্লাস্টার অফ প্যারিসের দীর্ঘমেয়াদী বা অত্যধিক টাইট হলে ফুট ড্রপের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
  • কোমরের সমস্যা: কোমরের আগের আর্থ্রাইটিস বা রেডিকুলোপ্যাথি থাকলে ভারী বস্তু তোলার সময় ফুট ড্রপের ঝুঁকি বাড়ে।
  • কিছু খেলাধুলা: যেমন ফুটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, দৌড়, লং জাম্প, হাই জাম্প, ও হকি খেলায় ফুট ড্রপের ঝুঁকি বেশি।

ফুট ড্রপ নির্ণয়ের যে সকল টেস্টর প্রয়োজন:

শারীরিকপরীক্ষা: একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ম্যানুয়াল মাসেল টেস্টিং এর মাধ্যমে পায়ের মাংসপেশি শক্তি পরীক্ষা এবং পরিমাপ করে থাকেন। তাছাড়া অনেক ধরনের নিউরোমাসকুলার পরীক্ষার মাধ্যমে পায়ের অনুভূতি, রিফ্লেক্স, তাপমাত্রা এবং জয়েন্ট ডিফরমিটি পরিমাণ নির্ণয় করে থাকেন।

এক্সরে: এক্সরের মাধ্যমে পায়ের হাঁড় ও জয়েন্টের অস্বাভাবিক অবস্থান ও ফুট ড্রপের সাথে হাঁড় ও জয়েন্টের সম্পৃক্ততা নির্ণয় করা যায়।

আল্ট্রাসাউন্ড: আল্ট্রাসন টেকনোলজি শব্দ তরঙ্গের সাহায্যে শরীরে ভেতরের অঙ্গ পতঙ্গের সুক্ষ ছবি তৈরি করে থাকে যার ফলে কোন সিস্ট অথবা টিউমার নার্ভের উপর চাপ প্রয়োগ করলে অথবা কোন নার্ভে প্রদাহ থাকলে তা নির্ধারণ করা সহজ হয়।

সিটিস্ক্যান:সিটি স্ক্যান সাধারণত এক্স এর মতই বিভিন্ন কোন থেকে শরীরের ছবি তুলে থাকে এতে করে সুনির্দিষ্ট ভাবে ফুট ড্রপ নির্ণয় করা যায়।

ম্যাগনেটিকরিছোন্যান্সইমেজিং: সাধারণত এমআরআই রেডিও ওয়াইফের মাধ্যমে শরীরের ভেতরের সফট টিস্যু গুলির অবস্থা নির্ণয় করে থাকে। যার ফলে সফট টিস্যু ধারা সৃষ্ট ফুট ড্রপ নির্বাচনে আরো আধুনিক ও সহজ হয়।

ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি ও নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি টেস্ট:নার্ভ কন্ডাকশন ভেলোসিটি ও ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফির মাধ্যমে মাংসপেশির এবং নার্ভের তড়িৎ কার্যক্ষমতা নির্ণয় করা হয়। সাধারণত এই দুইটি পরীক্ষার মাধ্যমে মাংসপেশি এবং নার্ভের কোন সমস্যা, সুনির্দিষ্ট অবস্থার নির্ণয় করা যায়।

ফুট ড্রপের চিকিৎসা ও পদ্ধতি সমাধানের উপায়: সাধারণত ফুট ড্রপ জনিত সমস্যার ঠিক হতে ২/৩ রোগীর ফুট ড্রপ হওয়ার পর এক বছরেরও বেশি সময় লেগতে পারে। তাই ফুট ড্রপ জনিত সমস্যা চিকিৎসায় ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ নিউরোলজিস্ট এবং ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শে চিকিৎসা নিলে এই সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।

ফুট ড্রপ জনিত সমস্যার সাথে যদি রোগী ব্যথা অনুভব করে তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরামর্শে পেইন কিলার নেওয়া যেতে পারে। গোড়ালি মচকানো

স্প্লিন্ট: ব্রেস বা স্প্লিন্ট হচ্ছে অর্থটিক্স ডিভাইস। বিভিন্ন ধরনের ব্রেস এবং স্প্রিন্ট জুতার সাথে ফিট করে পায়ের স্বাভাবিক অবস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই জাতীয় স্প্রিন্ট চলাফেরার সময় পায়ের ডরসিফ্লেক্সনের পরিমাণ বাড়াতে এবং পায়ের আঙ্গুল গুলির মাটিতে পড়ার পূর্বে পায়ের গোড়ালিকে আগে পড়তে সাহায্য করে এর ফলে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করা যায়। সাধারণত ফুট ড্রপের পরিমাণের উপর স্প্লিন্ট নির্বাচন করা হয়। স্প্রিন্ট স্টেটিক ও ডায়ানামিক দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন:- আঙ্কেল ফুড অর্থসিস (এ এফ ও), ফুট-আপ স্প্লিন্ট এবং ট্রপিক ইত্যাদি।

ফিজিওথেরাপি:ফুট ড্রপের জন্য ফিজিওথেরাপি একটি কার্যকরী চিকিৎসা প্রক্রিয়া। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জয়েন্টের গতিবিধি সচল রাখা এবং মাংসপেশীর দুর্বলতা ও জড়তা দূর করা। প্রারম্ভিক পর্যায়ে, ফিজিওথেরাপিস্টের লক্ষ্য থাকে জয়েন্টের স্বাভাবিক গতির পরিধি বজায় রাখা এবং স্টিফনেস বা কন্ট্রাকচার এড়ানো।

একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ডোরসি ফ্লেক্সর মাংসপেশীগুলির শক্তি বৃদ্ধি এবং প্লান্টার ফ্লেক্সর মাংসপেশীগুলির নমনীয়তা বৃদ্ধির উপর জোর দেন, যা পায়ের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন যেমন ফাংশনাল ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন (FES) মতো মডালিটিসগুলি মাংসপেশী সচল করতে এবং নার্ভ স্টিমুলেশনের মাধ্যমে মাংসপেশীর সংকোচন প্রেরণ করতে ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও, বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম যেমন স্ট্রেচিং, শক্তি বর্ধক ব্যায়াম, এবং ভারসাম্য বৃদ্ধির অনুশীলন রোগীকে আরও ভালো হতে সাহায্য করে। সঠিক ফিজিওথেরাপি প্রোটোকল অনুসরণ করে রোগী তার স্বাভাবিক চলাফেরা ও কার্যক্রমে ফিরে আসতে পারে। এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়, রোগীরা শিখতে পারে কীভাবে তারা নিজেদের ফুট ড্রপ সমস্যাকে ম্যানেজ করতে পারে এবং স্বাধীনভাবে নড়াচড়া করতে পারে।

আরেকটি মুখ্য প্রযুক্তি হচ্ছে অর্থোটিক ডিভাইসের ব্যবহার, যা ফুট ড্রপ আক্রান্ত রোগীদের জন্য সাহায্যকারী হতে পারে। এই ধরণের ডিভাইসগুলি হাঁটার সময় পা উত্তোলনে সাহায্য করে এবং পা ভালো করে মাটিতে রাখার জন্য সহায়তা করে।

ফিজিওথেরাপিতে নিয়মিত ব্যায়াম ও অনুশীলনের মাধ্যমে পায়ের পেশীগুলোর শক্তি ও স্বাভাবিক গতিবিধি ফিরে পেতে পারে, যা রোগীর দৈনন্দিন জীবনে সামগ্রিক মানের উন্নতি সাধন করে। রোগীর সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অস্ত্রপচার: সাধারণত স্প্লিন্ট এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় ফুড প্রজ্জনিত সমস্যার আশানের রূপ পরিবর্তন না হলে বিশেষত চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে আরগো লাভ করা সম্ভব। কিন্তু এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং জটিল প্রক্রিয়া।

ফুট ড্রপে আক্রান্ত রোগীর পরিচর্যায় যে সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে

ফুট ড্রপে আক্রান্ত রোগীর পরিচর্যায় নিম্নলিখিত নিয়ম মেনে চলা উচিত:

  1. রেগুলার ফিজিওথেরাপি: নিয়মিত ফিজিওথেরাপি সেশনে অংশগ্রহণ করা যেখানে স্ট্রেচিং, স্ট্রেন্থেনিং এবং রেঞ্জ অফ মোশন এক্সারসাইজ করা হয়।
  2. যথাযথ ফুটওয়্যার: পা ও গোড়ালি সঠিকভাবে নড়াচড়া করার জন্য উপযুক্ত জুতা পরা গুরুত্বপূর্ণ।
  3. প্রতিদিনের অনুশীলন: রোগীকে বাড়িতে নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে যেমন টো রাইজিং, হিল ওয়াকিং ইত্যাদি।
  4. অ্যান্কেলফুট অর্থোসিস (AFO): কিছু ক্ষেত্রে রোগীদের জন্য অ্যান্কেল-ফুট অর্থোসিস (AFO) ব্যবহার করা হয় যা পা এবং গোড়ালির সঠিক অবস্থান বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  5. পরিবেশ সংশোধন: বাড়িতে মাটিতে পিচ্ছিল কিছু না রাখা, কার্পেট সঠিকভাবে পাতা, এবং অসমতল পৃষ্ঠ থেকে বিরত থাকা।
  6. সাবধানতা ও সচেতনতা: পা টান টান করে রাখার প্রয়োজন, কোনো ধরনের বাঁধা থেকে সতর্ক থাকা এবং পা বা পায়ের আঙ্গুল কোথাও আটকে যাওয়া থেকে বাঁচানো।
  7. পুষ্টি ও ডায়েট: সুষম ডায়েট মেনে চলা। পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন, এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা যা মাংসপেশী এবং স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং হাইড্রেটেড থাকা।
  8. মনোবল বজায় রাখা: ফুট ড্রপে আক্রান্ত রোগীদের মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখা এবং ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাপোর্ট নেওয়া।
  9. সাবধান হওয়া: পা এবং গোড়ালি যাতে কোথাও আটকে না যায় বা আঘাত না পায় সেদিকে খেয়াল রাখা।
  10. স্বাধীন চলাফেরার পুনর্বাসন: ফুট ড্রপের রোগী যাতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা বজায় রাখার জন্য বাড়িতে সাহায্যের জন্য বিশেষ যন্ত্রপাতি বা এইড ব্যবহার করা।

এই নিয়মাবলী মেনে চলা রোগীর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র

Dr. Sapia Akter
পরামর্শ নিতে 01877733322